< হিতোপদেশ 14 >

1 জ্ঞানী স্ত্রী তার বাড়ি নির্মাণ করে; কিন্তু মূর্খ স্ত্রী নিজের হাতে তা ভেঙে ফেলে।
জ্ঞানবতী মহিলা তার বাড়ি গেঁথে তোলে, কিন্তু মূর্খ মহিলা নিজের হাতে তার বাড়ি ভেঙে ফেলে।
2 যে নিজের সরলতায় চলে, সেই সদাপ্রভুকে ভয় করে; কিন্তু যে তার পথে অসৎ, সে তাঁকে অবজ্ঞা করে।
যে সদাপ্রভুকে ভয় করে সে সৎভাবে চলে, কিন্তু যারা তাঁকে অবজ্ঞা করে তারা তাদের পথে সর্পিল।
3 নির্বোধের মুখে অহঙ্কারের ফল থাকে; কিন্তু জ্ঞানবানদের ঠোঁট তাদেরকে রক্ষা করে।
মূর্খের মুখ দিয়ে অহংকারের বাক্যবাণ বর্ষিত হয়, কিন্তু জ্ঞানবানদের ঠোঁট তাদের রক্ষা করে।
4 গরু না থাকলে যাবপাত্র পরিষ্কার থাকে; কিন্তু বলদের শক্তিতে ফসলের প্রাচুর্য্য হয়।
বলদ না থাকলে জাবপাত্রও পরিষ্কার থাকে, কিন্তু বলদের ক্ষমতাতেই প্রচুর ফসল উৎপাদন হয়।
5 বিশ্বস্ত সাক্ষী মিথ্যা কথা বলে না; কিন্তু মিথ্যাসাক্ষী অসত্য কথা বলে।
বিশ্বস্ত সাক্ষী প্রতারণা করে না, কিন্তু মিথ্যাসাক্ষী মিথ্যা কথা উগরে দেয়।
6 উপহাসক প্রজ্ঞার খোঁজ করে, আর তা পায় না; কিন্তু যে উপলব্ধি করে তার পক্ষে জ্ঞান সহজ।
বিদ্রুপকারীরা প্রজ্ঞার খোঁজ করে ও কিছুই খুঁজে পায় না, কিন্তু বিচক্ষণদের কাছে জ্ঞান সহজলভ্য হয়।
7 তুমি নির্বোধ লোকের থেকে দূরে যাও, কারণ তার ঠোঁটে জ্ঞান পাবে না।
মূর্খের কাছ থেকে দূরে সরে থাকো, কারণ তাদের ঠোঁটে তুমি জ্ঞান খুঁজে পাবে না।
8 নিজের রাস্তা বুঝে নেওয়া বিচক্ষণের প্রজ্ঞা, কিন্তু নির্বোধদের নির্বোধমিতা ছলনা।
বিচক্ষণ ব্যক্তিদের প্রজ্ঞাই তাদের পথের দিশা নির্দেশ দেয়, কিন্তু মূর্খদের মূর্খতাই হল প্রতারণা।
9 নির্বোধেরা দোষকে উপহাস করে, কিন্তু ধার্ম্মিকদের কাছে অনুগ্রহ থাকে।
পাপের জন্য কাউকে ক্ষতিপূরণ করতে দেখে মূর্খ ব্যঙ্গবিদ্রুপ করে, কিন্তু ন্যায়পরায়ণদের কাছে মঙ্গলকামনা পাওয়া যায়।
10 ১০ হৃদয় নিজের তিক্ততা জানে এবং অপর লোক তার আনন্দের ভাগী হতে পারে না।
প্রত্যেক অন্তঃকরণ তার নিজের জ্বালা জানে, আর কেউ তার আনন্দের ভাগী হতে পারে না।
11 ১১ দুষ্টদের বাড়ি ধ্বংস হবে, কিন্তু সরলদের তাঁবু সতেজ হবে।
দুষ্টদের বাড়ি ধ্বংস হয়ে যাবে, কিন্তু ন্যায়পরায়ণদের তাঁবু উন্নতি লাভ করবে।
12 ১২ একটি রাস্তা আছে, যা মানুষের দৃষ্টিতে ঠিক, কিন্তু তার শেষ মৃত্যুর পথ।
একটি পথ আছে যা সঠিক বলে মনে হয়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়।
13 ১৩ হাঁসার দিনের ও হৃদয়ে দুঃখ হয়, আর আনন্দের পরিণাম বিষাদ।
অট্টহাসির মধ্যেও হৃদয়ে ব্যথা হতে পারে, ও আনন্দ শেষ পর্যন্ত বিষাদে পরিণত হতে পারে।
14 ১৪ যে মনে বিপথগামী, সে নিজ আচরণে পূর্ণ হয়; কিন্তু সৎ লোক নিজে থেকে তৃপ্ত হয়।
অবিশ্বাসীরা তাদের আচরণের জন্য প্রাপ্য ফলভোগ করবে, ও সৎলোকেরা তাদের আচরণের জন্য পুরস্কৃত হবে।
15 ১৫ যে অবোধ, সে সব কিছুতে বিশ্বাস করে, কিন্তু বুদ্ধিমান লোক নিজের পদক্ষেপের বিষয়ে ভাবে।
অনভিজ্ঞ মানুষ সব কথাই বিশ্বাস করে, কিন্তু বিচক্ষণ লোকেরা খুব ভেবেচিন্তে পদক্ষেপ নেয়।
16 ১৬ জ্ঞানবান সতর্ক থাকে, তারা খারাপ থেকে সরে যায়; কিন্তু নির্বোধ অভিমানী ও সাবধানী।
জ্ঞানবানেরা সদাপ্রভুকে ভয় করে ও মন্দকে এড়িয়ে চলে, কিন্তু মূর্খেরা উগ্রস্বভাব অথচ নিরাপদ বোধ করে।
17 ১৭ যে তাড়াতাড়ি রেগে যায় সে নির্বোধের কাজ করে, আর খারাপ পরিকল্পনাকারী ঘৃণিত হয়।
বদরাগি লোক মূর্খের মতো কাজ করে, ও যে দুষ্ট ফন্দি আঁটে সে ঘৃণিত হয়।
18 ১৮ মূর্খদের অধিকার অজ্ঞানতা; কিন্তু বিচক্ষণেরা জ্ঞানে পরিবেষ্টিত হয়।
অনভিজ্ঞ লোকেরা উত্তরাধিকারসূত্রে মূর্খতা লাভ করে, কিন্তু বিচক্ষণেরা জ্ঞান-মুকুটে বিভূষিত হয়।
19 ১৯ খারাপরা ভালোদের সামনে নত হয় এবং দুষ্টেরা ধার্ম্মিকের দরজায় নত হয়।
অনিষ্টকারীরা সুজনদের সামনে, এবং দুষ্টেরা ধার্মিকদের দরজায় এসে মাথা নত করবে।
20 ২০ গরিব লোক নিজের প্রতিবেশীর মাধ্যমে ঘৃণিত, কিন্তু ধনী লোকের অনেক বন্ধু আছে।
দরিদ্রেরা তাদের প্রতিবেশীদের দ্বারাও অবজ্ঞাত হয়, কিন্তু ধনবানদের প্রচুর বন্ধু থাকে।
21 ২১ যে প্রতিবেশীকে অবজ্ঞা করে, সে পাপ করে; কিন্তু যে গরিবদের প্রতি দয়া করে, সে সুখী।
প্রতিবেশীকে অবজ্ঞা করা হল পাপ, কিন্তু ধন্য সেই জন যে অভাবগ্রস্তদের প্রতি দয়া দেখায়।
22 ২২ যারা খারাপ চক্রান্ত করে, তারা কি ভ্রান্ত হয় না? কিন্তু যারা ভালো পরিকল্পনা করে, তারা চুক্তির বিশ্বস্ততা ও বিশ্বাসযোগ্যতা পায়।
যারা অনিষ্টের চক্রান্ত করে তারা কি বিপথগামী হয় না? কিন্তু যারা মঙ্গলের পরিকল্পনা করে তারা ভালোবাসা ও বিশ্বস্ততা লাভ করে।
23 ২৩ সমস্ত পরিশ্রমেই লাভ হয়, কিন্তু শুধু কথাবার্তায় অভাব ঘটায়।
সব কঠোর পরিশ্রমই লাভের মুখ দেখে, কিন্তু নিছক কথাবার্তা শুধু দারিদ্রই নিয়ে আসে।
24 ২৪ জ্ঞানবানদের ধনই তাদের মুকুট; কিন্তু নির্বোধদের নির্বোধমিতা মূর্খতামাত্র।
জ্ঞানবানদের ধন তাদের মুকুট, কিন্তু মূর্খদের মূর্খতা মূর্খতাই উৎপন্ন করে।
25 ২৫ সত্য সাক্ষ্য লোকের জীবন রক্ষা করে; কিন্তু যে মিথ্যা সাক্ষ্যের কথা বলে, সে ছলনা করে।
সত্যবাদী সাক্ষী প্রাণরক্ষা করে, কিন্তু মিথ্যাসাক্ষী বিশ্বাসঘাতক হয়।
26 ২৬ সদাপ্রভুর ভয় দৃঢ় আত্মবিশ্বাস; তাঁর সন্তানরা আশ্রয় স্থান পাবে।
যারা সদাপ্রভুকে ভয় করে তাদের কাছে এক নিরাপদ দুর্গ আছে, ও তাদের সন্তানদের জন্যও তা এক আশ্রয়স্থান হবে।
27 ২৭ সদাপ্রভুর ভয় জীবনের ঝরনা, তা মৃত্যুর ফাঁদ থেকে দূরে সরে যাবার রাস্তা।
সদাপ্রভুর ভয় জীবনের উৎস, যা মানুষকে মৃত্যুর ফাঁদ থেকে ফিরিয়ে আনে।
28 ২৮ প্রচুর লোকের জন্যে রাজার আনন্দ আসে; কিন্তু লোকদের অভাবে ভূপতির সর্বনাশ ঘটে।
বিশাল জনসংখ্যা রাজার গরিমা, কিন্তু প্রজার অভাবে রাজপুরুষের সর্বনাশ হয়।
29 ২৯ একজন ধৈর্য্যশীল মানুষ প্রচুর বোধশক্তিসম্পন্ন, কিন্তু উগ্র মেজাজি নির্বোধমিতা তুলে ধরে।
যে ধৈর্যশীল সে অত্যন্ত বিচক্ষণ, কিন্তু যে বদরাগি সে মূর্খতাই প্রকাশ করে ফেলে।
30 ৩০ শান্ত হৃদয় শরীরের জীবন; কিন্তু হিংসা হাড়ের পচনস্বরূপ।
শান্ত হৃদয় দেহকেও সুস্থ রাখে, কিন্তু ঈর্ষা অস্থির পচনস্বরূপ।
31 ৩১ যে গরিবের প্রতি অত্যাচার করে, সে তার নির্মাতাকে অভিশাপ দেয়; কিন্তু যে দরিদ্রের প্রতি দয়া করে, সে তাঁকে সম্মান করে।
যে দরিদ্রদের শোষণ করে সে তাদের সৃষ্টিকর্তাকে অপমান করে, কিন্তু যে দরিদ্রদের প্রতি দয়া দেখায় সে ঈশ্বরকে সম্মানিত করে।
32 ৩২ দুষ্ট লোক নিজের খারাপ কাজে পড়ে যায়, কিন্তু ধার্মিক তাদের সত্যতায় আশ্রয় পায়।
যখন চরম দুর্দশা ঘনিয়ে আসে, তখন দুষ্টেরা পতিত হয়, কিন্তু মরণকালেও ধার্মিকেরা ঈশ্বরেই আশ্রয় খোঁজে।
33 ৩৩ জ্ঞানবানের হৃদয় প্রজ্ঞা বিশ্রাম করে, কিন্তু নির্বোধদের মধ্যে যা থাকে, তা জানা।
বিচক্ষণদের অন্তরে প্রজ্ঞা বিশ্রাম করে, ও মূর্খদের মধ্যেও সে নিজের আত্মপরিচয় দেয়।
34 ৩৪ ধার্ম্মিকতা জাতিকে উন্নত করে, কিন্তু পাপে যে কোনো লোকের মর্যাদাহানি হয়।
ধার্মিকতা জাতিকে উন্নত করে, কিন্তু পাপ যে কোনো লোককে নিন্দা করে।
35 ৩৫ যে দাস বুদ্ধিপূর্ব্বক চলে, তার প্রতি রাজার অনুগ্রহ আসে; কিন্তু লজ্জাদায়ী তাঁর রাগের পাত্র হয়।
রাজা জ্ঞানবান দাসকে নিয়ে আনন্দ করেন, কিন্তু লজ্জাজনক দাস তাঁর প্রকোপ জাগিয়ে তোলে।

< হিতোপদেশ 14 >