< লেবীয় বই 26 >

1 তোমরা নিজেদের জন্য প্রতিমা তৈরী কোরো না এবং স্বর্ণ প্রতিমা কিংবা স্তম্ভ স্থাপন কোরো না ও তার কাছে প্রণাম করবার জন্য তোমাদের দেশে কোন ক্ষোদিত প্রস্তর রেখো না; কারণ আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।
“‘তোমরা নিজেদের জন্য প্রতিমা নির্মাণ কোরো না, অথবা প্রতিমূর্তি কিংবা পবিত্র পাথর স্থাপন কোরো না এবং তোমাদের দেশে ক্ষোদিত পাথর রেখে তার সামনে প্রণিপাত কোরো না। আমি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু।
2 তোমরা আমার বিশ্রামবার সব পালন কোরো ও আমার ধর্ম্মধামের সমাদর কোরো; আমি সদাপ্রভু।
“‘আমার বিশ্রামবার পালন কোরো ও আমার পবিত্র ধর্মধামের প্রতি সম্মান দেখাও। আমি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু।
3 যদি তোমরা আমার ব্যবস্থা মত চল, আমার আদেশ সব মান ও সে সব পালন কর,
“‘তোমরা যদি আমার বিধানগুলি অনুধাবন করো ও আমার সব আদেশ মেনে চলতে যত্নশীল থাকো,
4 তবে আমি ঠিক দিনের তোমাদেরকে বৃষ্টি দান করব; তাতে জমি শস্য উৎপন্ন করবে ও ক্ষেত্রের বৃক্ষ সব নিজের নিজের ফল দেবে।
তাহলে আমি যথাসময়ে বৃষ্টি পাঠাব; ফলে ভূমি শস্য উৎপন্ন করবে ও ক্ষেতের গাছগুলিতে ফল ভরে যাবে।
5 তোমাদের শস্য মাড়াইয়ের দিন আঙ্গুর তোলার দিন পর্যন্ত থাকবে ও আঙ্গুর তোলার দিন থেকে বীজবপনের দিন পর্যন্ত থাকবে এবং তোমরা তৃপ্তি পর্যন্ত অন্ন খাবে ও নিরাপদে নিজের দেশে বাস করবে।
দ্রাক্ষাচয়ন পর্যন্ত তোমাদের শস্যমর্দনের কাজ চলবে, এবং বীজবপনকাল পর্যন্ত দ্রাক্ষাচয়নের কাজ চলবে এবং তোমরা ইচ্ছামতো খাদ্য ভোজন করবে ও নিরাপদে তোমাদের দেশে বসবাস করবে।
6 আর আমি দেশে শান্তি প্রদান করব; তোমরা শয়ন করলে কেউ তোমাদেরকে ভয় দেখাবে না এবং আমি তোমাদের দেশ থেকে হিংস্র জন্তুদেরকে দূর করে দেব ও তোমাদের দেশে খড়গ নিয়ে ভ্রমণ করবে না।
“‘দেশের প্রতি আমি শান্তি মঞ্জুর করব ও শয়নকালে কেউ তোমাদের ভয় দেখাবে না। আমি দেশ থেকে হিংস্র জন্তুদের তাড়িয়ে দেব ও তোমাদের দেশের মধ্য দিয়ে তরোয়াল যাবে না।
7 আর তোমরা নিজেদের শত্রুদেরকে তাড়িয়ে দেবে ও তারা তোমাদের সামনেই তলোয়ারের সামনে পড়বে
তোমরা শত্রুদের তাড়া করবে ও তোমাদের সামনে তারা তরোয়াল দ্বারা পতিত হবে।
8 আর তোমাদের পাঁচ জন তাদের একশো জনকে তাড়িয়ে দেবে, তোমাদের একশো জন দশ হাজার লোককে তাড়িয়ে দেবে এবং তোমাদের শত্রুরা তোমাদের সামনেই তলোয়ারের সামনে পড়বে
তোমাদের পাঁচজন একশো জনের পিছনে ধাবমান হবে ও তোমাদের একশো জন 10,000 জনকে তাড়িয়ে নিয়ে যাবে এবং তোমাদের সামনে তোমাদের শত্রুরা তরোয়াল দ্বারা পতিত হবে।
9 আর আমি তোমাদের উপর খুশি হব তোমাদেরকে ফলবন্ত ও বহুবংশ করব ও তোমাদের সঙ্গে আমার নিয়ম স্থির করব।
“‘তোমাদের প্রতি আমি সদয় দৃষ্টি রাখব, তোমাদের ফলবান রাখব, তোমাদের সংখ্যা বৃদ্ধি করব এবং তোমাদের সঙ্গে আমার অঙ্গীকার-চুক্তি রাখব।
10 ১০ আর তোমরা জমানো পুরানো শস্য খাবে ও নূতনের সামনে থেকে পুরানো শস্য বের করবে।
বিগত বছরে সংগৃহীত শস্য থেকে তখনও তোমরা ভোজন করবে, যখন পুরোনো খাদ্যশস্য সরিয়ে রাখবে, যেন নতুন শস্য রাখার স্থান প্রস্তুত থাকে।
11 ১১ আর আমি তোমাদের মধ্যে আমার পবিত্র তাঁবু রাখব, আমি তোমাদেরকে ঘৃণা করবো না।
আমি তোমাদের মাঝে আমার আবাসস্থান রাখব এবং আমি তোমাদের ঘৃণা করব না।
12 ১২ আর আমি তোমাদের মধ্যে গমনাগমন করব ও তোমাদের ঈশ্বর হব এবং তোমরা আমার প্রজা হবে।
তোমাদের মাঝে আমি গমনাগমন করব, আমি তোমাদের ঈশ্বর হব এবং তোমরা আমার প্রজা হবে।
13 ১৩ আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর; আমি মিশর দেশ থেকে তোমাদেরকে বের করে এনেছি, তাদের দাস থাকতে দিইনি; আমি তোমাদের যোয়ালির-কাঠ ভেঙে সোজাভাবে তোমাদেরকে গমন করিয়েছি।
আমি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, যিনি মিশর থেকে তোমাদের বের করে এনেছেন, যেন তোমরা আর মিশরীয়দের ক্রীতদাস না হও; আমি তোমাদের জোয়ালের কাঠ ভেঙেছি ও মাথা উঁচু করে চলার যোগ্যতা তোমাদের দিয়েছি।
14 ১৪ কিন্তু যদি তোমরা আমার কথা না শুন ও আমার এ সব আদেশ পালন না কর,
“‘কিন্তু তোমরা যদি আমার কথা না শুনে এই সমস্ত আদেশ অমান্য করো
15 ১৫ যদি আমার ব্যবস্থা অগ্রাহ্য কর ও তোমাদের প্রাণ আমার শাসন সকল ঘৃণা করে, এভাবে তোমরা আমার আদেশ পালন না করে আমার নিয়ম ভঙ্গ কর, তবে আমিও তোমাদের প্রতি এই ব্যবহার করব;
এবং তোমরা যদি আমার সকল অনুশাসন অগ্রাহ্য করো, আমার বিধানগুলি ঘৃণা করো, আমার সমস্ত আদেশ পালনে ব্যর্থ হও এবং এইভাবে আমার অঙ্গীকার-চুক্তি লঙ্ঘন করো,
16 ১৬ তোমাদের জন্য আতঙ্ক, যক্ষ্মা ও কম্পজ্বর নিরূপণ করব, যাতে তোমাদের চক্ষু ক্ষীণ হয়ে পড়বে ও প্রাণে ব্যথা পাবে এবং তোমাদের বীজ বপন বৃথা হবে, কারণ তোমাদের শত্রুরা তা খাবে।
তাহলে তোমাদের প্রতি আমার হস্তক্ষেপ এই ধরনের হবে, যথা: তোমাদের ওপরে আমি অকস্মাৎ প্রচণ্ড ভীতি আনব, মারাত্মক বিবিধ রোগ ও জ্বর পাঠাব করব, যেগুলির দাপটে তোমরা দৃষ্টিশক্তি হারাবে ও তোমাদের প্রাণনাশ হবে। তোমাদের বীজবপন বৃথা যাবে, কারণ তোমাদের শত্রুরা সমস্ত খাদ্য ভোজন করবে।
17 ১৭ আর আমি তোমাদের প্রতি বিমুখ হব; তাতে তোমরা নিজের শত্রুদের সামনে আহত হবে; যারা তোমাদেরকে ঘৃণা করে, তারা তোমাদের ওপরে কর্তৃত্ব করবে এবং কেউ তোমাদেরকে না তাড়ালেও তোমরা পালিয়ে যাবে।
তোমাদের বিপক্ষে আমি বিমুখ হব, যেন তোমাদের শত্রুরা তোমাদের পরাস্ত করে; যারা তোমাদের ঘৃণা করে তারা তোমাদের উপরে কর্তৃত্ব করবে এবং তোমাদের পিছনে কেউ ধাবমান না হলেও তোমরা পলায়ন করবে।
18 ১৮ আর যদি তোমরা এতেও আমার বাক্যে মনোযোগ না কর, তবে আমি তোমাদের পাপযুক্ত তোমাদেরকে সাত গুন বেশী শাস্তি দেব।
“‘এসবের পরেও যদি আমার কথায় তোমরা অবধান না করো, তাহলে তোমাদের পাপসমূহের কারণে আমি তোমাদের সাতগুণ বেশি শাস্তি দেব।
19 ১৯ আমি তোমাদের শক্তির গর্ব চূর্ণ করব ও তোমাদের আকাশ লোহার মত ও তোমাদের জমি পিতলের মত করব।
তোমাদের একগুঁয়ে গর্ব আমি ভেঙে দেব, ঊর্ধ্বস্থ আকাশ লোহার মতো ও নিম্নস্থ ভূমি পিতলের মতো করব।
20 ২০ তাতে তোমাদের শক্তি অকারণে শেষ হবে, কারণ তোমাদের জমি শস্য উৎপন্ন করবে না ও দেশের গাছপালা সব নিজ নিজ ফল দেবে না।
তোমাদের শক্তি প্রয়োগ বৃথা যাবে, কারণ তোমাদের মাটি ফসল উৎপন্ন করবে না, এমনকি দেশের গাছগুলিও ফল ফলাবে না।
21 ২১ আর যদি তোমরা আমার বিপরীত আচরণ কর ও আমার কথা শুনতে না চাও, তবে আমি তোমাদের পাপ অনুসারে তোমাদেরকে আর সাত গুন আঘাত করব।
“‘যদি আমার প্রতি তোমরা বৈরীভাবাপন্ন থাকো ও আমার কথা শুনতে না চাও, তাহলে তোমাদের ক্লেশ আমি সাতগুণ বৃদ্ধি করব, যা পাপের কারণে তোমাদের প্রাপ্য।
22 ২২ আর তোমাদের মধ্যে বন্য পশু পাঠাব; তারা তোমাদের সন্তান হরণ করবে, তোমাদের পশুপাল নষ্ট করবে, তোমাদেরকে সংখ্যায় অল্প করব; আর তোমাদের রাজপথ সব ধ্বংস হবে।
তোমাদের বিপক্ষে আমি বন্যপশু প্রেরণ করব; ওরা তোমাদের সন্তানদের হরণ করবে, তোমাদের গবাদি পশু বিনষ্ট করবে ও তোমাদের সংখ্যা এত হ্রাস করবে যে তোমাদের সমস্ত পথঘাট জনশূন্য হবে।
23 ২৩ এতে যদি আমার উদ্দেশ্যে শাসিত না হও, কিন্তু আমার বিপরীত আচরণ কর,
“‘এত বেশি ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও যদি তোমরা সংশোধিত না হও এবং আমার প্রতি বৈরিতা চালিয়ে যাও,
24 ২৪ তবে আমিও তোমাদের বিপরীত আচরণ করব ও তোমাদের পাপযুক্ত আমিই তোমাদেরকে সাত বার আঘাত করব।
তাহলে তোমাদের প্রতি আমি শত্রুতা করব ও তোমাদের পাপের কারণে সাতগুণ ক্লেশ বৃদ্ধি করব।
25 ২৫ আমি অমান্যের প্রতিফল দেবার জন্য তোমাদের উপরে তলোয়ার আনব, তোমরা নিজ নিজ নগরমধ্যে একত্রীভূত হবে, আমি তোমাদের মধ্যে মহামারী পাঠাব এবং তোমরা শত্রুদের হাতে সমর্পিত হবে।
তোমাদের বিপক্ষে তরোয়াল পাঠিয়ে আমি অঙ্গীকার-চুক্তি ভঙ্গের প্রতিশোধ নেব। তোমরা যখন নিজের নিজের নগরে ফিরে যাবে, তোমাদের মাঝে আমি মহামারি পাঠাব এবং শত্রুদের হাতে তোমাদের অর্পণ করব।
26 ২৬ আমি তোমাদের খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করব, দশ জন স্ত্রীলোক এক উনানে তোমাদের রুটি পাক করবে ও তোমাদের রুটি মেপে তোমাদেরকে দেবে, কিন্তু তোমরা তা খেয়ে তৃপ্ত হবে না।
যখন আমি তোমাদের ভক্ষ্য রুটির জোগান ছিন্ন করব, একটি উনুনে দশজন মহিলা তোমাদের জন্য রুটি তৈরি করতে পারবে এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ ওজনের রুটি তারা তোমাদের দেবে। তোমরা ভোজন করবে, কিন্তু তৃপ্ত হবে না।
27 ২৭ আর এসবেতেও যদি তোমরা আমার কথা না শোন, আমার বিপরীত আচরণ কর,
“‘উদরপূর্তি ও তৃপ্তি না হওয়া সত্ত্বেও যদি তোমরা আমার কথা শ্রবণ না করো কিন্তু আমার বিরোধিতা করতেই থাকো,
28 ২৮ তবে আমি ক্রোধে তোমাদের বিপরীত আচরণ করব এবং আমিই তোমাদের পাপযুক্ত তোমাদেরকে সাত গুন শাস্তি দেব।
তাহলে আমি ক্রুদ্ধ হয়ে তোমাদের বিরোধিতা করব এবং তোমাদের পাপের কারণে সাতগুণ বেশি শাস্তি আমি তোমাদের দেব।
29 ২৯ আর তোমরা নিজের নিজের ছেলেদের মাংস খাবে ও নিজের নিজের মেয়েদের মাংস খাবে।
তোমরা নিজের নিজের ছেলেদের ও মেয়েদের মাংস ভক্ষণ করবে।
30 ৩০ আর আমি তোমাদের উচ্চ জায়গা সব ভেঙে দেব, তোমাদের সূর্য্যপ্রতিমা সকল নষ্ট করব ও তোমাদের মূর্তিদের মৃত দেহের উপরে তোমাদের মৃতদেহ ফেলে দেব এবং আমি তোমাদেরকে ঘৃণা করব।
তোমাদের সমস্ত উচ্চস্থলী আমি বিনষ্ট করব, তোমাদের ধূপবেদিগুলি উচ্ছেদ করব, তোমাদের প্রতিমাগুলির নিষ্প্রাণ আকৃতির উপরে তোমাদের মৃতদেহ রাখব ও তোমাদের ঘৃণা করব।
31 ৩১ আর আমি তোমাদের নগর সব ধ্বংস করব, তোমাদের ধর্ম্মধাম সব ধ্বংস করব ও তোমাদের উত্সর্গের গন্ধ গ্রহণ করব না।
তোমাদের নগরগুলিকে আমি ধ্বংসাবশেষে পরিণত করব, তোমাদের ধর্মধামগুলি ধ্বংস করব এবং তোমাদের সুরভিযুক্ত সন্তোষজনক উপহারে আমি মোটেই পরিতৃপ্ত হব না।
32 ৩২ আর আমি দেশ ধ্বংস করব ও সেখানে বসবাসকারী তোমাদের শত্রুরা সেই বিষয়ে চমৎকৃত হবে।
তোমাদের দেশ আমি ধ্বংস করব, যেন তোমাদের শত্রুরা যারা সেখানে বসবাস করে তারা অত্যন্ত ভীত হয়।
33 ৩৩ আর আমি তোমাদেরকে জাতিদের মধ্যে ছিন্নভিন্ন করব ও তলোয়ার বের করে তোমাদের অনুসরণ করব, তাতে তোমাদের দেশ পরিত্যক্ত ও তোমাদের নগর সব ধ্বংস হবে।
জাতিদের মাঝে আমি তোমাদের ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখব, আমার তরোয়াল নিষ্কোষ করব এবং তোমাদের পিছনে ধাবমান হব। তোমাদের দেশ উৎসন্ন হবে ও তোমাদের নগরগুলি ধ্বংসস্থান হয়ে থাকবে।
34 ৩৪ তখন যত দিন দেশ ধ্বংসস্থান থাকবে ও তোমরা শত্রুগণের দেশে বাস করবে, ততদিন জমি নিজ বিশ্রামকাল ভোগ করবে; সেই জমি বিশ্রাম পাবে ও নিজের বিশ্রামকাল ভোগ করবে।
ফলে যতদিন দেশ ধ্বংসস্থান হয়ে থাকবে ও তোমরা তোমাদের শত্রুদের দেশে বসবাস করবে, ততদিন পর্যন্ত দেশ বিশ্রামের বছরগুলি উপভোগ করবে; পরে দেশ বিশ্রাম পাবে ও বিশ্রামবারগুলি উপভোগ করবে।
35 ৩৫ যতদিন দেশ ধ্বংসস্থান হয়ে থাকবে, তত দিন বিশ্রাম করবে, কারণ যখন তোমরা দেশে বাস করতে, তখন দেশ তোমাদের বিশ্রামকালে বিশ্রাম ভোগ করত না।
যতকাল দেশ পরিত্যক্ত থাকবে, দেশ বিশ্রাম পাবে, যদিও দেশে তোমাদের থাকাকালীন দেশ বিশ্রামবারগুলিতে বিশ্রাম পায়নি।
36 ৩৬ আর তোমাদের মধ্যে যারা অবশিষ্ট থাকবে, আমি শত্রুদেশে তাদের হৃদয়ে বিষণ্নতা পাঠাব এবং চালিত পাতার শব্দ তাদেরকে তাড়িয়ে নিয়ে যাবে; লোকে যেমন তলোয়ারের মুখ থেকে পালায়, তারা সেরকম পালাবে এবং কেউ না তাড়ালেও পড়বে।
“‘তোমাদের মধ্যে যারা অবশিষ্ট থাকবে, শত্রুদের দেশে তাদের হৃদয় এত ভয়ে ভরিয়ে দেব যে হাওয়াতে পাতা ওড়ার শব্দ শুনে তারা পালাতে চাইবে। তাদের দৌড় দেখে মনে হবে যেন কেউ তরোয়াল নিয়ে তাদের তাড়া করছে এবং তারা পতিত হবে, যদিও কেউ তাদের তাড়া করেনি।
37 ৩৭ কেউ না তাড়ালেও তারা যেমন তলোয়ারের সামনে, তেমনি এক জন অন্যের উপরে পড়বে এবং শত্রুদের সামনে দাঁড়াতে তোমাদের ক্ষমতা হবে না।
কেউ তাড়া না করলেও তরোয়াল থেকে বাঁচবার তাগিদে তারা একজন অন্যজনের উপরে পতিত হবে। সুতরাং তোমাদের শত্রুদের সামনে তোমরা দাঁড়াতে পারবে না।
38 ৩৮ আর তোমরা জাতিদের মধ্যে বিনষ্ট হবে ও তোমাদের শত্রুদের দেশে তোমাদেরকে গ্রাস করবে।
জাতিদের মাঝে তোমরা বিনষ্ট হবে; তোমাদের শত্রুদের দেশ তোমাদের গ্রাস করবে।
39 ৩৯ আর তোমাদের মধ্যে যারা অবশিষ্ট থাকবে, তারা নিজের নিজের অপরাধে শত্রুদেশে ক্ষয় হবে।
যারা অবশিষ্ট থাকবে, তারা তাদের অসংখ্য পাপের কারণে শত্রুদের দেশে বিনষ্ট হবে; তাদের পূর্বপুরুষদের পাপের কারণেও তাদের ধ্বংস অনিবার্য।
40 ৪০ আর নিজেদের পিতৃপুরুষদেরও অপরাধে তাদের সঙ্গে ক্ষয় হবে। আর তাদেরকে স্বীকার করতে হবে যে, আমার বিরুদ্ধে সত্য অমান্য ও আমার বিপরীত আচরণ করার জন্য তাদের অপরাধ ও তাদের পিতৃপুরুষদের অপরাধ হয়েছে,
“‘কিন্তু তারা যদি তাদের পাপ ও তাদের পূর্বপুরুষদের পাপস্বীকার করে, এই স্বীকারোক্তিতে যদি আমার বিপক্ষে তাদের বিশ্বাসঘাতকতা ও আমার প্রতি তাদের শত্রুতার উল্লেখ থাকে,
41 ৪১ আমিও তাদের বিপরীত আচরন করেছি, আর তাদেরকে শত্রুদের দেশে এনেছি। তখন যদি তাদের অচ্ছিন্নত্বক হৃদয় নম্র হয় ও তারা নিজের নিজের অপরাধের শাস্তি মেনে নেয়,
যা তাদের প্রতি আমাকে বৈরীভাবাপন্ন করেছিল, যার প্রেরণায় শত্রুদের দেশে তাদের আমি পাঠালাম, এর ফলে যখন তাদের সুন্নত করা হৃদয়গুলি অবনত হয় ও তাদের পাপের কারণে তারা মূল্য দেয়,
42 ৪২ তবে আমি যাকোবের সঙ্গে করা আমার নিয়ম মনে করবো ও ইসহাকের সঙ্গে করা আমার নিয়ম ও অব্রাহামের সঙ্গে করা আমার নিয়মও মনে করব, আর দেশকেও মনে করব।
যাকোবের সঙ্গে আমার অঙ্গীকার-চুক্তি, ইস্‌হাকের সঙ্গে আমার অঙ্গীকার-চুক্তি ও অব্রাহামের সঙ্গে আমার অঙ্গীকার-চুক্তি আমি স্মরণ করব এবং আমি দেশকে স্মরণ করব।
43 ৪৩ দেশও তাদের দ্বারা পরিত্যক্ত হবে ও তাদের অবর্তমানে ধর্মস্থান হয়ে নিজে বিশ্রাম ভোগ করবে, ও তারা নিজেদের অপরাধের শাস্তি মেনে নেবে; কারণ তারা আমার শাসন মানত না ও তাদের প্রাণ আমার নিয়ম ঘৃণা করত।
কেননা তাদের দ্বারা দেশ পরিত্যাক্ত হবে এবং তাদের বিহনে জনশূন্য জায়গায় দেশ বিশ্রামবারগুলি উপভোগ করবে। তাদের পাপের কারণে তারা ক্ষতিপূরণ দেবে, কারণ আমার বিধানগুলি তারা অগ্রাহ্য করেছে ও আমার অনুশাসনগুলি ঘৃণা করেছে।
44 ৪৪ তাছাড়া যখন তারা শত্রুদের দেশে থাকবে, তখন আমি নিঃশেষে ধ্বংসের জন্য কিংবা তাদের সঙ্গে আমার নিয়ম ভাঙার জন্য তাদেরকে অগ্রাহ্য করব না, ঘৃণাও করব না; কারণ আমি সদাপ্রভু তাদের ঈশ্বর।
আমার প্রতি অবমাননা করা সত্ত্বেও যখন শত্রুদের দেশে তারা থাকবে, আমি তাদের অগ্রাহ্য অথবা ঘৃণা করব না; এবং পুরোপুরিভাবে তাদের বিনষ্ট করব না, তাদের সঙ্গে আমার অঙ্গীকার-চুক্তি ভঙ্গ করব না। আমি তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু।
45 ৪৫ আর আমি তাদের ঈশ্বর হবার জন্য যাদেরকে জাতি সামনে মিশর দেশ থেকে বের করে এনেছি, তাদের সেই পিতৃপুরুষদের সঙ্গে করা আমার নিয়ম তাদের জন্য মনে রাখবো; আমি সদাপ্রভু।
কিন্তু তাদের পক্ষে তাদের পূর্বপুরুষদের সঙ্গে আমার অঙ্গীকার-চুক্তি আমি স্মরণ করব, মিশর থেকে সর্বজাতির গোচরে আমি যাদের বের করে আনলাম, যেন তাদের ঈশ্বর হতে পারি। আমি সদাপ্রভু।’”
46 ৪৬ সীনয় পাহাড়ে সদাপ্রভু মোশির হাত দিয়ে নিজের ও ইস্রায়েল সন্তানদের এই সব নিয়ম শাসন ও ব্যবস্থা স্থির করলেন।
এসব আদেশ, অনুশাসন ও নিয়মাবলি সদাপ্রভু সীনয় পর্বতে মোশির মাধ্যমে তাঁর ও ইস্রায়েলীদের মধ্যে প্রতিষ্ঠা করলেন।

< লেবীয় বই 26 >