< মথি 21 >
1 ১ পরে যখন তাঁরা যিরূশালেমের কাছে জৈতুন পাহাড়ে, বৈৎফগী গ্রামে এলেন, তখন যীশু দুই জন শিষ্যকে পাঠিয়ে দিলেন,
১অনন্তরং তেষু যিরূশালম্নগরস্য সমীপৱের্ত্তিনো জৈতুননামকধরাধরস্য সমীপস্থ্তিং বৈৎফগিগ্রামম্ আগতেষু, যীশুঃ শিষ্যদ্ৱযং প্রেষযন্ জগাদ,
2 ২ তাঁদের বললেন, “তোমরা সামনের ঐ গ্রামে যাও, আর সেখানে গিয়ে দেখতে পাবে, একটি গর্দ্দভী বাঁধা আছে, আর তার সঙ্গে একটি বাচ্চা তাদের খুলে আমার কাছে আন।
২যুৱাং সম্মুখস্থগ্রামং গৎৱা বদ্ধাং যাং সৱৎসাং গর্দ্দভীং হঠাৎ প্রাপ্স্যথঃ, তাং মোচযিৎৱা মদন্তিকম্ আনযতং|
3 ৩ আর যদি কেউ, তোমাদের কিছু বলে, তবে বলবে, এদেরকে প্রভুর প্রয়োজন আছে, তাতে সে তখনই তাদের পাঠিয়ে দেবে।”
৩তত্র যদি কশ্চিৎ কিঞ্চিদ্ ৱক্ষ্যতি, তর্হি ৱদিষ্যথঃ, এতস্যাং প্রভোঃ প্রযোজনমাস্তে, তেন স তৎক্ষণাৎ প্রহেষ্যতি|
4 ৪ এমনটি হল যেন এর দ্বারা ভাববাদীর ভাববাণী পূর্ণ হয়,
৪সীযোনঃ কন্যকাং যূযং ভাষধ্ৱমিতি ভারতীং| পশ্য তে নম্রশীলঃ সন্ নৃপ আরুহ্য গর্দভীং| অর্থাদারুহ্য তদ্ৱৎসমাযাস্যতি ৎৱদন্তিকং|
5 ৫ “তোমরা সিয়োন-কন্যাকে বল, দেখ, তোমার রাজা তোমার কাছে আসছেন, তিনি নম্র, ও গর্দ্দভ-শাবকের উপরে বসে আসছেন।”
৫ভৱিষ্যদ্ৱাদিনোক্তং ৱচনমিদং তদা সফলমভূৎ|
6 ৬ পরে ঐ শিষ্যেরা গিয়ে যীশুর আদেশ অনুযায়ী কাজ করলেন,
৬অনন্তরং তৌ শ্ষ্যি যীশো র্যথানিদেশং তং গ্রামং গৎৱা
7 ৭ গর্দ্দভীকে ও শাবকটিকে আনলেন এবং তাদের উপরে নিজেদের বস্ত্র পেতে দিলেন, আর তিনি তাদের উপরে বসলেন।
৭গর্দভীং তদ্ৱৎসঞ্চ সমানীতৱন্তৌ, পশ্চাৎ তদুপরি স্ৱীযৱসনানী পাতযিৎৱা তমারোহযামাসতুঃ|
8 ৮ আর ভিড়ের মধ্য অধিকাংশ লোক নিজের নিজের কাপড় রাস্তায় পেতে দিল এবং অন্য অন্য লোকেরা গাছের ডাল কেটে রাস্তায় ছড়িয়ে দিল।
৮ততো বহৱো লোকা নিজৱসনানি পথি প্রসারযিতুমারেভিরে, কতিপযা জনাশ্চ পাদপপর্ণাদিকং ছিৎৱা পথি ৱিস্তারযামাসুঃ|
9 ৯ আর যে সমস্ত লোক তাঁর আগে ও পিছনে যাচ্ছিল, তারা চিত্কার করে বলতে লাগল, হোশান্না দায়ূদ-সন্তান, ধন্য, যিনি প্রভুর নামে আসছেন, স্বর্গেও হোশান্না।
৯অগ্রগামিনঃ পশ্চাদ্গামিনশ্চ মনুজা উচ্চৈর্জয জয দাযূদঃ সন্তানেতি জগদুঃ পরমেশ্ৱরস্য নাম্না য আযাতি স ধন্যঃ, সর্ৱ্ৱোপরিস্থস্ৱর্গেপি জযতি|
10 ১০ আর তিনি যিরূশালেমে প্রবেশ করলে সারা শহরে কোলাহল সৃষ্টি হয়ে গেল সবাই বলল, “উনি কে?”
১০ইত্থং তস্মিন্ যিরূশালমং প্রৱিষ্টে কোঽযমিতি কথনাৎ কৃৎস্নং নগরং চঞ্চলমভৱৎ|
11 ১১ তাতে লোকেরা বলল, “উনি সেই ভাববাদী, গালীলের নাসরতীয় যীশু।”
১১তত্র লোকোঃ কথযামাসুঃ, এষ গালীল্প্রদেশীয-নাসরতীয-ভৱিষ্যদ্ৱাদী যীশুঃ|
12 ১২ পরে যীশু ঈশ্বরের উপাসনা গৃহে প্রবেশ করলেন এবং যত লোক মন্দিরে কেনা বেচা করছিল, সেই সবাইকে বের করে দিলেন এবং যারা টাকা বদল করার জন্য টেবিল সাজিয়ে বসেছিল ও যারা পায়রা বিক্রি করছিল, তাদের সব কিছু উল্টিয়ে ফেললেন,
১২অনন্তরং যীশুরীশ্ৱরস্য মন্দিরং প্রৱিশ্য তন্মধ্যাৎ ক্রযৱিক্রযিণো ৱহিশ্চকার; ৱণিজাং মুদ্রাসনানী কপোতৱিক্রযিণাঞ্চসনানী চ ন্যুৱ্জযামাস|
13 ১৩ আর তাদের বললেন, “লেখা আছে, আমার ঘরকে প্রার্থনার ঘর বলা হবে,” কিন্তু তোমরা এটাকে “ডাকাতদের গুহায় পরিণত করেছো।”
১৩অপরং তানুৱাচ, এষা লিপিরাস্তে, "মম গৃহং প্রার্থনাগৃহমিতি ৱিখ্যাস্যতি", কিন্তু যূযং তদ্ দস্যূনাং গহ্ৱরং কৃতৱন্তঃ|
14 ১৪ পরে অন্ধেরা ও খোঁড়ারা মন্দিরে তাঁর কাছে এলো, আর তিনি তাদের সুস্থ করলেন।
১৪তদনন্তরম্ অন্ধখঞ্চলোকাস্তস্য সমীপমাগতাঃ, স তান্ নিরামযান্ কৃতৱান্|
15 ১৫ কিন্তু প্রধান যাজকগণ ও ব্যবস্থার শিক্ষকেরা তাঁর সমস্ত আশ্চর্য্য কাজ দেখে এবং যে ছেলেমেয়েরা হোশান্না দায়ূদ-সন্তান, বলে মন্দিরে চিত্কার করছিল তাদের দেখে রেগে গেল,
১৫যদা প্রধানযাজকা অধ্যাপকাশ্চ তেন কৃতান্যেতানি চিত্রকর্ম্মাণি দদৃশুঃ, জয জয দাযূদঃ সন্তান, মন্দিরে বালকানাম্ এতাদৃশম্ উচ্চধ্ৱনিং শুশ্রুৱুশ্চ, তদা মহাক্রুদ্ধা বভূৱঃ,
16 ১৬ এবং তাঁকে বলল, “শুনছ, এরা কি বলছে?” যীশু তাদের বললেন, “হ্যাঁ, তোমরা কি কখনও পড়নি যে, তুমি ছোট শিশু ও দুধ খাওয়া বাচ্চার মুখ থেকে প্রশংসার ব্যবস্থা করেছ?”
১৬তং পপ্রচ্ছুশ্চ, ইমে যদ্ ৱদন্তি, তৎ কিং ৎৱং শৃণোষি? ততো যীশুস্তান্ অৱোচৎ, সত্যম্; স্তন্যপাযিশিশূনাঞ্চ বালকানাঞ্চ ৱক্ত্রতঃ| স্ৱকীযং মহিমানং ৎৱং সংপ্রকাশযসি স্ৱযং| এতদ্ৱাক্যং যূযং কিং নাপঠত?
17 ১৭ পরে তিনি তাদের ছেড়ে শহরের বাইরে বৈথনিয়ায় গেলেন, আর সেই জায়গায় রাতে থাকলেন।
১৭ততস্তান্ ৱিহায স নগরাদ্ বৈথনিযাগ্রামং গৎৱা তত্র রজনীং যাপযামাস|
18 ১৮ সকালে শহরে ফিরে আসার দিন তাঁর খিদে পেল।
১৮অনন্তরং প্রভাতে সতি যীশুঃ পুনরপি নগরমাগচ্ছন্ ক্ষুধার্ত্তো বভূৱ|
19 ১৯ রাস্তার পাশে একটি ডুমুরগাছ দেখে তিনি তার কাছে গেলেন এবং পাতা ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেলেন না। তখন তিনি গাছটিকে বললেন, “আর কখনও তোমাতে ফল না ধরুক,” আর হঠাৎ সেই ডুমুরগাছটা শুকিয়ে গেল। (aiōn )
১৯ততো মার্গপার্শ্ৱ উডুম্বরৱৃক্ষমেকং ৱিলোক্য তৎসমীপং গৎৱা পত্রাণি ৱিনা কিমপি ন প্রাপ্য তং পাদপং প্রোৱাচ, অদ্যারভ্য কদাপি ৎৱযি ফলং ন ভৱতু; তেন তৎক্ষণাৎ স উডুম্বরমাহীরুহঃ শুষ্কতাং গতঃ| (aiōn )
20 ২০ তা দেখে শিষ্যেরা আশ্চর্য্য হয়ে বললেন, “ডুমুরগাছটা হঠাৎ শুকিয়ে গেল কিভাবে?”
২০তদ্ দৃষ্ট্ৱা শিষ্যা আশ্চর্য্যং ৱিজ্ঞায কথযামাসুঃ, আঃ, উডুম্ৱরপাদপোঽতিতূর্ণং শুষ্কোঽভৱৎ|
21 ২১ যীশু এর উত্তরে তাঁদের বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যদি তোমাদের বিশ্বাস থাকে, আর সন্দেহ না কর, তবে তোমরা খালি ডুমুরগাছের প্রতি এমন করতে পারবে, তা নয়, কিন্তু এই পাহাড়কেও যদি বল, উপড়িয়ে যাও, আর সমুদ্রে গিয়ে পড়, তাই হবে।”
২১ততো যীশুস্তানুৱাচ, যুষ্মানহং সত্যং ৱদামি, যদি যূযমসন্দিগ্ধাঃ প্রতীথ, তর্হি যূযমপি কেৱলোডুম্ৱরপাদপং প্রতীত্থং কর্ত্তুং শক্ষ্যথ, তন্ন, ৎৱং চলিৎৱা সাগরে পতেতি ৱাক্যং যুষ্মাভিরস্মিন শৈলে প্রোক্তেপি তদৈৱ তদ্ ঘটিষ্যতে|
22 ২২ আর তোমরা প্রার্থনায় বিশ্বাসের সঙ্গে যা কিছু চাইবে, সে সব কিছু পাবে।
২২তথা ৱিশ্ৱস্য প্রার্থ্য যুষ্মাভি র্যদ্ যাচিষ্যতে, তদেৱ প্রাপ্স্যতে|
23 ২৩ পরে যীশু মন্দিরে এলেন এবং যখন তিনি উপদেশ দিচ্ছিলেন, সে দিনের প্রধান যাজকেরা ও লোকদের প্রাচীনেরা তাঁর কাছে এসে বলল, “তুমি কোন ক্ষমতায় এই সব করছ? আর কেই বা তোমাকে এই ক্ষমতা দিয়েছে?”
২৩অনন্তরং মন্দিরং প্রৱিশ্যোপদেশনসমযে তৎসমীপং প্রধানযাজকাঃ প্রাচীনলোকাশ্চাগত্য পপ্রচ্ছুঃ, ৎৱযা কেন সামর্থ্যনৈতানি কর্ম্মাণি ক্রিযন্তে? কেন ৱা তুভ্যমেতানি সামর্থ্যানি দত্তানি?
24 ২৪ যীশু উত্তরে তাদের বললেন, “আমিও তোমাদের একটি কথা জিজ্ঞাসা করব, যদি তোমরা আমাকে উত্তর দাও, তা হলে আমি তোমাদের বলবো, কোন ক্ষমতায় এসব করছি।”
২৪ততো যীশুঃ প্রত্যৱদৎ, অহমপি যুষ্মান্ ৱাচমেকাং পৃচ্ছামি, যদি যূযং তদুত্তরং দাতুং শক্ষ্যথ, তদা কেন সামর্থ্যেন কর্ম্মাণ্যেতানি করোমি, তদহং যুষ্মান্ ৱক্ষ্যামি|
25 ২৫ যোহনের বাপ্তিষ্ম কোথা থেকে হয়েছিল? স্বর্গরাজ্য থেকে না মানুষের থেকে? তখন তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বলল, “যদি বলি স্বর্গ থেকে, তাহলে এ আমাদেরকে বলবে, তবে তোমরা তাঁকে বিশ্বাস কর নি কেন?”
২৫যোহনো মজ্জনং কস্যাজ্ঞযাভৱৎ? কিমীশ্ৱরস্য মনুষ্যস্য ৱা? ততস্তে পরস্পরং ৱিৱিচ্য কথযামাসুঃ, যদীশ্ৱরস্যেতি ৱদামস্তর্হি যূযং তং কুতো ন প্রত্যৈত? ৱাচমেতাং ৱক্ষ্যতি|
26 ২৬ আর যদি বলি, “মানুষের মাধ্যমে,” লোকদের থেকে আমার ভয় আছে কারণ সবাই যোহনকে ভাববাদী বলে মানে।
২৬মনুষ্যস্যেতি ৱক্তুমপি লোকেভ্যো বিভীমঃ, যতঃ সর্ৱ্ৱৈরপি যোহন্ ভৱিষ্যদ্ৱাদীতি জ্ঞাযতে|
27 ২৭ তখন তারা যীশুকে বলল, “আমরা জানি না।” তিনিও তাদের বললেন, “তবে আমিও কি ক্ষমতায় এসব করছি, তা তোমাদের বলব না।”
২৭তস্মাৎ তে যীশুং প্রত্যৱদন্, তদ্ ৱযং ন ৱিদ্মঃ| তদা স তানুক্তৱান্, তর্হি কেন সামরথ্যেন কর্ম্মাণ্যেতান্যহং করোমি, তদপ্যহং যুষ্মান্ ন ৱক্ষ্যামি|
28 ২৮ কিন্তু তোমরা কি মনে কর? এক ব্যক্তির দুটি ছেলে ছিল, তিনি প্রথম জনের কাছে গিয়ে বললেন, “পুত্র, যাও, আজ আঙ্গুর ক্ষেতে কাজ কর।”
২৮কস্যচিজ্জনস্য দ্ৱৌ সুতাৱাস্তাং স একস্য সুতস্য সমীপং গৎৱা জগাদ, হে সুত, ৎৱমদ্য মম দ্রাক্ষাক্ষেত্রে কর্ম্ম কর্তুং ৱ্রজ|
29 ২৯ সে বলল, “আমি যাব না,” কিন্তু পরে মন পরিবর্তন করে গেল।
২৯ততঃ স উক্তৱান্, ন যাস্যামি, কিন্তু শেষেঽনুতপ্য জগাম|
30 ৩০ পরে তিনি দ্বিতীয় জনের কাছে গিয়ে তেমনি বললেন। সে বলল, “বাবা আমি যাচ্ছি,” কিন্তু গেল না।
৩০অনন্তরং সোন্যসুতস্য সমীপং গৎৱা তথৈৱ কথ্তিৱান্; ততঃ স প্রত্যুৱাচ, মহেচ্ছ যামি, কিন্তু ন গতঃ|
31 ৩১ সেই দুইজনের মধ্যে কে বাবার ইচ্ছা পালন করল? তারা বলল, “প্রথম জন।” যীশু তাদের বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, কর আদায়কারীরা ও বেশ্যারা তোমাদের আগে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করছে।”
৩১এতযোঃ পুত্রযো র্মধ্যে পিতুরভিমতং কেন পালিতং? যুষ্মাভিঃ কিং বুধ্যতে? ততস্তে প্রত্যূচুঃ, প্রথমেন পুত্রেণ| তদানীং যীশুস্তানুৱাচ, অহং যুষ্মান্ তথ্যং ৱদামি, চণ্ডালা গণিকাশ্চ যুষ্মাকমগ্রত ঈশ্ৱরস্য রাজ্যং প্রৱিশন্তি|
32 ৩২ কারণ যোহন ধার্মিকতার পথ দিয়ে তোমাদের কাছে এলেন, আর তোমরা তাঁকে বিশ্বাস করলে না, কিন্তু কর আদায়কারীরাও বেশ্যারা তাঁকে বিশ্বাস করল, আর তোমরা তা দেখেও এই রকম মন পরিবর্তন করলে না যে, তাঁকে বিশ্বাস করবে।
৩২যতো যুষ্মাকং সমীপং যোহনি ধর্ম্মপথেনাগতে যূযং তং ন প্রতীথ, কিন্তু চণ্ডালা গণিকাশ্চ তং প্রত্যাযন্, তদ্ ৱিলোক্যাপি যূযং প্রত্যেতুং নাখিদ্যধ্ৱং|
33 ৩৩ অন্য আর একটি গল্প শোন, একজন আঙুর ক্ষেতের মালিক ছিলেন, তিনি আঙুর ক্ষেত করে তার চারিদিকে বেড়া দিলেন, ও তার মধ্যে আঙুর রস বার করার জন্য একটা আঙুর মাড়াবার জন্য গর্ত খুঁড়লেন এবং দেখাশোনা করার জন্য উঁচু ঘর তৈরী করলেন, পরে কৃষকদের হাতে তা জমা দিয়ে অন্য দেশে চলে গেলেন।
৩৩অপরমেকং দৃষ্টান্তং শৃণুত, কশ্চিদ্ গৃহস্থঃ ক্ষেত্রে দ্রাক্ষালতা রোপযিৎৱা তচ্চতুর্দিক্ষু ৱারণীং ৱিধায তন্মধ্যে দ্রাক্ষাযন্ত্রং স্থাপিতৱান্, মাঞ্চঞ্চ নির্ম্মিতৱান্, ততঃ কৃষকেষু তৎ ক্ষেত্রং সমর্প্য স্ৱযং দূরদেশং জগাম|
34 ৩৪ আর ফল পাবার দিন কাছে এলে তিনি তাঁর ফল সংগ্রহ করার জন্য কৃষকদের কাছে তাঁর দাসদেরকে পাঠালেন।
৩৪তদনন্তরং ফলসময উপস্থিতে স ফলানি প্রাপ্তুং কৃষীৱলানাং সমীপং নিজদাসান্ প্রেষযামাস|
35 ৩৫ তখন কৃষকেরা তাঁর দাসদেরকে ধরে কাউকে মারলো, কাউকে হত্যা করল, কাউকে পাথর মারল।
৩৫কিন্তু কৃষীৱলাস্তস্য তান্ দাসেযান্ ধৃৎৱা কঞ্চন প্রহৃতৱন্তঃ, কঞ্চন পাষাণৈরাহতৱন্তঃ, কঞ্চন চ হতৱন্তঃ|
36 ৩৬ আবার তিনি আগের থেকে আরও অনেক দাসকে পাঠালেন, তাদের সঙ্গেও তারা সেই রকম ব্যবহার করল।
৩৬পুনরপি স প্রভুঃ প্রথমতোঽধিকদাসেযান্ প্রেষযামাস, কিন্তু তে তান্ প্রত্যপি তথৈৱ চক্রুঃ|
37 ৩৭ অবশেষে তিনি তাঁর ছেলেকে তাদের কাছে পাঠালেন, বললেন, “তারা আমার ছেলেকে সম্মান করবে।”
৩৭অনন্তরং মম সুতে গতে তং সমাদরিষ্যন্তে, ইত্যুক্ত্ৱা শেষে স নিজসুতং তেষাং সন্নিধিং প্রেষযামাস|
38 ৩৮ কিন্তু কৃষকেরা মালিকের ছেলেকে দেখে বলল, “এই ব্যক্তিই উত্তরাধিকারী, এসো, আমরা একে মেরে ফেলে এর উত্তরাধিকার কেড়ে নিই।”
৩৮কিন্তু তে কৃষীৱলাঃ সুতং ৱীক্ষ্য পরস্পরম্ ইতি মন্ত্রযিতুম্ আরেভিরে, অযমুত্তরাধিকারী ৱযমেনং নিহত্যাস্যাধিকারং স্ৱৱশীকরিষ্যামঃ|
39 ৩৯ পরে তারা তাঁকে ধরে আঙ্গুর ক্ষেতের বাইরে ফেলে বধ করল।
৩৯পশ্চাৎ তে তং ধৃৎৱা দ্রাক্ষাক্ষেত্রাদ্ বহিঃ পাতযিৎৱাবধিষুঃ|
40 ৪০ অতএব আঙুর ক্ষেতের মালিক যখন আসবেন, তখন সেই চাষীদের কে কি করবেন?
৪০যদা স দ্রাক্ষাক্ষেত্রপতিরাগমিষ্যতি, তদা তান্ কৃষীৱলান্ কিং করিষ্যতি?
41 ৪১ তারা তাঁকে বলল, “মালিক সেই মন্দ লোকেদেরও একেবারে ধ্বংস করবেন এবং সেই ক্ষেত এমন অন্য কৃষকদেরকে জমা দেবেন, যারা ফলের দিনের তাঁকে ফল দেবে।”
৪১ততস্তে প্রত্যৱদন্, তান্ কলুষিণো দারুণযাতনাভিরাহনিষ্যতি, যে চ সমযানুক্রমাৎ ফলানি দাস্যন্তি, তাদৃশেষু কৃষীৱলেষু ক্ষেত্রং সমর্পযিষ্যতি|
42 ৪২ যীশু তাদের বললেন, “তোমরা কি কখনও শাস্ত্রে পড়নি, যে পাথরটাকে মিস্ত্রীরা অগ্রাহ্য করেছিল, সেই পাথরটাই কোণের প্রধান পাথর হয়ে উঠল, প্রভু ঈশ্বর এই কাজ করেছেন, আর এটা আমাদের চোখে সত্যিই খুব আশ্চর্য্য কাজ?”
৪২তদা যীশুনা তে গদিতাঃ, গ্রহণং ন কৃতং যস্য পাষাণস্য নিচাযকৈঃ| প্রধানপ্রস্তরঃ কোণে সএৱ সংভৱিষ্যতি| এতৎ পরেশিতুঃ কর্ম্মাস্মদৃষ্টাৱদ্ভুতং ভৱেৎ| ধর্ম্মগ্রন্থে লিখিতমেতদ্ৱচনং যুষ্মাভিঃ কিং নাপাঠি?
43 ৪৩ এই জন্য আমি তোমাদের বলছি, “তোমাদের কাছ থেকে ঈশ্বরের রাজ্য কেড়ে নাওয়া যাবে এবং এমন এক জাতিকে দেওয়া হবে, যে জাতি তার ফল দেবে।”
৪৩তস্মাদহং যুষ্মান্ ৱদামি, যুষ্মত্ত ঈশ্ৱরীযরাজ্যমপনীয ফলোৎপাদযিত্রন্যজাতযে দাযিষ্যতে|
44 ৪৪ আর এই পাথরের উপরে যে পড়বে, সে ভগ্ন হবে, কিন্তু এই পাথর যার উপরে পড়বে, তাকে চূরমার করে ফেলবে।
৪৪যো জন এতৎপাষাণোপরি পতিষ্যতি, তং স ভংক্ষ্যতে, কিন্ত্ৱযং পাষাণো যস্যোপরি পতিষ্যতি, তং স ধূলিৱৎ চূর্ণীকরিষ্যতি|
45 ৪৫ তাঁর এই সব গল্প শুনে প্রধান যাজকেরা ও ফরীশীরা বুঝল যে, তিনি তাদেরই বিষয় বলছেন।
৪৫তদানীং প্রাধনযাজকাঃ ফিরূশিনশ্চ তস্যেমাং দৃষ্টান্তকথাং শ্রুৎৱা সোঽস্মানুদ্দিশ্য কথিতৱান্, ইতি ৱিজ্ঞায তং ধর্ত্তুং চেষ্টিতৱন্তঃ;
46 ৪৬ আর তারা যীশুকে ধরতে চেয়েছিল, কিন্তু তারা জনগণকে ভয় পেলো, কারণ লোকে তাঁকে ভাববাদী বলে মানত।
৪৬কিন্তু লোকেভ্যো বিভ্যুঃ, যতো লোকৈঃ স ভৱিষ্যদ্ৱাদীত্যজ্ঞাযি|