< লুক 12 >

1 এর মধ্যে হাজার হাজার লোক সমবেত হয়ে একজন অন্যের উপর পড়তে লাগল, তখন তিনি তাঁর শিষ্যদের বলতে লাগলেন, “তোমরা ফরীশীদের খামির থেকে সাবধান থাক, তা ভণ্ডামি।
Ἐν οἷς ἐπισυναχθεισῶν τῶν μυριάδων τοῦ ὄχλου, ὥστε καταπατεῖν ἀλλήλους, ἤρξατο λέγειν πρὸς τοὺς μαθητὰς αὐτοῦ πρῶτον, Προσέχετε ἑαυτοῖς ἀπὸ τῆς ζύμης τῶν Φαρισαίων, ἥτις ἐστὶν ὑπόκρισις.
2 কিন্তু কারণ এমন ঢাকা কিছুই নেই, যা প্রকাশ পাবে না এবং এমন গোপন কিছুই নেই, যা জানা যাবে না।
Οὐδὲν δὲ συγκεκαλυμμένον ἐστὶν ὃ οὐκ ἀποκαλυφθήσεται, καὶ κρυπτὸν ὃ οὐ γνωσθήσεται.
3 অতএব তোমরা অন্ধকারে যা কিছু বলেছ, তা আলোতে শোনা যাবে এবং কোনো গোপন জায়গায় কানে কানে যা বলেছ, তা ছাদের উপরে প্রচারিত হবে।
Ἀνθ᾽ ὧν ὅσα ἐν τῇ σκοτίᾳ εἴπατε, ἐν τῷ φωτὶ ἀκουσθήσεται· καὶ ὃ πρὸς τὸ οὖς ἐλαλήσατε ἐν τοῖς ταμείοις, κηρυχθήσεται ἐπὶ τῶν δωμάτων.
4 আর, হে আমার বন্ধুরা, আমি তোমাদের বলছি, যারা শরীর বধ করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারে না, তাদের ভয় কর না।
Λέγω δὲ ὑμῖν τοῖς φίλοις μου, Μὴ φοβηθῆτε ἀπὸ τῶν ἀποκτενόντων τὸ σῶμα, καὶ μετὰ ταῦτα μὴ ἐχόντων περισσότερόν τι ποιῆσαι.
5 তবে কাকে ভয় করবে, তা বলে দিই, বধ করে নরকে ফেলার যাঁর ক্ষমতা আছে, তাকেই ভয় কর। (Geenna g1067)
Ὑποδείξω δὲ ὑμῖν τίνα φοβηθῆτε· φοβήθητε τὸν μετὰ τὸ ἀποκτεῖναι ἐξουσίαν ἔχοντα ἐμβαλεῖν εἰς τὴν γέενναν· ναί, λέγω ὑμῖν, τοῦτον φοβήθητε. (Geenna g1067)
6 পাঁচটি চড়াই পাখী কি দুই পয়সায় বিক্রি হয় না? আর তাদের মধ্যে একটিও ঈশ্বরের দৃষ্টির আড়ালে থাকে না।
Οὐχὶ πέντε στρουθία πωλεῖται ἀσσαρίων δύο; Καὶ ἓν ἐξ αὐτῶν οὐκ ἔστιν ἐπιλελησμένον ἐνώπιον τοῦ Θεοῦ.
7 এমনকি, তোমাদের মাথার চুলগুলিও সব গোনা আছে। ভয় কর না, তোমরা অনেক চড়াই পাখীর থেকেও শ্রেষ্ঠ।”
Ἀλλὰ καὶ αἱ τρίχες τῆς κεφαλῆς ὑμῶν πᾶσαι ἠρίθμηνται. Μὴ οὖν φοβεῖσθε· πολλῶν στρουθίων διαφέρετε.
8 আর আমি তোমাদের বলছি, “যে কেউ লোকদের সামনে আমাকে স্বীকার করে, মনুষ্যপুত্রও ঈশ্বরের দূতদের সামনে তাকে স্বীকার করবেন;
Λέγω δὲ ὑμῖν, Πᾶς ὃς ἂν ὁμολογήσῃ ἐν ἐμοὶ ἔμπροσθεν τῶν ἀνθρώπων, καὶ ὁ υἱὸς τοῦ ἀνθρώπου ὁμολογήσει ἐν αὐτῷ ἔμπροσθεν τῶν ἀγγέλων τοῦ Θεοῦ·
9 কিন্তু যে কেউ মানুষদের সামনে আমাকে অস্বীকার করে, ঈশ্বরের দূতদের সামনে তাকে অস্বীকার করা হবে।
ὁ δὲ ἀρνησάμενός με ἐνώπιον τῶν ἀνθρώπων ἀπαρνηθήσεται ἐνώπιον τῶν ἀγγέλων τοῦ Θεοῦ.
10 ১০ আর যে কেউ মনুষ্যপুত্রের বিরুদ্ধে কোন কথা বলে, সে ক্ষমা পাবে, কিন্তু যে কেউ ঈশ্বরনিন্দা করে, সে ক্ষমা পাবে না।
Καὶ πᾶς ὃς ἐρεῖ λόγον εἰς τὸν υἱὸν τοῦ ἀνθρώπου, ἀφεθήσεται αὐτῷ· τῷ δὲ εἰς τὸ Ἅγιον Πνεῦμα βλασφημήσαντι οὐκ ἀφεθήσεται.
11 ১১ আর লোকে যখন তোমাদের সমাজঘরে এবং কর্তৃপক্ষ ও তত্ত্বাবধায়কের কাছে নিয়ে যাবে, তখন কীভাবে কি উত্তর দেবে, অথবা কি বলবে, সে বিষয়ে চিন্তা করো না,
Ὅταν δὲ προσφέρωσιν ὑμᾶς ἐπὶ τὰς συναγωγὰς καὶ τὰς ἀρχὰς καὶ τὰς ἐξουσίας, μὴ μεριμνᾶτε πῶς ἢ τί ἀπολογήσησθε, ἢ τί εἴπητε·
12 ১২ কারণ কি বলা উচিত, তা পবিত্র আত্মা সেই দিনের তোমাদের শিক্ষা দেবেন।”
τὸ γὰρ Ἅγιον Πνεῦμα διδάξει ὑμᾶς ἐν αὐτῇ τῇ ὥρᾳ, ἃ δεῖ εἰπεῖν.
13 ১৩ পরে লোকেদের মধ্য থেকে এক ব্যক্তি তাঁকে বলল, “হে গুরু, আমার ভাইকে বলুন, যেন আমার সঙ্গে পৈতৃক সম্পত্তি ভাগ করে।”
Εἶπε δέ τις αὐτῷ ἐκ τοῦ ὄχλου, Διδάσκαλε, εἰπὲ τῷ ἀδελφῷ μου μερίσασθαι μετ᾽ ἐμοῦ τὴν κληρονομίαν.
14 ১৪ কিন্তু তিনি তাকে বললেন, “তোমাদের উপরে বিচারকর্ত্তা বা বিভাগ কর্তা করে আমাকে কে নিযুক্ত করেছে?”
Ὁ δὲ εἶπεν αὐτῷ, Ἄνθρωπε, τίς με κατέστησε δικαστὴν ἢ μεριστὴν ἐφ᾽ ὑμᾶς;
15 ১৫ পরে তিনি তাদের বললেন, “সাবধান, সমস্ত লোভ থেকে নিজেদের রক্ষা কর, কারণ মানুষের ধন সম্পত্তি অধিক হলেও তা তার জীবন হয় না।”
Εἶπε δὲ πρὸς αὐτούς, Ὁρᾶτε καὶ φυλάσσεσθε ἀπὸ τῆς πλεονεξίας· ὅτι οὐκ ἐν τῷ περισσεύειν τινὶ ἡ ζωὴ αὐτῷ ἐστιν ἐκ τῶν ὑπαρχόντων αὐτοῦ.
16 ১৬ আর তিনি তাদের এই গল্প বললেন, “একজন ধনীর জমিতে অনেক শস্য উৎপন্ন হয়েছিল।
Εἶπε δὲ παραβολὴν πρὸς αὐτούς, λέγων, Ἀνθρώπου τινὸς πλουσίου εὐφόρησεν ἡ χώρα·
17 ১৭ তাতে সে, মনে মনে চিন্তা করতে লাগল, কি করি? আমার তো শস্য রাখার জায়গা নেই।”
καὶ διελογίζετο ἐν ἑαυτῷ λέγων, Τί ποιήσω, ὅτι οὐκ ἔχω ποῦ συνάξω τοὺς καρπούς μου;
18 ১৮ পরে বলল, “আমি এমন করব, আমার গোলাঘরগুলো ভেঙে বড় বড় গোলাঘর তৈরি করব এবং তার মধ্যে আমার সমস্ত শস্য ও আমার অন্য জিনিস রাখব।
Καὶ εἶπε, Τοῦτο ποιήσω· καθελῶ μου τὰς ἀποθήκας, καὶ μείζονας οἰκοδομήσω, καὶ συνάξω ἐκεῖ πάντα τὰ γενήματά μου καὶ τὰ ἀγαθά μου.
19 ১৯ আর নিজের প্রাণকে বলব, প্রাণ, অনেক বছরের জন্য, তোমার জন্য অনেক জিনিস সঞ্চিত আছে, বিশ্রাম কর, খাও, পান কর ও আনন্দে মেতে থাক।”
Καὶ ἐρῶ τῇ ψυχῇ μου, Ψυχή, ἔχεις πολλὰ ἀγαθὰ κείμενα εἰς ἔτη πολλά· ἀναπαύου, φάγε, πίε, εὐφραίνου.
20 ২০ কিন্তু ঈশ্বর তাকে বললেন, “হে নির্বোধ, আজ রাতেই তোমার প্রাণ তোমার কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হবে, তবে তুমি এই যে আয়োজন করলে, এসব কার হবে?
Εἶπε δὲ αὐτῷ ὁ Θεός, Ἄφρον, ταύτῃ τῇ νυκτὶ τὴν ψυχήν σου ἀπαιτοῦσιν ἀπὸ σοῦ· ἃ δὲ ἡτοίμασας, τίνι ἔσται;
21 ২১ যে কেউ নিজের জন্য ধন সঞ্চয় করে সে ঈশ্বরের কাছে ধনবান নয়, তার অবস্থা এমনই হয়।”
Οὕτως ὁ θησαυρίζων ἑαυτῷ, καὶ μὴ εἰς Θεὸν πλουτῶν.
22 ২২ পরে তিনি তাঁর শিষ্যদের বললেন, “এই জন্য আমি তোমাদের বলছি, কি খাবার খাব বলে প্রাণের বিষয়ে, কিংবা কি পরব বলে শরীরের বিষয়ে ভেবো না।”
Εἶπε δὲ πρὸς τοὺς μαθητὰς αὐτοῦ, Διὰ τοῦτο ὑμῖν λέγω, μὴ μεριμνᾶτε τῇ ψυχῇ ὑμῶν, τί φάγητε· μηδὲ τῷ σώματι, τί ἐνδύσησθε.
23 ২৩ কারণ খাদ্য থেকে প্রাণ ও পোশাকের থেকে শরীর বড় বিষয়।
Ἡ ψυχὴ πλεῖόν ἐστι τῆς τροφῆς, καὶ τὸ σῶμα τοῦ ἐνδύματος.
24 ২৪ কাকদের বিষয় চিন্তা কর, তারা বোনেও না, কাটেও না, তাদের ভান্ডারও নেই, গোলাঘরও নেই, কিন্তু ঈশ্বর তাদেরও খাবার দিয়ে থাকেন। আর পাখিদের থেকেও তোমরা কত বেশি শ্রেষ্ঠ!
Κατανοήσατε τοὺς κόρακας, ὅτι οὐ σπείρουσιν, οὐδὲ θερίζουσιν, οἷς οὐκ ἔστι ταμεῖον οὐδὲ ἀποθήκη, καὶ ὁ Θεὸς τρέφει αὐτούς· πόσῳ μᾶλλον ὑμεῖς διαφέρετε τῶν πετεινῶν;
25 ২৫ আর তোমাদের মধ্যে কে চিন্তা করে নিজের বয়স এক হাত বড় করতে পারে?
Τίς δὲ ἐξ ὑμῶν μεριμνῶν δύναται προσθεῖναι ἐπὶ τὴν ἡλικίαν αὐτοῦ πῆχυν ἕνα;
26 ২৬ অতএব তোমরা এত ছোট কাজও যদি করতে না পার, তবে অন্য অন্য বিষয়ে কেন চিন্তিত হও?
Εἰ οὖν οὔτε ἐλάχιστον δύνασθε, τί περὶ τῶν λοιπῶν μεριμνᾶτε;
27 ২৭ লিলি ফুলের বিষয়ে চিন্তা কর, সেগুলি কেমন বাড়ে, সেগুলি কোন পরিশ্রম করে না, সুতোও কাটে না, কিন্তু আমি তোমাদেরকে বলছি, শলোমনও তাঁর সমস্ত ঐশ্বর্য্যও এদের একটির মতোও নিজেকে সাজাতে পারেননি।
Κατανοήσατε τὰ κρίνα πῶς αὐξάνει· οὐ κοπιᾷ, οὐδὲ νήθει· λέγω δὲ ὑμῖν, οὐδὲ Σολομὼν ἐν πάσῃ τῇ δόξῃ αὐτοῦ περιεβάλετο ὡς ἓν τούτων.
28 ২৮ ভাল, মাঠের যে ঘাস আজ আছে তা কাল আগুনে ফেলে দেওয়া হবে, তা যদি ঈশ্বর এমন সুন্দর করে সাজিয়েছেন, তবে হে অল্প বিশ্বাসীরা, তোমাদের কত বেশি করে নিশ্চয় সাজাবেন!
Εἰ δὲ τὸν χόρτον ἐν τῷ ἀγρῷ σήμερον ὄντα, καὶ αὔριον εἰς κλίβανον βαλλόμενον, ὁ Θεὸς οὕτως ἀμφιέννυσι, πόσῳ μᾶλλον ὑμᾶς, ὀλιγόπιστοι;
29 ২৯ আর, কি খাবে, কি পান করবে, এ বিষয়ে তোমরা ভেবো না এবং চিন্তা কর না,
Καὶ ὑμεῖς μὴ ζητεῖτε τί φάγητε, ἢ τί πίητε· καὶ μὴ μετεωρίζεσθε.
30 ৩০ কারণ জগতের অইহূদিরা এসব জিনিস পাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়, কিন্তু তোমাদের পিতা ঈশ্বর জানেন যে, এই সমস্ত জিনিস তোমাদের প্রয়োজন আছে।
Ταῦτα γὰρ πάντα τὰ ἔθνη τοῦ κόσμου ἐπιζητεῖ· ὑμῶν δὲ ὁ πατὴρ οἶδεν ὅτι χρῄζετε τούτων.
31 ৩১ তোমরা বরং তার রাজ্যর বিষয়ে চিন্তিত হও, তাহলে এই সব তোমাদের দেওয়া হবে।
Πλὴν ζητεῖτε τὴν βασιλείαν τοῦ Θεοῦ, καὶ ταῦτα πάντα προστεθήσεται ὑμῖν.
32 ৩২ হে ছোট্ট মেষপাল, ভয় করো না, কারণ তোমাদের সেই রাজ্য দিতে তোমাদের পিতা ঈশ্বর পরিকল্পনা করেছেন।
Μὴ φοβοῦ, τὸ μικρὸν ποίμνιον· ὅτι εὐδόκησεν ὁ πατὴρ ὑμῶν δοῦναι ὑμῖν τὴν βασιλείαν.
33 ৩৩ তোমাদের যা আছে, বিক্রি করে দান কর। নিজেদের জন্য এমন থলি তৈরি কর, যা কখনো পুরনো হবে না, স্বর্গে এমন ধন সঞ্চয় কর যা কখনো শেষ হবে না, যেখানে চোর আসে না,
Πωλήσατε τὰ ὑπάρχοντα ὑμῶν καὶ δότε ἐλεημοσύνην. Ποιήσατε ἑαυτοῖς βαλάντια μὴ παλαιούμενα, θησαυρὸν ἀνέκλειπτον ἐν τοῖς οὐρανοῖς, ὅπου κλέπτης οὐκ ἐγγίζει, οὐδὲ σὴς διαφθείρει·
34 ৩৪ এবং পোকা নষ্ট করে না, কারণ যেখানে তোমার ধন, সেখানে তোমার মনও থাকবে।
ὅπου γάρ ἐστιν ὁ θησαυρὸς ὑμῶν, ἐκεῖ καὶ ἡ καρδία ὑμῶν ἔσται.
35 ৩৫ তোমাদের কোমর বেঁধে রাখ ও প্রদীপ জ্বেলে রাখ।
Ἔστωσαν ὑμῶν αἱ ὀσφύες περιεζωσμέναι, καὶ οἱ λύχνοι καιόμενοι·
36 ৩৬ তোমরা এমন লোকের মতো হও, যারা তাদের প্রভুর অপেক্ষায় থাকে যে, তিনি বিয়ের ভোজ থেকে কখন ফিরে আসবেন, যেন তিনি এসে দরজায় আঘাত করলে তারা তখনই তাঁর জন্য দরজা খুলে দিতে পারে।
καὶ ὑμεῖς ὅμοιοι ἀνθρώποις προσδεχομένοις τὸν κύριον ἑαυτῶν, πότε ἀναλύσῃ ἐκ τῶν γάμων, ἵνα, ἐλθόντος καὶ κρούσαντος, εὐθέως ἀνοίξωσιν αὐτῷ.
37 ৩৭ যাদেরকে প্রভু এসে জেগে থাকতে দেখবেন, সেই দাসেরা ধন্য। আমি তোমাদেরকে সত্য বলছি, তিনি কোমর বেঁধে তাদেরকে খেতে বসাবেন এবং কাছে এসে তাদের সেবা করবেন।
Μακάριοι οἱ δοῦλοι ἐκεῖνοι, οὓς ἐλθὼν ὁ κύριος εὑρήσει γρηγοροῦντας· ἀμὴν λέγω ὑμῖν ὅτι περιζώσεται καὶ ἀνακλινεῖ αὐτούς, καὶ παρελθὼν διακονήσει αὐτοῖς.
38 ৩৮ যদি মাঝ রাতে কিংবা যদি শেষ রাতে এসে প্রভু তেমনই দেখেন, তবে দাসেরা ধন্য!
Καὶ ἐὰν ἔλθῃ ἐν τῇ δευτέρᾳ φυλακῇ, καὶ ἐν τῇ τρίτῃ φυλακῇ ἔλθῃ, καὶ εὕρῃ οὕτω, μακάριοί εἰσιν οἱ δοῦλοι ἐκεῖνοι.
39 ৩৯ কিন্তু এটা জেনে রাখো চোর কোন মুহূর্তে আসবে, তা যদি বাড়ির মালিক জানত, তবে সে জেগে থাকত, নিজের বাড়িতে সিঁধ কাটতে দিত না।
Τοῦτο δὲ γινώσκετε, ὅτι εἰ ᾔδει ὁ οἰκοδεσπότης ποίᾳ ὥρᾳ ὁ κλέπτης ἔρχεται, ἐγρηγόρησεν ἄν, καὶ οὐκ ἂν ἀφῆκε διορυγῆναι τὸν οἶκον αὐτοῦ.
40 ৪০ তোমরাও প্রস্তুত থাক, কারণ যে দিন তোমরা মনে করবে তিনি আসবেন না, সেই দিনই মনুষ্যপুত্র আসবেন।
Καὶ ὑμεῖς οὖν γίνεσθε ἕτοιμοι· ὅτι ᾗ ὥρᾳ οὐ δοκεῖτε ὁ υἱὸς τοῦ ἀνθρώπου ἔρχεται.
41 ৪১ তখন পিতর বললেন, “প্রভু, আপনি কি আমাদের, না সবাইকে এই গল্প বলছেন?”
Εἶπε δὲ αὐτῷ ὁ Πέτρος, Κύριε, πρὸς ἡμᾶς τὴν παραβολὴν ταύτην λέγεις, ἢ καὶ πρὸς πάντας;
42 ৪২ প্রভু বললেন, “সেই বিশ্বস্ত ও বুদ্ধিমান গৃহকর্তা কে, যাকে তার প্রভু তাঁর অন্য দাসদের উপরে নিযুক্ত করবেন, যেন সে তাদের উপযুক্ত দিনের খাবারের নিরূপিত অংশ দেয়?”
Εἶπε δὲ ὁ Κύριος, Τίς ἄρα ἐστὶν ὁ πιστὸς οἰκονόμος καὶ φρόνιμος, ὃν καταστήσει ὁ κύριος ἐπὶ τῆς θεραπείας αὐτοῦ, τοῦ διδόναι ἐν καιρῷ τὸ σιτομέτριον;
43 ৪৩ ধন্য সেই দাস, যাকে তার প্রভু এসে তেমন করতে দেখবেন।
Μακάριος ὁ δοῦλος ἐκεῖνος, ὃν ἐλθὼν ὁ κύριος αὐτοῦ εὑρήσει ποιοῦντα οὕτως.
44 ৪৪ আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তিনি তাকে তাঁর সব কিছুর উপরে নিযুক্ত করবেন।
Ἀληθῶς λέγω ὑμῖν ὅτι ἐπὶ πᾶσι τοῖς ὑπάρχουσιν αὐτοῦ καταστήσει αὐτόν.
45 ৪৫ কিন্তু সেই দাস যদি মনে মনে বলে, আমার প্রভুর আসতে দেরি হবে এবং সে দাস দাসীদেরকে মারধর করে, ভোজন ও পান করতে এবং মাতাল হতে আরম্ভ করে,
Ἐὰν δὲ εἴπῃ ὁ δοῦλος ἐκεῖνος ἐν τῇ καρδίᾳ αὐτοῦ, Χρονίζει ὁ κύριός μου ἔρχεσθαι, καὶ ἄρξηται τύπτειν τοὺς παῖδας καὶ τὰς παιδίσκας, ἐσθίειν τε καὶ πίνειν καὶ μεθύσκεσθαι·
46 ৪৬ তবে যে দিন সে অপেক্ষা করবে না এবং যে মুহূর্তের আশা সে করবে না, সেই দিন ও সেই মুহূর্তে সেই দাসের প্রভু আসবেন, আর তাকে দুই খন্ড করে ভণ্ডদের মধ্যে তার স্থান ঠিক করবেন।
ἥξει ὁ κύριος τοῦ δούλου ἐκείνου ἐν ἡμέρᾳ ᾗ οὐ προσδοκᾷ, καὶ ἐν ὥρᾳ ᾗ οὐ γινώσκει, καὶ διχοτομήσει αὐτόν, καὶ τὸ μέρος αὐτοῦ μετὰ τῶν ἀπίστων θήσει.
47 ৪৭ আর সেই দাস, যে তার প্রভুর ইচ্ছা জেনেও তৈরি হয়নি, ও তাঁর ইচ্ছা মতো কাজ করে নি, সে অনেক শাস্তি পাবে।
Ἐκεῖνος δὲ ὁ δοῦλος ὁ γνοὺς τὸ θέλημα τοῦ κυρίου ἑαυτοῦ, καὶ μὴ ἑτοιμάσας μηδὲ ποιήσας πρὸς τὸ θέλημα αὐτοῦ, δαρήσεται πολλάς·
48 ৪৮ কিন্তু যে না জেনে শাস্তির কাজ করেছে, সে অল্প শাস্তি পাবে। আর যে কোন ব্যক্তিকে বেশি দেওয়া হয়েছে, তার কাছে বেশি দাবী করা হবে এবং লোকে যার কাছে বেশি রেখেছে, তার কাছে বেশি চাইবে।
ὁ δὲ μὴ γνούς, ποιήσας δὲ ἄξια πληγῶν, δαρήσεται ὀλίγας. Παντὶ δὲ ᾧ ἐδόθη πολύ, πολὺ ζητηθήσεται παρ᾽ αὐτοῦ· καὶ ᾧ παρέθεντο πολύ, περισσότερον αἰτήσουσιν αὐτόν.
49 ৪৯ আমি পৃথিবীতে আগুন নিক্ষেপ করতে এসেছি, আর এখন যদি তা প্রজ্বলিত হয়ে থাকে, তবে আর কি চাই?
Πῦρ ἦλθον βαλεῖν εἰς τὴν γῆν, καὶ τί θέλω εἰ ἤδη ἀνήφθη;
50 ৫০ কিন্তু আমাকে এক বাপ্তিষ্মের বাপ্তিষ্ম নিতে হবে, আর তা যতক্ষণ সিদ্ধ না হয়, ততক্ষণ আমি কতই না হয়রান হচ্ছি।
Βάπτισμα δὲ ἔχω βαπτισθῆναι, καὶ πῶς συνέχομαι ἕως οὗ τελεσθῇ.
51 ৫১ তোমরা কি মনে করছ, আমি পৃথিবীতে শান্তি দিতে এসেছি? তোমাদেরকে বলছি, তা নয়, বরং বিভেদ।
Δοκεῖτε ὅτι εἰρήνην παρεγενόμην δοῦναι ἐν τῇ γῇ; Οὐχί, λέγω ὑμῖν, ἀλλ᾽ ἢ διαμερισμόν.
52 ৫২ কারণ এখন থেকে এক বাড়িতে পাঁচ জন আলাদা হবে, তিনজন দুইজনের বিরুদ্ধে ও দুই জন তিন জনের বিরুদ্ধে,
Ἔσονται γὰρ ἀπὸ τοῦ νῦν πέντε ἐν οἴκῳ ἑνὶ διαμεμερισμένοι, τρεῖς ἐπὶ δυσί, καὶ δύο ἐπὶ τρισί.
53 ৫৩ বাবা ছেলের বিরুদ্ধে এবং ছেলে বাবার বিরুদ্ধে, মায়ের সাথে মেয়ের এবং মেয়ের সাথে মায়ের, শাশুড়ীর সাথে বৌমার এবং বৌয়ের সাথে শাশুড়ির বিচ্ছেদ সৃষ্টি করতে এসেছি।
Διαμερισθήσεται πατὴρ ἐπὶ υἱῷ, καὶ υἱὸς ἐπὶ πατρί· μήτηρ ἐπὶ θυγατρί, καὶ θυγάτηρ ἐπὶ μητρί· πενθερὰ ἐπὶ τὴν νύμφην αὐτῆς, καὶ νύμφη ἐπὶ τὴν πενθερὰν αὐτῆς.
54 ৫৪ আর তিনি লোকদের বললেন, তোমরা যখন পশ্চিমদিকে মেঘ উঠতে দেখ, তখন বল যে বৃষ্টি আসছে, আর তেমনই ঘটে।
Ἔλεγε δὲ καὶ τοῖς ὄχλοις, Ὅταν ἴδητε τὴν νεφέλην ἀνατέλλουσαν ἀπὸ δυσμῶν, εὐθέως λέγετε, Ὄμβρος ἔρχεται· καὶ γίνεται οὕτω.
55 ৫৫ আর যখন দক্ষিণ বাতাস বইতে দেখ, তখন বল আজ খুব গরম পড়বে এবং তাই ঘটে।
Καὶ ὅταν νότον πνέοντα, λέγετε ὅτι Καύσων ἔσται· καὶ γίνεται.
56 ৫৬ ভণ্ডরা, তোমরা পৃথিবীর ও আকাশের ভাব দেখে বিচার করতে পার, কিন্তু এই বর্তমান দিনের অবস্থা বুঝতে পার না, এ কেমন?
Ὑποκριταί, τὸ πρόσωπον τῆς γῆς καὶ τοῦ οὐρανοῦ οἴδατε δοκιμάζειν· τὸν δὲ καιρὸν τοῦτον πῶς οὐ δοκιμάζετε;
57 ৫৭ আর সত্য কি, তা নিজেরাই কেন বিচার কর না?
Τί δὲ καὶ ἀφ᾽ ἑαυτῶν οὐ κρίνετε τὸ δίκαιον;
58 ৫৮ যখন বিপক্ষের সঙ্গে বিচারকের কাছে যাও, রাস্তায় তার সঙ্গে মিটমাট করে নাও, না হলে যদি সে তোমাকে বিচারকের কাছে টেনে নিয়ে যায়, আর বিচারক তোমাকে সৈন্যদের হাতে সমর্পণ করবে এবং সৈন্য তোমাকে জেলখানায় নিয়ে যাবে।
Ὡς γὰρ ὑπάγεις μετὰ τοῦ ἀντιδίκου σου ἐπ᾽ ἄρχοντα, ἐν τῇ ὁδῷ δὸς ἐργασίαν ἀπηλλάχθαι ἀπ᾽ αὐτοῦ· μήποτε κατασύρῃ σε πρὸς τὸν κριτήν, καὶ ὁ κριτής σε παραδῷ τῷ πράκτορι, καὶ ὁ πράκτωρ σε βάλῃ εἰς φυλακήν.
59 ৫৯ আমি তোমাকে বলছি, “যে পর্যন্ত না তুমি শেষ পয়সাটা শোধ করবে, সেই পর্যন্ত তুমি কোন মতেই সেখান থেকে বের হয়ে আসতে পারবে না।”
Λέγω σοι, οὐ μὴ ἐξέλθῃς ἐκεῖθεν, ἕως οὗ καὶ τὸν ἔσχατον λεπτὸν ἀποδῷς.

< লুক 12 >