< ইয়োবের বিবরণ 42 >

1 তখন ইয়োব সদাপ্রভুকে উত্তর দিলেন এবং বললেন
পরে ইয়োব সদাপ্রভুকে উত্তর দিলেন:
2 “আমি জানি যে আপনি সমস্ত কিছু করতে পারেন, আপনার কোন সঙ্কল্পই থামতে পারে না।
“আমি জানি যে তুমি সবকিছু করতে পার; তোমার কোনও অভিষ্ট খর্ব করা যায় না।
3 আপনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেছেন, ‘এ কে যে জ্ঞানহীন ভাবে আমার পরিকল্পনায় অন্ধকার নিয়ে আসে?’ এই জন্য, আমি কিছু কথা বলেছি যা আমি বুঝি না, আমার বোঝার জন্য জিনিস গুলো খুব কঠিন, যা আমি জানি না।
তুমি জিজ্ঞাসা করলে, ‘এ কে যে জ্ঞান ছাড়াই আমার পরিকল্পনাগুলি ম্লান করে দিচ্ছে?’ নিশ্চয় আমি যা বুঝিনি, আমার জানার পক্ষে যা খুবই অদ্ভুত, তাই বলেছি।
4 আপনি আমায় বললেন, ‘এখন শোন এবং আমি কথা বলি; আমি তোমাকে জিজ্ঞাসা করি এবং তুমি আমায় বলবে।’
“তুমি বললে, ‘এখন শোনো, আমি কথা বলব; আমি তোমাকে প্রশ্ন করব, ও তুমি আমাকে উত্তর দেবে।’
5 আমি আমার কানে আপনার বিষয়ে শুনেছি, কিন্তু এখন আমার চোখ আপনাকে দেখল।
তোমার কথা আমি কানে শুনেছিলাম কিন্তু এখন আমি স্বচক্ষে তোমাকে দেখলাম।
6 তাই আমি নিজেকে ঘৃণা করি; আমি ধূলোয় এবং ছাইয়ে বসে অনুতাপ করি।”
তাই নিজেকে আমি ঘৃণা করছি এবং ধুলোয় ও ছাইভস্মে বসে অনুতাপ করছি।”
7 এই সমস্ত কথা ইয়োবকে বলার পর, সদাপ্রভু তৈমনীয় ইলীফসকে বললেন, “আমার প্রচন্ড ক্রোধ তোমার বিরুদ্ধে এবং তোমার বন্ধুদের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠেছে, কারণ তোমরা আমার বিষয়ে সঠিক কথা বলনি যেমন আমার দাস ইয়োব বলেছে।
ইয়োবকে এসব কথা বলার পর, সদাপ্রভু তৈমনীয় ইলীফসকে বললেন, “তোমার উপরে এবং তোমার দুই বন্ধুর উপরে আমি ক্রুদ্ধ হয়েছি, কারণ আমার দাস ইয়োবের মতো তোমরা আমার সম্পর্কে সত্যিকথা বলোনি।
8 এখন এই জন্য, তোমাদের জন্য সাতটা ষাঁড় এবং সাতটা মেষ নাও, আমার দাস ইয়োবের কাছে যাও এবং তোমাদের জন্য হোমবলি উত্সর্গ কর। আমার দাস ইয়োব তোমাদের জন্য প্রার্থনা করবে এবং আমি তার প্রার্থনা গ্রহণ করব, যাতে আমি তোমাদের মূর্খতার জন্য তোমাদের শাস্তি না দিই। তোমরা আমার বিষয়ে সঠিক কথা বলনি, যেমন আমার দাস ইয়োব বলেছে।”
অতএব এখন তোমরা সাতটি বলদ ও সাতটি মেষ নিয়ে আমার দাস ইয়োবের কাছে যাও এবং নিজেদের জন্য হোমবলি উৎসর্গ করো। আমার দাস ইয়োব তোমাদের জন্য প্রার্থনা করবে, ও আমি তার প্রার্থনা স্বীকার করব এবং তোমাদের মূর্খতা অনুসারে তোমাদের প্রতি আচরণ করব না। আমার দাস ইয়োবের মতো তোমরা আমার সম্পর্কে সত্যিকথা বলোনি।”
9 তখন তৈমনীয় ইলীফস, শূহীয় বিলদদ ও নামাথীয় সোফার গেল এবং যেমন সদাপ্রভু আদেশ করেছিলেন তারা তেমনি করলেন এবং সদাপ্রভু ইয়োবকে গ্রহণ করলেন।
তাই তৈমনীয় ইলীফস, শূহীয় বিল্‌দদ এবং নামাথীয় সোফর তাই করলেন, যা সদাপ্রভু তাদের করার আদেশ দিয়েছিলেন; এবং সদাপ্রভু ইয়োবের প্রার্থনা স্বীকার করলেন।
10 ১০ যখন ইয়োব তার বন্ধুদের জন্য প্রার্থনা করছিলেন, সদাপ্রভু তার ভাগ্য পুনঃস্থাপন করছিলেন। যা তার আগে ছিল সদাপ্রভু তার দ্বিগুন সম্পত্তি তাকে দিলেন।
ইয়োব তাঁর বন্ধুদের জন্য প্রার্থনা করার পর, সদাপ্রভু তাঁর অবস্থা ফিরিয়ে দিলেন এবং আগে তাঁর যে পরিমাণ ধনসম্পত্তি ছিল, তাঁকে তার দ্বিগুণ সম্পত্তি দিলেন।
11 ১১ তারপর ইয়োবের সমস্ত ভায়েরা এবং বোনেরা এবং তারা সকলে যারা তার পূর্ব্ব পরিচিত তারা তার কাছে এল এবং তার বাড়িতে তার সঙ্গে খাবার খেল। তারা তার সঙ্গে দুঃখ করল এবং সমস্ত বিপদের জন্য তাকে সান্ত্বনা দিল যা সদাপ্রভু তার জীবনে এনেছিল। প্রত্যেক ব্যক্তি ইয়োবকে এক এক টুকরো রূপা এবং সোনার কুণ্ডল দিয়েছিল।
ইয়োবের সব ভাইবোন এবং পূর্বপরিচিত সবাই তাঁর বাড়িতে এসে তাঁর সঙ্গে খাওয়াদাওয়া করলেন। সদাপ্রভু তাঁর জীবনে যেসব দুঃখদুর্দশা এনেছিলেন সেগুলির বিষয়ে তারা তাঁকে সান্ত্বনা দিলেন ও সহানুভূতি জানালেন, এবং তারা প্রত্যেকে তাঁকে একটি করে রুপোর টুকরো ও সোনার আংটি দিলেন।
12 ১২ সদাপ্রভু ইয়োবের প্রথম জীবনের থেকে শেষ জীবনকে বেশি আর্শীবাদ করলেন; তার চোদ্দ হাজার মেষ, ছয় হাজার উঠ, এক হাজার জোড়া বলদ এবং এক হাজার গর্দ্দভী হল।
সদাপ্রভু ইয়োবের জীবনের প্রথম অবস্থার চেয়ে শেষ অবস্থাকে আরও বেশি আশীর্বাদযুক্ত করলেন। ইয়োব 14,000 মেষ, 6,000 উট, 1,000 জোড়া বলদ এবং 1,000 গাধির মালিক হলেন।
13 ১৩ তার আবার সাত ছেলে এবং তিন মেয়ে জন্মাল।
তার আরও সাত ছেলে ও তিন মেয়ে জন্মাল।
14 ১৪ তিনি তার প্রথম মেয়ের নাম দিলেন যিমীমা, দ্বিতীয়ের নাম দিলেন কৎসীয়া এবং তৃতীয় মেয়ের নাম দিলেন কেরনহপ্পূক।
তিনি তার প্রথম মেয়ের নাম দিলেন যিমীমা, দ্বিতীয়জনের নাম দিলেন কৎসীয়া এবং তৃতীয় জনের নাম দিলেন কেরণহপ্পূক।
15 ১৫ সমস্ত দেশে ইয়োবের মেয়েদের মত সুন্দরী মেয়ে ছিল না। তাদের বাবা তাদের ভাইদের সঙ্গে তাদের উত্তরাধিকার দিলেন।
সারা দেশে কোথাও ইয়োবের মেয়েদের মতো সুন্দরী মেয়ে খুঁজে পাওয়া যেত না, এবং তাদের বাবা তাদের দাদাদের সঙ্গে তাদেরও উত্তরাধিকার দিলেন।
16 ১৬ এসবের পর, ইয়োব আরও একশ চল্লিশ বছর বাঁচলেন, তিনি তার সন্তানদের দেখলেন এবং তার সন্তানদের সন্তান দেখলেন, চার পুরুষ পর্যন্ত।
এরপর, ইয়োব আরও 140 বছর বেঁচেছিলেন; চার পুরুষ পর্যন্ত তিনি তাঁর সন্তানদের ও তাদের সন্তানদেরও দেখলেন।
17 ১৭ তারপর ইয়োব বৃদ্ধ এবং পূর্ণ আয়ু হয়ে মারা গেলেন।
এইভাবে ইয়োব বৃদ্ধ ও পূর্ণায়ূ মানুষরূপে মারা গেলেন।

< ইয়োবের বিবরণ 42 >