মথি 27

1 ১ সকাল হলে প্রধান যাজকেরা ও প্রাচীনেরা সবাই যীশুকে বধ করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করল,

١ وَلَمَّا طَلَعَ الصَّبَاحُ، عَقَدَ رُؤَسَاءُ الْكَهَنَةِ وَشُيُوخُ الشَّعْبِ اجْتِمَاعاً آخَرَ، وَتَآمَرُوا عَلَى يَسُوعَ لِيُنْزِلُوا بِهِ عُقُوبَةَ الْمَوْتِ.

2 ২ আর তাঁকে বেঁধে নিয়ে গিয়ে দেশাধ্যক্ষ পীলাতের কাছে সমর্পণ করল।

٢ ثُمَّ قَيَّدُوهُ وَسَاقُوهُ فَسَلَّمُوهُ إِلَى بِيلاَطُسَ الْحَاكِمِ.

3 ৩ তখন যিহূদা, যে তাঁকে সমর্পণ করেছিল, সে যখন বুঝতে পারল যে, যীশুকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে, তখন অনুশোচনা করে সেই ত্রিশটা রূপার মুদ্রা প্রধান যাজক ও প্রাচীনদের কাছে ফিরিয়ে দিল।

٣ فَلَمَّا رَأَى يَهُوذَا مُسَلِّمُهُ أَنَّ الْحُكْمَ عَلَيْهِ قَدْ صَدَرَ، نَدِمَ وَرَدَّ الثَّلاَثِينَ قِطْعَةً مِنَ الْفِضَّةِ إِلَى رُؤَسَاءِ الْكَهَنَةِ وَالشُّيُوخِ،

4 ৪ আর বলল, “আমি নির্দোষ ব্যক্তির রক্তমাংসের বিরুদ্ধে পাপ করেছি।” তারা বলল, “আমাদের কি? তা তুমি বুঝবে।”

٤ وَقَالَ: «قَدْ أَخْطَأْتُ إِذْ سَلَّمْتُكُمْ دَماً بَرِيئاً». فَأَجَابُوهُ: «لَيْسَ هَذَا شَأْنَنَا نَحْنُ، بَلْ هُوَ شَأْنُكَ أَنْتَ!»

5 ৫ তখন সে ঐ সমস্ত মুদ্রা মন্দিরের মধ্যে ফেলে দিয়ে চলে গেল এবং গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করল।

٥ فَأَلْقَى قِطَعَ الْفِضَّةِ فِي الْهَيْكَلِ وَانْصَرَفَ، ثُمَّ ذَهَبَ وَشَنَقَ نَفْسَهُ.

6 ৬ পরে প্রধান যাজকেরা সেই টাকাগুলো নিয়ে বলল, “এই টাকা ভান্ডারে রাখা উচিত না, কারণ এটা রক্তের মূল্য।”

٦ فَأَخَذَ رُؤَسَاءُ الْكَهَنَةِ قِطَعَ الْفِضَّةِ وَقَالُوا: «هَذَا الْمَبْلَغُ ثَمَنُ دَمٍ، فَلاَ يَحِلُّ لَنَا إِلْقَاؤُهُ فِي صُنْدُوقِ الْهَيْكَلِ!»

7 ৭ পরে তারা পরামর্শ করে বিদেশীদের কবর দাও য়ার জন্য ঐ টাকায় কুমরের জমি কিনল।

٧ وَبَعْدَ التَّشَاوُرِ اشْتَرَوْا بِالْمَبْلَغِ حَقْلَ الْفَخَّارِيِّ لِيَكُونَ مَقْبَرَةً لِلْغُرَبَاءِ،

8 ৮ এই জন্য আজও সেই জমিকে “রক্তের জমি” বলা হয়।

٨ وَلِذَلِكَ مَازَالَ هَذَا الْحَقْلُ يُدْعَى حَتَّى الْيَوْمِ حَقْلَ الدَّمِ.

9 ৯ তখন যিরমিয় ভাববাদী যে ভাববাণী বলেছিলেন তা পূর্ণ হল, “আর তারা সেই ত্রিশটা রূপার টাকা নিল, এটা তাঁর (যীশুর) মূল্য, যাঁর মূল্য ঠিক করা হয়েছিল এবং ইস্রায়েল-সন্তানদের মধ্য কিছু লোক যাঁর মূল্য ঠিক করেছিল,

٩ عِنْدَئِذٍ تَمَّ مَا قِيلَ بِلِسَانِ النَّبِيِّ إِرْمِيَا الْقَائِلِ: «وَأَخَذُوا الثَّلاَثِينَ قِطْعَةً مِنَ الْفِضَّةِ، ثَمَنَ الْكَرِيمِ الَّذِي ثَمَّنَهُ بَنُو إِسْرَائِيلَ،

10 ১০ তারা সেগুলি নিয়ে কুমরের জমির জন্য দিল, যেমন প্রভু আমার প্রতি আদেশ করেছিলেন।”

١٠ وَدَفَعُوهَا لِقَاءَ حَقْلِ الْفَخَّارِيِّ، كَمَا أَمَرَنِي الرَّبُّ».

11 ১১ ইতিমধ্যে যীশুকে শাসনকর্ত্তার কাছে দাঁড় কারণ হল। শাসনকর্ত্তা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কি ইহূদিদের রাজা?” যীশু তাঁকে বললেন, “তুমিই বললে।”

١١ وَوَقَفَ يَسُوعُ أَمَامَ الْحَاكِمِ. فَسَأَلَهُ الْحَاكِمُ: «أَأَنْتَ مَلِكُ الْيَهُودِ؟» أَجَابَهُ: «أَنْتَ قُلْتَ!»

12 ১২ কিন্তু প্রধান যাজকেরা ও প্রাচীনেরা তাঁর উপরে মিথ্যা দোষ দিতে লাগল, তিনি সে বিষয়ে কোনো প্রতিবাদ করলেন না।

١٢ وَكَانَ رُؤَسَاءُ الْكَهَنَةِ وَالشُّيُوخُ يُوَجِّهُونَ ضِدَّهُ الاِتِّهَامَاتِ، وَهُوَ صَامِتٌ لاَ يَرُدُّ.

13 ১৩ তখন পীলাত তাঁকে বললেন, “তুমি কি শুনছ না, ওরা তোমার বিরুদ্ধে কত বিষয়ে সাক্ষ দিচ্ছে?”

١٣ فَقَالَ لَهُ بِيلاَطُسُ: «أَمَا تَسْمَعُ مَا يَشْهَدُونَ بِهِ عَلَيْكَ؟»

14 ১৪ তিনি তাঁকে একটি কথারও উত্তর দিলেন না, তাই দেখে শাসনকর্ত্তা খুবই আশ্চর্য্য হলেন।

١٤ لَكِنَّ يَسُوعَ لَمْ يُجِبِ الْحَاكِمَ وَلَوْ بِكَلِمَةٍ، حَتَّى تَعَجَّبَ الْحَاكِمُ كَثِيراً.

15 ১৫ আর শাসনকর্ত্তার এই রীতি ছিল, পর্বের দিনের তিনি লোকদের জন্য এমন একজন বন্দিকে মুক্ত করতেন, যাকে লোকেরা নির্বাচন করত।

١٥ وَكَانَ مِنْ عَادَةِ الْحَاكِمِ فِي كُلِّ عِيدٍ أَنْ يُطْلِقَ لِجُمْهُورِ الشَّعْبِ أَيَّ سَجِينٍ يُرِيدُونَهُ.

16 ১৬ সেই দিনের তাদের একজন কুখ্যাত বন্দী ছিল, তার নাম বারাব্বা।

١٦ وَكَانَ عِنْدَهُمْ وَقْتَئِذٍ سَجِينٌ مَشْهُورٌ اسْمُهُ بَارَابَاسُ؛

17 ১৭ তাই তারা একত্র হলে পীলাত তাদের বললেন, “তোমাদের ইচ্ছা কি, আমি তোমাদের জন্য কাকে মুক্ত করব? বারাব্বাকে, না যীশুকে, যাকে খ্রীষ্ট বলে?”

١٧ فَفِيمَا هُمْ مُجْتَمِعُونَ، سَأَلَهُمْ بِيلاَطُسُ: «مَنْ تُرِيدُونَ أَنْ أُطْلِقَ لَكُمْ: بَارَابَاسَ، أَمْ يَسُوعَ الَّذِي يُدْعَى الْمَسِيحَ؟»

18 ১৮ কারণ তিনি জানতেন, তারা হিংসার জন্যই তাঁকে সমর্পণ করেছিল।

١٨ إِذْ كَانَ يَعْلَمُ أَنَّهُمْ سَلَّمُوهُ عَنْ حَسَدٍ.

19 ১৯ তিনি বিচারাসনে বসে আছেন, এমন দিনের তাঁর স্ত্রী তাঁকে বলে পাঠালেন, “সেই ধার্ম্মিকের প্রতি তুমি কিছুই কোর না, কারণ আমি আজ স্বপ্নে তাঁর জন্য অনেক দুঃখ পেয়েছি।”

١٩ وَفِيمَا هُوَ جَالِسٌ عَلَى مَنَصَّةِ الْقَضَاءِ، أَرْسَلَتْ إِلَيْهِ زَوْجَتُهُ تَقُولُ: «إِيَّاكَ وَذَلِكَ الْبَارَّ! فَقَدْ تَضَايَقْتُ الْيَوْمَ كَثِيراً فِي حُلْمٍ بِسَبَبِهِ».

20 ২০ আর প্রধান যাজকেরা ও প্রাচীনেরা লোকদেরকে বোঝাতে লাগল, যেন তারা বারাব্বাকে নির্বাচন করে ও যীশুকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়।

٢٠ وَلَكِنَّ رُؤَسَاءَ الْكَهَنَةِ وَالشُّيُوخَ حَرَّضُوا الْجُمُوعَ أَنْ يُطَالِبُوا بِإِطْلاَقِ بَارَابَاسَ وَقَتْلِ يَسُوعَ.

21 ২১ তখন শাসনকর্ত্তা তাদের বললেন, “তোমাদের ইচ্ছা কি? সেই দুইজনের মধ্যে কাকে মুক্ত করব?” তারা বলল, “বারাব্বাকে।”

٢١ فَسَأَلَهُمْ بِيلاَطُسُ: «أَيَّ الاِثْنَيْنِ تُرِيدُونَ أَنْ أُطْلِقَ لَكُمْ؟» أَجَابُوا: «بَارَابَاسَ».

22 ২২ পীলাত তাদের বললেন, “তবে যীশু, যাকে খ্রীষ্ট বলে, তাকে কি করব?” তারা সবাই বলল, “ওকে ক্রুশে দাও”

٢٢ فَعَادَ يَسْأَلُ: «فَمَاذَا أَفْعَلُ بِيَسُوعَ الَّذِي يُدْعَى الْمَسِيحَ؟» أَجَابُوا جَمِيعاً: «لِيُصْلَبْ!»

23 ২৩ তিনি বললেন, “কেন? সে কি অপরাধ করেছে?” কিন্তু তারা আরও চেঁচিয়ে বলল, “ওকে ক্রুশে দাও।”

٢٣ فَسَأَلَ الْحَاكِمُ: «وَأَيَّ شَرٍّ فَعَلَ؟» فَازْدَادُوا صُرَاخاً: «لِيُصْلَبْ!»

24 ২৪ পীলাত যখন দেখলেন যে, তাঁর চেষ্টা বিফল, বরং আরও গন্ডগোল বাড়ছে, তখন জল নিয়ে লোকদের সামনে হাত ধুয়ে বললেন, “এই ধার্মিক ব্যক্তির রক্তপাতের সম্বন্ধে আমি নির্দোষ, তোমরাই তা বুঝবে।”

٢٤ فَلَمَّا رَأَى بِيلاَطُسُ أَنَّهُ لاَ فَائِدَةَ، وَأَنَّ فِتْنَةً تَكَادُ تَنْشُبُ بِالأَحْرَى، أَخَذَ مَاءً وَغَسَلَ يَدَيْهِ أَمَامَ الْجَمْعِ، وَقَالَ: «أَنَا بَرِيءٌ مِنْ دَمِ هَذَا الْبَارِّ. فَانْظُرُوا أَنْتُمْ فِي الأَمْرِ!»

25 ২৫ তাতে সমস্ত লোক এর উত্তরে বলল, “ওর রক্তের জন্য আমারা ও আমাদের সন্তানেরা দায়ী থাকব।”

٢٥ فَأَجَابَ الشَّعْبُ بِأَجْمَعِهِ: «لِيَكُنْ دَمُهُ عَلَيْنَا وَعَلَى أَوْلاَدِنَا!»

26 ২৬ তখন তিনি তাদের জন্য বারাব্বাকে ছেড়ে দিলেন এবং যীশুকে কোড়া (চাবুক) মেরে ক্রুশে দেবার জন্য জনসাধারণের হাতে সমর্পণ করলেন।

٢٦ فَأَطْلَقَ لَهُمْ بَارَابَاسَ؛ وَأَمَّا يَسُوعُ فَجَلَدَهُ، ثُمَّ سَلَّمَهُ إِلَى الصَّلْبِ.

27 ২৭ তখন শাসনকর্ত্তার সেনারা যীশুকে রাজবাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাঁর কাছে সমস্ত সেনাদের একত্র করল।

٢٧ فَاقْتَادَ جُنُودُ الْحَاكِمِ يَسُوعَ إِلَى دَارِ الْحُكُومَةِ، وَجَمَعُوا عَلَيْهِ جُنُودَ الْكَتِيبَةِ كُلِّهَا،

28 ২৮ আর তারা তাঁর বস্ত্র খুলে নিয়ে তাঁকে একটি লাল পোশাক পরিয়ে দিল।

٢٨ فَجَرَّدُوهُ مِنْ ثِيَابِهِ، وَأَلْبَسُوهُ رِدَاءً قِرْمِزِيّاً،

29 ২৯ আর কাঁটার মুকুট গেঁথে তাঁর মাথায় সেটা পরিয়ে দিল ও তাঁর হাতে একটি লাঠি দিল, পরে তাঁর সামনে হাঁটু পেতে বসে, তাঁকে ঠাট্টা করে বলল, “ইহূদি রাজ, নমস্কার!”

٢٩ وَجَدَلُوا إِكْلِيلاً مِنْ شَوْكٍ وَضَعُوهُ عَلَى رَأْسِهِ، وَوَضَعُوا قَصَبَةً فِي يَدِهِ الْيُمْنَى، وَرَكَعُوا أَمَامَهُ يَسْخَرُونَ مِنْهُ وَهُمْ يَقُولُونَ: «سَلاَمٌ يَامَلِكَ الْيَهُودِ!»

30 ৩০ আর তারা তাঁর গায়ে থুথু দিল ও সেই লাঠি নিয়ে, তাঁর মাথায় আঘাত করতে থাকলো।

٣٠ وَبَصَقُوا عَلَيْهِ، وَأَخَذُوا القَصَبَةَ مِنْهُ، وَضَرَبُوهُ بِهَا عَلَى رَأْسِهِ.

31 ৩১ আর তাঁকে ঠাট্টা করার পর পোশাকটি খুলে নিল ও তারা আবার তাঁকে তাঁর নিজের পোশাক পরিয়ে দিল এবং তাঁকে ক্রুশে দেবার জন্য তাঁকে বাইরে নিয়ে গেল।

٣١ وَبَعْدَمَا أَوْسَعُوهُ سُخْرِيَةً، نَزَعُوا عَنْهُ الرِّدَاءَ، وَأَلْبَسُوهُ ثِيَابَهُ، وَسَاقُوهُ إِلَى الصَّلْبِ.

32 ৩২ আর যখন তারা বাইরে এলো, তারা শিমোন নামে একজন কুরীনীয় লোকের দেখা পেল, তারা তাকেই, তাঁর ক্রুশ বহন করার জন্য বাধ্য করল।

٣٢ وَبَيْنَمَا كَانَ الْجُنُودُ يَسُوقُونَهُ إِلَى الصَّلْبِ، وَجَدُوا رَجُلاً مِنَ الْقَيْرَوَانِ اسْمُهُ سِمْعَانُ، فَسَخَّرُوهُ أَنْ يَحْمِلَ عَنْهُ الصَّلِيبَ.

33 ৩৩ পরে গলগথা নামে এক জায়গায়, অর্থাৎ যাকে “মাথার খুলি” বলা হয়,

٣٣ وَلَمَّا وَصَلُوا إِلَى الْمَكَانِ الْمَعْرُوفِ بالْجُلْجُثَةِ، وَهُوَ الَّذِي يُدْعَى مَكَانَ الْجُمْجُمَةِ،

34 ৩৪ সেখানে উপস্থিত হয়ে তারা তাঁকে পিত্তমিশ্রিত তেতো আঙ্গুরের রস পান করতে দিল, তিনি তা একটু পান করেই আর পান করতে চাইলেন না।

٣٤ أَعْطَوْا يَسُوعَ خَمْراً مَمْزُوجَةً بِمَرَارَةٍ لِيَشْرَبَ فَلَمَّا ذَاقَهَا، رَفَضَ أَنْ يَشْرَبَهَا.

35 ৩৫ পরে তারা তাঁকে ক্রুশে দিয়ে তাঁর পোশাক নিয়ে, গুটি চেলে ভাগ করে নিল,

٣٥ فَصَلَبُوهُ، ثُمَّ تَقَاسَمُوا ثِيَابَهُ فِيمَا بَيْنَهُمْ مُقْتَرِعِينَ عَلَيْهَا.

36 ৩৬ আর সেখানে বসে তাঁকে পাহারা দিতে লাগল।

٣٦ وَجَلَسُوا هُنَاكَ يَحْرُسُونَهُ؛

37 ৩৭ আর তারা তাঁর মাথার উপরে তাঁর বিরুদ্ধে এই দোষের কথা লিখে লাগিয়ে দিল, এ ব্যক্তি যীশু, ইহূদিদের রাজা।

٣٧ وَقَدْ عَلَّقُوا فَوْقَ رَأْسِهِ لاَفِتَةً تَحْمِلُ تُهْمَتَهُ، مَكْتُوباً عَلَيْهَا: «هَذَا هُوَ يَسُوعُ، مَلِكُ الْيَهُودِ».

38 ৩৮ তখন দুই জন দস্যুকেও তাঁর সঙ্গে ক্রুশে বিদ্ধ করা হল, একজন ডান পাশে আর একজন বাঁপাশে।

٣٨ وَصَلَبُوا مَعَهُ لِصَّيْنِ، وَاحِداً عَنِ الْيَمِينِ، وَوَاحِداً عَنِ الْيَسَارِ.

39 ৩৯ তখন যারা সেই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছিল, তারা মাথা নেড়ে নেড়ে খ্রীষ্টকে নিন্দা করে বলল,

٣٩ وَكَانَ الْمَارَّةُ يَشْتُمُونَهُ، وَهُمْ يَهُزُّونَ رُؤُوسَهُمْ

40 ৪০ “এই যে, তুমি না মন্দির ভেঙে ফেল, আর তিন দিনের র মধ্যে তা গাঁথবে! নিজেকে রক্ষা কর, যদি ঈশ্বরের পুত্র হও, ক্রুশ থেকে নেমে এস।”

٤٠ وَيَقُولُونَ: «يَاهَادِمَ الْهَيْكَلِ وَبَانِيَهُ فِي ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ، خَلِّصْ نَفْسَكَ! إِنْ كُنْتَ ابْنَ اللهِ فَانْزِلْ عَنِ الصَّلِيبِ!»

41 ৪১ আর একইভাবে প্রধান যাজকেরা, ব্যবস্থার শিক্ষকেরা ও প্রাচীনেরা একসঙ্গে ঠাট্টা করে বলল,

٤١ وَسَخِرَ مِنْهُ أَيْضاً رُؤَسَاءُ الْكَهَنَةِ وَالْكَتَبَةُ وَالشُّيُوخُ، قَائِلِينَ:

42 ৪২ “ঐ ব্যক্তি অন্য অন্য লোককে রক্ষা করত, আর নিজেকে রক্ষা করতে পারে না ও তো ইস্রায়েলের রাজা! এখন ক্রুশ থেকে নেমে আসুক, তাহলে আমরা ওর উপরে বিশ্বাস করব,

٤٢ «خَلَّصَ غَيْرَهُ؛ أَمَّا نَفْسَهُ فَلاَ يَقْدِرُ أَنْ يُخَلِّصَ! أَهُوَ مَلِكُ إِسْرَائِيلَ؟ فَلْيَنْزِلِ الآنَ عَنِ الصَّلِيبِ فَنُؤْمِنَ بِهِ!

43 ৪৩ ও ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখে, এখন তিনি ওকে বাঁচান, যদি ওকে রক্ষা করতে চান, কারণ ও তো বলেছে, আমি ঈশ্বরের পুত্র।”

٤٣ تَوَكَّلَ عَلَى اللهِ، فَلْيُخَلِّصْهُ الآنَ إِنْ كَانَ يُرِيدُهُ! فَهُوَ قَدْ قَالَ: أَنَا ابْنُ اللهِ!»

44 ৪৪ আর যে দুই জন দস্যু তাঁর সঙ্গে ক্রুশে বিদ্ধ হয়েছিল, তারাও তেমন ভাবে তাঁকে ঠাট্টা করল।

٤٤ وَكَانَ اللِّصَّانِ الْمَصْلُوبَانِ مَعَهُ يَسْخَرَانِ مِنْهُ بِمِثْلِ هَذَا الْكَلاَمِ!

45 ৪৫ পরে বেলা বারোটা থেকে বিকাল তিনটে পর্যন্ত সমস্ত দেশ অন্ধকার হয়ে থাকল।

٤٥ وَمِنَ السَّاعَةِ الثَّانِيَةَ عَشْرَةَ ظُهْراً إِلَى السَّاعَةِ الثَّالِثَةِ بَعْدَ الظُّهْرِ، حَلَّ الظَّلاَمُ عَلَى الأَرْضِ كُلِّهَا.

46 ৪৬ আর বিকাল তিনটের দিন যীশু উঁচুস্বরে চীৎকার করে বললেন, “এলী এলী লামা শবক্তানী, অর্থাৎ ঈশ্বর আমার, ঈশ্বর আমার, তুমি কেন আমায় পরিত্যাগ করেছ?”

٤٦ وَنَحْوَ السَّاعَةِ الثَّالِثَةِ صَرَخَ يَسُوعُ بِصَوْتٍ عَظِيمٍ: «إِيلِي، إِيلِي، لَمَا شَبَقْتَنِي؟» أَيْ: «إِلهِي، إِلهِي، لِمَاذَا تَرَكْتَنِي؟»

47 ৪৭ তাতে যারা সেখানে দাঁড়িয়েছিল, তাদের মধ্যে কেউ কেউ সেই কথা শুনে বলল, “এ ব্যক্তি এলিয়কে ডাকছে।”

٤٧ فَلَمَّا سَمِعَهُ بَعْضُ الْوَاقِفِينَ هُنَاكَ، قَالُوا: «إِنَّهُ يُنَادِي إِيلِيَّا!»

48 ৪৮ আর তাদের একজন অমনি দৌড়ে গেল, একটি স্পঞ্জ নিয়ে সিরকায় ডুবিয়ে নিয়ে এলো এবং একটা লাঠিতে লাগিয়ে তাঁকে পান করতে দিল।

٤٨ فَرَكَضَ وَاحِدٌ مِنْهُمْ، وَأَخَذَ إِسْفِنْجَةً غَمَسَهَا فِي الْخَلِّ، وَثَبَّتَهَا عَلَى قَصَبَةٍ وَقَدَّمَ إِلَيْهِ لِيَشْرَبَ؛

49 ৪৯ কিন্তু অন্য সবাই বলল, “থাক, দেখি এলিয় ওকে রক্ষা করতে আসেন কি না।”

٤٩ وَلَكِنَّ الْبَاقِينَ قَالُوا: «دَعْهُ وَشَأْنَهُ! لِنَرَ هَلْ يَأْتِي إِيلِيَّا لِيُخَلِّصَهُ!»

50 ৫০ পরে যীশু আবার উঁচুস্বরে চীৎকার করে নিজের আত্মাকে সমর্পণ করলেন।

٥٠ فَصَرَخَ يَسُوعُ مَرَّةً أُخْرَى بِصَوْتٍ عَظِيمٍ، وَأَسْلَمَ الرُّوحَ.

51 ৫১ আর তখনি, মন্দিরের তিরস্করিনী (পর্দা) উপর থেকে নীচ পর্যন্ত চিরে দুভাগ হল, ভূমিকম্প হল ও পাথরের চাঁই ফেটে গেল,

٥١ وَإِذَا سِتَارُ الْهَيْكَلِ قَدِ انْشَقَّ شَطْرَيْنِ، مِنَ الأَعْلَى إِلَى الأَسْفَلِ، وَتَزَلْزَلَتِ الأَرْضُ، وَتَشَقَّقَتِ الصُّخُورُ،

52 ৫২ আর অনেক কবর খুলে গেল ও অনেক পবিত্র লোকের মৃতদেহ জীবিত হল,

٥٢ وَتَفَتَّحَتِ الْقُبُورُ، وَقَامَتْ أَجْسَادٌ كَثِيرَةٌ لِقِدِّيسِينَ كَانُوا قَدْ رَقَدُوا؛

53 ৫৩ আর তাঁর পুনরুত্থানের পর তাঁরা কবর থেকে বের হয়ে পবিত্র শহরে প্রবেশ করলেন, আর অনেক লোককে তাঁরা দেখা দিলেন।

٥٣ وَإِذْ خَرَجُوا مِنَ الْقُبُورِ، دَخَلُوا الْمَدِينَةَ الْمُقَدَّسَةَ بَعْدَ قِيَامَةِ يَسُوعَ، وَرَآهُمْ كَثِيرُونَ.

54 ৫৪ শতপতি এবং যারা তাঁর সঙ্গে যীশুকে পাহারা দিচ্ছিল, তারা ভূমিকম্প ও আর যা যা ঘটছিল, তা দেখে খুবই ভয় পেয়ে বলল, “সত্যই, ইনি ঈশ্বরের পুত্র ছিলেন।”

٥٤ وَأَمَّا قَائِدُ الْمِئَةِ، وَجُنُودُهُ الَّذِينَ كَانُوا يَتَوَلَّوْنَ حِرَاسَةَ يَسُوعَ، فَقَدِ اسْتَوْلَى عَلَيْهِمْ خَوْفٌ شَدِيدٌ حِينَمَا رَأَوْا الزِّلْزَالَ وَكُلَّ مَا جَرَى، فَقَالُوا: «حَقّاً كَانَ هَذَا ابْنَ اللهِ!»

55 ৫৫ আর সেখানে অনেক মহিলারা ছিলেন, তাঁরা দূর থেকে দেখছিলেন, তাঁরা যীশুর সেবা করতে করতে গালীল থেকে তাঁকে অনুসরণ করে এখানে এসেছিলেন।

٥٥ وَمِنْ بَعِيدٍ، كَانَتْ نِسَاءٌ كَثِيرَاتٌ يُرَاقِبْنَ مَا يَجْرِي، وَكُنَّ قَدْ تَبِعْنَ يَسُوعَ مِنَ الْجَلِيلِ لِيَخْدِمْنَهُ،

56 ৫৬ তাঁদের মধ্যে মগ্দলীনী মরিয়ম, যাকোবের ও যোষেফ মা মরিয়ম এবং সিবদিয়ের ছেলে যোহন ও যাকোবের মা ছিলেন।

٥٦ وَبَيْنَهُنَّ مَرْيَمُ الْمَجْدَلِيَّةُ، وَمَرْيَمُ أُمُّ يَعْقُوبَ وَيُوسِي، وَأُمُّ ابْنَيْ زَبَدِي.

57 ৫৭ পরে সন্ধ্যা হলে অরিমাথিয়ার একজন ধনী ব্যক্তি এলো, তাঁর নাম যোষেফ, তিনি নিজেও যীশুর শিষ্য হয়েছিলেন।

٥٧ وَلَمَّا حَلَّ الْمَسَاءُ، جَاءَ رَجُلٌ غَنِيٌّ مِنْ بَلْدَةِ الرَّامَةِ، اسْمُهُ يُوسُفُ، كَانَ أَيْضاً تِلْمِيذاً لِيَسُوعَ.

58 ৫৮ তিনি পীলাতের কাছে গিয়ে যীশুর মৃতদেহ চাইলেন। তখন পীলাত তাঁকে তা নিয়ে যেতে আদেশ দিলেন।

٥٨ فَتَقَدَّمَ إِلَى بِيلاَطُسَ يَطْلُبُ جُثْمَانَ يَسُوعَ. فَأَمَرَ بِيلاَطُسُ أَنْ يُعْطَى لَهُ

59 ৫৯ তাতে যোষেফ মৃতদেহটি নিয়ে পরিষ্কার কমল কাপড়ে জড়ালেন,

٥٩ فَأَخَذَ يُوسُفُ الْجُثْمَانَ، وَكَفَّنَهُ بِكَتَّانٍ نَقِيٍّ،

60 ৬০ এবং তাঁর নতুন কবরে রাখলেন, যেই কবর তিনি পাহাড় কেটে বানিয়ে ছিলেন, আর সেই কবরের মুখে একটি বড় পাথর গড়িয়ে দিয়ে চলে গেলেন।

٦٠ وَدَفَنَهُ فِي قَبْرِهِ الْجَدِيدِ الَّذِي كَانَ قَدْ حَفَرَهُ فِي الصَّخْرِ؛ وَدَحْرَجَ حَجَراً كَبِيراً عَلَى بَابِ الْقَبْرِ، ثُمَّ ذَهَبَ.

61 ৬১ মগ্দলীনী মরিয়ম ও অন্য মরিয়ম সেখানে ছিলেন, তাঁরা কবরের সামনে বসে থাকলেন।

٦١ وَكَانَتْ هُنَاكَ مَرْيَمُ الْمَجْدَلِيَّةُ وَمَرْيَمُ الأُخْرَى جَالِسَتَيْنِ تِجَاهَ الْقَبْرِ.

62 ৬২ পরের দিন, অর্থাৎ আয়োজন-দিনের র পরের দিন, প্রধান যাজকেরা ও ফরীশীরা পীলাতের কাছে একত্র হয়ে বলল,

٦٢ وَفِي الْيَوْمِ التَّالِي، أَيْ بَعْدَ الإِعْدَادِ لِلسَّبْتِ، تَقَدَّمَ رُؤَسَاءُ الْكَهَنَةِ وَالْفَرِّيسِيُّونَ مَعاً إِلَى بِيلاَطُسَ،

63 ৬৩ “আমাদের মনে আছে, সেই প্রতারক জীবিত থাকতে বলেছিল, তিন দিনের পরে আমি জীবিত হয়ে উঠব।

٦٣ وَقَالُوا: «يَاسَيِّدُ. تَذَكَّرْنَا أَنَّ ذَلِكَ الْمُضَلِّلَ قَالَ وَهُوَ حَيٌّ: إِنِّي بَعْدَ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ أَقُومُ.

64 ৬৪ অতএব তিনদিন পর্যন্ত তার কবর পাহারা দিতে আদেশ করুন, না হলে তার শিষ্যেরা এসে তাকে চুরি করে নিয়ে যাবে, আর লোকদেরকে বলবে, তিনি মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত হয়েছেন, তাহলে প্রথম ছলনার থেকে শেষ ছলনায় আরও ক্ষতি হবে।”

٦٤ فَأَصْدِرْ أَمْراً بِحِرَاسَةِ الْقَبْرِ بِإِحْكَامٍ إِلَى الْيَوْمِ الثَّالِثِ، لِئَلاَّ يَأْتِيَ تَلاَمِيذُهُ وَيَسْرِقُوهُ، وَيَقُولُوا لِلشَّعْبِ: إِنَّهُ قَامَ مِنْ بَيْنِ الأَمْوَاتِ، فَيَكُونَ التَّضْلِيلُ الأَخِيرُ أَسْوَأَ مِنَ الأَوَّلِ».

65 ৬৫ পীলাত তাদের বললেন, “আমার পাহারাদারদের নিয়ে যাও এবং তোমরা গিয়ে তা তোমাদের সাধ্যমত রক্ষা কর।”

٦٥ فَأَجَابَهُمْ بِيلاَطُسُ: «عِنْدَكُمْ حُرَّاسٌ! فَاذْهَبُوا وَاحْرُسُوهُ كَمَا تَرَوْنَ».

66 ৬৬ তাতে তারা গিয়ে পাহারাদারদের সঙ্গে সেই পাথরে মুদ্রাঙ্ক দিয়ে কবর রক্ষা করতে লাগল।

٦٦ فَذَهَبُوا وَأَحْكَمُوا إِغْلاَقَ الْقَبْرِ، وَخَتَمُوا الْحَجَرَ، وَأَقَامُوا حُرَّاساً.

The Prophet Jeremiah