লুক 20
1 ১ এক দিন যীশু মন্দিরে লোকদের উপদেশ দিচ্ছেন ও সুসমাচার প্রচার করছেন, এর মধ্যে প্রধান যাজকেরা ও ব্যবস্থার শিক্ষকরা প্রাচীনদের সঙ্গে এসে উপস্থিত হলো এবং তাকে বলল, আমাদের বলো তুমি কোন ক্ষমতায় এই সব করছ?
Now it happened on one of those days, as He was teaching and evangelizing the people in the temple, that the priests and scribes came to Him with the elders
and addressed Him, saying, “Tell us by what authority you are doing these things; or who is he who gave you this authority?”
But in answer He said to them: “I also will ask you one thing; yes, tell me:
the baptism of John—was it from heaven or from men?”
5 ৫ তখন তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বলল, “যদি বলি স্বর্গ থেকে, তাহলে এ আমাদেরকে বলবে, তবে তোমরা তাঁকে বিশ্বাস কর নি কেন?”
So they reasoned among themselves, saying: “If we say, ‘From heaven,’ he will say, ‘Why did you not believe him?’
6 ৬ আর যদি বলি, “মানুষের থেকে, তবে লোকেরা সবাই আমাদের পাথর মারবে; কারণ তাদের ধারণা হয়েছে যে, যোহন ভাববাদী ছিলেন।”
But if we say, ‘From men,’ all the people will stone us, for they are persuaded that John was a prophet.”
So they answered that they did not know where it was from.
And Jesus said to them, “Neither will I tell you by what authority I do these things.”
9 ৯ পরে তিনি লোকদের এই গল্পকথা বলতে লাগলেন; কোনো ব্যক্তি আঙ্গুরের বাগান করেছিলেন, পরে তা কৃষকদের কাছে জমা দিয়ে অনেক দিনের র জন্য অন্য দেশে চলে গেলেন।
Then He began to tell the people this parable: “A man planted a vineyard, leased it to farmers, and went away on a long journey.
10 ১০ পরে চাষিদের কাছে আঙুর খেতের ফলের ভাগ নেবার জন্য, ফল পাকার সঠিক দিনের এক চাকরকে তাদের কাছে পাঠিয়ে দিলেন; কিন্তু কৃষকেরা তার চাকরকে মারধর করে খালি হাতে পাঠিয়ে দিল।
At the proper time he sent a slave to the farmers, that they might give him some of the fruit of the vineyard. But the farmers flogged him and sent him away empty-handed.
Again he sent a different slave; so they flogged him also, treated him shamefully, and sent him away empty-handed.
And again he sent a third; but they wounded him also and threw him out.
13 ১৩ তখন আঙ্গুর ক্ষেতের কর্তা বললেন, আমি কি করব? আমার প্রিয় ছেলেকে পাঠাব; হয়তো তারা তাকে সম্মান করবে;
Then the owner of the vineyard said: ‘What shall I do? I will send my beloved son; hopefully they will respect him when they see him.’
14 ১৪ কিন্তু কৃষকেরা তাঁকে দেখে নিজেদের মধ্যে বলাবলি করতে লাগল, এই ব্যক্তিই উত্তরাধিকারী; এস, আমরা একে মেরে ফেলি, যেন উত্তরাধিকার আমাদেরই হয়।
But when the farmers saw him, they reasoned among themselves, saying: ‘This is the heir. Come, let's kill him, so that the inheritance may become ours.’
So they threw him out of the vineyard and killed him. What therefore will the owner of the vineyard do to them?
16 ১৬ এরপর সেই আঙুর খেতের মালিক তাদের কি করবেন? তিনি এসে সেই চাষিদের মেরে ফেলবেন এবং খেত অন্য চাষিদের কাছে দেবেন। এই কথা শুনে তারা বলল, ঈশ্বর এমন না করুক।
He will come and destroy those farmers and give the vineyard to others.” Having heard it they said, “May it never be!”
17 ১৭ কিন্তু তিনি তাদের দিকে তাকিয়ে বললেন, তবে যা লেখা আছে তার অর্থ কি, “যে পাথরটিকে গাঁথকেরা অগ্রাহ্য করেছে, তাকেই ঘরের কোনের প্রধান পাথর করা হয়েছে?”
Then He looked directly at them and said: “What then is this that is written: ‘A stone that the builders rejected, the same became the cornerstone’?
18 ১৮ সেই পাথরের উপরে যারা পড়বে, সে ভেঙে যাবে; কিন্তু সেই পাথর যার উপরে পড়বে, তাকে চুরমার করে ফেলবে।
Everyone who falls on that stone will be broken to pieces, but on whomever it should fall—it will crush him!”
19 ১৯ সেই দিনে ব্যবস্থার শিক্ষকরা ও প্রধান যাজকেরা তার উপরে হস্তক্ষেপ করতে চেষ্টা করল; আর তারা লোকদের ভয় করল; কারণ তারা বুঝেছিল যে, তিনি তাদেরই বিষয়ে সেই গল্প বলেছিলেন।
The chief priests and the scribes wanted to lay hands on Him right then, but they were afraid —they knew He had spoken this parable against them.
20 ২০ তখন তারা তার উপরে নজর রেখে, এমন কয়েক জন গুপ্তচর পাঠিয়ে দিল, যারা ছদ্মবেশী ধার্মিক সাজবে, যেন তার কথা ধরে তাকে রাজ্যপালের কর্তৃত্ব ও কর্তৃপক্ষের কাছে সমর্পণ করতে পারে।
Keeping a close watch on Him, they sent spies, who pretended to be innocent, so that they might latch on to something He said, so as to hand Him over to the power and the authority of the governor.
21 ২১ তারা তাঁকে জিজ্ঞাসা করল, হে গুরু, আমরা জানি, আপনি সঠিক কথা বলেন ও সঠিক শিক্ষা দেন, কারোর পক্ষপাতিত্ব করে কথা বলেন না, কিন্তু সত্যভাবে ঈশ্বরের পথের বিষয়ে শিক্ষা দিচ্ছেন।
So they questioned Him, saying: “Teacher, we know that you speak and teach what is right, and you do not show favoritism but teach the way of God in truth.
Is it lawful for us to pay taxes to Caesar, or not?”
But He perceived their craftiness and said to them: “Why are you testing me?
Show me a denarius—whose image and inscription does it have?” In answer they said, “Caesar's.”
25 ২৫ তারা বলল, কৈসরের, তখন তিনি তাদের বললেন, তবে যা যা কৈসরের, কৈসরকে দাও, আর যা ঈশ্বরের, ঈশ্বরকে দাও।
So He said to them, “Then render to Caesar the things that are Caesar's, and to God the things that are God's.”
26 ২৬ এতে তারা লোকদের সামনে তাঁর কথার কোনো ত্রুটি ধরতে পারল না, বরং তাঁর উত্তরে আশ্চর্য্য বোধ করতে লাগল।
They were unable to latch on to His word in front of the people; and marveling at His answer they kept silent.
27 ২৭ আর সদ্দূকীদের যারা প্রতিবাদ করে বলে, পুনরুত্থান নেই, তাদের কয়েক জন কাছে এসে তাকে জিজ্ঞাসা করল,
Then some of the Sadducees, who deny that there is a resurrection, approached and questioned Him,
28 ২৮ “হে গুরু, মোশি আমাদের জন্য লিখেছেন, কারোর ভাই যদি স্ত্রীকে রেখে মারা যায়, আর তার সন্তান না থাকে, তবে তার ভাই সেই স্ত্রীকে বিয়ে করে নিজের ভাইয়ের বংশ রক্ষা করবে।”
saying: “Teacher, Moses wrote to us that if a man's married brother dies childless, then his brother should take the widow and produce offspring for his brother.
29 ২৯ ভালো, কোনো একটি পরিবারে সাতটি ভাই ছিল; প্রথম জন একটি স্ত্রীকে বিয়ে করল, আর সে সন্তান না রেখে মারা গেল।
Now there were seven brothers: the first took a wife and died childless;
then the second took the widow and he died childless;
then the third took her, in fact all seven in sequence—they all died childless.
Finally, last of all, the woman died also.
33 ৩৩ অতএব মৃত্যু থেকে জীবিত হওয়ার দিন ঐ সাত জনের মধ্যে সে কার স্ত্রী হবে? তারা সাতজনই তো তাকে বিয়ে করেছিল।
Therefore, in the resurrection, whose wife will she be, since all seven had her?”
So in answer Jesus said to them: “The people of this age marry and are given in marriage; (aiōn g165)
35 ৩৫ কিন্তু যারা সেই জগতের এবং মৃতদের মধ্যে থেকে পুনরুত্থানের অধিকারী হবার যোগ্য বলে গণ্য হয়েছে, তারা না বিয়ে করবে, না তাদের বিয়ে দেওয়া হবে। (aiōn g165)
but those who are considered worthy to attain to that age, to the resurrection from among the dead, neither marry nor are given in marriage. (aiōn g165)
Because they cannot die anymore, being like angels—they are sons of God, being sons of the resurrection.
37 ৩৭ আবার মৃতেরা যে উত্থাপিত হয়, এটা মোশিও ঝোপের বৃত্তান্তে দেখিয়েছেন; কারণ তিনি প্রভুকে অব্রাহামের ঈশ্বর, ইসহাকের ঈশ্বরও যাকোবের ঈশ্বর বলেন।
But that the dead are raised, Moses indeed revealed about the Bush when he recorded: ‘The Lord, the God of Abraham and the God of Isaac and the God of Jacob.’
So He is not the God of the dead, but of the living—to Him all are alive.”
Then some of the scribes answered and said, “Teacher, you spoke well.”
And they no longer dared to question Him further.
Then He said to them: “How is it that they say that the Messiah is David's Son?
Why David himself affirms in the book of Psalms, ‘The Lord said to my Lord: sit at my right hand
until I make your enemies a footstool for your feet.’
Since David calls Him ‘Lord’, how then is He his Son?”
Then, in the hearing of the people, He said to His disciples:
46 ৪৬ “ব্যবস্থার শিক্ষকদের থেকে সাবধান, তারা লম্বা লম্বা কাপড় পরে বেড়াতে চায় এবং হাটে বাজারে লোকদের শুভেচ্ছা জানায়, সমাজঘরে প্রধান প্রধান আসন এবং ভোজে প্রধান প্রধান জায়গা ভালবাসে;
“Beware of the scribes, who like to walk around in long robes, and love greetings in the marketplaces, and the best seats in the synagogues, and the best places at feasts;
47 ৪৭ এই সব লোকেরা বিধবাদের সব বাড়ি দখল করে, আর ছলনা করে বড় বড় প্রার্থনা করে, এই সব লোকেরা বিচারে অনেক বেশি শাস্তি পাবে।”
who ‘devour’ widows' houses, and for a show make long prayers. These will receive more severe judgment.”
