< হিতোপদেশ 10 >

1 জ্ঞানবান ছেলে বাবার আনন্দজনক, কিন্তু বুদ্ধিহীন ছেলে মায়ের বেদনাজনক।
هَذِهِ أَمْثَالُ سُلَيْمَانَ: الابْنُ الْحَكِيمُ مَسَرَّةٌ لأَبِيهِ، وَالابْنُ الْجَاهِلُ حَسْرَةٌ لأُمِّهِ.١
2 দুষ্টতার দ্বারা সঞ্চিত ধনের কোনো মূল্য নেই, কিন্তু ধার্ম্মিকতা মৃত্যু থেকে রক্ষা করে।
كُنُوزُ الْمَالِ الْحَرَامِ لَا تُجْدِي، وَلَكِنَّ الْحَقَّ يُنَجِّي مِنَ الْمَوْتِ.٢
3 সদাপ্রভু ধার্ম্মিকের প্রাণ ক্ষুধায় দুর্বল হতে দেন না; কিন্তু তিনি দুষ্টদের অভিলাষ ব্যর্থ করেন।
لَا يُجِيعُ الرَّبُّ نَفْسَ الصِّدِّيقِ، أَمَّا هَوَى الأَشْرَارِ فَيَنْبِذُهُ.٣
4 যে অলস হাতে কাজ করে, সে দরিদ্র হয়; কিন্তু পরিশ্রমীদের হাত ধনবান করে।
الْعَامِلُ بِيَدٍ مُسْتَرْخِيَةٍ يَفْتَقِرُ، أَمَّا الْيَدُ الْكَادِحَةُ فَتُغْنِي.٤
5 যে গ্রীষ্মকালে সঞ্চয় করে, সে বুদ্ধিমান ছেলে; যে শস্য কাটবার দিন ঘুমিয়ে থাকে, তার জন্য লজ্জাকর।
مَنْ يَجْمَعُ فِي الصَّيْفِ مَؤُونَتَهُ هُوَ ابْنٌ عَاقِلٌ، أَمَّا الَّذي يَنَامُ فِي مَوْسِمِ الْحَصَادِ فَهُوَ ابْنٌ مُخْزٍ.٥
6 ধার্ম্মিকের মাথায় অনেক আশীর্বাদ থাকে; কিন্তু দুষ্টদের মুখ হিংস্রতা ঢেকে রাখে।
تُتَوِّجُ الْبَرَكَاتُ رَأْسَ الصِّدِّيقِ، أَمَّا فَمُ الأَشْرَارِ فَيَطْغَى عَلَيْهِ الظُّلْمُ.٦
7 একজন লোক যে সঠিক কাজ করেছে তা আমাদেরকে আনন্দিত করে যখন আমরা তার বিষয়ে ভাবি; কিন্তু দুষ্টদের নাম সরে যাবে।
ذِكْرُ الصِّدِّيقِ بَرَكَةٌ، وَاسْمُ الأَشْرَارِ يَعْتَرِيهِ الْبِلَى.٧
8 যে বিচক্ষণ সে আদেশ গ্রহণ করে, কিন্তু অজ্ঞান বাচাল পতিত হবে।
الْحَكِيمُ الْقَلْبِ يَتَقَبَّلُ الْوَصَايَا، وَالْمُتَبَجِّحُ الشَّفَتَيْنِ مَصِيرُهُ الْخَرَابُ.٨
9 সে সততায় চলে, সে নির্ভয়ে চলে; কিন্তু কুটিলাচারীকে চেনা যাবে।
الَّذي يَسْلُكُ بِاسْتِقَامَةٍ يَسِيرُ مُطْمَئِنّاً، وَذُو الطُّرُقِ الْمُنْحَرِفَةِ يُفْتَضَحُ.٩
10 ১০ যে চোখ দিয়ে ইশারা করে, সে দুঃখ দেয়; আর তার অজ্ঞান বাচাল তাকে ধ্বংস করে।
مَنْ يَغْمِزُ بِعَيْنِهِ مَكْراً يُوَلِّدُ غَمّاً. وَالْمُوَبِّخُ بِجُرْأَةٍ يَصْنَعُ سَلاماً.١٠
11 ১১ ধার্ম্মিকের মুখ জীবনের উনুই; কিন্তু দুষ্টদের মুখ হিংস্রতা ঢেকে রাখে।
فَمُ الصِّدِّيقِ يَنْبُعُ بِكَلامِ الْحَيَاةِ، أَمَّا فَمُ الشِّرِّيرِ فَيَطْغَى عَلَيْهِ الظُّلْمُ.١١
12 ১২ ঘৃণা ঝগড়া বাড়ায়, কিন্তু প্রেম সব অধর্ম্ম ঢেকে দেয়।
الْبَغْضَاءُ تُثِيرُ الْخُصُومَاتِ، وَالْمَحَبَّةُ تَسْتُرُ جَمِيعَ الذُّنُوبِ.١٢
13 ১৩ জ্ঞানবানের ঠোঁটে প্রজ্ঞা পাওয়া যায়, কিন্তু বুদ্ধিবিহীনের পেছনে দন্ড রয়েছে।
فِي شَفَتَيِ الْعَاقِلِ تَكْمُنُ حِكْمَةٌ أَمَّا الْعَصَا فَمِنْ نَصِيبِ ظَهْرِ الأَحْمَقِ.١٣
14 ১৪ জ্ঞানবানেরা জ্ঞান সঞ্চয় করে, কিন্তু অজ্ঞানের মুখ সর্বনাশকে কাছে নিয়ে আসে।
الْحُكَمَاءُ يَذْخَرُونَ الْمَعْرِفَةَ، أَمَّا فَمُ الْغَبِيِّ فَيَجْلِبُ الدَّمَارَ.١٤
15 ১৫ ধনবানের ধনই তার শক্তিশালী নগর, দরিদ্রদের দারিদ্রতাই তাদের সর্বনাশ।
ثَرْوَةُ الْغَنِيِّ قَلْعَتُهُ الْحَصِينَةُ، وَفِي فَقْرِ الْمَسَاكِينِ هَلاكُهُمْ.١٥
16 ১৬ ধার্ম্মিকের পারিশ্রমিক জীবনজনক, দুষ্টদের লাভ পাপজনক।
عَمَلُ الصِّدِّيقِ يُفْضِي إِلَى الْحَيَاةِ، وَرِبْحُ الشِّرِّيرِ يُؤَدِّي إِلَى الْخَطِيئَةِ.١٦
17 ১৭ যে শাসন মানে, সে জীবন পথে চলে; কিন্তু যে অনুযোগ মানেনা, সে পথভ্রষ্ট হয়।
مَنْ يَعْمَلْ بِمُقْتَضَى التَّعْلِيمِ يَسِرْ فِي دَرْبِ الْحَيَاةِ، وَمَنْ يَرْفُضِ التَّأْدِيبَ يَضِلّ.١٧
18 ১৮ যে ঘৃণা করে ঢেকে রাখে, তার ঠোঁট মিথ্যাবাদী; এবং যে অপবাদ ছড়ায়, সে বোকা।
مَنْ يُضْمِرْ الْبَغْضَاءَ تَنْطِقْ شَفَتَاهُ بِالْكَذِبِ، وَمَنْ جَاهَرَ بِالْمَذَمَّةِ فَهُوَ أَحْمَقُ.١٨
19 ১৯ প্রচুর বাক্যে অধর্ম্ম অনুপস্থিত থাকে না; কিন্তু যে তাতে সাবধান থাকে যা সে বলে, সেই হল জ্ঞানী।
فِي كَثْرَةِ الْكَلامِ زَلّاتُ لِسَانٍ، وَمَنْ يَضْبِطُ شَفَتَيْهِ فَهُوَ عَاقِلٌ.١٩
20 ২০ ধার্ম্মিকের জিভ বিশুদ্ধ রূপার মত, দুষ্টদের হৃদয়ের মূল্য কম।
كَلامُ الصِّدِّيقِ كَالْفِضَّةِ الْمُصَفَّاةِ، وَقَلْبُ الشِّرِّيرِ يَخْلُو مِنْ كُلِّ قِيمَةٍ.٢٠
21 ২১ ধার্ম্মিকের ঠোঁট অনেককে প্রতিপালন করে, কিন্তু অজ্ঞানেরা বুদ্ধির অভাবে মারা পড়ে।
كَلامُ الصِّدِّيقِ يُفِيدُ كَثِيرِينَ، أَمَّا الْحَمْقَى فَيَمُوتُونَ مِنْ سُوءِ الْفَهْمِ.٢١
22 ২২ সদাপ্রভুর ভালো উপহার ধনসম্পদ আনে এবং তিনি তার সঙ্গে দুঃখ যুক্ত করেন না।
فِي بَرَكَةِ الرَّبِّ غِنىً وَلا تُضِيفُ إِلَيْهَا الْمَشَقَّةُ تَعَباً.٢٢
23 ২৩ খারাপ কাজ করা অজ্ঞানের আনন্দ, আর প্রজ্ঞা বুদ্ধিমানের আনন্দ।
ارْتِكَابُ الْفَاحِشَةِ عِنْدَ الْجَاهِلِ كَاللَّعِبِ، أَمَّا حُسْنُ التَّصَرُّفِ فَمَسَرَّةٌ لِلْحَكِيمِ.٢٣
24 ২৪ দুষ্ট যা ভয় করে, তার প্রতি তাই ঘটবে; কিন্তু ধার্ম্মিকদের ইচ্ছা সফল হবে।
مَا يَخْشَى مِنْهُ الشِّرِّيرُ يُقْبِلُ إِلَيْهِ، وَشَهْوَةُ الصِّدِّيقيِنَ تُمْنَحُ لَهُمْ.٢٤
25 ২৫ যখন ঘূর্ণবায়ু বয়ে যায়, দুষ্ট আর নেই; কিন্তু ধার্মিক চিরস্থায়ী ভিত্তিমূলের মত।
يَتَلاشَى الشِّرِّيرُ كَمَا تَتَلاشَى الزَّوْبَعَةُ، أَمَّا الصِّدِّيقُ فَيَخْلُدُ إِلَى الأَبَدِ.٢٥
26 ২৬ যেমন দাঁতের পক্ষে অম্লরস ও চোখের পক্ষে ধোঁয়া, তেমনি নিজের প্রেরণ কর্তাদের পক্ষে অলস।
الْكَسُولُ لِمَنْ أَرْسَلَهُ كَالْخَلِّ لِلأَسْنَانِ أَوْ كَالدُّخَانِ لِلْعَيْنَيْنِ.٢٦
27 ২৭ সদাপ্রভুর ভয় আয়ুবৃদ্ধি করে, কিন্তু দুষ্টদের বছরের সংখ্যা কমবে।
تَقْوَى الرَّبِّ تُطِيلُ أَيَّامَ الْحَيَاةِ، أَمَّا سِنُو الشِّرِّيرِ فَتُقْصَرُ.٢٧
28 ২৮ ধার্ম্মিকদের প্রত্যাশা আনন্দজনক; কিন্তু দুষ্টদের আশ্বাস কম হবে।
الْبَهْجَةُ هِيَ أَمَلُ الصِّدِّيقِ، وَرَجَاءُ الأَشْرَارِ مَآلُهُ الفَنَاءُ.٢٨
29 ২৯ সদাপ্রভুর পথ সততার পক্ষে দুর্গ, কিন্তু তা অধর্মাচারীদের পক্ষে সর্বনাশ।
طَرِيقُ الرَّبِّ هُوَ مَلاذٌ لِلْمُسْتَقِيمِينَ، وَدَمَارٌ لِفَاعِلِي الإِثْمِ.٢٩
30 ৩০ ধার্মিক লোক কখনও নিপাতিত হবে না; কিন্তু দুষ্টরা দেশে থাকবে না।
لَا يُزَحْزَحُ الصِّدِّيقُ أَبَداً، أَمَّا الأَشْرَارُ فَلا يَسْكُنُونَ الأَرْضَ.٣٠
31 ৩১ ধার্ম্মিকের মুখ প্রজ্ঞার ফলে ফলবান্; কিন্তু বিপথগামীদের জিভ কাটা যাবে।
مِنْ فَمِ الصِّدِّيقِ تَفِيضُ الْحِكْمَةُ، وَاللِّسَانُ الْمُخَاتِلُ يُقْطَعُ.٣١
32 ৩২ ধার্ম্মিকের ঠোঁট গ্রহণযোগ্যতার বিষয় জানে, কিন্তু দুষ্টদের মুখ কুটিলতামাত্র।
شَفَتَا الصِّدِّيقِ تُدْرِكَانِ مَا هُوَ حَقٌّ، فَتَنْطِقَانِ بِهِ، وَفَمُ الشِّرِّيرِ لَا يَتَكَلَّمُ إِلّا بِالْبَاطِلِ.٣٢

< হিতোপদেশ 10 >