< যিহোশূয়ের বই 14 >

1 কনান দেশে ইস্রায়েল-সন্তানরা এই এই অধিকার গ্রহণ করল; ইলীয়াসর যাজক ও নূনের পুত্র যিহোশূয় এবং ইস্রায়েল-সন্তানদের বংশগুলির পিতৃকুলপতিরা এই সব তাদেরকে অংশ করে দিলেন;
কনান দেশে ইস্রায়েলীরা এই সমস্ত এলাকা এক উত্তরাধিকাররূপে লাভ করল, যা যাজক ইলীয়াসর, নূনের ছেলে যিহোশূয় এবং ইস্রায়েলের গোষ্ঠীপতিরা তাদের জন্য বরাদ্দ করে দিলেন।
2 সদাপ্রভু মোশির মাধ্যমে যেরকম আদেশ করেছিলেন, সেই অনুসারে তারা গুলিবাটের মাধ্যমে সাড়ে নয় বংশের অংশ নির্ধারণ করলেন।
মোশির মাধ্যমে সদাপ্রভু যে আদেশ দিয়েছিলেন, সেই আদেশানুসারে তাদের উত্তরাধিকার গুটিকাপাত দ্বারা সাড়ে নয় বংশের জন্য নির্দিষ্ট হল।
3 কারণ যর্দ্দনের ওপারে মোশি আড়াই বংশকে অধিকার দিয়েছিলেন, কিন্তু লেবীয়দের লোকদের মধ্যে কোন অধিকার দেন নি।
আড়াই বংশকে মোশি জর্ডন নদীর পূর্বপারে অধিকার দিয়েছিলেন কিন্তু অবশিষ্টজনেদের মধ্যে তিনি লেবির বংশকে কোনও উত্তরাধিকার দেননি,
4 কারণ যোষেফ-সন্তানরা দুই বংশ হল, মনঃশি ও ইফ্রয়িম; আর লেবীয়দেরকে দেশে কোন অংশ দেওয়া গেল না, কেবল বাস করবার জন্য কতগুলি নগর এবং তাদের পশুপালের ও তাদের সম্পত্তির জন্য সেই সকল নগরের পশুপালনের মাঠগুলিও দেওয়া হল।
কারণ যোষেফের বংশধরেরা মনঃশি ও ইফ্রয়িম—এই দুই গোষ্ঠীতে পরিণত হল। লেবীয়েরা দেশের কোনও অংশ পায়নি, কিন্তু বসবাস করার জন্য শুধু কয়েকটি নগর এবং তাদের মেষপাল ও পশুপালের জন্য চারণভূমি পেয়েছিল।
5 সদাপ্রভু মোশিকে যে আদেশ দিয়েছিলেন, ইস্রায়েল-সন্তানরা সেই অনুসারে কাজ করল এবং দেশ বিভাগ করে নিল।
অতএব ইস্রায়েলীরা দেশ বিভাগ করল, ঠিক যেভাবে সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন।
6 আর যিহূদা-সন্তানরা গিল্‌গলে যিহোশূয়ের কাছে আসল; আর কনিসীয় যিফুন্নির পুত্র কালেব তাকে বললেন, “সদাপ্রভু আমার ও তোমার বিষয়ে কাদেশ-বর্ণেয়ে ঈশ্বরের লোক মোশিকে যে কথা বলেছিলেন, তা তুমি জানো।
এদিকে যিহূদার লোকজন গিল্‌গলে যিহোশূয়ের কাছে এগিয়ে এল, এবং কনিষীয় যিফূন্নির ছেলে কালেব তাঁকে বললেন, “আপনি জানেন, আপনার ও আমার সম্পর্কে সদাপ্রভু, কাদেশ-বর্ণেয়তে ঈশ্বরের লোক মোশিকে কী বলেছিলেন।
7 আমার চল্লিশ বছর বয়সের দিনের সদাপ্রভুর দাস মোশি দেশ অনুসন্ধান করতে কাদেশ-বর্ণেয় থেকে আমাকে পাঠিয়েছিলেন, আর আমি সরল মনে তার কাছে সংবাদ এনে দিয়েছিলাম।
দেশ অনুসন্ধান করার জন্যে সদাপ্রভুর দাস মোশি যখন কাদেশ-বর্ণেয় থেকে আমাকে পাঠিয়েছিলেন, তখন আমার বয়স চল্লিশ বছর। আর আমার দৃঢ় বিশ্বাস অনুসারেই আমি তাঁর কাছে এক প্রতিবেদন পেশ করেছিলাম,
8 আমার যে ভাইয়েরা আমার সঙ্গে গিয়েছিল, তারা লোকদের হৃদয় [ভয়ে] গলিয়ে দিয়েছিল; কিন্তু আমি পুরোপুরিভাবে নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর অনুগামী ছিলাম।
কিন্তু আমার যে সহ-ইস্রায়েলী ভাইরা আমার সঙ্গে গিয়েছিল, তারা লোকদের অন্তরে ভয় উৎপন্ন করে তা গলিয়ে দিয়েছিল। আমি, অবশ্য, সর্বান্তঃকরণে আমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর অনুগামী হয়েছিলাম।
9 আর মোশি ওই দিনের শপথ করে বলেছিলেন, যে জমির উপরে তোমার পা পড়েছে, সেই জমি তোমার ও চিরকাল তোমার সন্তানদের অধিকার হবে; কারণ তুমি পুরোপুরি আমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর অনুসরণ করেছ।
তাই মোশি সেদিন আমার কাছে শপথ করে বলেছিলেন, ‘দেশের যেখানে যেখানে তোমার পা পড়েছে, তা তোমার ও তোমার সন্তানদের চিরস্থায়ী অধিকার হয়ে থাকবে, কারণ তুমি সর্বান্তঃকরণে আমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর অনুগামী হয়েছ।’
10 ১০ আর এখন দেখ, প্রান্তরে ইস্রায়েলের ভ্রমণের দিনের যখন সদাপ্রভু মোশিকে সেই কথা বলেছিলেন, তখন থেকে সদাপ্রভু নিজের বাক্য অনুসারে এই পঁয়তাল্লিশ বছর আমাকে জীবিত রেখেছেন; আর এখন, দেখ, আজ আমার বয়স পঁচাশী বছর।
“তবে, সদাপ্রভু যেমন প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, ইস্রায়েলীরা মরুপ্রান্তরে ঘুরে বেড়ানোর সময় মোশিকে একথা বলার সময় থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত তিনি আমাকে এই পঁয়তাল্লিশ বছর জীবিত রেখেছেন। তাই আজ দেখুন, আমার বয়স পঁচাশি বছর হয়ে গেল!
11 ১১ মোশি যে দিন আমাকে পাঠিয়েছিলেন, সেই দিন আমি যেমন বলবান ছিলাম, এখন পর্যন্ত তেমনি আছি; যুদ্ধের জন্য এবং বাইরে যাবার ও ভিতরে আসার জন্য আমার তখন যেমন শক্তি ছিল, এখনও সেরকম শক্তি আছে।
মোশি যেদিন আমাকে বাইরে পাঠিয়েছিলেন, সেদিনের মতো আমি আজও ততটাই শক্তিশালী; যুদ্ধে যাওয়ার জন্য তখনকার মতো আমি আজও ততটাই বীর্যবান।
12 ১২ অতএব সেই দিন সদাপ্রভু এই যে পর্বতের বিষয় বলেছিলেন, এখন তা আমাকে দাও; কারণ তুমি সেই দিন শুনেছিলে যে, অনাকীয়েরা সেখানে থাকে এবং নগরগুলি বড় ও প্রাচীর দিয়ে ঘেরা; হয় তো, সদাপ্রভু আমার সঙ্গে সঙ্গে থাকবেন, আর আমি সদাপ্রভুর বাক্য অনুসারে তাদেরকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করব।”
সেদিন সদাপ্রভু আমার কাছে যে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, সেই প্রতিজ্ঞানুসারে এখন আপনি আমাকে এই পার্বত্য দেশটি দিন। তখন তো আপনি স্বয়ং সেকথা শুনেছিলেন যে, অনাকীয়েরা সেখানে আছে এবং তাদের নগরগুলি বড়ো বড়ো ও দেয়াল-ঘেরা, কিন্তু সদাপ্রভুর সাহায্য নিয়ে আমি তাদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দেব, ঠিক যেমনটি তিনি বলেছিলেন।”
13 ১৩ তখন যিহোশূয় তাকে আশীর্বাদ করলেন এবং যিফুন্নির ছেলে কালেবকে রাজত্বের জন্য হিব্রোণ দিলেন।
তখন যিহোশূয় যিফূন্নির ছেলে কালেবকে আশীর্বাদ করলেন এবং তাঁর উত্তরাধিকাররূপে তাঁকে হিব্রোণ দিলেন।
14 ১৪ এই জন্য আজ পর্যন্ত হিব্রোণ কনিসীয় যিফুন্নির পুত্র কালেবের অধিকার রয়েছে; কারণ তিনি পুরোপুরিভাবে ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর অনুগামী ছিলেন।
তাই তখন থেকেই হিব্রোণ কনিষীয় যিফূন্নির ছেলে কালেবের অধিকারভুক্ত হয়ে আছে, কারণ তিনি সর্বান্তঃকরণে ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর অনুগামী হয়েছিলেন।
15 ১৫ পূর্বকালে হিব্রোণের নাম কিরিয়ৎ অর্ব [অর্বপুর] ছিল; ঐ অর্ব অনাকীয়দের মধ্যে মহান ছিলেন। পরে দেশে যুদ্ধ শেষ হল।
(হিব্রোণ সেই অর্বের নামানুসারে কিরিয়ৎ-অর্ব নামে পরিচিত ছিল, যিনি অনাকীয়দের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম ব্যক্তি ছিলেন।) পরে দেশে যুদ্ধবিরাম হল।

< যিহোশূয়ের বই 14 >