< মালাখি ভাববাদীর বই 3 >

1 “দেখ, আমি নিজের দূতকে পাঠাব, সে আমার আগে পথ তৈরী করবে। তোমরা যে প্রভুর খোঁজ করছো তিনি হঠাৎ নিজের মন্দিরে আসবেন; নিয়মের সেই দূত, যাতে তোমাদের আনন্দ, তিনি আসছেন।” এটা বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেছেন
“আমি আমার বার্তাবাহককে পাঠাব, যে আমার আগে পথ তৈরি করবে। তারপর, প্রভু, যাঁকে তোমরা খুঁজছ, হঠাৎ তিনি নিজের মন্দিরে আসবেন; যিনি নিয়মের দূত, যাঁকে তোমরা চাও, তিনি আসবেন,” সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু বলেন।
2 কিন্তু তাঁর আসবার দিন কে সহ্য করতে পারে? কে দাঁড়াতে পারে যখন তিনি প্রকাশিত হবেন? কারণ তিনি পরিশোধনের আগুনের মত অথবা ধোপার সাবানের মত।
কিন্তু তাঁর আসবার দিন কে সহ্য করতে পারবে? যখন তিনি আবির্ভূত হবেন কে তাঁর সামনে দাঁড়াবে? কারণ তিনি হবেন জ্বলন্ত আগুনের শিখার মতো যা ধাতুকে পরীক্ষাসিদ্ধ করে অথবা কড়া সাবানের মতো কাপড় পরিষ্কার করে।
3 তিনি পরিশোধক ও রূপাকে খাঁটি করার জন্য বিচারক হিসাবে আসনে বসবেন। তিনি লেবীর ছেলেদের শুচি করবেন এবং সোনা ও রূপার মত করে খাঁটি করবেন, তাতে তারা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে ধার্মিকতার মধ্যে উৎসর্গ করবে।
রুপোকে পরিশোধন ও পবিত্র করার মতো তিনি বসবেন; তিনি লেবীয়দের পবিত্র করবেন এবং তাদের সোনা ও রুপোর মতো পরিশোধন করবেন, যেন তারা পুনরায় সদাপ্রভুর কাছে গ্রহণযোগ্য নৈবেদ্য উৎসর্গ করতে পারে,
4 তখন যিহূদার ও যিরূশালেমের নৈবেদ্য সদাপ্রভুকে সন্তুষ্ট করবে। যেমন আগে করা হত ও আদিকালে করা হয়েছিল।
তখন যিহূদার ও জেরুশালেমের নৈবেদ্য সদাপ্রভুর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে, যেমন আগেকার সময়ে, পূর্ববর্তী বছরে তিনি গ্রহণ করতেন।
5 বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন, তখন আমি বিচার করবার জন্য তোমাদের কাছে আসব; সেই দিন যাদুকর, ব্যভিচারী, মিথ্যা সাক্ষীদের বিরুদ্ধে এবং যারা মজুরদের মজুরিতে ঠকায়, যারা বিধবা ও পিতৃহীনদের অত্যাচার করে আর বিদেশীদের ওপর অন্যায় করে, আমাকে যারা ভয় করে না, তাদের বিরুদ্ধে আমি খুব শীঘ্রই সাক্ষ্য দেব।
সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু বলেন, “তাই আমি তোমাদের বিচার করতে আসব। আর জাদুকর, ব্যভিচারী এবং মিথ্যাশপথকারী, যারা শ্রমিকদের বেতনে ঠকায় এবং বিধবা ও অনাথদের অত্যাচার করে, বিদেশিদের ন্যায় থেকে বঞ্চিত করে, অথচ আমাকে ভয় করে না, তাদের সকলের বিপক্ষে আমি দ্রুত সাক্ষী দেব।”
6 “কারণ আমি সদাপ্রভু, আমার কোনো পরিবর্তন নেই। সেজন্য যাকোবের বংশধরেরা, তোমরা ধ্বংস হও নি।”
“আমি সদাপ্রভু, আমার পরিবর্তন নেই। সেই কারণেই হে যাকোবের বংশধর, তোমরা ধ্বংস হওনি।
7 তোমাদের পূর্বপুরুষদের দিন থেকেই তোমরা আমার নিয়ম কানুন থেকে সরে গেছ সেগুলো পালন কর নি। আমার কাছে ফিরে এস, আর আমিও তোমাদের কাছে ফিরে আসব, বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন। “কিন্তু তোমরা বলছ, ‘আমরা কেমন করে ফিরে আসব?’
তোমাদের পূর্বপুরুষদের সময় থেকেই তোমরা আমার আদেশ থেকে বিপথে গিয়েছ এবং সেগুলি পালন করোনি। আমার কাছে ফিরে এসো এবং আমিও তোমাদের কাছে ফিরে যাব,” সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু বলেন। “কিন্তু তোমরা বলো, ‘আমরা কীভাবে ফিরব?’
8 মানুষ কি ঈশ্বরকে লুট করবে? কিন্তু তোমরা তো আমাকে লুট করে থাক। কিন্তু তোমরা বল, ‘কিভাবে আমরা তোমাকে লুট করেছি?’ দশমাংশ ও উপহারের বিষয়ে লুট করেছ।
“মরণশীল মানুষ কি কখনও ঈশ্বরকে ঠকাতে পারে? তবুও তোমরা আমাকে ঠকাও। “কিন্তু তোমরা জিজ্ঞাসা করো, ‘আমরা কীভাবে তোমাকে ঠকাচ্ছি?’ “দশমাংশে ও উপহারে।
9 তোমরা অভিশাপে শাপগ্রস্ত, তোমাদের সব জাতি আমাকে ঠকাচ্ছে।
তোমরা অভিশাপের মধ্যে আছ, তোমার সমস্ত জাতি, কারণ তোমরা আমাকে ঠকাচ্ছো
10 ১০ তোমরা তোমাদের সব দশমাংশ ভান্ডারে আন, যাতে আমার ঘরে খাবার থাকে। এই বিষয়ে তোমরা আমাকে পরীক্ষা করে দেখ,” বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন, “আমি আকাশের সব জানালা খুলে তোমাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত আশীর্বাদ ঢেলে দিই কি না।
তোমরা সমস্ত দশমাংশ আমার ভাণ্ডারে নিয়ে এসো যেন আমার গৃহে খাদ্য থাকে।” সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু বলেন, “এবং দেখো আমি স্বর্গের সব দরজা তোমাদের জন্য খুলে দিয়ে অনেক আশীর্বাদ ঢেলে দিই কি না যা ধরে রাখার জন্য যথেষ্ট জায়গা হবে না।
11 ১১ আমি গ্রাসকারীকে তিরস্কার করব, যাতে সেগুলো তোমাদের ফসল ধ্বংস করতে না পারে; তোমাদের ক্ষেতে আঙ্গুর লতার ফল দিনের র আগে ঝরে পড়বে না,” বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন।
সমস্ত কীটপতঙ্গদের হাত থেকে আমি তোমাদের ফসল রক্ষা করব এবং তোমার জমির আঙুরগাছের ফল পেকে ওঠার আগে ঝরে পরবে না,” সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু বলেন।
12 ১২ “সব জাতি তোমাদেরকে ধন্য বলবে, কারণ তোমাদের দেশ আনন্দদায়ক হবে,” বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন।
“তখন সব জাতি তোমাদের ধন্য বলবে, কারণ তোমাদের দেশ এক আনন্দময় দেশ হবে,” সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু বলেন।
13 ১৩ “তোমরা আমার বিরুদ্ধে কঠিন কথা বলেছ,” সদাপ্রভু বলেন “কিন্তু তোমরা বলছো, ‘আমরা তোমার বিরুদ্ধে কি বলেছি?’
“তোমরা আমার বিরুদ্ধে অহংকারের সাথে কথা বলেছ,” সদাপ্রভু বলেন। “তবুও তোমরা জিজ্ঞাসা করো, ‘আমরা তোমার বিরুদ্ধে কি বলেছি?’
14 ১৪ তোমরা বলেছ, ‘ঈশ্বরের সেবা করা বৃথা। তাঁর আইন-কানুন অনুসারে কাজ করাতে এবং শোক প্রকাশ করে বাহিনীগণের সদাপ্রভুর সামনে চলাফেরা করাতে আমাদের কি লাভ হল?
“তোমরা বলেছ, ‘ঈশ্বরের সেবা করা অর্থহীন। তাঁর আদেশ পালন করে কী লাভ হয় এবং সর্বশক্তিমান সদাপ্রভুর সাক্ষাতে শোকে যাওয়া-আসা করে আমাদের কী লাভ?
15 ১৫ এখন আমরা অহঙ্কারী লোকদের ধন্য বলছি; হ্যাঁ, দুষ্টলোকেরা শুধু উন্নতিই করছে না, তারা ঈশ্বরের পরীক্ষা করেও রক্ষা পাচ্ছে’।”
কিন্তু এখন আমরা অহংকারীকে ধন্য বলি। নিশ্চয়ই দুষ্ট আচরণকারী সমৃদ্ধিলাভ করে, এমনকি যখন তারা ঈশ্বরকে পরীক্ষায় ফেলে, তারা তা করেও রক্ষা পায়।’”
16 ১৬ তখন যারা সদাপ্রভুকে ভয় করত, তারা একে অন্যের সঙ্গে আলাপ করল এবং সদাপ্রভু মনোযোগ দিলেন ও তা শুনলেন। যারা সদাপ্রভুকে ভয় করত ও সম্মান করত, তাদের মনে করবার জন্য একটা বই লেখা হল।
তারপর যারা সদাপ্রভুকে ভয় করত তারা একে অপরের সাথে কথা বলল এবং সদাপ্রভু তাদের কথা মন দিয়ে শুনলেন। যারা সদাপ্রভুকে ভয় ও তাঁর নাম সম্মান করত, তাদের সম্মন্ধে স্মরণীয় পুঁথি তাঁর সামনে লেখা হল।
17 ১৭ বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন, “আমার অধিকারের সম্পদ,” আমার কাজ করার দিনের তারা আমার নিজের হবে; কোনো মানুষ যেমন নিজের সেবাকারী ছেলেকে মমতা করে, আমি তাদের তেমনি মমতা করবো।
“সেদিন যখন আমি আমার কাজ করব,” সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু বলেন, তারা আমার প্রিয় অধিকার হবে। আমি তাদের প্রতি ক্ষমাপরায়ণ হব, যেমন একজন বাবা তার সেবায় রত ছেলেকে করুণার চোখে দেখে এবং তার প্রতি ক্ষমাপরায়ণ হয়।
18 ১৮ এবং আবার তোমরা, ধার্মিক ও অধার্মিকদের মধ্যে এবং যে ঈশ্বরের সেবা করে ও যে তাঁর সেবা করে না তাদের মধ্যে পার্থক্য দেখতে পাবে।
আর তোমরা আবার ধার্মিক ও দুষ্টদের মধ্যে পার্থক্য দেখতে পাবে, যারা ঈশ্বরের সেবা করে ও যারা করে না তাদের মধ্যে পার্থক্য দেখতে পাবে।

< মালাখি ভাববাদীর বই 3 >