যিরমিয়ের বিলাপ 4
1 ১ হায়! সোনা কেমনভাবে উজ্জ্বলতা হারিয়েছে, খাঁটি সোনা পরিবর্তিত হয়েছে। পবিত্র পাথরগুলি প্রতিটি রাস্তার মাথায় ছড়িয়ে আছে।
| كَيْفَ اكْمَدَّ الذَّهَبُ وَاكْدَرَّ لَوْنُ النُّضَارِ الخَالِصِ؟ كَيْفَ تَبَعْثَرَتْ حِجَارَةُ الْقُدْسِ فِي نَاصِيَةِ كُلِّ شَارِعٍ؟ | ١ |
2 ২ সিয়োনের মূল্যবান ছেলেগুলো, যারা খাঁটি সোনার থেকে দামী, কিন্তু এখন তারা কুমোরের হাতে তৈরী মাটির পাত্রের মতো গণ্য হয়েছে, তা ছাড়া আর কিছুই নয়।
| كَيْفَ حُسِبَ أَبْنَاءُ صِهْيَوْنَ الْكِرَامُ الْمَوْزُونُونَ بِالذَّهَبِ النَّقِيِّ، كَآنِيَةٍ خَزَفِيَّةٍ مِنْ عَمَلِ يَدِ الْفَخَّارِيِّ؟ | ٢ |
3 ৩ এমন কি শিয়ালেরাও তাদের বাচ্চাদেরকে দুধ পান করায়; আমার লোকের মেয়েরা মরুপ্রান্তের উটপাখির মত নিষ্ঠুর হয়েছে।
| حَتَّى بَنَاتُ آوَى تَكْشِفُ عَنْ ثَدْيهَا وَتُرْضِعُ أَجْرَاءَهَا، أَمَّا ابْنَةُ شَعْبِي فَقَاسِيَةٌ كَالنَّعَامِ فِي الصَّحْرَاءِ. | ٣ |
4 ৪ স্তন্যপায়ী শিশুর জিভ পিপাসায় মুখের তালুতে লেগে আছে; ছেলেমেয়েরা রুটি চাইছে, কিন্তু তাদের জন্য কিছুই নেই।
| قَدِ الْتَصَقَ لِسَانُ الرَّضِيعِ بِحَنَكِهِ عَطَشاً، وَالْتَمَسَ الأَطْفَالُ خُبْزاً وَلَيْسَ مَنْ يُعْطِيهِ لَهُمْ. | ٤ |
5 ৫ যারা সুস্বাদু খাবার খেত, তারা পরিত্যক্ত অন্নহীন অবস্থায় রাস্তায় রয়েছে; যাদেরকে টকটকে লাল রঙের পোশাক পরিয়ে প্রতিপালিত করা যেত, তারা আবর্জনার স্তূপ আলিঙ্গন করছে।
| هَلَكَ فِي الشَّوَارِعِ الَّذِينَ كَانُوا يَأْكُلُونَ الطَّيِّبَاتِ، وَاحْتَضَنَ الْمَزَابِلَ المُتَرَبُّونَ عَلَى لِبْسِ الْحَرِيرِ. | ٥ |
6 ৬ প্রকৃত পক্ষে আমার লোকের মেয়ের অপরাধ সেই সদোমের পাপের থেকেও বেশি, যা এক মুহূর্তে উপড়ে ফেলেছিল, অথচ তার ওপরে মানুষের হাত পড়েনি।
| لأَنَّ عِقَابَ إِثْمِ ابْنَةِ شَعْبِي أَعْظَمُ مِنْ عِقَابِ خَطِيئَةِ سَدُومَ الَّتِي انْقَلَبَتْ فِي لَحْظَةٍ، مِنْ غَيْرِ أَنْ تَمْتَدَّ إِلَيْهَا يَدُ إِنْسَانٍ. | ٦ |
7 ৭ তাদের যিরুশালেমের নেতারা তুষারের থেকেও উজ্জ্বল, দুধের থেকেও সাদা ছিলেন; প্রবালের থেকেও লালবর্ণ অঙ্গ তাঁদের ছিল; নীলকান্তমণির মতো তাঁদের চেহারা ছিল।
| كَانَ نُبَلاَؤُهَا أَنْقَى مِنَ الثَّلْجِ وَأَنْصَعَ مِنَ اللَّبَنِ. أَجْسَادُهُمْ أَكْثَرُ حُمْرَةً مِنَ الْمُرْجَانِ، وَقَامَاتُاهُمْ كَالْيَاقُوتِ العأَزْرَقِ، | ٧ |
8 ৮ এখন তাঁদের মুখ কালির থেকেও কালো হয়েছে; রাস্তায় তাঁদেরকে চেনা যায় না; তাঁদের চামড়া হাড়ে লেগে গিয়েছে; তা কাঠের মতো শুকনো হয়েছে।
| فَأَصْبَحَتْ صُورَتُهُمْ أَكْثَرَ سَوَاداً مِنَ الْفَحْمِ، فَلَمْ يُعْرَفُوا فِاي الشَّوَارِعِ. لَصِقَتْ جُلُودُهُمْ بِعِظَامِهِمْ، وَصَارَتْ جَافَّةً كَالْحَطَبِ. | ٨ |
9 ৯ ক্ষিদেতে মরে যাওয়া লোকের থেকে তরোয়ালের মাধ্যমে মরে যাওয়া লোক ভালো, কারণ এরা মাঠের শস্যের অভাবে যেন আহত হয়ে ক্ষয় পাচ্ছে।
| كَانَ مَصِيرُ ضَحَايَا السَّيْفِ أَفْضَلَ مِنْ مَصِيرِ ضَحَايَا الْجُوعِ، الَّذِينَ اضْمَحَلُّوا مِنْ طَعْنَةِ عُقْمِ الْحَقْلِ. | ٩ |
10 ১০ দয়াবতী স্ত্রীদের হাত নিজের নিজের শিশু রান্না করেছে; আমার লোকের মেয়েদের ধ্বংসের জন্য এরা তাদের খাবার হয়েছে।
| طَهَتْ أَيْدِي الأُمَّهَاتِ الْحَانِيَاتِ أَوْلاَدَهُنَّ لِيَكُونُوا طَعَاماً لَهُنَّ فِي أَثْنَاءِ دَمَارِ ابْنَةِ شَعْبِي. | ١٠ |
11 ১১ সদাপ্রভু নিজের রাগ সম্পূর্ণ করেছেন, নিজের প্রচণ্ড রাগ ঢেলে দিয়েছেন; তিনি সিয়োনে আগুন জ্বালিয়েছেন, তা তার ভিত্তিমূল গ্রাস করেছে।
| نَفَثَ الرَّبُّ كَامِلَ سُخْطِهِ وَصَبَّ حُمُوَّ غَضَبِهِ، وَأَضْرَمَ نَاراً فِي صِهْيَوْنَ فَالْتَهَمَتْ أُسُسَهَا. | ١١ |
12 ১২ পৃথিবীর রাজারা, বিশ্বের সব লোক, বিশ্বাস করত না যে, যিরূশালেমের দরজায় কোনো বিপক্ষ ও শত্রু প্রবেশ করতে পারবে।
| لَمْ يُصَدِّقْ مُلُوكُ الأَرْضِ وَسُكَّانُ الْمَعْمُورَةِ أَنَّ الْعَدُوَّ وَالْخَصْمَ يَقْتَحِمَانِ بَوَّابَاتِ أُورُشَلِيمَ. | ١٢ |
| عِقَاباً لَهَا عَلَى خَطَايَا أَنْبِيَائِهَا وَآثَامِ كَهَنَتِهَا، الَّذِينَ سَفَكُوا فِي وَسَطِهَا دَمَ الصِّدِّيقِينَ. | ١٣ |
14 ১৪ তারা অন্ধদের মতো রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়িয়েছে, তাদের রক্ত দূষিত হয়েছে, লোকেরা তাদের কাপড় স্পর্শ করতে পারে না।
| تَاهُوا كَعُمْيٍ فِي الشَّوَارِعِ، مُلَطَّخِينَ بِالدَّمِ حَتَّى لَمْ يَقْدِرْ أَحَدٌ أَنْ يَلْمُسَ ثِيَابَهُمْ. | ١٤ |
15 ১৫ লোকে তাদেরকে চেঁচিয়ে বলেছে, “চলে যাও; অশুচি, চলে যাও, চলে যাও, আমাকে স্পর্শ কর না,” তারা পালিয়ে গিয়েছে, ঘুরে বেড়িয়েছে; জাতিদের মধ্যে লোকে বলেছে, “ওরা এই জায়গায় আর কখনো বিদেশী হিসেবে বাস করতে পারবে না।”
| هَتَفُوا بِهِمْ: «ابْتَعِدُوا: تَنَحَّوْا لاَ تَلْمُسُوا شَيْئاً». فَهَرَبُوا وَتَشَرَّدُوا! غَيْرَ أَنَّ أَهْلَ الأُمَمِ قَالُوا: لاَ يُمْكِنُ أَنْ يَسْكُنُوا مَعَنَا! | ١٥ |
16 ১৬ সদাপ্রভুর মুখ তাদেরকে তার সামনে থেকে ছড়িয়ে দিয়েছেন, তিনি তাদেরকে আর দেখেন না; লোকে যাজকদের সম্মান করে না, প্রাচীনদের প্রতি দয়া দেখান না।
| قَدْ بَدَّدَهُمُ الرَّبُّ نَفْسُهُ، وَلَمْ يَعُدْ يَعْبَأُ بِهِمْ، لَمْ يُكْرِمُوا الْكَهَنَةَ وَلَمْ يَتَرَأَّفُوا بِالشُّيُوخِ. | ١٦ |
17 ১৭ এখনও আমাদের চোখ সর্বদা ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে, মূল্যহীন সাহায্যের আশায়; যদিও আমরা অধীর আগ্রহে এমন এক জাতির অপেক্ষায় আছি, যে রক্ষা করতে পারে না।
| كَلَّتْ عُيُونُنَا مِنْ تَرَقُّبِ نُصْرَةٍ بَاطِلَةٍ. فِي أَبْرَاجِنَا انْتَظَرْنَا مَعُونَةَ أُمَّةٍ لاَ تُخَلِّصُ. | ١٧ |
18 ১৮ শত্রুরা আমাদের পদক্ষেপ অনুসরণ করে, আমরা আমাদের নিজের রাস্তায় হাঁটতে পারি না; আমাদের শেষকাল কাছাকাছি, আমাদের দিন শেষ কারণ আমাদের শেষকাল উপস্থিত।
| تَصَيَّدَ الرِّجَالُ خَطَوَاتِنَا حَتَّى لاَ نَخْطُوَ فِي شَوَارِعِنَا. آذَنَتْ نِهَايَتُنَا، وَتَمَّتْ أَيَّامُنَا وَأَزِفَتْ خَاتِمَتُنَا. | ١٨ |
19 ১৯ আমাদের তাড়নাকারীরা আকাশের ঈগল পাখির চেয়ে দ্রুতগামী ছিল; তারা পর্বতের ওপরে আমাদের পিছনে পিছনে দৌড়াত, মরুপ্রান্তে আমাদের জন্য ঘাঁটি বসাত।
| كَانَ مُطَارِدُونَا أَسْرَعَ مِنْ نُسُورِ السَّمَاءِ، تَعَقَّبُونَا عَلَى الْجِبَالِ، وَتَرَبَّصُوا بِنَا فِي الصَّحْرَاءِ. | ١٩ |
20 ২০ যিনি আমাদের নাকের নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস, সদাপ্রভুর অভিষিক্ত, তিনি তাদের ফাঁদে ধরা পড়লেন, যাঁর বিষয়ে বলেছিলাম, আমরা তাঁর সুরক্ষায় জাতিদের মধ্যে বাস করব।
| وَقَعَ فِي حُفَرِهِمْ مَصْدَرُ حَيَاتِنَا، الْمَلِكُ الَّذِي اخْتَارَهُ الرَّبُّ، الَّذِي قُلْنَا: فِي ظِلِّهِ نَعِيشُ بَيْنَ الأُمَمِ. | ٢٠ |
21 ২১ হে ঊষদেশ নিবাসিনী ইদোমের মেয়ে, তুমি আনন্দ কর ও খুশি হও! তোমার কাছেও সেই পানপাত্র আসবে, তুমি মাতাল হবে এবং উলঙ্গিনী হবে।
| ابْتَهِجِي وَافْرَحِي يَاابْنَةَ أَدُومَ، يَاسَاكِنَةَ عَوْصٍ. إِنَّمَا هَذِهِ الْكَأْسُ سَتَجُوزُ عَلَيْكِ أَيْضاً فَتَسْكَرِينَ وَتَتَعَرَّيْنَ. | ٢١ |
22 ২২ সিয়োনের মেয়ে, তোমার অপরাধ শেষ হল; তিনি তোমাকে আর কখনো নির্বাসিত করবেন না; হে ইদোমের মেয়ে, তিনি তোমার অপরাধের শাস্তি দেবেন, তোমার পাপ প্রকাশ করবে।
| قَدْ تَمَّ إِثْمُكِ يَاابْنَةَ صِهْيَوْنَ، وَلَنْ يُطِيلَ (اللهُ) مِنْ حِقْبَةِ سَبْيِكِ. أَمَّا أَنْتِ يَاابْنَةَ أَدُومَ فَإِنَّهُ يُعَاقِبُكِ وَيَفْضَحُ خَطَايَاكِ. | ٢٢ |
