< যোহন 19 >

1 তারপর পীলাত যীশুকে নিয়ে তাঁকে চাবুক মারলেন।
পীলাত তখন যীশুকে নিয়ে গিয়ে চাবুক দিয়ে প্রহার করালেন।
2 সৈন্যরা কাঁটা বাঁকিয়ে একসঙ্গে করে মুকুট তৈরী করলো। তারা এটা যীশুর মাথায় পরাল এবং তাঁকে বেগুনী কাপড় পরাল।
সৈন্যরা একটি কাঁটার মুকুট তৈরি করে তাঁর মাথায় পরালো। তারা তাঁকে বেগুনি রংয়ের পোশাক পরিয়ে দিল।
3 তারা তাঁর কাছে এল এবং বলল, “ওহে ইহুদীদের রাজা!” এবং তারা তাঁকে তাদের হাত দিয়ে আঘাত করতে লাগল।
বারবার তাঁর কাছে গিয়ে তারা বলতে লাগল, “ইহুদি-রাজ নমস্কার!” আর তাঁর মুখে তারা চড় মারতে লাগল।
4 তারপর পীলাত আবার বাইরে বেরিয়ে গেলেন এবং লোকদের বললেন, “দেখ, আমি যে মানুষটিকে তোমাদের কাছে বাইরে এনেছি তোমরা জান যে আমি তাঁর কোন দোষ দেখতে পাইনি।”
পীলাত আর একবার বাইরে এসে ইহুদিদের বললেন, “দেখো, ওকে অভিযুক্ত করার মতো আমি কোনো অপরাধ খুঁজে পাইনি, একথা জানানোর জন্য ওকে আমি তোমাদের কাছে বের করে নিয়ে এসেছি।”
5 সুতরাং যীশু বাইরে এলেন; তিনি কাঁটার মুকুট এবং বেগুনী কাপড় পরে ছিলেন। তারপর পীলাত তাদের বললেন, “দেখ, এখানে মানুষটিকে!”
কাঁটার মুকুট এবং বেগুনি পোশাক পরে যীশু বেরিয়ে এলে পীলাত তাদের বললেন, “এই দেখো, সেই ব্যক্তি!”
6 যখন প্রধান যাজকেরা এবং আধিকারিকরা যীশুকে দেখল, তারা চিত্কার করে উঠে বলল, “তাকে ক্রুশে দাও, তাকে ক্রুশে দাও!” পীলাত তাদের বললেন, “তোমরা নিজেরাই তাঁকে নিয়ে যাও এবং তাঁকে ক্রুশে দাও, কারণ আমি তাঁর কোন দোষ দেখতে পাচ্ছি না।”
প্রধান যাজকবৃন্দ ও তাদের কর্মচারীরা তাঁকে দেখার সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার করে উঠল, “ওকে ক্রুশে দিন, ক্রুশে দিন!” পীলাত বললেন, “তোমরাই ওকে নিয়ে ক্রুশে দাও। যদি আমার কথা বলো, ওকে অভিযুক্ত করার মতো কোনো অপরাধ আমি পাইনি।”
7 ইহুদীরা পীলাতকে উত্তর দিলেন, “আমাদের একটা আইন আছে এবং সেই আইন অনুসারে তাঁর মরা উচিত কারণ তিনি নিজেকে ঈশ্বরের পুত্র মনে করেন।”
ইহুদিরা জোর করতে লাগল, “আমাদের একটি বিধান আছে এবং সেই বিধান অনুসারে লোকটিকে মৃত্যুদণ্ড ভোগ করতে হবে, কারণ সে নিজেকে ঈশ্বরের পুত্র বলে দাবি করেছে।”
8 পীলাত যখন এই কথা শুনলেন, তিনি তখন আরও ভয় পেলেন,
একথা শুনে পীলাত আরও বেশি ভীত হয়ে পড়লেন
9 এবং তিনি আবার রাজবাড়িতে ঢুকলেন এবং যীশুকে বললেন, “তুমি কোথা থেকে এসেছ?” তা সত্বেও, যীশু তাঁকে কোন উত্তর দিলেন না।
এবং প্রাসাদের ভিতরে ফিরে গিয়ে তিনি যীশুকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কোথা থেকে এসেছ?” কিন্তু যীশু তাঁকে কোনও উত্তর দিলেন না।
10 ১০ তারপরে পীলাত তাঁকে বললেন, “তুমি আমার সঙ্গে কথা বলছ না কেন? তুমি কি জান না যে তোমাকে ছেড়ে দেবার ক্ষমতাও আমার আছে এবং তোমাকে ক্রুশে দেবারও ক্ষমতাও আমার আছে?”
পীলাত বললেন, “তুমি কি আমার সঙ্গে কথা বলতে চাও না? তুমি কি বুঝতে পারছ না, তোমাকে মুক্তি দেওয়ার বা ক্রুশবিদ্ধ করার ক্ষমতা আমার আছে?”
11 ১১ যীশু তাঁকে উত্তর দিলেন, “যদি স্বর্গরাজ্য থেকে তোমাকে দেওয়া না হত, তবে আমার বিরুদ্ধে তোমার কোন ক্ষমতা থাকত না। সুতরাং যে লোক তোমার হাতে আমাকে সমর্পণ করেছে তারই পাপ হত বেশি।”
যীশু উত্তর দিলেন, “ঈশ্বর তোমাকে এ ক্ষমতা না দিলে আমার উপর তোমার কোনো অধিকার থাকত না, তাই যে আমাকে তোমার হাতে সমর্পণ করেছে, তার অপরাধ আরও বেশি।”
12 ১২ এই উত্তরে, পীলাত তাঁকে ছেড়ে দিতে চেষ্টা করলেন, কিন্তু ইহুদীরা চিত্কার করে বলল, “আপনি যদি এই মানুষটিকে ছেড়ে দেন, তবে আপনি কৈসরের বন্ধু নন: প্রত্যেকে যারা নিজেকে রাজা মনে করে, সে কৈসরের বিপক্ষে কথা বলে।”
সেই সময় থেকে পীলাত যীশুকে মুক্ত করার চেষ্টা করলেন, কিন্তু ইহুদিরা চিৎকার করে বলতে লাগল, “এই লোকটিকে মুক্তি দিলে আপনি কৈসরের বন্ধু নন। যে নিজেকে রাজা বলে দাবি করে, সে কৈসরের বিরুদ্ধাচরণ করে।”
13 ১৩ যখন পীলাত এই কথাগুলো শুনেছিলেন, তিনি যীশুকে বাইরে এনেছিলেন এবং পাথর দিয়ে বাঁধানো একটা জায়গায় বিচারের আসনে বসেছিলেন, ইব্রীয়তে, গব্বথা।
একথা শুনে পীলাত যীশুকে বাইরে নিয়ে এলেন এবং পাষাণ-বেদি নামে পরিচিত এক স্থানে বিচারের আসনে বসলেন (অরামীয় ভাষায় স্থানটির নাম, গব্বথা)।
14 ১৪ এই দিন টি ছিল নিস্তারপর্ব্বের আয়োজনের দিন, বেলা প্রায় বারোটা। পীলাত ইহুদীদের বললেন, “দেখ, এখানে তোমাদের রাজা!”
সেদিন ছিল নিস্তারপর্বের প্রস্তুতির দিন। তখন প্রায় দুপুর। “এই দেখো, তোমাদের রাজা,” পীলাত ইহুদিদের বললেন।
15 ১৫ তারা চিত্কার করে উঠল, “তাকে দূর কর, তাকে দূর কর; তাকে ক্রুশে দাও!” পীলাত তাদের বললেন, “তোমাদের রাজাকে কি ক্রুশে দেব?” প্রধান যাজক উত্তর দিলেন, “কৈসর ছাড়া আমাদের অন্য কোনো রাজা নেই।”
কিন্তু তারা চিৎকার করে উঠল, “ওকে দূর করুন, দূর করুন, ওকে ক্রুশে দিন!” পীলাত জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমাদের রাজাকে কি আমি ক্রুশে দেব?” প্রধান যাজকেরা উত্তর দিলেন, “কৈসর ছাড়া আমাদের আর কোনও রাজা নেই।”
16 ১৬ তারপর পীলাত যীশুকে তাদের হাতে সমর্পণ করলেন যেন তাঁকে ক্রুশে দেওয়া হয়।
অবশেষে পীলাত যীশুকে ক্রুশবিদ্ধ করার জন্য তাদের হাতে সমর্পণ করলেন। তখন সৈন্যরা যীশুর দায়িত্ব গ্রহণ করল।
17 ১৭ তারপর তারা যীশুকে নিল এবং তিনি নিজের ক্রুশ নিজে বহন করে বেরিয়ে গেলেন, জায়গাটাকে বলত মাথার খুলির জায়গা, ইব্রীয় ভাষায় সেই জায়গাকে গলগথা বলে।
যীশু নিজের ক্রুশ বহন করে করোটি নামক স্থানে গেলেন (অরামীয় ভাষায় স্থানটির নাম গলগথা)।
18 ১৮ তারা সেখানে যীশুকে ক্রুশে দিল এবং তাঁর সঙ্গে আর দুই জন মানুষকে দিল, দুই দিকে দুই জনকে, মাঝখানে যীশুকে।
তারা সেখানে অন্য দুজনের সঙ্গে তাঁকে ক্রুশার্পিত করল। দুই পাশে দুজন এবং মাঝখানে যীশু।
19 ১৯ পীলাত আরও একখানা দোষপত্র লিখে ক্রুশের উপর দিকে লাগিয়ে দিলেন। সেখানে লেখা ছিল: নাসরতের যীশু, ইহুদীদের রাজা।
একটি বিজ্ঞপ্তি লিখিয়ে পীলাত ক্রুশে ঝুলিয়ে দিলেন। তাতে লেখা ছিল: নাসরতের যীশু, ইহুদিদের রাজা।
20 ২০ ইহুদীরা অনেকে সেই দোষপত্র পড়লেন, কারণ যেখানে যীশুকে ক্রুশে দেওয়া হয়েছিল সেই জায়গাটা নগরের কাছে। দোষপত্রটি ইব্রীয়, রোমীয় ও গ্রীক ভাষায় লেখা ছিল।
যীশুকে যেখানে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল, সেই স্থানটি ছিল নগরের কাছেই। অনেক ইহুদি এই বিজ্ঞপ্তিটি পড়ল। এটি লেখা হয়েছিল অরামীয়, লাতিন ও গ্রিক ভাষায়।
21 ২১ তারপর ইহুদীদের প্রধান যাজকরা পীলাতকে বললেন, লিখবেন না, ইহুদীদের রাজা কিন্তু লিখুন যে, বরং তিনি বললেন, “আমি ইহুদীদের রাজা।”
ইহুদিদের প্রধান যাজকেরা পীলাতের কাছে প্রতিবাদ জানাল, “‘ইহুদিদের রাজা,’ একথা লিখবেন না, বরং লিখুন যে এই লোকটি নিজেকে ইহুদিদের রাজা বলে দাবি করেছিল।”
22 ২২ পীলাত উত্তর দিলেন, “আমি যা লিখেছি, তা লিখেছি।”
পীলাত উত্তর দিলেন, “আমি যা লিখেছি, তা লিখেছি।”
23 ২৩ পরে সৈন্যরা যীশুকে ক্রুশে দিল, তারা তাঁর কাপড় নিল এবং সেগুলোকে চার টুকরো করলো, প্রত্যেক সৈন্য এক একটা অংশ নিল এবং জামাটিও নিল। ঐ জামাটায় সেলাই ছিল না, উপর থেকে সবটাই বোনা।
সৈন্যরা যীশুকে ক্রুশবিদ্ধ করার পর তাঁর পোশাক চার ভাগে ভাগ করে প্রত্যেকে একটি করে অংশ নিল। রইল শুধু অন্তর্বাসটি। সেই পোশাকে কোনো সেলাই ছিল না, উপর থেকে নিচ পর্যন্ত বোনা একটি অখণ্ড কাপড়ে সেটি তৈরি করা হয়েছিল।
24 ২৪ তারপর তারা একে অন্যকে বলল, “এটা আমরা পৃথকভাবে ছিঁড়ব না, পরিবর্তে এস আমরা ভাগ্য পরীক্ষা করে দেখি, এটা কার হবে।” এই ঘটেছিল যেন শাস্ত্রের বাক্য পূর্ণ হয় বলে, “তারা নিজেদের মধ্যে আমার কাপড় ভাগ করেছিল এবং আমার কাপড়ের জন্য তারা ভাগ্য পরীক্ষা করেছিল।”
তারা পরস্পরকে বলল, “এটা আমরা ছিঁড়ব না, এসো, এটা কার ভাগে পড়ে, তা নির্ধারণ করার জন্য গুটিকাপাত করি।” শাস্ত্রের এই বাণী যেন পূর্ণ হয় তাঁর জন্য এ ঘটনা ঘটল: “আমার পোশাক তারা তাদের মধ্যে ভাগ করে নিল, আর আমার আচ্ছাদনের জন্য গুটিকাপাতের দান ফেলল।” সুতরাং, সৈন্যরা তাই করল।
25 ২৫ সৈন্যরা এই সব করেছিল। যীশুর মা, তার মায়ের বোন, ক্লোপার স্ত্রী মরিয়ম এবং মগ্দলীনী মরিয়ম এই স্ত্রীলোকেরা যীশুর ক্রুশের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
যীশুর ক্রুশের কাছেই দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর মা, তাঁর মাসিমা, ক্লোপার স্ত্রী মরিয়ম এবং মাগ্দালাবাসী মরিয়ম।
26 ২৬ যখন যীশু তাঁর মাকে দেখেছিলেন এবং যাকে তিনি প্রেম করতেন সেই শিষ্য কাছে দাঁড়িয়ে আছেন দেখে, তিনি তাঁর মাকে বললেন, “নারী, দেখ, এখানে তোমার ছেলে!”
যীশু সেখানে তাঁর মা এবং কাছেই দাঁড়িয়ে থাকা শিষ্যকে, যাঁকে তিনি প্রেম করতেন, তাঁকে দেখে, তাঁর মাকে বললেন, “নারী, ওই দেখো, তোমার পুত্র!”
27 ২৭ তারপর তিনি সেই শিষ্যকে বললেন, “দেখ, এখানে তোমার মা!” সেই দিন থেকে ঐ শিষ্য তাঁকে নিজের বাড়িতে নিয়ে গেলেন।
এবং সেই শিষ্যকে বললেন, “ওই দেখো, তোমার মা!” সেই সময় থেকে, সেই শিষ্য তাঁর মাকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে গেলেন।
28 ২৮ এর পরে যীশু জানতেন যে সব কিছু এখন শেষ হয়েছে, শাস্ত্রের বাক্য যেন পূর্ণ হয়, এই জন্য বললেন, “আমার পিপাসা পেয়েছে।”
এরপর, সবকিছুই সম্পূর্ণ হয়েছে জেনে, শাস্ত্রের বচন যেন পূর্ণ হয় সেইজন্য যীশু বললেন, “আমার পিপাসা পেয়েছে।”
29 ২৯ সেই জায়গায় সিরকায় ভর্তি একটা পাত্র ছিল, সুতরাং তারা সিরকায় ভর্তি একটা স্পঞ্জ এসোব নলে লাগাল এবং এটা উঁচুতে তুলে তাঁর মুখে ধরল।
সেখানে রাখা ছিল এক পাত্র অম্লরস। তারা সেই অম্লরসে এক টুকরো স্পঞ্জ ভিজিয়ে, সেটিকে এসোব গাছের ডাঁটায় লাগিয়ে যীশুর মুখের কাছে তুলে ধরল।
30 ৩০ যখন যীশু সিরকা গ্রহণ করলেন, তিনি বললেন, “শেষ হল।” তিনি তাঁর মাথা নীচু করলেন এবং আত্মা সমর্পণ করলেন।
সেই পানীয় গ্রহণ করে যীশু বললেন, “সমাপ্ত হল।” এই কথা বলে তিনি তাঁর মাথা নত করে তাঁর আত্মা সমর্পণ করলেন।
31 ৩১ এটাই ছিল আয়োজনের দিন এবং আদেশ ছিল যে বিশ্রামবারে সেই মৃতদেহগুলো ক্রুশের ওপরে থাকবে না (কারণ বিশ্রামবার ছিল একটা বিশেষ দিন), ইহুদীরা পীলাতকে জিজ্ঞাসা করলেন যে লোকদের পা গুলি ভেঙে ফেলে এবং তাদের দেহগুলো নিচে নামানো হবে।
সেদিন ছিল প্রস্তুতির দিন এবং পরদিন ছিল বিশেষ এক বিশ্রামদিন। ইহুদিরা চায়নি যে বিশ্রামদিনের সময় ওই দেহগুলি ক্রুশের উপর থাকে, তাই পা ভেঙে দিয়ে দেহগুলি ক্রুশের উপর থেকে নামাবার জন্য তারা পীলাতকে অনুরোধ করল।
32 ৩২ তারপর সৈন্যরা এসেছিল এবং প্রথম লোকটী পা গুলি ভাঙলো এবং দ্বিতীয় লোকটিরও যাদের যীশুর সঙ্গে ক্রুশে বিদ্ধ করা হয়েছিল।
সৈন্যরা সেই কারণে এসে যীশুর সঙ্গে ক্রুশবিদ্ধ প্রথম ব্যক্তির এবং তারপর অন্য ব্যক্তির পা ভেঙে দিল।
33 ৩৩ তখন যারা যীশুর কাছে এসেছিল, তারা দেখল যে তিনি মারা গেছেন, সুতরাং তারা তাঁর পা গুলি ভাঙলো না।
কিন্তু তারা যীশুর কাছে এসে দেখল, ইতিমধ্যে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তাই তারা তাঁর পা ভাঙল না।
34 ৩৪ তা সত্বেও সৈন্যদের মধ্যে একজন বল্লম দিয়ে তাঁর পাঁজরে খোঁচা দিল এবং তখনই রক্ত এবং জল বেরিয়ে এল।
বরং, সৈন্যদের একজন বর্শা দিয়ে যীশুর বুকে বিদ্ধ করলে রক্ত ও জলের ধারা নেমে এল।
35 ৩৫ একজন যে দেখেছিল সে প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য দিয়েছে এবং তার সাক্ষ্য সত্য; তিনি জানতেন যে তিনি যা বলছেন সত্য যেন তোমরাও বিশ্বাস করতে পার।
যে এ বিষয়ের প্রত্যক্ষদর্শী, সেই সাক্ষ্যদান করেছে এবং তার সাক্ষ্য সত্য। সে জানে যে, সে সত্য কথা বলেছে এবং সে সাক্ষ্য দিচ্ছে যেন তোমরাও বিশ্বাস করতে পারো।
36 ৩৬ এই সব আসল যেন এই শাস্ত্রীয় বাক্য পূর্ণ হয়, “তাঁর একখানা হাড়ও ভাঙা হবে না।”
শাস্ত্রের বচন পূর্ণ হওয়ার জন্য এই সমস্ত ঘটল, “তাঁর একটিও হাড় ভাঙা হবে না” এবং
37 ৩৭ আবার, অন্য শাস্ত্রীয় বাক্য বলে, “তারা যাকে বিদ্ধ করেছে তারা তাঁকে দেখবে।”
শাস্ত্রের অন্যত্র যেমন বলা হয়েছে, “তারা যাঁকে বিদ্ধ করেছে, তাঁরই উপরে দৃষ্টি নিবদ্ধ করবে তারা।”
38 ৩৮ এর পরে অরিমাথিয়ার যোষেফ, যিনি যীশুর একজন শিষ্য ছিলেন, কিন্তু ইহুদীদের ভয়ে লুকিয়ে ছিলেন, তিনি পীলাতকে জিজ্ঞাসা করলেন যে তিনি যীশুর দেহ নিয়ে যেতে পারেন। পীলাত তাঁকে অনুমতি দিলেন। সুতরাং যোষেফ এলেন এবং তাঁর মৃতদেহ নিয়ে গেলেন।
পরে, আরিমাথিয়ার যোষেফ যীশুর দেহের জন্য পীলাতের কাছে নিবেদন জানালেন। যোষেফ ছিলেন যীশুর একজন শিষ্য, কিন্তু ইহুদি নেতাদের ভয়ে তাঁকে গোপনে অনুসরণ করতেন। পীলাতের অনুমতি নিয়ে, তিনি এসে যীশুর দেহ নিয়ে গেলেন।
39 ৩৯ যিনি প্রথমে রাতেরবেলা যীশুর কাছে এসেছিলেন, সেই নীকদীমও এলেন। তিনি মেশানো গন্ধরস এবং অগুরু প্রায় চৌত্রিশ কিলোগ্রাম নিয়ে এলেন।
তার সঙ্গে ছিলেন নীকদীম, যিনি রাত্রিবেলা যীশুর সঙ্গে পূর্বে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন। নীকদীম প্রায় চৌত্রিশ কিলোগ্রাম গন্ধরস মিশ্রিত অগুরু নিয়ে এলেন।
40 ৪০ সুতরাং তাঁরা যীশুর মৃতদেহ নিলেন এবং ইহুদীদের কবর দেবার নিয়ম মত সুগন্ধ জিনিস দিয়ে লিনেন কাপড় দিয়ে জড়ালেন।
যীশুর দেহ নিয়ে তারা দুজনে সুগন্ধি মশলা মাখিয়ে লিনেন কাপড়ের ফালি দিয়ে জড়ালেন। ইহুদিদের সমাধিদানের প্রথা অনুসারে তারা এ কাজ করলেন।
41 ৪১ যেখানে তাঁকে ক্রুশে দেওয়া হয়েছিল সেখানে একটা বাগান ছিল; এবং সেই বাগানের মধ্যে একটা নতুন কবর ছিল, যার মধ্যে কোন লোককে কখন কবর দেওয়া হয়নি।
যীশু যেখানে ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিলেন, সেখানে একটি বাগান ছিল। সেই বাগানে ছিল একটি নতুন সমাধি, কাউকে কখনও তার মধ্যে কবর দেওয়া হয়নি।
42 ৪২ কারণ এটা ছিল ইহুদীদের আয়োজনের দিন কারণ কবরটা খুব কাছে ছিল, তাঁরা এটার মধ্যে যীশুকে রাখলেন।
সেদিন ছিল ইহুদিদের প্রস্তুতির দিন এবং সমাধিটি কাছেই ছিল বলে তারা সেখানেই যীশুর দেহ শুইয়ে রাখলেন।

< যোহন 19 >