< গীতসংহিতা 106 >

1 প্রশংসা কর সদাপ্রভুুর, ধন্যবাদ দাও সদাপ্রভুুকে, কারণ তিনি মঙ্গলময়, তাঁর বিশ্বস্ততার নিয়ম অনন্তকালস্থায়ী।
সদাপ্রভুর প্রশংসা করো। সদাপ্রভুর ধন্যবাদ করো, কারণ তিনি মঙ্গলময়; তাঁর দয়া অনন্তকালস্থায়ী।
2 কে সদাপ্রভুুর বিক্রমের কাজ সব গণনা করতে পারে? কে তাঁর সব প্রশংসনীয় কাজ প্রচার করতে পারে?
কে সদাপ্রভুর পরাক্রমী কাজকর্ম প্রচার করতে পারে অথবা তাঁর প্রশংসা সম্পূর্ণ ঘোষণা করতে পারে?
3 ধন্য তারা, যারা ন্যায় রক্ষা করে এবং যারা সব দিন যথাযথ কাজ করে।
ধন্য তারা, যারা ন্যায় কাজ করে, এবং যা সঠিক তা সর্বদা পালন করে।
4 সদাপ্রভুু, যখন তোমার লোকেদের ওপর অনুগ্রহ দেখাও তখন আমাকে মনে রেখো; আমাকে সাহায্য কর যখন তাদের রক্ষা কর।
আমাকে মনে রেখো, হে সদাপ্রভু, যখন তুমি তোমার প্রজাদের উপর অনুগ্রহ করো, যখন তুমি তাদের রক্ষা করো, আমাকে সাহায্য করো,
5 তখন আমি তোমার মনোনীতদের মঙ্গল দেখবো, যেন তোমার জাতির আনন্দে আনন্দ করি এবং তোমার অধিকারের সঙ্গে গৌরব করি।
যেন আমি তোমার মনোনীতদের সমৃদ্ধি দেখতে পাই, যেন তোমার জাতির আনন্দে অংশীদার হতে পারি এবং তোমার অধিকারের সঙ্গে যোগ দিয়ে ধন্যবাদ দিতে পারি।
6 আমরা পাপ করেছি আমাদের পূর্বপুরুষদের মতো, আমরা অন্যায় করেছি এবং অধর্ম্ম করেছি।
আমরা পাপ করেছি, যেমন আমাদের পূর্বপুরুষেরাও করেছে; আমরা অপরাধ করেছি এবং অধর্মাচরণ করেছি।
7 আমাদের মিশরে তোমার পূর্বপুরুষরা আশ্চর্য্য কাজ সব বোঝেনি; তারা তোমার কাজের বিশ্বস্ত বিধি অগ্রাহ্য করল তারা সমুদ্রতীরে, লোহিত সাগরে, তারা বিদ্রোহ করল।
আমাদের পূর্বপুরুষেরা যখন মিশরে ছিল, তারা তোমার আশ্চর্য কাজগুলি বিবেচনা করেনি, তারা তোমার অপার দয়ার কথা মনে রাখেনি, বরং সাগরের তীরে, লোহিত সাগরের তীরে, তারা বিদ্রোহী হয়েছিল।
8 তবুও তিনি তাঁর নামের জন্য তাদেরকে পরিত্রান দিলেন, তাতে তিনি তাঁর শক্তি প্রকাশ করলেন।
তবুও তাঁর নামের গুণে এবং তাঁর মহাপরাক্রম প্রকাশ করার উদ্দেশে, তিনি তাদের রক্ষা করেছিলেন।
9 তিনি লোহিত সাগরকে ধমক দিলেন এবং তা শুকিয়ে গেল, তারপর তিনি তাদেরকে গভীরের মধ্য দিয়ে নিয়ে গেলেন যেমন প্রান্তর দিয়ে যায়।
তিনি লোহিত সাগরকে তিরস্কার করলেন আর তা শুকিয়ে গেল; মরুভূমির মতো সমুদ্রতলের মধ্য দিয়ে তিনি তাদের নিয়ে গেলেন।
10 ১০ তিনি যারা তাদেরকে কারণ করে তাদের হাত থেকে তাদেরকে বাঁচালেন এবং শত্রুর শক্তি থেকে তাদেরকে উদ্ধার করলেন;
তিনি বিপক্ষদের কবল থেকে তাদের রক্ষা করলেন; শত্রুদের হাত থেকে তিনি তাদের মুক্ত করলেন।
11 ১১ কিন্তু জল তাদের বিপক্ষদের ঢেকে দিল, তাদের একজনও বাঁচল না।
জলধিস্রোত তাদের প্রতিপক্ষদের গ্রাস করল একজনও বেঁচে রইল না।
12 ১২ তারপর তারা তাঁর বাক্যে বিশ্বাস করল এবং তাঁর প্রশংসা গান করল।
তখন তারা তাঁর প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করল এবং তাঁর প্রশংসা করল।
13 ১৩ কিন্তু তারা তাড়াতাড়ি ভুলে গেল তিনি যা করেছিলেন; তারা তাঁর নির্দেশের অপেক্ষা করলো না।
কিন্তু তারা অবিলম্বে তাঁর কাজগুলি ভুলে গেল, এবং তাঁর সুমন্ত্রণার অপেক্ষাতেও রইল না।
14 ১৪ কিন্তু প্রান্তরে অত্যন্ত লোভ করল এবং মরুপ্রান্তে ঈশ্বরের পরীক্ষা করল।
মরুভূমিতে তারা তাদের আকাঙ্ক্ষায় আসক্ত হল; মরুপ্রান্তরে তারা ঈশ্বরের পরীক্ষা করল।
15 ১৫ তিনি তাদের অনুরোধ রক্ষা করলেন কিন্তু রোগ পাঠালেন যা তাদের শরীরে ঢুকল।
তাই তিনি তাদের প্রার্থিত বস্তু দিলেন, কিন্তু তার সঙ্গে তাদের মধ্যে ক্ষয়রোগ পাঠালেন।
16 ১৬ তারা শিবিরের মধ্যে মোশি এবং হারোণ সদাপ্রভুুর পবিত্র যাজকের ওপর বিরক্ত হল।
তারা শিবিরের মধ্যে মোশির প্রতি আর সদাপ্রভুর পবিত্র লোক হারোণের প্রতি ঈর্ষা করল।
17 ১৭ ভূমি ফাটল এবং দাথনকে গিলে নিলো, অবীরামের অনুগামীদের ঢেকে দিলো।
পৃথিবী বিভক্ত হয়ে দাথনকে গ্রাস করল; অবীরাম ও তার দলবলকে সমাধিস্থ করল।
18 ১৮ তাদের মধ্যে আগুন জ্বলে উঠল; আগুনের শিখা দুষ্টদের পুড়িয়ে দিলো।
তাদের অনুসরণকারীদের মাঝে আগুন জ্বলে উঠল; আগুনের শিখা দুষ্টদের দগ্ধ করল।
19 ১৯ তারা হোরেবে এক গরুর বাচ্চা তৈরী করল, ধাতুর তৈরী মূর্তির কাছে আরাধনা করল।
সীনয় পর্বতে তারা এক বাছুর নির্মাণ করল এবং ধাতু নির্মিত সেই মূর্তির আরাধনা করল।
20 ২০ তারা ঈশ্বরের মহিমায় ব্যবসা করল ঘাস খাওয়া গরুর মূর্ত্তি নিয়ে।
এভাবে তারা তাদের গৌরবের ঈশ্বরের সাথে তৃণভোজী এক বলদের প্রতিমা বিনিময় করল।
21 ২১ তারা তাদের ত্রাণকর্ত্তা ঈশ্বরকে ভুলে গেল, যিনি মিশরে মহৎ কাজ করেছিলেন;
যে ঈশ্বর তাদের রক্ষা করেছিলেন তারা তাঁকে ভুলে গেল, যিনি মিশরে মহান কাজ করেছিলেন,
22 ২২ তিনি হামের দেশে নানা আশ্চর্য্য কাজ করলেন এবং লোহিত সাগরের ধারে নানা ভয়ঙ্কর কাজ করলেন।
হামের দেশে বিভিন্ন আশ্চর্য কাজ, আর লোহিত সাগরতীরে ভয়াবহ কাজকর্ম করেছিলেন,
23 ২৩ তিনি তাদের ধ্বংসের জন্য আদেশ জারি করলেন তার মনোনীত মোশি তাঁর সামনে ভঙ্গ জায়গায় দাঁড়ালেন তাঁর রাগ দূর করার জন্য যাতে তিনি তাদেরকে ধ্বংস না করেন।
তাই তিনি বললেন যে তিনি তাদের ধ্বংস করবেন; কিন্তু মোশি, তাঁর মনোনীত সেবক, সদাপ্রভু ও তাঁর লোকেদের মাঝে দাঁড়ালেন, তিনি তাঁর কাছে প্রার্থনা করলেন যেন তিনি তাঁর ক্রোধ থেকে মুখ ফেরান এবং তাদের ধ্বংস না করেন।
24 ২৪ তারপর তারা উর্বর দেশকে তুচ্ছ করল, তারা তাঁর প্রতিশ্রুতি বিশ্বাস করল না;
এরপর তারা সেই মনোরম দেশটিকে তুচ্ছ করল; তারা তাঁর প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করল না।
25 ২৫ কিন্তু তাঁবুর মধ্যে অভিযোগ করল এবং সদাপ্রভুুকে মান্য করল না।
নিজেদের তাঁবুতে তারা অভিযোগ জানালো, আর সদাপ্রভুর আদেশ পালন করল না।
26 ২৬ তাই তিনি তাদের বিরুদ্ধে শপথ করলেন যে তারা মরূপ্রান্তরে মারা যাক।
তাই তিনি তাদের বিরুদ্ধে হাত তুলে শপথ করলেন, যে তিনি তাদের মরুপ্রান্তরে বিনাশ করবেন,
27 ২৭ আমি তাদের বংশকে জাতিদের মধ্য থেকে বিচ্ছিন্ন করবো এবং তাদেরকে অন্য দেশে ছিন্নভিন্ন করব।
যে তিনি তাদের বংশধরদের বিভিন্ন জাতির মধ্যে বিক্ষিপ্ত করবেন, এবং তাদের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে দেবেন।
28 ২৮ তাঁরা বাল-পিয়োরের আরাধনা করল এবং মড়াদের বলি খেলো।
তারপর তারা পিয়োরের বায়াল-দেবতার আরাধনায় যুক্ত হল এবং প্রাণহীন দেবতাদের প্রতি নিবেদিত বলি ভোজন করল;
29 ২৯ তারা তাদের কাজের দ্বারা তাঁকে অসন্তুষ্ট করল এবং তাদের মধ্যে মহামারী দেখা দিল।
তাদের সব অনাচারে তারা সদাপ্রভুর ক্রোধ প্রজ্বলিত করল, আর তাদের মধ্যে এক মহামারি নেমে এল।
30 ৩০ তখন পিনহস দাঁড়িয়ে হস্তক্ষেপ করলেন এবং তাতে মহামারী প্রশমিত হল।
তখন পীনহস উঠে দাঁড়িয়ে মধ্যস্থতা করলেন, আর মহামারি বন্ধ হল।
31 ৩১ এটা তাঁর পক্ষে ধার্ম্মিকতা বলে গণ্য হল সব প্রজন্ম চিরকালের জন্য।
এই কাজ তাঁর পক্ষে ধার্মিকতা বলে পুরুষানুক্রমে চিরকালের জন্য গণ্য হল।
32 ৩২ তারা মরীবার জলসমীপেও ঈশ্বরের রাগ জন্মাল এবং তাদের জন্য মোশির কষ্টহল
মরীবার জলস্রোতের কাছে তারা সদাপ্রভুকে ক্রুদ্ধ করল, আর তাদেরই জন্য মোশির বিপদ ঘটল;
33 ৩৩ তারা তাঁকে তিক্ত করল এবং তিনি বেপরোয়াভাবে বললেন।
কেননা তারা ঈশ্বরের আত্মার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করল, আর তাই বেপরোয়া কথা মোশির মুখে উচ্চারিত হল।
34 ৩৪ তারা জাতিদেরকে ধ্বংস করল না, যেমন সদাপ্রভুু করতে আদেশ দিয়েছিলেন।
তারা জাতিদের বিনষ্ট করল না যেমন সদাপ্রভু তাদের আদেশ দিয়েছিলেন,
35 ৩৫ কিন্তু তারা পাগান জাতিদের সঙ্গে মিশে গেল এবং তাদের শিক্ষা গ্রহণ করল;
বরং তারা অন্যান্য জাতিদের সঙ্গে মিলেমিশে গেল আর তাদের রীতিনীতি গ্রহণ করল।
36 ৩৬ এবং তাদের প্রতিমার আরাধনা করল, তাতে সে সব তাদের ফাঁদ হয়ে উঠল।
তাদের প্রতিমাগুলির আরাধনা করল, আর সেইসব তাদের ফাঁদ হয়ে উঠল।
37 ৩৭ তারা তাদের ছেলেদের এবং মেয়েদেরকে ভূতদের উদ্দেশ্যে বলিদান করল।
এমনকি তারা তাদের ছেলেমেয়েদের মিথ্যা দেবতাদের উদ্দেশে বলি দিল।
38 ৩৮ তারা নির্দ্দোষদের রক্তপাত করল, তাদের ছেলে এবং মেয়েদের রক্তপাত করল, তারা কনানীয় প্রতিমাদের উদ্দেশ্যে তাদেরকে বলিদান করল; দেশ রক্তে অপবিত্র করলো।
তারা নির্দোষের রক্তপাত করল, নিজেদের ছেলেমেয়েদের রক্ত, যাদের তারা কনান দেশের প্রতিমাদের উদ্দেশে বলি দিল, আর তাদের রক্তে সারা দেশ কলুষিত হল।
39 ৩৯ তারা তাদের কাজের দ্বারা কলুষিত হল এবং ব্যভিচারী হলো তাদের কাজের জন্য।
আপন কর্মের ফলে তারা নিজেদের অশুচি করল, নিজেদের ক্রিয়াকলাপে তারা ব্যভিচারী হল।
40 ৪০ তাই সদাপ্রভুু তাঁর লোকেদের ওপর রেগে গেলেন এবং তিনি তাঁর লোকেদেরকে ঘৃণা করলেন।
তাই সদাপ্রভু নিজের প্রজাদের উপর ক্রুদ্ধ হলেন তিনি নিজের অধিকারকে ঘৃণা করলেন।
41 ৪১ তিনি তাদেরকে জাতিদের হাতে তুলে দিলেন এবং যারা তাদের কারণ করত তারা তাদের ওপরে কর্তৃত্ব করল।
তাদের তিনি জাতিদের হাতে সমর্পণ করলেন, এবং তাদের বিপক্ষরা তাদের উপর শাসন করল।
42 ৪২ তাদের শত্রুরা তাদের পদদলিত করল এবং তারা তাদের কর্তৃত্বের কাছে পরাধীন হল।
তাদের শত্রুরা তাদের উপর অত্যাচার করল এবং তাদের শত্রুদের শক্তির সামনে তারা নত হল।
43 ৪৩ অনেক বার তিনি তাদেরকে সাহায্য করতে এলেন কিন্তু তারা বিদ্রোহী হল এবং নিজেদের পাপে দুর্বল হয়ে পড়ল।
বহুবার তিনি তাদের উদ্ধার করলেন, কিন্তু তারা স্বেচ্ছায় তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হল, আর শেষে তারা নিজেদের পাপে ধ্বংস হল।
44 ৪৪ তবুও তিনি যখন তাদের বেদনার কথা শুনলেন, তখন সাহায্যের জন্য তাদের কান্না শুনলেন।
কিন্তু যখন তিনি তাদের কান্না শুনলেন, তিনি তাদের দুর্দশার প্রতি দৃষ্টিপাত করলেন;
45 ৪৫ তিনি মনে করলেন তাদের সঙ্গে তার নিয়মের কথা এবং নরম হলেন কারণ তাঁর বিশ্বস্ততার বিধি।
তাদের সুবিধার্থে তিনি নিজের নিয়ম স্মরণ করলেন এবং তাঁর মহান প্রেমের কারণে তিনি নরম হলেন।
46 ৪৬ তিনি তাদের বিজেতাদের তিনি করুণা করলেন।
যারা তাদের দাসত্বে বন্দি করেছিল, তিনি তাদের অন্তরে করুণার সঞ্চার করলেন।
47 ৪৭ আমাদের রক্ষা কর, সদাপ্রভুু, আমাদের ঈশ্বর, জাতিদের মধ্য থেকে আমাদেরকে সংগ্রহ কর; যেন আমরা তোমার পবিত্র নামের স্তব করি এবং তোমার প্রশংসায় জয়ধ্বনি করি।
হে সদাপ্রভু, আমাদের ঈশ্বর, আমাদের রক্ষা করো, জাতিদের মধ্য থেকে আমাদের একত্রিত করো, যেন আমরা তোমার পবিত্র নামের ধন্যবাদ করতে পারি, এবং তোমার প্রশংসায় মহিমা করতে পারি।
48 ৪৮ ধন্য সদাপ্রভুু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর, অনাদিকাল অবধি অনন্তকাল পর্যন্ত। সব লোক বলুক, আমেন। সদাপ্রভুুর প্রশংসা কর।
ইস্রায়েলের ঈশ্বর, সদাপ্রভুর প্রশংসা হোক, অনাদিকাল থেকে অনন্তকাল পর্যন্ত, সব লোকজন বলুক, “আমেন!” সদাপ্রভুর প্রশংসা হোক।

< গীতসংহিতা 106 >