< যোহন 6 >

1 এই সব কিছুর পরে যীশু গালীল সাগরের যাকে তিবিরিয়া সাগরও বলে, তার অপর পারে চলে গেলেন।
بَعْدَ ذلِكَ عَبَرَ يَسُوعُ بُحَيْرَةَ الْجَلِيلِ، أَيْ بُحَيْرَةَ طَبَرِيَّةَ، إِلَى الضَّفَّةِ الْمُقَابِلَةِ،١
2 আর বহু মানুষ তাঁর পিছনে পিছনে যেতে লাগল, কারণ তিনি অসুস্থদের উপরে যে সব চিহ্ন-কাজ করতেন সে সব তারা দেখত।
وَتَبِعَهُ جَمْعٌ كَبِيرٌ بَعْدَمَا رَأَوْا آيَاتِ شِفَائِهِ لِلْمَرْضَى.٢
3 যীশু পর্বতের উপর উঠলেন এবং সেখানে নিজের শিষ্যদের সঙ্গে বসলেন।
وَصَعِدَ يَسُوعُ وَتَلاَمِيذُهُ إِلَى الْجَبَلِ وَجَلَسُوا.٣
4 তখন নিস্তারপর্ব্ব, ইহূদিদের এই পর্ব্ব খুব কাছেই এসেছিল।
وَكَانَ عِيدُ الْفِصْحِ الْيَهُودِيُّ قَدِ اقْتَرَبَ.٤
5 যখন যীশু তাকালেন এবং দেখলেন যে বহু মানুষ তাঁর কাছে আসছে তখন তিনি ফিলিপকে বললেন, এদের খাবারের জন্য আমরা কোথায় রুটি কিনতে যাব?
وَإِذْ تَطَلَّعَ يَسُوعُ وَرَأَى جَمْعاً كَبِيراً قَادِماً نَحْوَهُ، قَالَ لِفِيلِبُّسَ: «مِنْ أَيْنَ نَشْتَرِي خُبْزاً لِنُطْعِمَ هؤُلاَءِ كُلَّهُمْ؟»٥
6 আর এই সব তিনি ফিলিপকে পরীক্ষা করার জন্য বললেন, কারণ তা তিনি নিজে জানতেন কি করবেন।
وَقَدْ قَالَ هَذَا لِيَمْتَحِنَهُ، لأَنَّ يَسُوعَ كَانَ يَعْرِفُ مَا سَيَفْعَلُهُ.٦
7 ফিলিপ তাঁকে উত্তর দিলেন, ওদের জন্য দুশো দিন দিনের রুটি ও যথেষ্ট নয় যে, প্রত্যেকে এমনকি অল্প করে পাবে।
فَأَجَابَهُ فِيلِبُّسُ: «حَتَّى لَوِ اشْتَرَيْنَا خُبْزاً بِمِئَتَيْ دِينَارٍ، لَمَا كَفَى لِيَحْصُلَ الْوَاحِدُ مِنْهُمْ عَلَى قِطْعَةٍ صَغِيرَةٍ!»٧
8 তাঁর শিষ্যদের মধ্যে একজন শিমোন পিতরের ভাই আন্দ্রিয় যীশুকে বললেন,
فَقَالَ لَهُ أَنْدَرَاوُسُ، أَخُو سِمْعَانَ بُطْرُسَ، وَهُوَ أَحَدُ التَّلاَمِيذِ:٨
9 এখানে একটি বালক আছে যার কাছে যবের পাঁচটি রুটি এবং দুটী মাছ আছে কিন্তু এত মানুষের মধ্যে এইগুলি দিয়ে কি হবে?
«هُنَا وَلَدٌ مَعَهُ خَمْسَةُ أَرْغِفَةِ شَعِيرٍ وَسَمَكَتَانِ صَغِيرَتَانِ. وَلكِنْ مَا هذِهِ لِمِثْلِ هَذَا الْجَمْعِ الْكَبِيرِ؟»٩
10 ১০ যীশু বললেন, “লোকদের বসিয়ে দাও।” সেই জায়গায় অনেক ঘাস ছিল। সুতরাং পুরুষেরা বসে গেল, সংখ্যায় প্রায় পাঁচ হাজার লোক হবে।
فَقَالَ يَسُوعُ: «أَجْلِسُوهُمْ!» وَكَانَ هُنَاكَ عُشْبٌ كَثِيرٌ. فَجَلَسَ الرِّجَالُ، وَكَانَ عَدَدُهُمْ نَحْوَ خَمْسَةِ آلافٍ.١٠
11 ১১ তখন যীশু সেই রুটি কয়টি নিলেন এবং ধন্যবাদ দিয়ে যারা বসেছিল তাদেরকে ভাগ করে দিলেন; সেইভাবে মাছ কয়টিও তারা যতটা চেয়েছিল ততটা দিলেন।
فَأَخَذَ يَسُوعُ الأَرْغِفَةَ وَشَكَرَ، ثُمَّ وَزَّعَ مِنْهَا عَلَى الْجَالِسِينَ، بِقَدْرِ مَا أَرَادُوا. وَكَذلِكَ فَعَلَ بِالسَّمَكَتَيْنِ.١١
12 ১২ আর তারা তৃপ্ত করে খাবার পর তিনি নিজের শিষ্যদের বললেন, অবশিষ্ট গুঁড়াগাঁড়া সব জড়ো কর, যেন কিছুই নষ্ট না হয়।
فَلَمَّا شَبِعُوا، قَالَ لِتَلاَمِيذِهِ: «اجْمَعُوا كِسَرَ الْخُبْزِ الَّتِي فَضَلَتْ لِكَيْ لاَ يَضِيعَ شَيْءٌ!»١٢
13 ১৩ সুতরাং তাঁরা জড়ো করলেন এবং ঐ পাঁচটি যবের রুটি গুঁড়াগাঁড়ায় সেই মানুষদের খাবার পর যা বেঁচেছিল তাতে বারো ঝুড়ি ভরলেন।
فَجَمَعُوهَا، وَمَلأُوا اثْنَتَيْ عَشْرَةَ قُفَّةً مِنْ كِسَرِ الْخُبْزِ الْفَاضِلَةِ عَنِ الآكِلِينَ مِنْ خَمْسَةِ أَرْغِفَةِ الشَّعِيرِ.١٣
14 ১৪ তখন সেই মানুষেরা তাঁর আশ্চর্য্য কাজ দেখে বলতে লাগল, ইনি সত্যই সেই ভাববাদী যাঁর পৃথিবীতে আসার কথা আছে।
فَلَمَّا رَأَى النَّاسُ الآيَةَ الَّتِي صَنَعَهَا يَسُوعُ قَالُوا: «حَقّاً، هَذَا هُوَ النَّبِيُّ الآتِي إِلَى الْعَالَمِ».١٤
15 ১৫ যখন যীশু বুঝতে পারলেন যে, তারা এসে রাজা করবার জন্য জোর করে তাঁকে ধরতে আসছে, তাই তিনি আবার নিজে একাই পর্বতে চলে গেলেন।
وَعَلِمَ يَسُوعُ أَنَّهُمْ عَلَى وَشْكِ أَنْ يَخْتَطِفُوهُ لِيُقِيمُوهُ مَلِكاً، فَعَادَ إِلَى الْجَبَلِ وَحْدَهُ.١٥
16 ১৬ যখন সন্ধ্যা হলো তাঁর শিষ্যেরা সমুদ্রতীরে চলে গেলেন।
وَلَمَّا حَلَّ الْمَسَاءُ نَزَلَ تَلاَمِيذُهُ إِلَى الْبُحَيْرَةِ،١٦
17 ১৭ তারা একটি নৌকায় উঠলেন এবং সমুদ্রের অপর পারে কফরনাহূমের দিকে চলতে লাগলেন। সে দিন অন্ধকার হয়ে এসেছিল এবং যীশু তখনও তাঁদের কাছে আসেননি।
وَرَكِبُوا قَارِباً مُتَّجِهِينَ إِلَى كَفْرَنَاحُومَ فِي الضَّفَّةِ الْمُقَابِلَةِ مِنَ الْبُحَيْرَةِ. وَخَيَّمَ الظَّلاَمُ وَلَمْ يَكُنْ يَسُوعُ قَد لَحِقَ بِهِمْ.١٧
18 ১৮ সেই দিন ঝড় হচ্ছিল এবং সাগরে বড় বড় ঢেউ উঠছিল।
وَهَبَّتْ عَاصِفَةٌ قَوِيَّةٌ، فَاضْطَرَبَتِ الْبُحَيْرَةُ.١٨
19 ১৯ এই ভাবে যখন শিষ্যেরা দেড় বা দুই ক্রোশ বয়ে গেলেন তাঁরা যীশুকে দেখতে পেলেন যে তিনি সমুদ্রের উপর দিয়ে হেঁটে নৌকার কাছে আসছেন এতে তাঁরা ভয় পেলেন।
وَبَعْدَمَا جَذَّفَ التَّلاَمِيذُ نَحْوَ ثَلاَثَةِ أَمْيَالٍ أَوْ أَرْبَعَةٍ، رَأَوْا يَسُوعَ يَقْتَرِبُ مِنَ الْقَارِبِ مَاشِياً عَلَى مَاءِ الْبُحَيْرَةِ، فَاسْتَوْلَى عَلَيْهِمِ الْخَوْفُ،١٩
20 ২০ তখন তিনি তাঁদেরকে বললেন, “এ আমি, ভয় কর না।”
فَشَجَّعَهُمْ قَائِلاً: «أَنَا هُوَ لاَ تَخَافُوا!»٢٠
21 ২১ তখন তাঁরা তাঁকে নৌকায় নিতে রাজি হলেন এবং তাঁরা যেখানে যাচ্ছিলেন নৌকা তক্ষনি সেই ডাঙা জায়গায় পৌঁছে গেল।
فَمَا كَادُوا يَطْلُبُونَ مِنْهُ أَنْ يَصْعَدَ إِلَى الْقَارِبِ، حَتَّى وَصَلَ الْقَارِبُ إِلَى الْمَكَانِ الْمَقْصُودِ.٢١
22 ২২ পরের দিন, সাগরের অপর পারে যেখানে মানুষের দল দাঁড়িয়েছিল তারা দেখেছিল যে সেখানে একটি ছাড়া আর কোনো নৌকা নেই এবং যীশু শিষ্যদের সঙ্গে সেই নৌকায় ওঠেন নি কেবল তাঁর শিষ্যেরা চলে গিয়েছিলেন।
وَفِي الْيَوْمِ التَّالِي، لَمْ يَجِدِ الْجَمْعُ الَّذِينَ بَاتُوا عَلَى الضَّفَّةِ الْمُقَابِلَةِ مِنَ الْبُحَيْرَةِ إِلاَّ قَارِباً وَاحِداً. وَكَانُوا يَعْرِفُونَ أَنَّ يَسُوعَ لَمْ يَرْكَبِ الْقَارِبَ مَعَ تَلاَمِيذِهِ (بِالأَمْسِ)، بَلِ اسْتَقَلَّهُ التَّلاَمِيذُ وَحْدَهُمْ.٢٢
23 ২৩ যদিও সেখানে কিছু নৌকা ছিল যা তিবিরিয়া থেকে এসেছিল যেখানে প্রভু ধন্যবাদ দেবার পর মানুষেরা রুটি খেয়েছিল।
ثُمَّ جَاءَتْ قَوَارِبُ أُخْرَى مِنْ طَبَرِيَّةَ، وَرَسَتْ بِالْقُرْبِ مِنَ الْمَكَانِ الَّذِي أَكَلُوا فِيهِ الْخُبْزَ بَعْدَمَا شَكَرَ الرَّبُّ عَلَيْهِ.٢٣
24 ২৪ যখন মানুষের দল দেখল যে, না যীশু না শিষ্যেরা কেউই সেখানে নেই, তখন তারা সেই সব নৌকায় চড়ে যীশুর খোঁজ করতে কফরনাহূমে গেল।
فَلَمَّا لَمْ يَجِدِ الْجَمْعُ يَسُوعَ وَلاَ تَلاَمِيذَهُ هُنَاكَ، رَكِبُوا تِلْكَ الْقَوَارِبَ وَجَاءُوا إِلَى كَفْرَنَاحُومَ بَاحِثِينَ عَنْ يَسُوعَ.٢٤
25 ২৫ সাগরের অপর পারে তাঁকে পাওয়ার পর তারা বলল, রব্বি, আপনি এখানে কখন এসেছেন?
فَلَمَّا وَجَدُوهُ عَلَى الضَّفَّةِ الْمُقَابِلَةِ مِنَ الْبُحَيْرَةِ، قَالُوا لَهُ: «يَامُعَلِّمُ، مَتَى وَصَلْتَ إِلَى هُنَا؟»٢٥
26 ২৬ যীশু তাদেরকে উত্তর দিলেন, বললেন, সত্য সত্যই, আমি তোমাদের বলছি, তোমরা আশ্চর্য্য কাজ দেখেছ বলে আমার খোঁজ করছ তা নয় কিন্তু সেই রুটি খেয়েছিলে ও তৃপ্ত হয়েছিলে বলে।
أَجَابَهُمْ يَسُوعُ: «الْحَقَّ الْحَقَّ أَقُولُ لَكُمْ: أَنْتُمْ تَبْحَثُونَ عَنِّي لاَ لأَنَّكُمْ رَأَيْتُمُ الآيَاتِ، بَلْ لأَنَّكُمْ أَكَلْتُمْ وَشَبِعْتُمْ مِنْ تِلْكَ الأَرْغِفَةِ.٢٦
27 ২৭ যে খাবার নষ্ট হয়ে যায় তার জন্য কাজ করো না, কিন্তু সেই খাবারের জন্য কাজ কর যেটা অনন্ত জীবন পর্যন্ত থাকে যা মনুষ্যপুত্র তোমাদের দেবেন, কারণ পিতা ঈশ্বর কেবল তাঁকেই মুদ্রাঙ্কিত করেছেন। (aiōnios g166)
لاَ تَسْعَوْا وَرَاءَ الطَّعَامِ الْفَانِي، بَلْ وَرَاءَ الطَّعَامِ الْبَاقِي إِلَى الْحَيَاةِ الأَبَدِيَّةِ، الَّذِي يُعْطِيكُمْ إِيَّاهُ ابْنُ الإِنْسَانِ، لأَنَّ هَذَا الطَّعَامَ قَدْ وَضَعَ اللهُ الآبُ خَتْمَهُ عَلَيْهِ». (aiōnios g166)٢٧
28 ২৮ তখন তারা তাঁকে বলল, আমরা যেন ঈশ্বরের কাজ করতে পারি, এ জন্য আমাদের কি করতে হবে?
فَسَأَلُوهُ: «مَاذَا نَفْعَلُ لِنَعْمَلَ مَا يَطْلُبُهُ اللهُ؟»٢٨
29 ২৯ যীশু উত্তর দিয়ে বললেন, ঈশ্বরের কাজ এই যে, যেন তাঁতে তোমরা বিশ্বাস কর যাকে তিনি পাঠিয়েছেন।
أَجَابَ يَسُوعُ: «الْعَمَلُ الَّذِي يَطْلُبُهُ اللهُ هُوَ أَنْ تُؤْمِنُوا بِمَنْ أَرْسَلَهُ».٢٩
30 ৩০ সুতরাং তারা তাঁকে বলল, আপনি এমনকি আশ্চর্য্য কাজ করবেন যা দেখে আমরা আপনাকে বিশ্বাস করব? আপনি কি করবেন?
فَقَالُوا لَهُ: «مَا الآيَةُ الَّتِي تَعْمَلُهَا لِنَرَاهَا وَنُؤْمِنَ بِكَ؟ مَاذَا تَقْدِرُ أَنْ تَعْمَلَ؟٣٠
31 ৩১ আমাদের পূর্বপুরুষেরা মরূপ্রান্তে গিয়ে মান্না খেয়েছিলেন, যেমন লেখা আছে, “তিনি খাবার জন্য তাদেরকে স্বর্গ থেকে রুটি দিলেন।”
فَإِنَّ آبَاءَنَا أَكَلُوا الْمَنَّ فِي الْبَرِّيَّةِ كَمَا جَاءَ فِي الْكِتَابِ: أَعْطَاهُمْ مَنَّ السَّمَاءِ خُبْزاً لِيَأْكُلُوا!»٣١
32 ৩২ যীশু তাদেরকে বললেন, সত্য, সত্যই আমি তোমাদেরকে বলছি, মোশি তোমাদেরকে স্বর্গ থেকে তো সেই রুটি দেননি, কিন্তু আমার পিতাই তোমাদের কে স্বর্গ থেকে প্রকৃত রুটি দিচ্ছেন।
فَأَجَابَهُمْ يَسُوعُ: «الْحَقَّ الْحَقَّ أَقُولُ لَكُمْ: إِنَّ مُوسَى لَمْ يُعْطِكُمْ خُبْزاً مِنَ السَّمَاءِ، وَإِنَّمَا أَبِي هُوَ الَّذِي يُعْطِيكُمُ الآنَ خُبْزَ السَّمَاءِ الْحَقِيقِيَّ،٣٢
33 ৩৩ কারণ ঈশ্বরীয় রুটি হলো যা স্বর্গ থেকে নেমে আসে এবং পৃথিবীর মানুষকে জীবন দেন।
فَخُبْزُ اللهِ هُوَ النَّازِلُ مِنَ السَّمَاءِ الْوَاهِبُ حَيَاةً لِلْعَالَمِ».٣٣
34 ৩৪ সুতরাং তারা তাঁকে বলল, প্রভু, সেই রুটি সবদিন আমাদের দিন।
قَالُوا لَهُ: «يَاسَيِّدُ، أَعْطِنَا فِي كُلِّ حِينٍ هَذَا الْخُبْزَ».٣٤
35 ৩৫ যীশু তাদের বললেন, আমিই হলাম সেই জীবনের রুটি। যে আমার কাছে আসে তার আর খিদে হবে না এবং যে আমার উপর বিশ্বাস করে তার আর কখনো পিপাসা পাবে না।
فَأَجَابَهُمْ يَسُوعُ: «أَنَا هُوَ خُبْزُ الْحَيَاةِ. فَالَّذِي يُقْبِلُ إِلَيَّ لاَ يَجُوعُ، وَالَّذِي يُؤْمِنُ بِي لاَ يَعْطَشُ أَبَداً.٣٥
36 ৩৬ যদিও আমি তোমাদের বলেছি যে, তোমরা আমাকে দেখেছ এবং এখনো বিশ্বাস কর না।
وَلكِنْ قُلْتُ لَكُمْ إِنَّكُمْ رَأَيْتُمُونِي وَلاَ تُؤْمِنُونَ،٣٦
37 ৩৭ পিতা যে সব আমাকে দেন সে সব আমার কাছেই আসবে এবং যে আমার কাছে আসবে তাকে আমি কোন ভাবেই বাইরে ফেলে দেবো না।
وَلكِنَّ كُلَّ مَا يَهَبُهُ الآبُ لِي سَيَأْتِي إِلَيَّ، وَمَنْ يَأْتِ إِلَيَّ لاَ أَطْرَحْهُ إِلَى الْخَارِجِ أَبَداً،٣٧
38 ৩৮ কারণ আমি স্বর্গ থেকে নেমে এসেছি আমার ইচ্ছা পূরণ করার জন্য নয় কিন্তু তাঁরই ইচ্ছা পূরণ করার জন্য, যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন।
فَقَدْ نَزَلْتُ مِنَ السَّمَاءِ، لاَ لأُتِمَّ مَشِيئَتِي، بَلْ مَشِيئَةَ الَّذِي أَرْسَلَنِي.٣٨
39 ৩৯ এবং যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁর ইচ্ছা হলো যে তিনি আমাকে যে যাদের দিয়েছেন, তার কিছুই যেন না হারাই, কিন্তু শেষ দিনের যেন তাদের জীবিত করে তুলি।
وَمَشِيئَتُهُ هِيَ أَنْ لاَ أَدَعَ أَحَدَاً مِمَّنْ وَهَبَهُمْ لِي يَهْلِكُ، بَلْ أُقِيمُهُ فِي الْيَوْمِ الأَخِيرِ.٣٩
40 ৪০ কারণ আমার পিতার ইচ্ছা হলো, যে কেউ পুত্রকে দেখে এবং তাঁতে বিশ্বাস করে সে যেন অনন্ত জীবন পায় এবং আমিই তাকে শেষ দিনের জীবিত করব। (aiōnios g166)
نَعَمْ! إِنَّ مَشِيئَةَ أَبِي هِيَ أَنَّ كُلَّ مَنْ يَرَى الاِبْنَ وَيُؤْمِنُ بِهِ تَكُونُ لَهُ الْحَيَاةُ الأَبَدِيَّةُ، وَسَأُقِيمُهُ أَنَا فِي الْيَوْمِ الأَخِيرِ». (aiōnios g166)٤٠
41 ৪১ তখন ইহূদি নেতারা তাঁর সম্পর্কে বকবক করতে লাগল, কারণ তিনি বলেছিলেন, “আমিই সেই রুটি যা স্বর্গ থেকে নেমে এসেছে।”
فَأَخَذَ الْيَهُودُ يَتَذَمَّرُونَ عَلَى يَسُوعَ لأَنَّهُ قَالَ: «أَنَا الْخُبْزُ الَّذِي نَزَلَ مِنَ السَّمَاءِ».٤١
42 ৪২ তারা বলল, এ যোষেফের পুত্র সেই যীশু নয় কি, যার পিতা মাতাকে আমরা জানি? এখন সে কেমন করে বলে, আমি স্বর্গ থেকে নেমে এসেছি?
وَقَالُوا: «أَلَيْسَ هَذَا يَسُوعَ ابْنَ يُوسُفَ، الَّذِي نَعْرِفُ نَحْنُ أَبَاهُ وَأُمَّهُ، فَكَيْفَ يَقُولُ: إِنِّي نَزَلْتُ مِنَ السَّمَاءِ؟»٤٢
43 ৪৩ যীশু উত্তর দিয়ে তাদেরকে বললেন, তোমরা নিজেদের মধ্যে বকবক করা বন্ধ কর।
فَأَجَابَهُمْ يَسُوعُ: «لاَ تَتَذَمَّرُوا فِيمَا بَيْنَكُمْ!٤٣
44 ৪৪ কেউ আমার কাছে আসতে পারবে না যতক্ষণ না পিতা যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন ও তিনি আকর্ষণ করছেন, আর আমি তাকে শেষ দিনের জীবিত করে তুলবো।
لاَ يَقْدِرُ أَحَدٌ أَنْ يَأْتِيَ إِلَيَّ إِلاَّ إِذَا اجْتَذَبَهُ الآبُ الَّذِي أَرْسَلَنِي. وَأَنَا أُقِيمُهُ فِي الْيَوْمِ الأَخِيرِ.٤٤
45 ৪৫ ভাববাদীদের বইতে লেখা আছে, “তারা সবাই ঈশ্বরের কাছে শিক্ষা পাবে।” যে কেউ পিতার কাছে শুনে শিক্ষা পেয়েছে, সেই আমার কাছে আসে।
جَاءَ فِي كُتُبِ الأَنْبِيَاءِ: سَيَتَعَلَّمُ الْجَمِيعُ مِنَ اللهِ. وَكُلُّ مَنْ يَسْمَعُ الآبَ وَيَتَعَلَّمُ مِنْهُ يَأْتِي إِلَيَّ.٤٥
46 ৪৬ কেউ যে পিতাকে দেখেছে তা নয়, শুধুমাত্র যিনি ঈশ্বর থেকে এসেছেন কেবল তিনিই পিতাকে দেখেছেন।
وَلَيْسَ مَعْنَى هَذَا أَنَّ أَحَداً رَأَى الآبَ: فَمَا رَآهُ إِلاَّ الَّذِي كَانَ مَعَ اللهِ. هُوَ وَحْدَهُ رَأَى الآبَ.٤٦
47 ৪৭ সত্য, সত্যই বলছি যে বিশ্বাস করে সে অনন্ত জীবন পায়। (aiōnios g166)
الْحَقَّ الْحَقَّ أَقُولُ لَكُمْ: إِنَّ الَّذِي يُؤْمِنُ بِي فَلَهُ حَيَاةٌ أَبَدِيَّةٌ. (aiōnios g166)٤٧
48 ৪৮ আমিই জীবনের রুটি।
أَنَا هُوَ خُبْزُ الْحَيَاةِ.٤٨
49 ৪৯ তোমাদের পূর্বপুরুষেরা মরূপ্রান্তে মান্না খেয়েছিল এবং তারা মরে গিয়েছে।
أَكَلَ أَبَاؤُكُمُ الْمَنَّ فِي الْبَرِّيَّةِ ثُمَّ مَاتُوا،٤٩
50 ৫০ এই হলো সেই রুটি যা স্বর্গ থেকে নেমে এসেছে যেন মানুষেরা এর কিছুটা খায় এবং না মরে।
وَلكِنْ هَا هُنَا الْخُبْزُ النَّازِلُ مِنَ السَّمَاءِ لِيَأْكُلَ مِنْهُ الإِنْسَانُ فَلاَ يَمُوتُ.٥٠
51 ৫১ আমিই সেই জীবন্ত রুটি যা স্বর্গ থেকে নেমে এসেছে। কেউ যদি এই রুটি র কিছুটা খায় তবে সে চিরকাল জীবিত থাকবে। আমি যে রুটি দেব সেটা আমার মাংস, পৃথিবীর মানুষের জীবনের জন্য। (aiōn g165)
أَنَا الْخُبْزُ الْحَيُّ الَّذِي نَزَلَ مِنَ السَّمَاءِ. إِنْ أَكَلَ أَحَدٌ مِنْ هَذَا الْخُبْزِ يَحْيَا إِلَى الأَبَدِ. وَالْخُبْزُ الَّذِي أُقَدِّمُهُ أَنَا، هُوَ جَسَدِي، أَبْذُلُهُ لِكَيْ يَحْيَا الْعَالَمُ». (aiōn g165)٥١
52 ৫২ ইহূদিরা খুব রেগে গেল ও একে অপরের সঙ্গে তর্ক করে বলতে লাগলো, কেমন করে ইনি আমাদেরকে খাবার জন্য নিজের মাংস দেবে?
فَأَثَارَ هَذَا الْكَلاَمُ جِدَالاً عَنِيفاً بَيْنَ الْيَهُودِ، وَتَسَاءَلُوا: «كَيْفَ يَقْدِرُ هَذَا أَنْ يُعْطِيَنَا جَسَدَهُ لِنَأْكُلَهُ؟»٥٢
53 ৫৩ যীশু তাদেরকে বললেন, সত্য, সত্যই আমি তোমাদের বলছি, যতক্ষণ না তোমরা মনুষ্যপুত্রের মাংস খাবে ও তাঁর রক্ত পান করবে তোমাদের নিজেদের জীবন পাবে না।
فَأَجَابَهُمْ يَسُوعُ: «الْحَقَّ الْحَقَّ أَقُولُ لَكُمْ: إِذَا لَمْ تَأْكُلُوا جَسَدَ ابْنِ الإِنْسَانِ وَتَشْرَبُوا دَمَهُ فَلاَ حَيَاةَ لَكُمْ فِي دَاخِلِكُمْ.٥٣
54 ৫৪ যে আমার মাংস খায় ও আমার রক্ত পান করে সে অনন্ত জীবন পেয়েছে এবং আমি তাকে শেষ দিনের জীবিত করব। (aiōnios g166)
مَنْ يَأْكُلْ جَسَدِي وَيَشْرَبْ دَمِي، فَلَهُ حَيَاةٌ أَبَدِيَّةٌ، وَأَنَا أُقِيمُهُ فِي الْيَوْمِ الأَخِيرِ، (aiōnios g166)٥٤
55 ৫৫ কারণ আমার মাংস সত্য খাবার এবং আমার রক্তই প্রকৃত পানীয়।
لأَنَّ جَسَدِي هُوَ الطَّعَامُ الْحَقِيقِيُّ، وَدَمِي هُوَ الشَّرَابُ الْحَقِيقِيُّ.٥٥
56 ৫৬ যে কেউ আমার মাংস খায় ও আমার রক্ত পান করে সে আমার মধ্যে থাকে এবং আমি তার মধ্যে থাকি।
وَكُلُّ مَنْ يَأْكُلُ جَسَدِي وَيَشْرَبُ دَمِي، يَثْبُتُ فِيَّ وَأَنَا فِيهِ.٥٦
57 ৫৭ যেমন জীবন্ত পিতা আমাকে পাঠিয়েছেন এবং পিতার জন্যই আমি বেঁচে আছি, ঠিক সেইভাবে যে কেউ আমাকে খায়, সেও আমার মাধ্যমে জীবিত থাকবে।
وَكَمَا أَنِّي أَحْيَا بِالآبِ الْحَيِّ الَّذِي أَرْسَلَنِي، فَكَذلِكَ يَحْيَا بِي مَنْ يَأْكُلُنِي.٥٧
58 ৫৮ এই হলো সেই রুটি যা স্বর্গ থেকে নেমে এসেছে, পূর্বপুরুষেরা যেমন খেয়েছিল এবং মরেছিল সেই রকম নয়। এই রুটি যে খাবে সে চিরকাল বেঁচে থাকবে। (aiōn g165)
هَذَا هُوَ الْخُبْزُ الَّذِي نَزَلَ مِنَ السَّمَاءِ، وَهُوَ لَيْسَ كَالْمَنِّ الَّذِي أَكَلَهُ أَبَاؤُكُمْ ثُمَّ مَاتُوا. فَالَّذِي يَأْكُلُ هَذَا الْخُبْزَ يَحْيَا إِلَى الأَبَدِ». (aiōn g165)٥٨
59 ৫৯ যীশু এই সব কথা কফরনাহূমে সমাজঘরে উপদেশ দেবার দিন বললেন।
هَذَا كُلُّهُ قَالَهُ يَسُوعُ فِي الْمَجْمَعِ وَهُوَ يُعَلِّمُ فِي كَفْرَنَاحُومَ.٥٩
60 ৬০ তাঁর শিষ্যদের মধ্যে অনেকে এই কথা শুনে বলল, এইগুলি কঠিন উপদেশ, কে এইগুলি গ্রহণ করবে?
فَلَمَّا سَمِعَهُ كَثِيرُونَ مِنْ تَلاَمِيذِهِ قَالُوا: «مَا أَصْعَبَ هَذَا الْكَلاَمَ! مَنْ يُطِيقُ سَمَاعَهُ؟»٦٠
61 ৬১ তাঁর শিষ্যেরা এই নিয়ে তর্ক করছে যীশু তা নিজে অন্তরে জানতে পেরে তাদের বললেন, “এই কথায় কি তোমরা বিরক্ত হচ্ছ?”
فَعَلِمَ يَسُوعُ فِي نَفْسِهِ أَنَّ تَلاَمِيذَهُ يَتَذَمَّرُونَ، فَسَأَلَهُمْ: «أَهَذَا يَبْعَثُ الشُّكُوكَ فِي نُفُوسِكُمْ؟٦١
62 ৬২ তখন কি ভাববে? যখন মনুষ্যপুত্র আগে যেখানে ছিলেন সেখানে তোমরা তাঁকে উঠে যেতে দেখবে?
فَمَاذَا لَوْ رَأَيْتُمُ ابْنَ الإِنْسَانِ صَاعِداً إِلَى حَيْثُ كَانَ قَبْلاً؟٦٢
63 ৬৩ পবিত্র আত্মা জীবন দেন, মাংস কিছু উপকার দেয় না। আমি তোমাদের যে সব কথা বলেছি তা হলো আত্মা এবং জীবন।
الرُّوحُ هُوَ الَّذِي يُعْطِي الْحَيَاةَ، أَمَّا الْجَسَدُ فَلاَ يُفِيدُ شَيْئاً. الْكَلاَمُ الَّذِي كَلَّمْتُكُمْ بِهِ هُوَ رُوحٌ وَحَيَاةٌ.٦٣
64 ৬৪ এখনও তোমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা বিশ্বাস করে না। কারণ যীশু প্রথম থেকে জানতেন কারা বিশ্বাস করে না এবং কেই বা তাঁকে শত্রুর হাতে ধরিয়ে দেবে।
وَلكِنَّ بَعْضاً مِنْكُمْ لاَ يُؤْمِنُونَ!» فَقَدْ كَانَ يَسُوعُ مُنْذُ الْبَدْءِ يَعْرِفُ مَنْ هُمُ الَّذِينَ لاَ يُؤْمِنُونَ بِهِ، وَمَنْ هُوَ الَّذِي سَيَخُونُهُ.٦٤
65 ৬৫ তিনি বললেন, এই জন্য আমি তোমাদেরকে বলেছি, যতক্ষণ না পিতার কাছ থেকে ক্ষমতা দেওয়া হয়, কেউ আমার কাছে আসতে পারে না।
ثُمَّ قَالَ: «لِذلِكَ قُلْتُ لَكُمْ: لاَ يَقْدِرُ أَحَدٌ أَنْ يَأْتِيَ إِلَيَّ إِلاَّ إِذَا وَهَبَهُ الآبُ ذلِكَ».٦٥
66 ৬৬ এই সবের পরে তাঁর অনেক শিষ্য ফিরে গেল এবং তাঁর সঙ্গে আর তারা চলাফেরা করল না।
مِنْ ذَلِكَ الْوَقْتِ هَجَرَهُ كَثِيرُونَ مِنْ أَتْبَاعِهِ، وَلَمْ يَعُودُوا يَتْبَعُونَهُ!٦٦
67 ৬৭ তখন যীশু সেই বারো জনকে বললেন, তোমরাও কি দূরে চলে যেতে চাও?
فَقَالَ لِلاِثْنَيْ عَشَرَ تِلْمِيذاً: «وَأَنْتُمْ أَتُرِيدُونَ أَنْ تَذْهَبُوا مِثْلَهُمْ؟»٦٧
68 ৬৮ শিমোন পিতর তাঁকে উত্তর দিলেন, প্রভু, কার কাছে আমরা যাব? আপনার কাছে অনন্ত জীবনের বাক্য আছে; (aiōnios g166)
فَأَجَابَهُ سِمْعَانُ بُطْرُسُ: «إِلَى مَنْ نَذْهَبُ يَارَبُّ وَعِنْدَكَ كَلاَمُ الْحَيَاةِ الأَبَدِيَّةِ. (aiōnios g166)٦٨
69 ৬৯ এবং আমরা বিশ্বাস করেছি ও জেনেছি যে আপনি হলেন ঈশ্বরের সেই পবিত্র ব্যক্তি।
نَحْنُ آمَنَّا وَعَرَفْنَا أَنَّكَ قُدُّوسُ اللهِ!»٦٩
70 ৭০ যীশু তাঁদেরকে বললেন, তোমাদের এই যে বারো জনকে কি আমি মনোনীত করে নিই নি? এবং তোমাদের মধ্যে একজন শয়তান আছে।
فَقَالَ يَسُوعُ: «أَلَيْسَ أَنَا اخْتَرْتُكُمْ أَنْتُمُ الاِثْنَيْ عَشَرَ، وَمَعَ ذلِكَ فَوَاحِدٌ مِنْكُمْ شَيْطَانٌ؟»٧٠
71 ৭১ এই কথা তিনি ঈষ্করিয়োতীয় শিমোনের পুত্র যিহূদার সমন্ধে বললেন, কারণ সে সেই বারো জনের মধ্যে একজন ছিল যে তাঁকে বেইমানি করে ধরিয়ে দেবে।
أَشَارَ بِهَذَا إِلَى يَهُوذَا بْنِ سِمْعَانَ الإِسْخَرْيُوطِيِّ، الَّذِي سَلَّمَهُ فِيمَا بَعْدُ مَعَ أَنَّهُ كَانَ مِنَ الاِثْنَيْ عَشَرَ!٧١

< যোহন 6 >