< যোহন 9 >

1 এখন যীশু যেতে যেতে একজন লোককে দেখতে পেলেন সে জন্ম থেকে অন্ধ।
পথ চলতে চলতে যীশু এক জন্মান্ধ ব্যক্তিকে দেখতে পেলেন।
2 তাঁর শিষ্যেরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, রব্বি, কে পাপ করেছিল এই লোকটি না এই লোকটী বাবা মা, যাতে এ অন্ধ হয়ে জন্মেছে?
তাঁর শিষ্যেরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “রব্বি, কার পাপের কারণে এ অন্ধ হয়ে জন্মেছে, নিজের না এর বাবা-মার?”
3 যীশু উত্তর দিলেন, না এই লোকটি পাপ করেছে, না এই লোকটী বাবা মা পাপ করেছে, কিন্তু এই লোকটী জীবনে যেন ঈশ্বরের কাজ প্রকাশিত হয় তাই এমন হয়েছে।
যীশু বললেন, “এই ব্যক্তি বা এর বাবা-মা যে পাপ করেছে, তা নয়, কিন্তু এর জীবনে যেন ঈশ্বরের কাজ প্রকাশ পায়, তাই এরকম ঘটেছে।
4 যতক্ষণ দিন আছে ততক্ষণ যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁর কাজ আমাদের করতে হবে। রাত্রি আসছে যখন কেউ কাজ করতে পারবে না।
যতক্ষণ দিনের আলো আছে, যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁরই কাজ আমাদের করতে হবে। রাত্রি ঘনিয়ে আসছে, তখন কেউ আর কাজ করতে পারে না।
5 আমি যখন এই পৃথিবীতে আছি, তখন আমিই হলাম পৃথিবীর আলো।
যতক্ষণ আমি জগতে আছি, আমিই এই জগতের জ্যোতি হয়ে আছি।”
6 এই কথা বলার পর তিনি মাটিতে থুথু ফেলে সেই থুথু দিয়ে কাদা করলেন; পরে ঐ অন্ধ লোকটী চোখেতে সেই কাদা মাখিয়ে দিলেন।
একথা বলে, তিনি মাটিতে থুতু ফেললেন এবং সেই লালা দিয়ে কাদা তৈরি করে সেই ব্যক্তির চোখে মাখিয়ে দিলেন।
7 তিনি তাঁকে বললেন, যাও শীলোহ সরোবরে গিয়ে ধুয়ে ফেল; অনুবাদ করলে এই নামের মানে হয় প্রেরিত। সুতরাং সে গিয়ে ধুয়ে ফেলল এবং দেখতে দেখতে ফিরে আসল।
তারপর তিনি তাকে বললেন, “যাও, সিলোয়াম সরোবরে গিয়ে ধুয়ে ফেলো” (সিলোয়াম শব্দের অর্থ, প্রেরিত)। তখন সেই ব্যক্তি সেখানে গিয়ে (চোখ) ধুয়ে ফেলল এবং দৃষ্টিশক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরে গেল।
8 তখন লোকটী প্রতিবেশীরা এবং যারা আগে তাকে দেখেছিল যে, সে ভিক্ষা করত, তারা বলতে লাগল একি সেই লোকটি নয় যে বসে ভিক্ষা করত?
তার প্রতিবেশীরা এবং যারা তাকে আগে ভিক্ষা করতে দেখেছিল, তারা বলল, “যে ব্যক্তি বসে ভিক্ষা করত, এ কি সেই একই ব্যক্তি নয়?”
9 কেউ কেউ বলল, এ সেই লোক; অন্যরা বলল না কিন্তু তারই মত; সে কিন্তু বলছিল “আমি সেই লোক।”
কেউ কেউ বলল যে, সেই ব্যক্তিই তো! অন্যেরা বলল, “না, সে তার মতো দেখতে।” সে বলল, “আমিই সেই ব্যক্তি।”
10 ১০ তারা তখন তাকে বলল, তবে কি করে তোমার চক্ষু খুলে গেল?
তারা জানতে চাইল, “তাহলে তোমার চোখ কীভাবে খুলে গেল?”
11 ১১ সে উত্তর দিল, একজন মানুষ যাকে যীশু নামে ডাকে তিনি কাদা করে আমার চক্ষুতে মাখিয়ে দিলেন এবং আমাকে বললেন, শীলোহে যাও এবং ধুয়ে ফেল; সুতরাং আমি গিয়ে ধুয়ে ফেললাম এবং দৃষ্টি ফিরে পেলাম।
উত্তরে সে বলল, “লোকে যাকে যীশু বলে, তিনি কিছু কাদা তৈরি করে আমার দু-চোখে মাখিয়ে দিলেন এবং আমাকে বললেন, ‘যাও, সিলোয়াম সরোবরে গিয়ে ধুয়ে ফেলো।’ তাঁর নির্দেশমতো গিয়ে আমি তাই ধুয়ে ফেললাম, আর তারপর থেকে আমি দেখতে পাচ্ছি।”
12 ১২ তারা তাকে বলল, সে কোথায়? সে বলল আমি জানি না।
তারা তাকে জিজ্ঞাসা করল, “সেই ব্যক্তি কোথায়?” সে বলল, “আমি জানি না।”
13 ১৩ আগে যে অন্ধ ছিল তাকে তারা ফরীশীদের কাছে নিয়ে গেল।
যে অন্ধ ছিল, সেই ব্যক্তিকে তারা ফরিশীদের কাছে নিয়ে গেল।
14 ১৪ যে দিন যীশু কাদা করে তার চক্ষু খুলে দেন সেই দিন বিশ্রামবার ছিল।
যেদিন যীশু কাদা তৈরি করে ব্যক্তির চোখ খুলে দিয়েছিলেন, সেই দিনটি ছিল বিশ্রামদিন।
15 ১৫ তখন আবার ফরীশীরাও তাকে জিজ্ঞাসা করতে লাগল, কিভাবে সে দৃষ্টি পেল? সে তাদেরকে বলল, তিনি আমার চোখের উপরে কাদা লাগিয়ে দিলেন, পরে আমি ধুইয়ে ফেললাম এবং আমি এখন দেখতে পাচ্ছি।
তাই ফরিশীরাও তাকে জিজ্ঞাসা করল, কীভাবে সে দৃষ্টিশক্তি লাভ করেছে। সে উত্তর দিল, “তিনি আমার চোখদুটিতে কাদা মাখিয়ে দিলেন। আমি ধুয়ে ফেললাম, আর এখন আমি দেখতে পাচ্ছি।”
16 ১৬ তখন কয়েক জন ফরীশী বলল, এই মানুষটি ঈশ্বর থেকে আসেনি, কারণ সে বিশ্রামবার মেনে চলে না। অন্যেরা বলল, কেমন করে একজন পাপী মানুষ এই সব আশ্চর্য্য কাজ করতে পারে? সুতরাং তাদের মধ্যে বিভেদ তৈরী হল।
ফরিশীদের মধ্যে কেউ কেউ বলল, “এই লোকটি ঈশ্বরের কাছ থেকে আসেনি, কারণ সে বিশ্রামদিন পালন করে না।” অন্য ফরিশীরা বলল, “যে পাপী, সে কী করে এমন চিহ্নকাজ করতে পারে?” এইভাবে তাদের মধ্যে মতভেদ দেখা দিল।
17 ১৭ সুতরাং তারা আবার সেই অন্ধকে জিজ্ঞাসা করলো, তুমি তার সম্পর্কে কি বল? কারণ সে তোমার চক্ষু খুলে দিয়েছে। সেই অন্ধ মানুষটি বলল তিনি একজন ভবিষ্যৎ বক্তা।
অবশেষে তারা অন্ধ ব্যক্তির দিকে ফিরে তাকে আবার জিজ্ঞাসা করল, “যে তোমার চোখ খুলে দিয়েছে তার বিষয়ে তোমার কী বলার আছে?” সে উত্তর দিল, “তিনি একজন ভাববাদী।”
18 ১৮ ইহূদিরা তখনও তার সম্পর্কে বিশ্বাস করল না যে, সে অন্ধ ছিল আর দৃষ্টি পেয়েছে যতক্ষণ না তারা ঐ দৃষ্টিপ্রাপ্ত মানুষটির বাবা মাকে ডেকে তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করল।
তার বাবা-মাকে ডেকে না আনা পর্যন্ত ইহুদিরা বিশ্বাসই করতে পারল না যে, সে অন্ধ ছিল এবং সে দৃষ্টিশক্তি লাভ করেছে।
19 ১৯ তারা তার বাবা মাকে জিজ্ঞাসা করলো, একি তোমাদের পুত্র যার সম্পর্কে তোমরা বলে থাক এ অন্ধই জন্মেছিল? তবে এখন কিভাবে সে দেখতে পাচ্ছে?
তারা জিজ্ঞাসা করল, “এ কি তোমাদেরই ছেলে? এর বিষয়েই কি তোমরা বলো যে, এ অন্ধ হয়েই জন্মগ্রহণ করেছিল? তাহলে এখন কী করে ও দেখতে পাচ্ছে?”
20 ২০ তার বাবা মা উত্তর দিয়ে তাদের বলল, আমরা জানি এই হলো আমাদের ছেলে এবং সে অন্ধই জন্মেছিল,
তার বাবা-মা উত্তর দিল, “আমরা জানি ও আমাদের ছেলে, আর আমরা এও জানি যে, ও অন্ধ হয়েই জন্মগ্রহণ করেছিল।
21 ২১ এখন কিভাবে দেখতে পাচ্ছে তা আমরা জানি না এবং কে বা এর চক্ষু খুলে দিয়েছে তাও আমরা জানি না; তাকেই জিজ্ঞাসা করুন, এখন তো ওর বয়স হয়েছে। নিজের কথা নিজে বলতে পারে।
কিন্তু এখন ও কীভাবে দেখতে পাচ্ছে বা কে ওর চোখ খুলে দিয়েছে, আমরা তা জানি না। আপনারা ওকেই জিজ্ঞাসা করুন। ও সাবালক, তাই ওর কথা ও নিজেই বলবে।”
22 ২২ তার বাবা মা ইহূদিদের এই কথা বলল কারণ তারা তাদের ভয় করত। কারণ ইহূদিরা আগেই ঠিক করেছিল কেউ যদি যীশুকে খ্রীষ্ট বলে স্বীকার করে তবে তাদেরকে সমাজ থেকে বের করে দেওয়া হবে।
তার বাবা-মা ইহুদিদের ভয়ে একথা বলল, কারণ ইহুদিরা ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যীশুকে যে খ্রীষ্ট বলে স্বীকার করবে, সমাজভবন থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে।
23 ২৩ এই সব কারণে তার বাবা মা বলল, সে পূর্ণ বয়ষ্ক তাঁকেই জিজ্ঞাসা করুন।
সেইজন্য তার বাবা-মা বলল, “ও সাবালক, তাই ওকেই জিজ্ঞাসা করুন।”
24 ২৪ সুতরাং তারা দ্বিতীয়বার সেই অন্ধ মানুষকে ডেকে তাকে বলল ঈশ্বরকে গৌরব কর। আমরা জানি যে সে একজন পাপী।
যে আগে অন্ধ ছিল, সেই ব্যক্তিকে তারা দ্বিতীয়বার ডেকে এনে বলল, “ঈশ্বরকে গৌরব প্রদান করো। আমরা জানি, সেই ব্যক্তি একজন পাপী।”
25 ২৫ তখন সেই মানুষটি উত্তর দিল, তিনি পাপী কি না আমি তা জানি না। একটা জিনিস জানি যে আমি অন্ধ ছিলাম এবং এখন আমি দেখতে পাচ্ছি।
সে উত্তর দিল, “তিনি পাপী, কি পাপী নন, তা আমি জানি না। আমি একটি বিষয় জানি, আমি আগে অন্ধ ছিলাম, কিন্তু এখন দেখতে পাচ্ছি।”
26 ২৬ তারা তাকে বলল, সে তোমার সঙ্গে কি করেছিল? কিভাবে সে তোমার চক্ষু খুলে দিল?
তারা তখন তাকে জিজ্ঞাসা করল, “সে তোমার প্রতি কী করেছিল? সে কী করে তোমার চোখ খুলে দিল?”
27 ২৭ সে উত্তর দিল, আমি একবার আপনাদেরকে বলেছি এবং আপনারা শোনেন নি; তবে কেন আবার সেই কথা শুনতে চাইছেন? আপনারা তো তাঁর শিষ্য হতে চান না, আপনারা কি হতে চাইছেন?
সে উত্তর দিল, “আমি এর আগেই সেকথা আপনাদের বলেছি, কিন্তু আপনারা তা শোনেননি। আপনারা আবার তা শুনতে চাইছেন কেন? আপনারাও কি তাঁর শিষ্য হতে চান?”
28 ২৮ তখন তারা তাকে গালিগালাজ করে বলল, তুই হলি তার শিষ্য কিন্তু আমরা হলাম মোশির শিষ্য।
তারা তাকে গালাগাল দিয়ে অপমান করে বলল, “তুই ওই লোকটির শিষ্য! আমরা মোশির শিষ্য।
29 ২৯ আমরা জানি যে ঈশ্বর মোশির সঙ্গে কথা বলেছিলেন কিন্তু এ কোথা থেকে এসেছে তা আমরা জানি না।
আমরা জানি, ঈশ্বর মোশির সঙ্গে কথা বলেছিলেন, কিন্তু এই লোকটির আগমন কোথা থেকে হল তা আমরা জানি না।”
30 ৩০ সেই মানুষটি উত্তর দিল এবং তাদেরকে বলল, এটাই হলো একটা আশ্চর্য্য জিনিস যে, তিনি কোথা থেকে আসলেন আপনারা তা জানেন না তবুও তিনি আমার চক্ষু খুলে দিয়েছেন।
সে উত্তর দিল, “সেটাই তো আশ্চর্যের কথা! আপনারা জানেন না তিনি কোথা থেকে এলেন, অথচ তিনিই আমার দু-চোখ খুলে দিলেন।
31 ৩১ আমরা জানি যে ঈশ্বর পাপীদের কথা শোনেন না, কিন্তু যদি কোন মানুষ ঈশ্বরের ভক্ত হয় এবং তাঁর ইচ্ছা মেনে চলে, ঈশ্বর তার কথা শোনেন।
আমরা জানি, ঈশ্বর পাপীদের কথা শোনেন না। যারা ঈশ্বরভক্ত ও তাঁর ইচ্ছা পালন করে, তিনি তাদেরই কথা শোনেন।
32 ৩২ পৃথিবীর পূর্বকাল থেকে কখনও শোনা যায় নি যে, কোনো মানুষ জন্ম থেকে অন্ধ তাকে চক্ষু খুলে দিয়েছে। (aiōn g165)
জন্মান্ধ ব্যক্তির চোখ কেউ খুলে দিয়েছে, একথা কেউ কখনও শোনেনি। (aiōn g165)
33 ৩৩ যদি এই মানুষটি ঈশ্বর থেকে না আসতেন, তবে তিনি কিছুই করতে পারতেন না।
সেই ব্যক্তির আগমন ঈশ্বরের কাছ থেকে না হলে, কোনো কিছুই তিনি করতে পারতেন না।”
34 ৩৪ তারা উত্তর দিয়ে তাকে বলল, তুই একেবারে পাপেই জন্ম নিয়েছিস, আর তুই আমাদের শিক্ষা দিচ্ছিস? তখন তারা তাকে সমাজ থেকে বের করে দিল।
একথা শুনে তারা বলল, “তোর জন্ম পাপেই হয়েছে, তুই কী করে আমাদের শিক্ষা দেওয়ার সাহস পেলি?” আর তারা তাকে সমাজ থেকে বের করে দিল।
35 ৩৫ যীশু শুনলেন যে, তারা তাকে সমাজ থেকে বের করে দিয়েছে। আর তিনি তার দেখা পেয়ে বললেন, তুমি কি মনুষ্যপুত্রকে বিশ্বাস কর?
যীশু শুনতে পেলেন তারা লোকটিকে বের করে দিয়েছে। তিনি তাকে যখন দেখতে পেলেন, তিনি বললেন, “তুমি কি মনুষ্যপুত্রে বিশ্বাস করো?”
36 ৩৬ সে উত্তর দিয়ে বলল, তিনি কে প্রভু? আমি যেন তাঁতে বিশ্বাস করি?
সেই ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল, “প্রভু তিনি কে? আমাকে বলুন, আমি যেন তাঁকে বিশ্বাস করতে পারি।”
37 ৩৭ যীশু তাকে বললেন, “তুমি তাঁকে দেখেছ এবং তিনি হলেন যিনি তোমার সঙ্গে কথা বলছেন।”
যীশু বললেন, “তুমি তাঁকে দেখেছ। প্রকৃতপক্ষে, তিনিই তোমার সঙ্গে কথা বলছেন।”
38 ৩৮ সেই মানুষটি বলল, আমি বিশ্বাস করি প্রভু; তখন সে তাঁকে প্রণাম করল।
“প্রভু, আমি বিশ্বাস করি,” একথা বলে সে তাঁকে প্রণাম করল।
39 ৩৯ তখন যীশু বললেন, বিচারের জন্য আমি এই পৃথিবীতে এসেছি, যেন যারা দেখতে পায় না তারা দেখতে পায় এবং যারা দেখে তারা যেন অন্ধ হয়।
যীশু বললেন, “বিচার করতেই আমি এ জগতে এসেছি, যেন দৃষ্টিহীনরা দেখতে পায় এবং যারা দেখতে পায়, তারা দৃষ্টিহীন হয়।”
40 ৪০ ফরীশীদের মধ্যে থেকে যারা তাঁর সঙ্গে ছিল তারা এই সব কথা শুনে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলো, আমরাও কি অন্ধ?
তাঁর সঙ্গী কয়েকজন ফরিশী তাঁকে একথা বলতে শুনে জিজ্ঞাসা করল, “কী হল? আমরাও অন্ধ নাকি?”
41 ৪১ যীশু তাদেরকে বললেন, যদি তোমরা অন্ধ হতে তবে তোমাদের হয়ত পাপ থাকত না। যদিও এখন তোমরা বলছ যে, আমরা দেখতে পাই সুতরাং তোমাদের পাপ আছে।
যীশু বললেন, “তোমরা অন্ধ হলে তোমাদের পাপের জন্য অপরাধী হতে না; কিন্তু তোমরা নিজেদের দেখতে পাও বলে দাবি করছ, তাই তোমাদের অপরাধ রয়ে গেল।”

< যোহন 9 >