< মথি 16 >

1 পরে ফরীশীরা ও সদ্দূকীরা তাঁর কাছে এসে পরীক্ষা করার জন্য, যীশুকে অনুরোধ করল, যেন তিনি তাদের আকাশ থেকে কোন চিহ্ন দেখান।
ফরিশী ও সদ্দূকীরা যীশুর কাছে এসে পরীক্ষা করার জন্য তাঁকে বলল যেন তিনি আকাশ থেকে তাদের কোনো চিহ্ন দেখান।
2 কিন্তু তিনি এর উত্তরে তাদের বললেন, “সন্ধ্যা হলে তোমরা বলে থাক, আজ আবহাওয়া ভাল থাকবে, কারণ আকাশ লাল হয়েছে।
তিনি উত্তর দিলেন, “যখন সন্ধ্যা আসে, তোমরা বলো, ‘আবহাওয়া মনোরম হবে, কারণ আকাশ লাল হয়েছে,’ আবার সকালবেলায় বলো,
3 আর সকালে বলে থাক, আজ ঝড় হবে, কারণ আকাশ লাল ও মেঘাচ্ছন্ন হয়ে আছে। তোমরা আকাশের ভাব বুঝতে পার, কিন্তু কালের চিহ্নের বিষয়ে বুঝতে পার না।
‘আজ ঝড় হবে, কারণ আকাশ লাল ও মেঘাচ্ছন্ন হয়েছে।’ তোমরা আকাশের অবস্থা দেখে আবহাওয়ার ব্যাখ্যা করতে পারো, কিন্তু সময়ের চিহ্ন ব্যাখ্যা করতে পারো না।
4 এই কালের দুষ্ট ও অবিশ্বস্ত লোকেরা চিহ্নের খোঁজ করে, কিন্তু যোনার চিহ্ন ছাড়া আর কোন চিহ্ন তাদের দেওয়া যাবে না।” তখন তিনি তাদের ছেড়ে চলে গেলেন।
এক দুষ্ট ও ব্যভিচারী প্রজন্ম অলৌকিক চিহ্ন খোঁজে কিন্তু যোনার চিহ্ন ছাড়া আর কিছুই তাদের দেওয়া হবে না।” তখন যীশু তাদের ছেড়ে চলে গেলেন।
5 শিষ্যেরা অন্য পাড়ে যাবার দিন রুটি নিতে ভুলে গিয়েছিলেন।
তারা যখন সাগরের অপর পারে গেলেন, শিষ্যেরা রুটি সঙ্গে নিতে ভুলে গিয়েছিলেন।
6 যীশু তাঁদের বললেন, তোমরা সতর্ক হও, ফরীশী ও সদ্দূকীদের তাড়ী (খামির) থেকে সাবধান থাক।
যীশু তাদের বললেন, “সতর্ক হও, ফরিশী ও সদ্দূকীদের খামির থেকে তোমরা সাবধান থেকো।”
7 তখন তাঁরা নিজেদের মধ্য তর্ক করে বলতে লাগলেন, আমরা রুটি আনিনি বলে তিনি এমন বলছেন।
তারা নিজেদের মধ্যে এ বিষয়ে আলোচনা করে বললেন, “আমরা রুটি আনিনি বলেই তিনি এরকম বলছেন।”
8 তা বুঝতে পেরে যীশু বললেন, “হে অল্প বিশ্বাসীরা, তোমাদের রুটি নেই বলে কেন নিজেদের মধ্য তর্ক করছ?
তাদের আলোচনা বুঝতে পেরে যীশু জিজ্ঞাসা করলেন, “অল্পবিশ্বাসী তোমরা, রুটি নেই বলে কেন নিজেদের মধ্যে বিতর্ক করছ?
9 তোমরা কি এখনও কিছু জানতে বা বুঝতে পারছ না, মনেও কি পড়ে না, সেই পাঁচ হাজার লোকের খাবার পাঁচটি রুটি দিয়ে, আর তোমরা কত ঝুড়ি তুলে নিয়েছিলে?
তোমরা কি এখনও বুঝতে পারোনি? তোমাদের কি পাঁচটি রুটি ও পাঁচ হাজার মানুষের কথা মনে পড়ে না, তখন কত ঝুড়ি উদ্বৃত্ত তোমরা তুলে নিয়েছিলে?
10 ১০ এবং সেই চার হাজার লোকের খাবার সাতটি রুটি, আর কত ঝুড়ি তুলে নিয়েছিলে?
কিংবা সেই সাতটি রুটি ও চার হাজার মানুষ, কত ঝুড়ি তোমরা সংগ্রহ করেছিলে?
11 ১১ তোমরা কেন বোঝ না যে, আমি তোমাদের রুটির বিষয়ে বলিনি? কিন্তু তোমরা ফরীশী ও সদ্দূকীদের খামির থেকে সাবধান থাক।”
আমি যে তোমাদের রুটির কথা বলিনি তা তোমরা বুঝতে পারোনি? তোমরা ফরিশী ও সদ্দূকীদের খামির থেকে সাবধান থেকো।”
12 ১২ তখন তাঁরা বুঝলেন, তিনি রুটির খামির থেকে নয়, কিন্তু ফরীশী ও সদ্দূকীদের শিক্ষা থেকে সাবধান থাকার কথা বললেন।
তখন তারা বুঝতে পারলেন যে, তিনি তাদের রুটিতে ব্যবহৃত খামির থেকে সতর্ক থাকতে বলেননি, কিন্তু ফরিশী ও সদ্দূকীদের দেওয়া শিক্ষা থেকে সতর্ক থাকতে বলেছেন।
13 ১৩ পরে যীশু কৈসরিয়ার ফিলিপীর অঞ্চলে গিয়ে তাঁর শিষ্যদের জিজ্ঞাসা করলেন, “মনুষ্যপুত্র কে, এ বিষয়ে লোকে কি বলে?”
যীশু যখন কৈসরিয়া-ফিলিপী অঞ্চলে এলেন, তিনি তাঁর শিষ্যদের জিজ্ঞাসা করলেন, “মনুষ্যপুত্র কে, এ সম্বন্ধে লোকে কী বলে?”
14 ১৪ তাঁরা বললেন, “কেউ কেউ বলে, আপনি বাপ্তিষ্মদাতা যোহন, কেউ কেউ বলে, আপনি এলিয়, আর কেউ কেউ বলে, আপনি যিরমিয় কিংবা ভাববাদীদের কোন একজন।”
তাঁরা উত্তর দিলেন, “কেউ কেউ বলে আপনি বাপ্তিষ্মদাতা যোহন; অন্যেরা বলে এলিয়; আর কেউ কেউ বলে, যিরমিয় বা ভাববাদীদের মধ্যে কোনও একজন।”
15 ১৫ তিনি তাঁদের বললেন, “কিন্তু তোমরা কি বল, আমি কে?”
“কিন্তু তোমরা কী বলো?” তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা কী বলো, আমি কে?”
16 ১৬ শিমোন পিতর এর উত্তর দিয়ে তাঁকে বললেন, “আপনি সেই খ্রীষ্ট, জীবন্ত ঈশ্বরের পুত্র।”
শিমোন পিতর উত্তর দিলেন, “আপনি সেই খ্রীষ্ট, জীবন্ত ঈশ্বরের পুত্র।”
17 ১৭ তখন যীশু উত্তরে তাঁকে বললেন, “যোনার পুত্র শিমোন, ধন্য তুমি! কারণ রক্ত ও মাংস তোমার কাছে এ বিষয় প্রকাশ করে নি, কিন্তু আমার স্বর্গস্থ পিতা প্রকাশ করেছেন।”
যীশু উত্তর দিলেন, “যোনার পুত্র শিমোন ধন্য তুমি, কারণ রক্তমাংসের কোনো মানুষ এ তোমার কাছে প্রকাশ করেনি, কিন্তু আমার স্বর্গস্থ পিতাই প্রকাশ করেছেন।
18 ১৮ আর আমিও তোমাকে বলছি, তুমি পিতর, আর এই পাথরের উপরে আমি আমার মণ্ডলী গাঁথব, আর নরকের (মৃত্যুর) কোন শক্তিই মণ্ডলীর বিরুদ্ধে জয়লাভ করতে পারবে না। (Hadēs g86)
আর আমি তোমাকে বলি, তুমি পিতর, আর আমি এই পাথরের উপরে আমার মণ্ডলী নির্মাণ করব। আর পাতালের দ্বারসকল এর বিপক্ষে জয়ী হতে পারবে না। (Hadēs g86)
19 ১৯ আমি তোমাকে স্বর্গরাজ্যের চাবিগুলি দেব, আর তুমি পৃথিবীতে যা কিছু বাঁধবে, তা স্বর্গে বাঁধা হবে এবং পৃথিবীতে যা কিছু খুলবে, তা স্বর্গে খোলা হবে।
আমি তোমাকে স্বর্গরাজ্যের চাবি দেব; তোমরা পৃথিবীতে যা আবদ্ধ করবে তা স্বর্গেও আবদ্ধ হবে এবং পৃথিবীতে যা কিছু মুক্ত করবে তা স্বর্গেও মুক্ত হবে।”
20 ২০ তখন তিনি শিষ্যদের এই আজ্ঞা দিলেন, আমি যে সেই খ্রীষ্ট, একথা কাউকে বল না।
তারপর তিনি তাঁর শিষ্যদের সতর্ক করে বলে দিলেন, তিনি যে খ্রীষ্ট একথা তাঁরা যেন কাউকে না বলেন।
21 ২১ সেই দিন থেকে যীশু তাঁর শিষ্যদের স্পষ্টই বললেন যে, “তাঁকে যিরুশালেমে যেতে হবে এবং প্রাচীনদের, প্রধান যাজকদের ও ব্যবস্থার শিক্ষকদের কাছ থেকে অনেক দুঃখ সহ্য করতে হবে ও মৃত্যুবরণ করতে হবে, আর তৃতীয় দিনের মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠতে হবে।”
সেই সময় থেকে যীশু তাঁর শিষ্যদের কাছে স্পষ্টরূপে বলতে লাগলেন যে, তাঁকে অবশ্যই জেরুশালেমে যেতে হবে। সেখানে তাঁকে বিভিন্ন বিষয়ে দুঃখভোগ করতে হবে; প্রাচীনবর্গ, মহাযাজকবৃন্দ ও শাস্ত্রবিদরা তাঁকে প্রত্যাখ্যান করবে। তাঁকে হত্যা করা হবে এবং তৃতীয় দিনে তাঁর পুনরুত্থান হবে।
22 ২২ তখন পিতর তাঁকে এক পাশে নিয়ে গিয়ে ধমক দিতে লাগলেন, বললেন, “প্রভু, এই সব আপনার থেকে দূরে থাকুক, এই সব আপনার প্রতি কখনও ঘটবে না।”
পিতর তাঁকে এক পাশে নিয়ে গিয়ে অনুযোগ করে বললেন, “প্রভু, তা নয়! এরকম আপনার প্রতি কখনও ঘটবে না!”
23 ২৩ কিন্তু তিনি মুখ ফিরিয়ে পিতরকে বললেন, “আমার সামনে থেকে দূর হও, শয়তান, তুমি আমার বাধা স্বরূপ, কারণ তুমি ঈশ্বরের কথা নয়, কিন্তু যা মানুষের কথা তাই তুমি ভাবছ।”
যীশু ফিরে পিতরকে বললেন, “দূর হও শয়তান! তুমি আমার কাছে এক বাধাস্বরূপ; তোমার মনে ঈশ্বরের বিষয়গুলি নেই কেবল মানুষের বিষয়গুলিই আছে।”
24 ২৪ তখন যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, “কেউ যদি আমাকে অনুসরণ করতে চায়, তবে সে নিজেকে অস্বীকার করুক, নিজের ক্রুশ তুলে নিক এবং আমাকে অনুসরণ করুক।
তারপর যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, “কেউ যদি আমাকে অনুসরণ করতে চায়, সে অবশ্যই নিজেকে অস্বীকার করবে, তার ক্রুশ তুলে নেবে ও আমাকে অনুসরণ করবে।
25 ২৫ যে কেউ তার প্রাণ রক্ষা করতে ইচ্ছা করে, সে তা হারাবে, আর যে কেউ আমার জন্য প্রাণ হারায়, সে তা পাবে।
কারণ যে কেউ তার প্রাণরক্ষা করতে চায় সে তা হারাবে, কিন্তু কেউ যদি আমার কারণে তার প্রাণ হারায় সে তা লাভ করবে।
26 ২৬ মানুষ যদি সমস্ত জগত লাভ করে নিজের প্রাণ হারায়, তবে তার কি লাভ হবে? কিম্বা মানুষ তার প্রাণের পরিবর্তে কি দিতে পারে?”
কেউ যদি সমস্ত জগতের অধিকার লাভ করে ও তার নিজের প্রাণ হারায়, তাহলে তার কী লাভ হবে? কিংবা কোনো মানুষ তার প্রাণের বিনিময়ে আর কী দিতে পারে?
27 ২৭ কারণ মনুষ্যপুত্র তাঁর দূতদের সঙ্গে, তাঁর পিতার প্রতাপে আসবেন, আর তখন প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার কাজ অনুযায়ী ফল দেবেন।
কারণ মনুষ্যপুত্র তাঁর দূতদের সঙ্গে নিয়ে নিজ পিতার মহিমায় ফিরে আসবেন, তখন তিনি প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার কাজ অনুসারে ফল দেবেন।
28 ২৮ আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যারা এখানে দাঁড়িয়ে আছে, তাদের মধ্যে এমন কয়েক জন আছে, যারা কোন মতে মৃত্যু দেখবে না, যে পর্যন্ত মনুষ্যপুত্রকে তাঁর রাজ্যে আসতে না দেখে।
“আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যারা এখানে দাঁড়িয়ে আছে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ, যতদিন না মনুষ্যপুত্রকে তাঁর রাজ্যে আসতে দেখবে ততদিন পর্যন্ত মৃত্যুর আস্বাদ পাবে না।”

< মথি 16 >