< লুক 9 >

1 পরে তিনি সেই বারো জনকে একসঙ্গে ডাকলেন ও তাঁদের সমস্ত ভূতের উপরে এবং রোগ ভালো করবার জন্য, শক্তি ও ক্ষমতা দিলেন;
ثُمَّ جَمَعَ يَسُوعُ الاِثْنَيْ عَشَرَ، وَمَنَحَهُمْ قُدْرَةً وَسُلْطَةً عَلَى جَمِيعِ الشَّيَاطِينِ وَعَلَى الأَمْرَاضِ لِشِفَائِهَا،١
2 ঈশ্বরের রাজ্য প্রচার করতে এবং সুস্থ করতে তাঁদের পাঠিয়ে দিলেন।
وَأَرْسَلَهُمْ لِيُبَشِّرُوا بِمَلَكُوتِ اللهِ وَيَشْفُوا.٢
3 আর তিনি তাঁদের বললেন, “রাস্তায় যাওয়ার দিন কিছুই সঙ্গে নিও না, লাঠি, থলে, খাবার, টাকা এমনকি দুটি জামাও নিও না।
وَقَالَ لَهُمْ: «لاَ تَحْمِلُوا لِلطَّرِيقِ شَيْئاً: لاَ عَصاً، وَلاَ زَاداً، وَلاَ خُبْزاً، وَلاَ مَالاً، وَلاَ يَحْمِلِ الْوَاحِدُ ثَوْبَيْنِ.٣
4 আর তোমরা যে কোনও বাড়িতে প্রবেশ কর, সেখানেই থেকো এবং সেখান থেকে চলে যেও না।
وَأَيَّ بَيْتٍ دَخَلْتُمْ فَهُنَاكَ أَقِيمُوا وَمِنْ هُنَاكَ ارْحَلُوا.٤
5 আর যে লোকেরা তোমাদের গ্রহণ না করে, সেই শহর থেকে চলে যাওয়ার দিনের তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যের জন্য তোমাদের পায়ের ধূলো ঝেড়ে ফেলো।”
وَإِنْ كَانَ أَحَدٌ لاَ يَقْبَلُكُمْ فِي مَدِينَةٍ مَا، فَاخْرُجُوا مِنْ هُنَاكَ، وَانْفُضُوا الْغُبَارَ عَنْ أَقْدَامِكُمْ، شَهَادَةً عَلَيْهِمْ».٥
6 পরে তাঁরা চলে গেলেন এবং চারিদিকে গ্রামে গ্রামে যেতে লাগলেন, সব জায়গায় সুসমাচার প্রচার এবং রোগ থেকে সুস্থ করতে লাগলেন।
فَانْطَلَقُوا يَجْتَازُونَ فِي الْقُرَى وَهُمْ يُبَشِّرُونَ وَيَشْفُونَ فِي كُلِّ مَكَانٍ.٦
7 আর, যা কিছু হচ্ছিল, হেরোদ রাজা সব কিছুই শুনতে পেলেন এবং তিনি বড় অস্থির হয়ে পড়লেন, কারণ কেউ কেউ বলত, যোহন মৃতদের মধ্য থেকে উঠেছেন;
وَسَمِعَ هِيرُودُسُ حَاكِمُ الرُّبْعِ بِكُلِّ مَا كَانَ يَجْرِي، فَتحَيَّرَ، لأَنَّ بَعْضاً كَانُوا يَقُولُونَ: «إِنَّ يُوحَنَّا قَامَ مِنْ بَيْنِ الأَمْوَاتِ!»٧
8 আবার অনেকে বলত, এলিয় দেখা দিয়েছেন এবং আরোও অন্যরা বলত, প্রাচীনকালের ভাববাদীদের মধ্য একজন বেঁচে উঠেছেন।
وَبَعْضاً يَقُولُونَ: «إِنَّ إِيلِيَّا ظَهَرَ!» وَآخَرِينَ: «إِنَّ وَاحِداً مِنَ الأَنْبِيَاءِ الْقُدَامَى قَامَ!»٨
9 আর হেরোদ বললেন, “যোহনের মাথা তো আমি কেটেছি কিন্তু ইনি কে, যাঁর বিষয়ে এমন কথা শুনতে পাচ্ছি?” আর তিনি তাঁকে দেখবার চেষ্টা করতে লাগলেন।
فَقَالَ هِيرُودُسُ: «يُوحَنَّا، أَنَا قَطَعْتُ رَأْسَهُ، وَلكِنْ مَنْ هُوَ هَذَا الَّذِي أَسْمَعُ عَنْهُ مِثْلَ هذِهِ الأُمُورِ؟» وَكَانَ يَرْغَبُ فِي أَنْ يَرَاهُ.٩
10 ১০ পরে প্রেরিতরা যা যা করেছিলেন, ফিরে এসে তার বৃত্তান্ত যীশুকে বললেন। আর তিনি তাদের সঙ্গে নিয়ে বৈৎসৈদা শহরের গেলেন।
وَبَعْدَمَا رَجَعَ الرُّسُلُ، أَخْبَرُوهُ بِجَمِيعِ مَا فَعَلُوا، فَأَخَذَهُمْ وَذَهَبَ بِهِمْ عَلَى انْفِرَادٍ إِلَى مَدِينَةٍ اسْمُهَا بَيْتُ صَيْدَا.١٠
11 ১১ কিন্তু লোকেরা তা জানতে পেরে তাঁর সঙ্গে সঙ্গে যেতে লাগল, আর তিনি তাদের স্বাগত জানিয়ে তাদের গ্রহণ করলেন এবং তাদের কাছে ঈশ্বরের রাজ্যের বিষয় কথা বললেন এবং যাদের সুস্থ হবার প্রয়োজন ছিল, তাদের সুস্থ করলেন।
وَلكِنَّ الْجُمُوعَ عَلِمُوا بِذَلِكَ فَلَحِقُوا بِهِ، فَاسْتَقْبَلَهُمْ وَحَدَّثَهُمْ عَنْ مَلَكُوتِ اللهِ، وَشَفَى مِنْهُمْ مَنْ كَانُوا مُحْتَاجِينَ إِلَى الشِّفَاءِ.١١
12 ১২ পরে বেলা শেষ হতে লাগল, আর সেই বারো জন কাছে এসে তাঁকে বললেন, “আপনি এই লোকদের বিদায় করুন, যেন তারা আশেপাশের গ্রামে গিয়ে রাতে থাকার জায়গা ও খাবার সংগ্রহ করে, কারণ আমরা এখানে নির্জন জায়গায় আছি।”
وَلَمَّا كَادَ النَّهَارُ يَنْقَضِي، تَقَدَّمَ إِلَيْهِ الاثْنَا عَشَرَ وَقَالُوا لَهُ: «اصْرِفِ الْجَمْعَ لِيَذْهَبُوا إِلَى الْقُرَى الْمُجَاوِرَةِ، وَإِلَى الْمَزَارِعِ، فَيَبِيتُوا هُنَاكَ وَيَجِدُوا طَعَاماً، لأَنَّنَا هُنَا فِي مَكَانٍ مُقْفِرٍ!»١٢
13 ১৩ কিন্তু তিনি তাঁদের বললেন, “তোমরাই এদের খাবার দাও।” তাঁরা তাঁকে বললেন, “আমাদের এখানে শুধুমাত্র পাঁচটি রুটি ও দুটো মাছ আছে। তবে কি আমরা গিয়ে এই সমস্ত লোকের জন্য খাবার কিনে আনতে পারব?”
فَقَالَ لَهُمْ: «أَعْطُوهُمْ أَنْتُمْ لِيَأْكُلُوا!» أَجَابُوا: «لَيْسَ عِنْدَنَا أَكْثَرُ مِنْ خَمْسَةِ أَرْغِفَةٍ وَسَمَكَتَيْنِ إِلاَّ إِذَا ذَهَبْنَا وَاشْتَرَيْنَا طَعَاماً لِهَذَا الشَّعْبِ كُلِّهِ».١٣
14 ১৪ কারণ সেখানে প্রায় পাঁচ হাজার পুরুষ ছিল। তখন তিনি নিজের শিষ্যদের বললেন, “পঞ্চাশ পঞ্চাশ জন করে সারিবদ্ধ ভাবে সবাইকে বসিয়ে দাও।”
فَقَدْ كَانُوا نَحْوَ خَمْسَةِ آلاَفِ رَجُلٍ. ثُمَّ قَالَ لِتَلاَمِيذِهِ: «أَجْلِسُوهُمْ فِي جَمَاعَاتٍ تَتَأَلَّفُ كُلٌّ مِنْهَا مِنْ خَمْسِينَ».١٤
15 ১৫ তাঁরা তেমনই করলেন, সবাইকে বসিয়ে দিলেন।
فَفَعَلُوا، وَأَجْلَسُوا الْجَمِيعَ.١٥
16 ১৬ পরে তিনি সেই পাঁচটি রুটি ও দুটি মাছ নিয়ে স্বর্গের দিকে তাকিয়ে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন এবং রুটি ভেঙে শিষ্যদের দিলেন লোকদের দেওয়ার জন্য।
فَأَخَذَ الأَرْغِفَةَ الْخَمْسَةَ وَالسَّمَكَتَيْنِ، وَرَفَعَ عَيْنَيْهِ نَحْوَ السَّمَاءِ، ثُمَّ بَارَكَهَا وَكَسَّرَهَا وَأَعْطَى التَّلاَمِيذَ لِيُقَدِّمُوا إِلَى الْجَمْعِ.١٦
17 ১৭ তাতে সবাই খেল এবং সন্তুষ্ট হল এবং শিষ্যরা অবশিষ্ট গুঁড়াগাঁড়া জড়ো করে পূর্ণ বারো ঝুড়ি তুলে নিলেন।
فَأَكَلَ الْجَمِيعُ وَشَبِعُوا. ثُمَّ رُفِعَ مِنَ الْكِسَرِ الْفَاضِلَةِ عَنْهُمُ اثْنَتَا عَشْرَةَ قُفَّةً.١٧
18 ১৮ একবার তিনি এক নির্জন জায়গায় প্রার্থনা করছিলেন, শিষ্যরাও তাঁর সঙ্গে ছিলেন; আর তিনি তাঁদের জিজ্ঞাসা করলেন, “আমি কে, এ বিষয়ে লোকেরা কি বলে?”
وَفِيمَا كَانَ يُصَلِّي عَلَى انْفِرَادٍ وَالتَّلاَمِيذُ مَعَهُ، سأَلَهُمْ: «مَنْ يَقُولُ الْجُمُوعُ إِنِّي أَنَا؟»١٨
19 ১৯ তাঁরা এর উত্তরে বললেন, “বাপ্তিষ্মদাতা যোহন; কিন্তু কেউ কেউ বলে, আপনি এলিয়, আবার কেউ কেউ বলে, প্রাচীন ভাববাদীদের মধ্যে একজন বেঁচে উঠেছে।”
فَأَجَابُوهُ: «يَقُولُ بَعْضُهُمْ إِنَّكَ يُوحَنَّا الْمَعْمَدَانُ، وَآخَرُونَ إِنَّكَ إِيِليَّا، وَآخَرُونَ إِنَّكَ وَاحِدٌ مِنَ الأَنْبِيَاءِ الْقُدَامَى وَقَدْ قَامَ!»١٩
20 ২০ তখন তিনি তাঁদের বললেন, কিন্তু তোমরা কি বল, আমি কে? পিতর বললেন, “ঈশ্বরের সেই খ্রীষ্ট।”
فَسَأَلَهُمْ: «وَأَنْتُمْ، مَنْ تَقُولُونَ إِنِّي أَنَا؟» فَأَجَابَهُ بُطْرُسُ: «أَنْتَ مَسِيحُ اللهِ!»٢٠
21 ২১ তখন তিনি তাঁদের কঠোরভাবে বারণ করলেন ও নির্দেশ দিলেন, “এই কথা কাউকে বল না,”
وَلكِنَّهُ حَذَّرَهُمْ، مُوْصِياً أَلاَّ يُخْبِرُوا أَحَداً بِذَلِكَ.٢١
22 ২২ তিনি বললেন, “মনুষ্যপুত্রকে অনেক দুঃখ সহ্য করতে হবে, প্রাচীনেরা, প্রধান যাজকেরা ও ব্যবস্থার শিক্ষকেরা আমাকে অগ্রাহ্য করবে এবং আমার মৃত্যু হবে আর তৃতীয় দিনের মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠব।”
وَقَالَ: «لاَبُدَّ أَنْ يَتَأَلَّمَ ابْنُ الإِنْسَانِ كَثِيراً وَيَرْفُضَهُ الشُّيُوخُ وَرُؤَسَاءُ الْكَهَنَةِ وَالْكَتَبَةُ، وَيُقْتَلَ، وَفِي الْيَوْمِ الثَّالِثِ يُقَامَ».٢٢
23 ২৩ আর তিনি সবাইকে বললেন, “কেউ যদি আমাকে অনুসরণ করতে চায়, তবে সে নিজেকে অস্বীকার করুক, প্রতিদিন নিজের ক্রুশ তুলে নিক এবং আমাকে অনুসরণ করুক।
ثُمَّ قَالَ لِلْجَمِيعِ: «إِنْ أَرَادَ أَحَدٌ أَنْ يَسِيرَ وَرَائِي، فَلْيُنْكِرْ نَفْسَهُ وَيَحْمِلْ صَلِيبهُ كُلَّ يَوْمِ وَيَتْبَعْنِي.٢٣
24 ২৪ কারণ যে কেউ নিজের প্রাণ রক্ষা করতে ইচ্ছা করে, সে তা হারাবে, কিন্তু যে কেউ আমার জন্য নিজের প্রাণ হারায়, সেই তা রক্ষা করবে।
فَأَيُّ مَنْ أَرَادَ أَنْ يُخَلِّصَ نَفْسَهُ، يَخْسَرُهَا؛ وَلكِنَّ مَنْ يَخْسَرُ نَفْسَهُ مَنْ أَجْلِي، فَهُوَ يُخَلِّصُهَا.٢٤
25 ২৫ কারণ মানুষ যদি সমস্ত জগত লাভ করে নিজেকে নষ্ট করে কিংবা হারায়, তবে তার লাভ কি হল?
فَمَاذَا يَنْتَفِعُ الإِنْسَانُ لَوْ رَبِحَ الْعَالَمَ كُلَّهُ وَخَسِرَ نَفْسَهُ أَوْ أَهْلَكَهَا؟٢٥
26 ২৬ কারণ যে কেউ আমাকেও আমার বাক্যকে লজ্জার বিষয় বলে মনে করে, মনুষ্যপুত্র যখন নিজের প্রতাপে এবং পিতার ও পবিত্র দূতদের প্রতাপে আসবেন, তখন তিনি তাকেও লজ্জার বিষয় বলে মনে করবেন।
فَإِنَّ مَنْ يَسْتَحِي بِي وَبِكَلاَمِي، فَبِهِ يَسْتَحِي ابْنُ الإِنْسَانِ لَدَى عَوْدَتِهِ فِي مَجْدِهِ وَمَجْدِ الآبِ وَالْمَلاَئِكَةِ الْمُقَدَّسِينَ.٢٦
27 ২৭ কিন্তু আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যারা এখানে দাঁড়িয়ে আছে, তাদের মধ্যে এমন কয়েকজন আছে, যারা, যে পর্যন্ত না ঈশ্বরের রাজ্য দেখবে, সেই পর্যন্ত তাদের কোনও মতে মৃত্যু হবে না।”
وَلكِنِّي أَقُولُ لَكُمْ بِحَقٍّ إِنَّ بَيْنَ الْوَاقِفِينَ هُنَا بَعْضاً لَنْ يَذُوقُوا الْمَوْتَ حَتَّى يَرَوْا مَلَكوتَ اللهِ».٢٧
28 ২৮ এসব কথা বলার পরে, অনুমান আট দিন গত হলে পর, তিনি পিতর, যোহন ও যাকোবকে সঙ্গে নিয়ে প্রার্থনা করার জন্য পর্বতে উঠলেন।
وَحَدَثَ بَعْدَ هَذَا الْكَلاَمِ بِثَمَانِيَةِ أَيَّامٍ تَقْرِيباً أَنْ أَخَذَ يَسُوعُ بُطْرُسَ وَيُوحَنَّا وَيَعْقُوبَ، وَصَعِدَ إِلَى جَبَلٍ لِيُصَلِّيَ.٢٨
29 ২৯ আর তিনি প্রার্থনা করছিলেন, এমন দিনের তাঁর মুখের দৃশ্য অন্য রকম হল এবং তাঁর পোশাক সাদা ও উজ্জ্বল হয়ে উঠল।
وَبَيْنَمَا هُوَ يُصَلِّي، تَجَلَّتْ هَيْئَةُ وَجْهِهِ وَصَارَتْ ثِيَابُهُ بَيْضَاءَ لَمَّاعَةً.٢٩
30 ৩০ আর দেখ, দুই জন পুরুষ মোশি ও এলিয় তাঁর সঙ্গে কথা বলছেন,
وَإِذَا رَجُلاَنِ يَتَحَدَّثَانِ مَعَهُ، هُمَا مُوسَى وَإِيلِيَّا،٣٠
31 ৩১ তাঁরা প্রতাপে দেখা দিলেন, তাঁর মৃত্যুর বিষয় কথা বলতে লাগলেন, যা তিনি যিরুশালেমে পূর্ণ করতে যাচ্ছেন।
وَقَدْ ظَهَرَا بِمَجْدٍ وَتَكَلَّمَا عَنْ رَحِيلِهِ الَّذِي كَانَ عَلَى وَشْكِ إِتْمَامِهِ فِي أُورُشَلِيمَ.٣١
32 ৩২ তখন পিতর ও তাঁর সঙ্গীরা ঘুমিয়ে পড়েছিলেন, কিন্তু জেগে উঠে তাঁর প্রতাপ এবং ঐ দুই ব্যক্তিকে দেখলেন, যাঁরা তাঁর সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
وَمَعَ أَنَّ بُطْرُسَ وَرَفِيقَيْهِ قَدْ غَالَبَهُمُ النَّوْمُ، فَإِنَّهُمْ حِينَ اسْتَيْقَظُوا تَمَاماً، شَاهَدُوا مَجْدَهُ وَالرَّجُلَيْنِ الْوَاقِفَيْنِ مَعَهُ.٣٢
33 ৩৩ পরে তাঁরা যীশুর কাছ থেকে চলে যাচ্ছেন, এমন দিনের পিতর যীশুকে বললেন, “প্রভু, এখানে আমাদের থাকা ভালো, আমরা তিনটি কুটির বানাই, একটি আপনার জন্য, একটি মোশির জন্য, আর একটি এলিয়ের জন্য,” কিন্তু তিনি কি বললেন, তা বুঝলেন না।
وَفِيمَا كَانَا يُفَارِقَانِهِ، قَالَ بُطْرُسُ لِيَسُوعَ: «يَامُعَلِّمُ، مَا أَحْسَنَ أَنْ نَبْقَى هُنَا! فَلْنَنْصُبْ ثَلاَثَ خِيَامٍ: وَاحِدَةً لَكَ، وَوَاحِدَةً لِمُوسَى، وَوَاحِدَةً لإِيلِيَّا» وَهُوَ لاَ يَدْرِي مَا يَقُولُ.٣٣
34 ৩৪ তিনি এই কথা বলছিলেন, এমন দিনের একটা মেঘ এসে তাঁদের ছায়া করল, তাতে তাঁরা সেই মেঘে প্রবেশ করলেও, তাঁরা ভয় পেলেন।
وَلكِنَّهُ فِيمَا كَانَ يَقُولُ ذلِكَ، جَاءَتْ سَحَابَةٌ فَخَيَّمَتْ عَلَيْهِمْ، فَخَافَ التَّلامِيذُ عِنْدَمَا طَوَّقَتْهُمُ السَّحَابَةُ،٣٤
35 ৩৫ আর সেই মেঘ থেকে এই বাণী হল, “ইনিই আমার প্রিয় পুত্র, আমার মনোনীত, তাঁর কথা শোন।”
وَانْطَلَقَ صَوْتٌ مِنَ السَّحَابَةِ يَقُولُ: «هَذَا هُوَ ابْنِي الَّذِي اخْتَرْتُهُ. لَهُ اسْمَعُوا!»٣٥
36 ৩৬ এই বাণী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একা যীশুকে দেখা গেল। আর তাঁরা চুপ করে থাকলেন, যা যা দেখেছিলেন তার কিছুই সেই দিনের কাউকেই জানালেন না।
وَفِيمَا انْطَلَقَ الصَّوْتُ، وُجِدَ يَسُوعُ وَحْدَهُ. وَقَدْ كَتَمُوا الْخَبَرَ فَلَمْ يُخْبِرُوا أَحَداً فِي تِلْكَ الأَيَّامِ بِأَيِّ شَيْءٍ مِمَّا رَأَوْهُ.٣٦
37 ৩৭ পরের দিন তাঁরা সেই পাহাড় থেকে নেমে আসলে অনেক লোক তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করল।
وَفِي الْيَوْمِ التَّالِي، لَمَّا نَزَلُوا مِنَ الْجَبَلِ، لاَقَاهُ جَمْعٌ عَظِيمٌ.٣٧
38 ৩৮ আর দেখ, ভিড়ের মধ্য থেকে এক ব্যক্তি চিত্কার করে বললেন, “হে গুরু, অনুরোধ করি, আমার ছেলেকে দেখুন, কারণ এ আমার একমাত্র সন্তান।
وَإِذَا فِي الْجَمْعِ رَجُلٌ نَادَى قَائِلاً: «يَامُعَلِّمُ، أَتَوَسَّلُ إِلَيْكَ أَنْ تَنْظُرَ إِلَى ابْنِي، فَإِنَّهُ وَلَدِي الْوَحِيدُ.٣٨
39 ৩৯ আর দেখুন, একটা ভূত একে আক্রমণ করে, আর এ হঠাৎ চেঁচিয়ে উঠে এবং সে একে মুচড়িয়ে ধরে, তাতে এর মুখ দিয়ে ফেনা বের হয়, আর সে একে ক্ষতবিক্ষত করে কষ্ট দেয়।
وَهَا إِنَّ رُوحاً يَتَمَلَّكُهُ، فَيَصْرُخُ فَجْأَةً، وَيَصْرَعُهُ الرُّوحُ فَيُزْبِدُ، وَبِالْجَهْدِ يُفَارِقُهُ بَعْدَ أَنْ يُرَضِّضَهُ.٣٩
40 ৪০ আর আমি আপনার শিষ্যদের অনুরোধ করেছিলাম, যেন তাঁরা এটাকে ছাড়ান কিন্তু তাঁরা পারলেন না।”
وَقَدِ الْتَمَسْتُ مِنْ تَلاَمِيذِكَ أَنْ يَطْرُدُوهُ، فَلَمْ يَقْدِرُوا».٤٠
41 ৪১ তখন যীশু এর উত্তরে বললেন, হে অবিশ্বাসী ও বিপথগামী বংশ, কত কাল আমি তোমাদের কাছে থাকব ও তোমাদের ওপর ধৈর্য্য রাখব?
فَأَجَابَ يَسُوعُ قَائِلاً: «أَيُّهَا الْجِيلُ غَيْرُ الْمُؤْمِنِ وَالْمُنْحَرِفُ! إِلَى مَتَى أَبْقَى مَعَكُمْ وَأَحْتَمِلُكُمْ؟» (وَقَالَ لِلرَّجُلِ): «أَحْضِرِ ابْنَكَ إِلَى هُنَا!»٤١
42 ৪২ তোমার ছেলেকে এখানে আন। সে আসছে, এমন দিনের ঐ ভূত তাকে ফেলে দিল ও ভয়ানক মুচড়িয়ে ধরল। কিন্তু যীশু সেই মন্দ আত্মাকে ধমক দিলেন, ছেলেটাকে সুস্থ করলেন ও তার বাবার কাছে তাকে ফিরিয়ে দিলেন।
وَفِيمَا الْوَلَدُ آتٍ، صَرَعَهُ الشَّيْطَانُ وَخَبَطَهُ بِعُنْفٍ. فَزَجَرَ يَسُوعُ الرُّوحَ النَّجِسَ، وَشَفَى الْوَلَدَ وَسَلَّمَهُ إِلَى أَبِيهِ.٤٢
43 ৪৩ তখন সবাই ঈশ্বরের মহিমায় খুবই আশ্চর্য্য হল। আর তিনি যে সমস্ত কাজ করছিলেন, তাতে সমস্ত লোক আশ্চর্য্য হল এবং তিনি তাঁর শিষ্যদের বললেন,
فَذُهِلَ الْجَمِيعُ مِنْ عَظَمَةِ اللهِ. وَبَيْنَمَا كَانَ الْجَمِيعُ يَتَعَجَّبُونَ مِنْ كُلِّ مَا عَمِلَهُ يَسُوعُ، قَالَ لِتَلاَمِيذِهِ:٤٣
44 ৪৪ “তোমরা এই কথা ভাল করে শোন, কারণ খুব তাড়াতাড়ি মনুষ্যপুত্র লোকদের হাতে সমর্পিত হবেন।”
«لِتَدْخُلْ هذِهِ الْكَلِمَاتُ آذَانَكُمْ: إِنَّ ابْنَ الإِنْسَانِ عَلَى وَشْكِ أَنْ يُسَلَّمَ إِلَى أَيْدِي النَّاسِ!»٤٤
45 ৪৫ কিন্তু তাঁরা এই কথা বুঝলেন না এবং এটা তাঁদের থেকে গোপন থাকল, যাতে তাঁরা বুঝতে না পারেন এবং তাঁর কাছে এই কথার বিষয় জিজ্ঞাসা করতে তাঁদের ভয় হল।
إِلاَّ أَنَّهُمْ لَمْ يَفْهَمُوا هَذَا الْقَوْلَ، وَقَدْ أُغْلِقَ عَلَيْهِمْ فَلَمْ يُدْرِكُوهُ، وَخَافُوا أَنْ يَسْأَلُوهُ عَنْهُ.٤٥
46 ৪৬ আর তাঁদের মধ্যে কে শ্রেষ্ঠ, এই তর্ক তাঁদের মধ্যে শুরু হল।
وَحَدَثَ بَيْنَهُمْ جِدَالٌ حَوْلَ مَنْ هُوَ الأَعْظَمُ فِيهِمْ.٤٦
47 ৪৭ তখন যীশু তাঁদের হৃদয়ের তর্ক জানতে পেরে একটি শিশুকে নিয়ে তাঁর পাশে দাঁড় করালেন,
فَإِذْ عَلِمَ يَسُوعُ نِيَّاتِ قُلُوبِهِمْ، أَخَذَ وَلَداً صَغِيراً وَأَوْقَفَهُ بِجَانِبِهِ،٤٧
48 ৪৮ এবং তাঁদের বললেন, “যে কেউ আমার নামে এই শিশুটিকে গ্রহণ করে, সে আমাকেই গ্রহণ করে এবং যে কেউ আমাকে গ্রহণ করে সে তাঁকেই গ্রহণ করে, যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, কারণ তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সবথেকে ছোট সবার থেকে সেই মহান।”
وَقَالَ لَهُمْ: «أَيُّ مَنْ قَبِلَ بِاسْمِي هَذَا الْوَلَدَ الصَّغِيرَ، فَقَدْ قَبِلَنِي؛ وَمَنْ قَبِلَنِي، يَقْبَلُ الَّذِي أَرْسَلَنِي. فَإِنَّ مَنْ كَانَ الأَصْغَرَ بَيْنَكُمْ جَمِيعاً، فَهُوَ الْعَظِيمُ».٤٨
49 ৪৯ পরে যোহন বললেন, “নাথ, আমরা এক ব্যক্তিকে আপনার নামে ভূত ছাড়াতে দেখেছিলাম, আর তাকে বারণ করছিলাম, কারণ সে আমাদের অনুসরণ করে না।”
وَتَكَلَّمَ يُوحَنَّا فَقَالَ: «يَاسَيِّدُ، رَأَيْنَا وَاحِداً يَطْرُدُ الشَّيَاطِينَ بِاسْمِكَ، فَمَنَعْنَاهُ لأَنَّهُ لاَ يَتْبَعُكَ مَعَنَا».٤٩
50 ৫০ কিন্তু যীশু তাঁকে বললেন, “বারণ করো না, কারণ যে তোমাদের বিরুদ্ধে নয়, সে তোমাদেরই পক্ষে।”
فَقَالَ لَهُ يَسُوعُ: «لاَ تَمْنَعُوهُ: لأَنَّ مَنْ لَيْسَ ضِدَّكُمْ، فَهُوَ مَعَكُمْ!»٥٠
51 ৫১ আর যখন তাঁর স্বর্গে যাওয়ার দিন প্রায় কাছে এল, তখন তিনি নিজের ইচ্ছায় যিরুশালেমে যাওয়ার জন্য তৈরি হলেন।
وَلَمَّا تَمَّتِ الأَيَّامُ لارْتِفَاعِهِ، صَمَّمَ بِعَزْمٍ عَلَى الْمُضِيِّ إِلَى أُورُشَلِيمَ.٥١
52 ৫২ তিনি তাঁর দূতদের তাঁর আগে পাঠালেন আর তাঁরা গিয়ে শমরীয়দের কোন গ্রামে প্রবেশ করলেন, যাতে তাঁর জন্য আয়োজন করতে পারেন।
فَأَرْسَلَ قُدَّامَهُ بَعْضَ الرُّسُلِ. فَذَهَبُوا وَدَخَلُوا قَرْيَةً لِلسَّامِرِيِّينَ، لِيُعِدُّوا لَهُ (مَنْزِلاً فِيهَا).٥٢
53 ৫৩ কিন্তু লোকেরা তাঁকে গ্রহণ করল না, কারণ তিনি যিরুশালেম যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
وَلكِنَّهُمْ رَفَضُوا اسْتِقْبَالَهُ لأَنَّهُ كَانَ مُتَّجِهاً صَوْبَ أُورُشَلِيمَ.٥٣
54 ৫৪ তা দেখে তাঁর শিষ্য যাকোব ও যোহন বললেন, “প্রভু, আপনি কি চান যে, এলিয় যেমন করেছিলেন, তেমনি আমরা বলি, স্বর্গ থেকে আগুন নেমে এসে এদের ভস্ম করে ফেলুক?”
فَلَمَّا رَأَى ذلِكَ تِلْمِيذَاهُ يَعْقُوبُ وَيُوحَنَّا، قَالاَ: «يَارَبُّ، أَتُرِيدُ أَنْ نَأْمُرَ بِأَنْ تَنْزِلَ النَّارُ مِنَ السَّمَاءِ وَتَلْتَهِمَهُمْ؟»٥٤
55 ৫৫ কিন্তু তিনি মুখ ফিরিয়ে তাঁদের ধমক দিলেন, আর বললেন, “তোমরা কেমন আত্মার লোক, তা জান না।”
فَالْتَفَتَ إِلَيْهِمَا وَوَبَّخَهُمَا قَائِلاً: «لاَ تَعْلَمَانِ مَنْ أَيِّ رُوحٍ أَنْتُمَا،٥٥
56 ৫৬ কারণ মনুষ্যপুত্র লোকেদের প্রাণনাশ করতে আসেননি, কিন্তু রক্ষা করতে এসেছেন। পরে তাঁরা অন্য গ্রামে চলে গেলেন।
لأَنَّ ابْنَ الإِنْسَانِ أَتَى لاَ لِيُهْلِكَ نُفُوسَ الَّنَاسِ، بَلْ لِيُخَلِّصَهَا.» ثُمَّ ذَهَبُوا إِلَى قَرْيَةٍ أُخْرَى.٥٦
57 ৫৭ তাঁরা যখন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন, এমন দিনের এক ব্যক্তি তাঁকে বলল, আপনি যে কোন জায়গায় যাবেন, আমি আপনার সঙ্গে যাব।
وَبَيْنَمَا كَانُوا سَائِرِينَ فِي الطَّرِيقِ، قَالَ لَهُ أَحَدُ النَّاسِ: «يَاسَيِّدُ، سَأَتْبَعُكَ أَيْنَمَا تَذْهَبُ!»٥٧
58 ৫৮ যীশু তাকে বললেন, “শিয়ালদের গর্ত আছে এবং আকাশের পাখিদের বাসা আছে, কিন্তু মনুষ্যপুত্রের মাথা রাখার কোন জায়গা নেই।”
فَقَالَ لَهُ يَسُوعُ: «لِلثَّعَالِبِ أَوْجَارٌ، وَلِطُيُورِ السَّمَاءِ أَوْكَارٌ؛ وَأَمَّا ابْنُ الإِنْسَانِ فَلَيْسَ لَهُ مَكَانٌ يُسْنِدُ إِلَيْهِ رَأْسَهُ».٥٨
59 ৫৯ আর এক জনকে তিনি বললেন, “আমাকে অনুসরণ কর।” কিন্তু সে বলল, “প্রভু, আগে আমার বাবাকে কবর দিয়ে আসতে অনুমতি দিন।”
وَقَالَ لِغَيْرِهِ: «اتْبَعْنِي!» وَلكِنَّ هَذَا قَالَ: «يَاسَيِّدُ، اسْمَحْ لِي أَنْ أَذْهَبَ أَوَّلاً وَأَدْفِنَ أَبِي!»٥٩
60 ৬০ তিনি তাকে বললেন, “মৃতরাই নিজের নিজের মৃতদের কবর দিক, কিন্তু তুমি গিয়ে ঈশ্বরের রাজ্য সব জায়গায় প্রচার কর।”
فَقَالَ لَهُ يَسُوعُ: «دَعِ الْمَوْتَى يَدْفِنُونَ مَوْتَاهُمْ، وَأَمَّا أَنْتَ فَاذْهَبْ وَبَشِّرْ بِمَلَكُوتِ اللهِ».٦٠
61 ৬১ আর একজন বলল, “প্রভু, আমি আপনাকে অনুসরণ করব, কিন্তু আগে নিজের বাড়ির লোকদের কাছে বিদায় নিয়ে আসতে অনুমতি দিন।”
وَقَالَ لَهُ آخَرُ: «يَاسَيِّدُ، سَأَتْبَعُكَ، وَلكِنِ اسْمَحْ لِي أَوَّلاً أَنْ أُوَدِّعَ أَهْلَ بَيْتِي!»٦١
62 ৬২ কিন্তু যীশু তাকে বললেন, “যে ব্যক্তি লাঙ্গলে হাত দিয়ে পিছনে ফিরে চায়, সে ঈশ্বরের রাজ্যের উপযোগী নয়।”
فَقَالَ لَهُ يَسُوعُ: «مَا مِنْ أَحَدٍ يَضَعُ يَدَهُ عَلَى الْمِحْرَاثِ وَيَلْتَفِتُ إِلَى الْوَرَاءِ، يَصْلُحُ لِمَلَكُوتِ اللهِ».٦٢

< লুক 9 >