< লুক 11 >

1 একদিনের তিনি কোন স্থানে প্রার্থনা করছিলেন, যখন প্রার্থনা শেষ করলেন, তাঁর শিষ্যদের মধ্যে একজন তাঁকে বললেন, “প্রভু, আমাদের প্রার্থনা করার শিক্ষা দিন, যেমন যোহনও নিজের শিষ্যদের শিক্ষা দিয়েছিলেন।”
وَكَانَ يُصَلِّي فِي أَحَدِ الأَمَاكِنِ، فَلَمَّا انْتَهَى، قَالَ لَهُ أَحَدُ تَلاَمِيذِهِ: «يَارَبُّ، عَلِّمْنَا أَنْ نُصَلِّيَ كَمَا عَلَّمَ يُوحَنَّا تَلاَمِيذَهُ».١
2 তিনি তাঁদের বললেন, “তোমরা যখন প্রার্থনা কর, তখন এমন বোলো, পিতা তোমার নাম পবিত্র বলে মান্য হোক। তোমার রাজ্য আসুক।
فَقَالَ لَهُمْ: «عِنْدَمَا تُصَلُّونَ، قُولُوا: أَبَانَا [الَّذِي فِي السَّمَاوَاتِ]! لِيَتَقَدَّسِ اسْمُكَ، لِيَأْتِ مَلَكُوتُكَ. [لِتَكُنْ مَشِيئَتُكَ كَمَا فِي السَّمَاءِ كَذلِكَ عَلَى الأَرْضِ].٢
3 আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য প্রতিদিন আমাদের দাও।
خُبْزَنَا كَفَافَنَا أَعْطِنَا كُلَّ يَوْمٍ؛٣
4 আর আমাদের সমস্ত পাপ ক্ষমা কর, কারণ আমরাও আমাদের প্রত্যেক অপরাধীকে ক্ষমা করি। আর আমাদের প্রলোভন থেকে দূরে রাখ।”
وَاغْفِرْ لَنَا خَطَايَانَا، لأَنَّنَا نَحْنُ أَيْضاً نَغْفِرُ لِكُلِّ مَنْ يُذْنِبُ إِلَيْنَا؛ وَلاَ تُدْخِلْنَا فِي تَجْرِبَةٍ [لكِنْ نَجِّنَا مِنَ الشِّرِّيرِ!]»٤
5 আর তিনি তাঁদের বললেন, “তোমাদের মধ্যে কারও যদি বন্ধু থাকে, আর সে যদি মাঝ রাতে তার কাছে গিয়ে বলে, বন্ধু, আমাকে তিনটে রুটি ধার দাও,
ثُمَّ قَالَ لَهُمْ: «مَنْ مِنْكُمْ يَكُونُ لَهُ صَدِيقٌ، فَيَذْهَبُ إِلَيْهِ فِي مُنْتَصَفِ اللَّيْلِ وَيَقُولُ لَهُ: يَاصَدِيقِي، أَقْرِضْنِي ثَلاَثَةَ أَرْغِفَةٍ،٥
6 কারণ আমার এক বন্ধু রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে আমার কাছে এসেছেন, তাঁর সামনে দেওয়ার মতো আমার কিছুই নেই
فَقَدْ جَاءَنِي صَدِيقٌ مِنْ سَفَرٍ، وَلَيْسَ عِنْدِي مَا أُقَدِّمُ لَهُ!٦
7 তাহলে সেই ব্যক্তি ভিতরে থেকে কি এমন উত্তর দেবে, আমাকে কষ্ট দিও না, এখন দরজা বন্ধ এবং আমার সন্তানেরা আমার কাছে শুয়ে আছে, আমি উঠে তোমাকে দিতে পারব না?”
لكِنَّ صَدِيقَهُ يُجِيبُهُ مِنَ الدَّاخِلِ: لاَ تُزْعِجْنِي! فَقَدْ أَقْفَلْتُ الْبَابَ، وَهَا أَنَا وَأَوْلاَدِي فِي الْفِرَاشِ. لاَ أَقْدِرُ أَنْ أَقُومَ وَأُعْطِيَكَ!٧
8 আমি তোমাদের বলছি, “সে যদিও বন্ধু ভেবে উঠে তাকে কিছু নাও দেয়, কিন্তু তাঁর কাছে বারবার চাওয়ার জন্য তাঁর যত প্রয়োজন, তার বেশি দেবে।”
أَقُولُ لَكُمْ: إِنْ كَانَ لاَ يَقُومُ وَيُعْطِيهِ لأَنَّهُ صَدِيقُهُ، فَلاَبُدَّ أَنْ يَقُومَ وَيُعْطِيَهُ قَدْرَ مَا يَحْتَاجُ إِلَيْهِ، لأَنَّهُ أَلَحَّ فِي الطَّلَبِ.٨
9 আর আমি তোমাদের বলছি, “চাও, তোমাদের দেওয়া হবে, খোঁজ কর, তোমরা পাবে; দরজায় আঘাত কর, তোমাদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
فَإِنِّي أَقُولُ لَكُمْ: اسْأَلُوا، تُعْطَوْا؛ اطْلُبُوا، تَجِدُوا؛ اقْرَعُوا، يُفْتَحْ لَكُمْ:٩
10 ১০ কারণ যে কেউ চায়, সে গ্রহণ করে এবং যে খোঁজ করে, সে পায় আর যে দরজায় আঘাত করে, তার জন্য খুলে দেওয়া হবে।
فَإِنَّ كُلَّ مَنْ يَسْأَلْ يَنَلْ، وَمَنْ يَسْعَ يَجِدْ، وَمَنْ يَقْرَعْ يُفْتَحْ لَهُ.١٠
11 ১১ তোমাদের মধ্যে এমন বাবা কে আছে, যার ছেলে রুটি চাইলে তাকে পাথর দেবে। কিংবা মাছের পরিবর্তে সাপ দেবে?
فَأَيُّ أَبٍ مِنْكُمْ يَطْلُبُ مِنْهُ ابْنُهُ خُبْزاً فَيُعْطِيهِ حَجَراً؟ أَوْ يَطْلُبُ سَمَكَةً فَيُعْطِيهِ بَدَلَ السَّمَكَةِ حَيَّةً؟١١
12 ১২ কিংবা ডিম চাইলে তাকে বিছা দেবে?
أَوْ يَطْلُبُ بَيْضَةً، فَيُعْطِيهِ عَقْرَباً؟١٢
13 ১৩ অতএব তোমরা মন্দ হয়েও যদি তোমাদের সন্তানদের ভালো ভালো জিনিস দিতে জান, তবে কত বেশি তোমাদের স্বর্গের পিতা দেবেন, যারা তাঁর কাছে চায়, তাদের পবিত্র আত্মা দান করবেন।”
فَإِنْ كُنْتُمْ، أَنْتُمُ الأَشْرَارُ، تَعْرِفُونَ أَنْ تُعْطُوا أَوْلاَدَكُمْ عَطَايَا جَيِّدَةً، فَكَمْ بِالأَحْرَى الآبُ، الَّذِي مِنَ السَّمَاءِ يَهَبُ الرُّوحَ الْقُدُسَ لِمَنْ يَسْأَلُونَهُ؟»١٣
14 ১৪ আর তিনি এক ভূত ছাড়িয়ে ছিলেন, সে বোবা। ভূত বের হলে সেই বোবা কথা বলতে লাগল, তাতে লোকেরা আশ্চর্য্য হল।
وَكَانَ يَطْرُدُ شَيْطَاناً (مِن رَجُلٍ) كَانَ ذلِكَ الشَّيْطَانُ قَدْ أَخْرَسَهُ. فَلَمَّا طُرِدَ الشَّيْطَانُ، نَطَقَ الأَخْرَسُ. فَتَعَجَّبَتِ الجُمُوعُ.١٤
15 ১৫ কিন্তু তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলল, “এ ব্যক্তি বেলসবূল নামে ভূতদের রাজার মাধ্যমে ভূত ছাড়ায়।”
وَلكِنَّ بَعْضاً مِنْهُمْ قَالُوا: «إِنَّمَا يَطْرُدُ الشَّيَاطِينَ بِبَعْلَزَبُولَ رَئِيسِ الشَّيَاطِينِ».١٥
16 ১৬ আর কেউ কেউ পরীক্ষা করার জন্য তাঁর কাছে আকাশ থেকে কোন চিহ্ন দেখতে চাইল।
وَطَلَبَ مِنْهُ آخَرُونَ، لِيُجَرِّبُوهُ، مُعْجِزَةً مِنَ السَّمَاءِ.١٦
17 ১৭ কিন্তু তিনি তাদের মনের ভাব জানতে পেরে তাদের বললেন, “যে কোন রাজ্য যদি নিজের বিরুদ্ধে ভাগ হয়, তবে তা ধ্বংস হয় এবং বাড়ি যদি বাড়ির বিপক্ষে যায় তা ধ্বংস হয়।
وَلكِنَّهُ عَلِمَ أَفْكَارَهُمْ وَقَالَ لَهُمْ: «كُلُّ مَمْلَكَةٍ تَنْقَسِمُ عَلَى ذَاتِهَا تَخْرَبُ، وَكُلُّ بَيْتٍ (يَنْقَسِمُ) عَلَى بَيْتٍ يَسْقُطُ.١٧
18 ১৮ আর শয়তানও যদি নিজের বিপক্ষে ভাগ হয়, তবে তার রাজ্য কীভাবে স্থির থাকবে? কারণ তোমরা বলছ, আমি বেলসবূলের মাধ্যমে ভূত ছাড়াই।
فَإِنْ كَانَ الشَّيْطَانُ كَذلِكَ قَدِ انْقَسَمَ عَلَى ذَاتِهِ، فَكَيْفَ تَصْمُدُ مَمْلَكَتُهُ؟ فَقَدْ قُلْتُمْ إِنِّي أَطْرُدُ الشَّيَاطِينَ بِبَعْلَزَبُولَ.١٨
19 ১৯ আর আমি যদি বেলসবূলের মাধ্যমে ভূত ছাড়াই, তবে তোমাদের সন্তানেরা কার মাধ্যমে ছাড়ায়? এই জন্য তারাই তোমাদের বিচারকর্ত্তা হবে।
وَلكِنْ، إِنْ كُنْتُ أَنَا أَطْرُدُ الشَّيَاطِينَ بِبَعْلَزَبُولَ، فَأَبْنَاؤُكُمْ بِمَنْ يَطْرُدُونَهُمْ؟ لِذلِكَ هُمْ يَحْكُمُونَ عَلَيْكُمْ.١٩
20 ২০ কিন্তু আমি যদি ঈশ্বরের শক্তি দিয়ে ভূত ছাড়াই, তবে, ঈশ্বরের রাজ্য তোমাদের কাছে এসে পড়েছে।
أَمَّا إِذَا كُنْتُ أَطْرُدُ الشَّيَاطِينَ بِإِصْبَعِ اللهِ، فَقَدْ أَقْبَلَ عَلَيْكُمْ مَلَكُوتُ اللهِ.٢٠
21 ২১ সেই বলবান ব্যক্তি যখন অস্ত্রশস্ত্রে তৈরি থেকে নিজের বাড়ি রক্ষা করে, তখন তার সম্পত্তি নিরাপদে থাকে।
عِنْدَمَا يَحْرُسُ الْقَوِيُّ بَيْتَهُ وَهُوَ بِكَامِلِ سِلاَحِهِ، تَكُونُ أَمْتِعَتُهُ فِي مَأْمَنٍ.٢١
22 ২২ কিন্তু যিনি তার থেকেও বেশি শক্তিশালী, তিনি এসে যখন তাকে পরাজিত করেন, তখন তার যে অস্ত্রে বিশ্বাসী ছিল, তা কেড়ে নেবেন, ও তার সমস্ত জিনিস লুট করবেন।
وَلكِنْ عِنْدَمَا يَغْزُوهُ مَنْ هُوَ أَقْوَى مِنْهُ فَيَغْلِبُهُ، فَإِنَّهُ يُجَرِّدُهُ مِنْ كَامِلِ سِلاَحِهِ الَّذِي اعْتَمَدَ عَلَيْهِ، ثُمَّ يُوَزِّعُ غَنَائِمَهُ.٢٢
23 ২৩ যে আমার স্বপক্ষে নয়, সে আমার বিপক্ষে এবং যে আমার সঙ্গে কুড়ায় না, সে ছড়িয়ে ফেলে।
مَنْ لَيْسَ مَعِي، فَهُوَ ضِدِّي؛ وَمَنْ لاَ يَجْمَعُ مَعِي، فَهُوَ يُفَرِّقُ.٢٣
24 ২৪ যখন অশুচি আত্মা মানুষের মধ্যে থেকে বের হয়ে যায়, তখন জলবিহীন নানা স্থান দিয়ে ঘুরতে ঘুরতে বিশ্রামের খোঁজ করে, কিন্তু তখন তা পায় না, তখন সে বলে, আমি যেখান থেকে বের হয়ে এসেছি, আমার সেই বাড়িতে ফিরে যাই।
بَعْدَ أَنْ يَخْرُجَ الرُّوحُ النَّجِسُ مِنَ الإِنْسَانِ، يَهِيمُ فِي الأَمَاكِنِ الْقَاحِلَةِ طَلَباً لِلرَّاحَةِ، وَإِذْ لاَ يَجِدُ، يَقُولُ: سَأَرْجِعُ إِلَى بَيْتِي الَّذِي غَادَرْتُهُ!٢٤
25 ২৫ পরে সে এসে তা পরিষ্কার ও ভাল দেখে।
وَعِنْدَمَا يَأْتِي، يَجِدُهُ مَكْنُوساً مُزَيَّناً.٢٥
26 ২৬ তখন সে গিয়ে নিজের থেকেও খারাপ অন্য সাত মন্দ ভূতকে সঙ্গে নিয়ে আসে, আর তারা সেই জায়গায় প্রবেশ করে বাস করে, তাতে সেই মানুষের প্রথম দশা থেকে শেষ দশা আরও খারাপ হয়।”
فَيَذْهَبُ وَيَصْطَحِبُ سَبْعَةَ أَرْوَاحٍ أُخَرَ أَرْدَأَ مِنْهُ، فَتَدْخُلُ ذلِكَ الإِنْسَانَ وَتَسْكُنُهُ، فَتَصِيرُ الْحَالَةُ الأَخِيرَةُ لِذلِكَ الإِنْسَانِ أَرْدَأَ مِنَ الأُولَى!»٢٦
27 ২৭ তিনি এই সমস্ত কথা বলছেন, এমন দিনের ভিড়ের মধ্য থেকে কোন একজন মহিলা চিত্কার করে তাঁকে বলল, “ধন্য সেই গর্ভ, যা আপনাকে ধারণ করেছিল, আর সেই স্তন, যার দুধ আপনি পান করেছিলেন।”
وَبَيْنَمَا هُوَ يَتَكَلَّمُ بِهَذَا، رَفَعَتِ امْرَأَةٌ مِنْ بَيْنِ الْجَمْعِ صَوْتَهَا قَائِلَةً لَهُ: «طُوبَى لِلْبَطْنِ الَّذِي حَمَلَكَ، وَالثَّدْيَيْنِ اللَّذَيْنِ رَضِعْتَهُمَا!»٢٧
28 ২৮ তিনি বললেন, “সত্যি, কিন্তু বরং ধন্য তারাই, যারা ঈশ্বরের বাক্য শুনে পালন করে।”
إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ: «بَلْ طُوبَى لِلَّذِينَ يَسْمَعُونَ كَلِمَةَ اللهِ وَيَعْمَلُونَ بِهَا».٢٨
29 ২৯ পরে তাঁর কাছে অনেক লোকের ভিড় বাড়তে লাগল, তখন তিনি বলতে লাগলেন, “এই যুগের লোকেরা দুষ্ট, এরা চিহ্নের খোঁজ করে, কিন্তু যোনার চিহ্ন ছাড়া আর কোন চিহ্ন তাদের দেওয়া হবে না।”
وَإِذْ كَانَتِ الْجُمُوعُ تَزْدَحِمُ عَلَيْهِ، أَخَذَ يَقُولُ: «هَذَا الْجِيلُ جِيلٌ شِرِّيرٌ، يَطْلُبُ مُعْجِزَةً وَلَنْ يُعْطَى مُعْجِزَةً إِلاَّ مُعْجِزَةَ يُونَانَ.٢٩
30 ৩০ কারণ যোনা যেমন নীনবীয়দের কাছে চিহ্নের মতো হয়েছিলেন, তেমনি মনুষ্যপুত্রও এই যুগের লোকদের কাছে চিহ্ন হবেন।
فَإِنَّهُ كَمَا كَانَ يُونَانُ آيَةً لأَهْلِ نِينَوَى، فَهكَذَا أَيْضاً يَكُونُ ابْنُ الإِنْسَانِ لِهَذَا الْجِيلِ.٣٠
31 ৩১ দক্ষিণ দেশের রানী বিচারে এই যুগের লোকদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে এদেরকে দোষী করবেন। কারণ শলোমনের জ্ঞানের কথা শোনার জন্য তিনি পৃথিবীর প্রান্ত থেকে এসেছিলেন, আর দেখ, শলোমনের থেকেও মহান এক ব্যক্তি এখানে আছেন।
إِنَّ مَلِكَةَ الْجَنُوبِ سَتَقُومُ فِي الدَّيْنُونَةِ مَعَ هَذَا الْجِيلِ وَتَدِينُهُ لأَنَّهَا جَاءَتْ مِنْ أَقَاصِي الأَرْضِ لِتَسْمَعَ حِكْمَةَ سُلَيْمَانَ. وَهَا هُنَا أَعْظَمُ مِنْ سُلَيْمَانَ!٣١
32 ৩২ নীনবীয় লোকেরা বিচারে এই যুগের লোকদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে এদের দোষী করবে, কারণ তারা যোনার প্রচারে মন পরিবর্তন করেছিল, আর দেখ, যোনার থেকেও মহান এক ব্যক্তি এখানে আছেন।
وَأَهْلُ نِينَوَى سَيَقِفُونَ فِي الدَّيْنُونَةِ مَعَ هَذَا الْجِيلِ وَيَدِينُونَهُ: لأَنَّهُمْ تَابُوا لَدَى وَعْظِ يُونَانَ لَهُمْ. وَهَا هُنَا أَعْظَمُ مِنْ يُونَانَ.٣٢
33 ৩৩ প্রদীপ জেলে কেউ গোপন জায়গায় কিংবা ঝুড়ির নীচে রাখে না, কিন্তু বাতিদানের উপরেই রাখে, যেন, যারা ভিতরে যায়, তারা আলো দেখতে পায়।
لاَ أَحَدَ يُشْعِلُ مِصْبَاحاً وَيَضَعُهُ فِي مَكَانٍ مَخْفِيٍّ أَوْ تَحْتَ الْمِكْيَالِ، بَلْ يَرْفَعُهُ عَلَى الْمَنَارَةِ لِيَرَى الدَّاخِلُونَ النُّورَ.٣٣
34 ৩৪ তোমার চোখই হল শরীরের প্রদীপ, তোমার চোখ যদি সরল হয়, তখন তোমার সমস্ত শরীরও আলোকিত হয়, কিন্তু চোখ মন্দ হলে তোমার শরীরও অন্ধকারে পূর্ণ হয়।
عَيْنُكَ هِيَ مِصْبَاحُ الْجَسَدِ: إِذَا كَانَتْ عَيْنُكَ سَلِيمَةً، يَكُونُ جَسَدُكَ كُلُّهُ مُنَوَّراً؛ أَمَّا إِذَا كَانَتْ عَيْنُكَ شِرِّيرَةً، فَيَكُونُ جَسَدُكَ أَيْضاً مُظْلِماً.٣٤
35 ৩৫ অতএব সাবধান হও যে, তোমার অন্তরে যে আলো আছে, তা অন্ধকার কিনা।
فَتَنَبَّهْ إِذَنْ لِئَلاَّ يَكُونَ النُّورُ الَّذِي فِيكَ ظَلاَماً.٣٥
36 ৩৬ সত্যিই যদি তোমার সমস্ত শরীর আলোকিত হয় এবং কোনও অংশ অন্ধকারে পূর্ণ না থাকে, তবে প্রদীপ যেমন নিজের তেজে তোমাকে আলো দান করে, তেমনি তোমার শরীর সম্পূর্ণভাবে আলোকিত হবে।
إِذَنْ، إِنْ كَانَ جَسَدُكَ كُلُّهُ مُنَوَّراً وَلَيْسَ فِيهِ جَانِبٌ مُظْلِمٌ، فَإِنَّهُ يَكُونُ مُنَوَّراً بِكَامِلِهِ، كَأَنَّمَا أَنَارَ لَكَ الْمِصْبَاحُ بِإِشْعَاعِهِ!»٣٦
37 ৩৭ তিনি কথা বলছেন, এমন দিনের একজন ফরীশী তাঁকে খাওয়ার নিমন্ত্রণ করল, আর তিনি ভিতরে গিয়ে খেতে বসলেন।
وَبَيْنَمَا هُوَ يَتَكَلَّمُ، طَلَبَ إِلَيْهِ أَحَدُ الْفَرِّيسِيِّينَ أَنْ يَتَغَدَّى عِنْدَهُ. فَدَخَلَ (بَيْتَهُ) وَاتَّكَأَ.٣٧
38 ৩৮ ফরীশী দেখে আশ্চর্য্য হলো, কারণ খাবার আগে তিনি স্নান করেননি।
وَلكِنَّ الْفَرِّيسِيَّ تَعَجَّبَ لَمَّا رَأَى أَنَّهُ لَمْ يَغْتَسِلْ قَبْلَ الْغَدَاءِ.٣٨
39 ৩৯ কিন্তু প্রভু তাকে বললেন, “তোমরা ফরীশীরা তো পান করার পাত্র ও খাওয়ার পাত্র্রের বাইরে পরিষ্কার কর, কিন্তু তোমাদের ভিতরে লোভ ও দুষ্টতায় পরিপূর্ণ।
فَقَالَ لَهُ الرَّبُّ: «أَنْتُمُ الْفَرِّيسِيِّينَ تُنَظِّفُونَ الْكَأْسَ وَالصَّحْفَةَ مِنَ الْخَارِجِ، وَلكِنَّكُمْ مِنَ الدَّاخِلِ مَمْلُوؤُونَ نَهْباً وَخُبْثاً.٣٩
40 ৪০ নির্বোধেরা, যিনি বাইরের অংশ তৈরি করেছেন, তিনি কি ভেতরের অংশও তৈরি করেননি?
أَيُّهَا الأَغْبِيَاءُ، أَلَيْسَ الَّذِي صَنَعَ الْخَارِجَ قَدْ صَنَعَ الدَّاخِلَ أَيْضاً؟٤٠
41 ৪১ বরং ভিতরে যা যা আছে, তা দান কর, তাহলে দেখবে, তোমাদের পক্ষে সব কিছুই শুদ্ধ।
أَحْرَى بِكُمْ أَنْ تَتَصَدَّقُوا بِمَا عِنْدَكُمْ، فَيَكُونُ كُلُّ شَيْءٍ طَاهِراً لَكُمْ.٤١
42 ৪২ কিন্তু ফরীশীরা, ধিক তোমাদের, কারণ তোমরা পুদিনা, ধনে ও সমস্ত প্রকার শাকের দশমাংশ দান করে থাক, আর ন্যায়বিচার ও ঈশ্বরের প্রেম উপেক্ষা করে থাক, কিন্তু এসব পালন করা এবং ঐ সমস্ত পরিত্যাগ না করা, তোমাদের উচিত ছিল।
وَلكِنِ الْوَيْلُ لَكُمْ أَيُّهَا الْفَرِّيسِيُّونَ فَإِنَّكُمْ تَدْفَعُونَ عُشْرَ النَّعْنَعِ وَالسَّذَّابِ وَالْبُقُولِ الأُخْرَى، وَتَتَجَاوَزُونَ عَنِ الْعَدْلِ وَمَحَبَّةِ اللهِ: كَانَ يَجِبُ أَنْ تَعْمَلُوا هَذَا وَلاَ تُهْمِلُوا ذَاكَ!٤٢
43 ৪৩ ফরীশীরা, ধিক তোমাদের, কারণ তোমরা সমাজঘরে প্রধান আসন, ও হাটে বাজারে লোকদের শুভেচ্ছা পেতে ভালবাসো।
الْوَيْلُ لَكُمْ أَيُّهَا الْفَرِّيسِيُّونَ، فَإِنَّكُمْ تُحِبُّونَ تَصَدُّرَ الْمَقَاعِدِ الأُولَى فِي الْمَجَامِعِ وَتَلَقِّي التَّحِيَّاتِ فِي السَّاحَاتِ الْعَامَّةِ!٤٣
44 ৪৪ ধিক তোমাদের, কারণ তোমরা এমন গোপন কবরের মতো, যার উপর দিয়ে লোকে না জেনে যাতায়াত করে।”
الْوَيْلُ لَكُمْ، فَإِنَّكُمْ تُشْبِهُونَ الْقُبُورَ الْمَخْفِيَّةَ، يَمْشِي النَّاسُ عَلَيْهَا وَهُمْ لاَ يَعْلَمُونَ!»٤٤
45 ৪৫ তখন ব্যবস্থার গুরুদের মধ্য একজন উত্তরে তাঁকে বলল, “হে গুরু, একথা বলে আপনি আমাদেরও অপমান করছেন।”
وَتَكَلَّمَ أَحَدُ عُلَمَاءِ الشَّرِيعَةِ، قَائِلاً لَهُ: «يَامُعَلِّمُ، إِنَّكَ بِقَوْلِكَ هَذَا تُهِينُنَا نَحْنُ أَيْضاً».٤٥
46 ৪৬ তিনি বললেন, “ব্যবস্থার গুরুরা, ধিক তোমাদেরও, কারণ তোমরা লোকদের ওপরে ভারী বোঝা চাপিয়ে দিয়ে থাক, কিন্তু নিজেরা একটি আঙ্গুল দিয়ে সেই সমস্ত বোঝা স্পর্শও কর না।
فَقَالَ: «وَالْوَيْلُ أَيْضاً لَكُمْ يَاعُلَمَاءَ الشَّرِيعَةِ، فَإِنَّكُمْ تُحَمِّلُونَ النَّاسَ أَحْمَالاً مُرْهِقَةً، وَأَنْتُمْ لاَ تَمَسُّونَهَا بِإِصْبَعٍ مِنْ أَصَابِعِكُمْ!٤٦
47 ৪৭ ধিক তোমাদের, কারণ তোমরা ভাববাদীদের কবর গেঁথে স্মৃতিসৌধ তৈরী থাক, আর তোমাদের পূর্বপুরুষেরা তাঁদের বধ করেছিল।
الْوَيْلُ لَكُمْ، فَإِنَّكُمْ تَبْنُونَ قُبُورَ الأَنْبِيَاءِ وَآبَاؤُكُمْ قَتَلُوهُمْ.٤٧
48 ৪৮ সুতরাং তোমরাই এর সাক্ষী এবং তোমাদের পূর্বপুরুষদের কাজের সমর্থন করছ, কারণ তারা তাঁদের বধ করেছিল, আর তোমরা তাঁদের কবর গাঁথ।
فَأَنْتُمْ إِذَنْ تَشْهَدُونَ مُوَافِقِينَ عَلَى أَعْمَالِ آبَائِكُمْ: فَهُمْ قَتَلُوا الأَنْبِيَاءَ، وَأَنْتُمْ تَبْنُونَ قُبُورَهُمْ.٤٨
49 ৪৯ এই জন্য ঈশ্বরের প্রজ্ঞা একথা বলে, আমি তাদের কাছে ভাববাদী ও প্রেরিতদের পাঠাব, আর তাঁদের মধ্যে তারা কাউকে কাউকে বধ করবে, ও অত্যাচার করবে,
لِهَذَا السَّبَبِ أَيْضاً قَالَتْ حِكْمَةُ اللهِ: سَأُرْسِلُ إِلَيْهِمْ أَنْبِيَاءَ وَرُسُلاً، فَيَقْتُلُونَ مِنْهُمْ وَيَضْطَهِدُونَ،٤٩
50 ৫০ যেন পৃথিবী সৃষ্টির শুরু থেকে যত ভাববাদীর রক্তপাত হয়েছে, তার প্রতিশোধ এই যুগের লোকদের কাছে যেন নেওয়া যায়
حَتَّى إِنَّ دِمَاءَ جَمِيعِ الأَنْبِيَاءِ الْمَسْفُوكَةَ مُنْذُ تَأْسِيسِ الْعَالَمِ، يُطَالَبُ بِهَا هَذَا الْجِيلُ،٥٠
51 ৫১ হেবলের রক্তপাত থেকে সখরিয়ের রক্তপাত পর্যন্ত, যাকে যজ্ঞবেদি ও মন্দিরের মাঝখানে হত্যা করা হয়েছিল, হ্যাঁ, আমি তোমাদের বলছি, এই যুগের লোকদের কাছে তার প্রতিশোধ নেওয়া হবে।
مِنْ دَمِ هَابِيلَ إِلَى دَمِ زَكَرِيَّا الَّذِي قُتِلَ بَيْنَ الْمَذْبَحِ وَالْقُدْسِ! أَقُولُ لَكُمْ: نَعَمْ، إِنَّ تِلْكَ الدِّمَاءَ يُطَالَبُ بِهَا هَذَا الْجِيلُ.٥١
52 ৫২ ব্যবস্থার গুরুরা, ধিক তোমাদের, কারণ তোমরা জ্ঞানের চাবি নিজেদের কাছে রেখে দিয়েছ, আর নিজেরাও প্রবেশ করলে না এবং যারা প্রবেশ করছিল, তাদেরও বাধা দিলে।”
الْوَيْلُ لَكُمْ يَاعُلَمَاءَ الشَّرِيعَةِ، فَإِنَّكُمْ خَطِفْتُمْ مِفْتَاحَ الْمَعْرِفَةِ، فَلاَ أَنْتُمْ دَخَلْتُمْ وَلاَ تَرَكْتُمُ الدَّاخِلِينَ يَدْخُلُونَ!»٥٢
53 ৫৩ তিনি সেখান থেকে বের হয়ে এলে ব্যবস্থার শিক্ষকরা ও ফরীশীরা তাঁকে ভীষণভাবে বিরক্ত করতে, ও নানা বিষয়ে কথা বলবার জন্য প্রশ্ন করতে লাগল,
وَفيِمَا هُوَ خَارِجٌ مِنْ هُنَاكَ، بَدَأَ الْكَتَبَةُ وَالْفَرِّيسِيُّونَ يُضَيِّقُونَ عَلَيْهِ كَثِيراً، وَأَخَذُوا يَسْتَدْرِجُونَهُ إِلَى الْكَلاَمِ فِي أُمُورٍ كَثِيرَةٍ،٥٣
54 ৫৪ তাঁর মুখের কথার ভুল ধরার জন্য ফাঁদ পেতে রাখল।
وَهُمْ يُرَاقِبُونَهُ سَعْياً إِلَى اصْطِيَادِهِ بِكَلاَمٍ يَقُولُهُ.٥٤

< লুক 11 >