< মথি 2 >

1 হেরোদ রাজার দিনের যিহূদিয়ার বৈৎলেহমে যীশুর জন্ম হলে পর, দেখ, পূর্ব্বদেশ থেকে কয়েক জন পণ্ডিত,
হেরোদ রাজার সময় যিহূদিয়া প্রদেশের বেথলেহেমে যীশুর জন্ম হলে পর, পূর্বদেশ থেকে কয়েকজন পণ্ডিত ব্যক্তি জেরুশালেমে এসে জিজ্ঞাসা করলেন,
2 যিরুশালেমে এসে বললেন, “ইহূদিদের যে রাজা জন্মেছেন, তিনি কোথায়?” কারণ আমরা পূর্ব্বদেশে তাঁর তারা দেখেছি ও তাঁকে প্রণাম করতে এসেছি।
“ইহুদিদের যে রাজা জন্মগ্রহণ করেছেন তিনি কোথায়? আমরা পূর্বদেশে তাঁর তারা দেখতে পেয়ে তাঁকে প্রণাম করতে এসেছি।”
3 এই কথা শুনে হেরোদ রাজা অস্থির হলেন ও তাঁর সাথে সমস্ত যিরুশালেমও অস্থির হল।
একথা শুনে রাজা হেরোদ সন্ত্রস্ত হয়ে উঠলেন ও তাঁর সঙ্গে সমস্ত জেরুশালেমের মানুষেরাও উদ্বিগ্ন হয়ে উঠল।
4 আর তিনি সমস্ত প্রধান যাজক ও লোক সাধারণের শিক্ষা গুরুদেরকে একসাথে করে তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “খ্রীষ্ট কোথায় জন্মাবেন?”
তিনি সমগ্র জনসাধারণের প্রধান যাজকবৃন্দ ও শাস্ত্রবিদদের একত্রে ডেকে তাঁদের কাছে জানতে চাইলেন, খ্রীষ্ট কোথায় জন্মগ্রহণ করবেন?
5 তারা তাঁকে বললেন, “যিহূদিয়ার বৈৎলেহমে,” কারণ ভাববাদীর মাধ্যমে এই ভাবে লেখা হয়েছে,
তাঁরা উত্তর দিলেন, “যিহূদিয়ার বেথলেহেমে, কারণ ভাববাদী এরকম লিখেছেন:
6 “আর তুমি, হে যিহূদা দেশের বৈৎলেহম, তুমি যিহূদার শাসনকর্ত্তাদের মধ্যে কোন মতে একেবারে ছোট নও, কারণ তোমার থেকে সেই অধ্যক্ষ উৎপন্ন হবেন, যিনি আমার প্রজা ইস্রায়েলকে পালন করবেন।”
“কিন্তু তুমি, যিহূদা দেশের বেথলেহেম, যিহূদার শাসকদের মধ্যে তুমি কোনো অংশে ক্ষুদ্র নও; কারণ তোমার মধ্য থেকেই আসবেন এক শাসক, যিনি হবেন আমার প্রজা ইস্রায়েলের পালক।”
7 তখন হেরোদ সেই পণ্ডিতদের গোপনে ডেকে, ঐ তারা কোন দিনের দেখা গিয়েছিল, তা তাঁদের কাছে বিশেষভাবে জেনে নিলেন।
এরপর হেরোদ সেই পণ্ডিতদের গোপনে ডেকে, সেই তারাটি সঠিক কখন উদিত হয়েছিল, তা তাঁদের কাছ থেকে জেনে নিলেন।
8 পরে তিনি তাদের বৈৎলেহমে পাঠিয়ে দিয়ে বললেন, “তোমরা গিয়ে বিশেষভাবে সেই শিশুর খোঁজ কর; দেখা পেলে আমাকে খবর দিও, যেন আমিও গিয়ে তাঁকে প্রণাম করতে পারি।”
তিনি তাঁদের এই বলে বেথলেহেমে পাঠিয়ে দিলেন, “যাও, গিয়ে সযত্নে শিশুটির অনুসন্ধান করো। তাঁর সন্ধান পাওয়া মাত্র আমাকে সংবাদ দিয়ো, যেন আমিও গিয়ে তাঁকে প্রণাম করতে পারি।”
9 রাজার কথা শুনে তাঁরা চলে গেলেন, আর দেখ, পূর্ব্বদেশে তাঁরা যে তারা দেখেছিলেন, তা তাদের আগে আগে চলল, শেষে যেখানে শিশুটি ছিলেন, তাঁর উপরে এসে থেমে গেল।
রাজার এই কথা শুনে তাঁরা তাঁদের পথে চলে গেলেন। আর তাঁরা যে তারাটিকে পূর্বদেশে দেখেছিলেন, সেটি তাঁদের আগে আগে চলতে লাগল এবং শিশুটি যেখানে ছিলেন, সেই স্থানের উপরে স্থির হয়ে রইল।
10 ১০ তারাটি দেখতে পেয়ে তারা মহানন্দে খুব উল্লাসিত হলেন।
তারাটি দেখতে পেয়ে তাঁরা মহা আনন্দে উল্লসিত হলেন।
11 ১১ পরে তাঁরা ঘরের মধ্যে গিয়ে শিশুটিকে তাঁর মা মরিয়মের সাথে দেখতে পেলেন ও উপুড় হয়ে তাঁকে প্রণাম করলেন এবং নিজেদের বাক্স খুলে তাঁকে সোনা, ধুনো ও গন্ধরস উপহার দিলেন।
ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে তাঁরা শিশুটিকে তাঁর মা মরিয়মের সঙ্গে দেখতে পেলেন। তাঁরা সকলে ভূমিষ্ঠ হয়ে শিশুটিকে প্রণাম করলেন ও তাঁর উপাসনা করলেন। তারপর তাঁরা তাদের রত্নপেটিকা খুলে তাঁকে সোনা, কুন্দুরু ও গন্ধরস উপহার দিলেন।
12 ১২ পরে তাঁরা যেন হেরোদের কাছে ফিরে না যান, স্বপ্নে এই আদেশ পেয়ে, অন্য পথ দিয়ে নিজেদের দেশে চলে গেলেন।
তাঁরা যেন হেরোদের কাছে ফিরে না যান, স্বপ্নে এই সতর্কবাণী পেয়ে তাঁরা অন্য এক পথ ধরে তাঁদের দেশে ফিরে গেলেন।
13 ১৩ তাঁরা চলে গেলে পর, দেখ, প্রভুর এক দূত স্বপ্নে যোষেফকে দর্শন দিয়ে বললেন, ওঠ, শিশুটিকে ও তাঁর মাকে নিয়ে মিশরে পালিয়ে যাও; আর আমি যত দিন তোমাকে না বলি, ততদিন সেখানে থাক; কারণ হেরোদ শিশুটিকে হত্যা করার জন্য তাঁর খোঁজ করবে।
তাঁরা চলে যাওয়ার পরে প্রভুর এক দূত স্বপ্নে যোষেফের কাছে আবির্ভূত হয়ে বললেন, “ওঠো, শিশুটি ও তাঁর মাকে নিয়ে মিশরে পালিয়ে যাও। আমি যতক্ষণ না বলি, সেখানেই থেকো, কারণ শিশুটিকে হত্যা করার জন্য হেরোদ তাঁর অনুসন্ধান করবে।”
14 ১৪ তখন যোষেফ উঠে রাত্রিবেলায় শিশুটিকে ও তাঁর মাকে নিয়ে মিশরে চলে গেলেন,
অতএব, যোষেফ উঠে শিশুটি ও তাঁর মাকে নিয়ে সেই রাত্রিতেই মিশরের উদ্দেশে রওনা হলেন।
15 ১৫ এবং হেরোদের মৃত্যু পর্যন্ত সেখানে থাকলেন, যেন ভাববাদীর মাধ্যমে বলা প্রভুর এই কথা পূর্ণ হয়, “আমি মিশর থেকে নিজের ছেলেকে ডেকে আনলাম।”
হেরোদের মৃত্যু পর্যন্ত তিনি সেখানেই থাকলেন। আর এভাবেই, ভাববাদীর মাধ্যমে প্রভু যা ব্যক্ত করেছিলেন, তা পূর্ণ হল: “মিশর থেকে আমি আমার পুত্রকে ডেকে আনলাম।”
16 ১৬ পরে হেরোদ যখন দেখলেন যে, তিনি পণ্ডিতদের মাধ্যমে প্রতারিত হয়েছেন, তখন খুব রেগে গেলেন এবং সেই পণ্ডিতদের কাছে বিশেষভাবে যে দিন জেনে নিয়েছিলেন, সেই অনুসারে দুবছর ও তার অল্প বয়সের যত বালক বৈৎলেহম ও তার সমস্ত পরিসীমার মধ্যে ছিল, লোক পাঠিয়ে তিনি সবাইকে হত্যা করালেন।
পণ্ডিতেরা তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন উপলব্ধি করে হেরোদ ক্রোধে উন্মত্ত হলেন। পণ্ডিতদের কাছে জেনে নেওয়া সময় হিসেব করে, তিনি বেথলেহেম ও তার সন্নিহিত অঞ্চলের দু-বছর ও তার কমবয়সি সমস্ত শিশুকে হত্যা করার আদেশ দিলেন।
17 ১৭ তখন যিরমিয় ভাববাদী মাধ্যমে বলা এই কথা পূর্ণ হল,
তখন ভাববাদী যিরমিয়ের দ্বারা কথিত এই বচন পূর্ণ হল।
18 ১৮ “রামায় শব্দ শোনা যাচ্ছে, হাহাকার ও খুব কান্নাকাটি; রাহেল নিজের সন্তানদের জন্য কান্নাকাটি করছেন, সান্ত্বনা পেতে চান না, কারণ তারা নেই।”
“রামা-নগরে এক স্বর শোনা যাচ্ছে, এক ক্রন্দন ও মহাবিলাপের রব, রাহেল তাঁর সন্তানদের জন্য কাঁদছেন, তিনি সান্ত্বনা পেতে চান না, কারণ তারা আর বেঁচে নেই।”
19 ১৯ হেরোদের মৃত্যু হলে পর, দেখ, প্রভুর এক দূত মিশরে যোষেফকে স্বপ্নে দর্শন দিয়ে বললেন,
হেরোদের মৃত্যুর পর, মিশরে প্রভুর এক দূত স্বপ্নে যোষেফের কাছে আবির্ভূত হয়ে বললেন,
20 ২০ ওঠ, শিশুটিকে ও তাঁর মাকে নিয়ে ইস্রায়েল দেশে যাও; কারণ যারা শিশুটিকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল, তারা মারা গিয়েছে।
“ওঠো, শিশুটি ও তাঁর মাকে নিয়ে তুমি ইস্রায়েল দেশে ফিরে যাও। কারণ, যারা শিশুটির প্রাণ নিতে চাইছিল, তাদের মৃত্যু হয়েছে।”
21 ২১ তাতে তিনি উঠে শিশুটিকে ও তাঁর মাকে নিয়ে ইস্রায়েল দেশে এলেন।
তাই তিনি উঠে শিশুটি ও তাঁর মা মরিয়মকে নিয়ে ইস্রায়েল দেশে গেলেন।
22 ২২ কিন্তু যখন তিনি শুনতে পেলেন যে, আর্খিলায়ের বাবা হেরোদের পদে যিহূদিয়াতে রাজত্ব করছেন, তখন সেখান যেতে ভয় পেলেন; পরে স্বপ্নে আদেশ পেয়ে গালীল প্রদেশে চলে গেলেন,
কিন্তু যখন তিনি শুনলেন, আর্খিলায় তাঁর পিতা হেরোদের পদে যিহূদিয়ায় রাজত্ব করছেন, তিনি সেখানে যেতে ভয় পেলেন। তিনি স্বপ্নে এক সতর্কবাণী পেয়ে গালীল প্রদেশে চলে গেলেন।
23 ২৩ এবং নাসরৎ নামে শহরে গিয়ে বসবাস করলেন; যেন ভাববাদীর মাধ্যমে বলা এই কথা পূর্ণ হয় যে, তিনি নাসরতীয় বলে পরিচিত হবেন।
তিনি বসবাস করার জন্য নাসরৎ নামের এক নগরে গেলেন। এভাবেই ভাববাদীদের দ্বারা কথিত বাণী পূর্ণ হল, “তিনি নাসরতীয় বলে আখ্যাত হবেন।”

< মথি 2 >