< ইয়োবের বিবরণ 32 >

1 তাই এই তিনজন লোক ইয়োবকে উত্তর দেওয়া বন্ধ করল, কারণ তিনি তাঁর নিজের চোখে ধার্মিক ছিলেন।
וַֽיִּשְׁבְּתוּ שְׁלֹשֶׁת הָאֲנָשִׁים הָאֵלֶּה מֵעֲנוֹת אֶת־אִיּוֹב כִּי הוּא צַדִּיק בְּעֵינָֽיו׃
2 তখন রাম বংশভূত বূষীয় বারখেলের ছেলে ইলীহূর রাগ জ্বলে উঠল; ইয়োবের বিরুদ্ধে তার রাগ জ্বলে উঠে ছিল কারণ তিনি নিজেকে ঈশ্বরের থেকেও ন্যায়ী দেখাচ্ছিলেন।
וַיִּחַר אַף ׀ אֱלִיהוּא בֶן־בַּרַכְאֵל הַבּוּזִי מִמִּשְׁפַּחַת רָם בְּאִיּוֹב חָרָה אַפּוֹ עַֽל־צַדְּקוֹ נַפְשׁוֹ מֵאֱלֹהִֽים׃
3 ইলীহূর রাগ তার তিন বন্ধুর বিরুদ্ধেও জ্বলে উঠেছিল কারণ তারা ইয়োবকে দেওয়ার মত কোন উত্তর খুঁজে পায় নি এবং তবুও তারা ইয়োবকে দোষী করেছে।
וּבִשְׁלֹשֶׁת רֵעָיו חָרָה אַפּוֹ עַל אֲשֶׁר לֹא־מָצְאוּ מַעֲנֶה וַיַּרְשִׁיעוּ אֶת־אִיּֽוֹב׃
4 ইলীহূ ইয়োবের কাছে কথা বলার জন্য অপেক্ষা করছিল, কারণ অন্য লোকেরা তার থেকে বয়সে বড় ছিল।
וֶֽאֱלִיהוּ חִכָּה אֶת־אִיּוֹב בִּדְבָרִים כִּי זְֽקֵנִים־הֵמָּה מִמֶּנּוּ לְיָמִֽים׃
5 যাইহোক, যখন ইলীহূ দেখল যে এই তিনজন লোকের মুখে কোন উত্তর নেই, তার রাগ জ্বলে উঠে ছিল।
וַיַּרְא אֱלִיהוּא כִּי אֵין מַעֲנֶה בְּפִי שְׁלֹשֶׁת הָאֲנָשִׁים וַיִּחַר אַפּֽוֹ׃
6 তখন বূষীয় বারখেলের ছেলে ইলীহূ বক্তব্য রাখলেন এবং বললেন, আমি যুবক এবং আপনারা অনেক বৃদ্ধ। এই কারণেই আমি চুপ করে ছিলাম এবং আমার নিজের মতামত আপনাদের জানাতে সাহস করিনি।
וַיַּעַן ׀ אֱלִיהוּא בֶן־בַּֽרַכְאֵל הַבּוּזִי וַיֹּאמַר צָעִיר אֲנִי לְיָמִים וְאַתֶּם יְשִׁישִׁים עַל־כֵּן זָחַלְתִּי וָֽאִירָא ׀ מֵחַוֺּת דֵּעִי אֶתְכֶֽם׃
7 আমি বললাম, “বয়সই কথা বলুক; অধিক বছরই প্রজ্ঞার শিক্ষা দিক।”
אָמַרְתִּי יָמִים יְדַבֵּרוּ וְרֹב שָׁנִים יֹדִיעוּ חָכְמָֽה׃
8 কিন্তু মানুষের মধ্যে আত্মা আছে; সর্বশক্তিমানের নিঃশ্বাস তাকে বুদ্ধি দেয়।
אָכֵן רֽוּחַ־הִיא בֶאֱנוֹשׁ וְנִשְׁמַת שַׁדַּי תְּבִינֵֽם׃
9 যারা জ্ঞানী তারাই শুধু মহান নয়, বৃদ্ধরাই শুধু ন্যায়বিচার বোঝেন তা নয়।
לֹֽא־רַבִּים יֶחְכָּמוּ וּזְקֵנִים יָבִינוּ מִשְׁפָּֽט׃
10 ১০ এই জন্য আমি আপনাদের বলি, “আমার কথা শুনুন; আমিও আপনাদের আমার জ্ঞানের কথা বলব।
לָכֵן אָמַרְתִּי שִׁמְעָה־לִּי אֲחַוֶּה דֵּעִי אַף־אָֽנִי׃
11 ১১ দেখুন, আমি আপনাদের কথার জন্য অপেক্ষা করেছি; আমি আপনাদের তর্ক বিতর্ক শুনেছি, যখন আপনারা ভাবছিলেন কি বলবেন।
הֵן הוֹחַלְתִּי לְֽדִבְרֵיכֶם אָזִין עַד־תְּבוּנֹֽתֵיכֶם עַֽד־תַּחְקְרוּן מִלִּֽין׃
12 ১২ সত্যি, আমি আপনাদের দিকে মনোযোগ দিয়েছিলাম, কিন্তু, দেখুন, আপনাদের মধ্যে কেউ এমন নেই যে ইয়োবকে সন্তুষ্ট করতে পারে অথবা যে তার কথার উত্তর দিতে পারে।”
וְעָֽדֵיכֶם אֶתְבּוֹנָן וְהִנֵּה אֵין לְאִיּוֹב מוֹכִיחַ עוֹנֶה אֲמָרָיו מִכֶּֽם׃
13 ১৩ সাবধান এটা বলবেন না, আমরা জ্ঞান পেয়েছি! ঈশ্বর ইয়োবকে হারাবেন; সাধারণ মানুষ তা করতে পারে না।
פֶּן־תֹּאמְרוּ מָצָאנוּ חָכְמָה אֵל יִדְּפֶנּוּ לֹא־אִֽישׁ׃
14 ১৪ কারণ ইয়োব আমার বিরুদ্ধে কোন কথা বলেনি, তাই আমিও আপনাদের কথায় তাকে উত্তর দেব না।
וְלֹא־עָרַךְ אֵלַי מִלִּין וּבְאִמְרֵיכֶם לֹא אֲשִׁיבֶֽנּוּ׃
15 ১৫ এই তিনজন হতবাক হয়েছিল; তারা ইয়োবকে আর উত্তর দিতে পারে নি; তাদের আর একটা কথাও বলার ছিল না।
חַתּוּ לֹא־עָנוּ עוֹד הֶעְתִּיקוּ מֵהֶם מִלִּֽים׃
16 ১৬ আমিও কি অপেক্ষা করব কারণ তারা কথা বলছে না, কারণ তারা সেখানে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে এবং আর উত্তর করছে না?
וְהוֹחַלְתִּי כִּי־לֹא יְדַבֵּרוּ כִּי עָמְדוּ לֹא־עָנוּ עֽוֹד׃
17 ১৭ না, আমিও আমার উত্তর দেব; আমিও তাদের আমার জ্ঞানের কথা বলব।
אַעֲנֶה אַף־אֲנִי חֶלְקִי אֲחַוֶּה דֵעִי אַף־אָֽנִי׃
18 ১৮ কারণ আমি কথায় পূর্ণ; আমার ভিতরের আত্মা আমায় বাধ্য করছে।
כִּי מָלֵתִי מִלִּים הֱצִיקַתְנִי רוּחַ בִּטְנִֽי׃
19 ১৯ দেখ, আমার হৃদয় অনেকটা বোতলের দ্রাক্ষারসের মত যার কোন ফুটো নেই; অনেকটা নতুন দ্রাক্ষারসের কলসির মত যা ফেটে যাওয়ার অবস্থা।
הִנֵּֽה־בִטְנִי כְּיַיִן לֹא־יִפָּתֵחַ כְּאֹבוֹת חֲדָשִׁים יִבָּקֵֽעַ׃
20 ২০ আমি কথা বলব যাতে আমি স্বস্তি পেতে পারি; আমি আমার মুখ খুলে উত্তর দেব।
אֲדַבְּרָה וְיִֽרְוַֽח־לִי אֶפְתַּח שְׂפָתַי וְאֶֽעֱנֶֽה׃
21 ২১ আমি কোন রকম পক্ষপাতিত্ব দেখাবো না; না আমি কোন মানুষকে সম্মানসূচক উপাধি দেব।
אַל־נָא אֶשָּׂא פְנֵי־אִישׁ וְאֶל־אָדָם לֹא אֲכַנֶּֽה׃
22 ২২ কারণ আমি জানি না সেরকম উপাধি কীভাবে দিতে হয়; যদি আমি তা করে থাকি, তবে আমার সৃষ্টিকর্ত্তা আমায় খুব তাড়াতাড়ি সরিয়ে দেবেন।
כִּי לֹא יָדַעְתִּי אֲכַנֶּה כִּמְעַט יִשָּׂאֵנִי עֹשֵֽׂנִי׃

< ইয়োবের বিবরণ 32 >