< ইয়োবের বিবরণ 13 >

1 দেখ, আমার চোখ এসমস্ত দেখেছে; আমার কান শুনেছে এবং তা বুঝেছে।
“আমি নিজের চোখে এসব কিছু দেখেছি, আমি তা নিজের কানে শুনেছি ও বুঝেছি।
2 তোমরা কি জান, সেই একই বিষয় আমিও জানি; আমি তোমাদের থেকে কিছু কম নই।
তোমরা যা জানো, আমিও তা জানি, আমি তোমাদের চেয়ে নিকৃষ্ট নই।
3 যাইহোক, আমি বরং সর্বশক্তিমানের সঙ্গে কথা বলব; আমি ঈশ্বরের সঙ্গে বিচার করতে চাই।
কিন্তু আমি সর্বশক্তিমানের সঙ্গে কথা বলতে চাই ও ঈশ্বরের কাছে আমার মামলার স্বপক্ষে যুক্তি দেখাতে চাই।
4 কিন্তু তোমরা সত্যকে চুনকাম করেছ মিথ্যা দিয়ে; তোমরা সকলে মূল্যহীন চিকিত্সক।
তোমরা, অবশ্য, আমার গায়ে মিথ্যা লেপন করেছ; তোমরা, তোমরা সবাই অপদার্থ চিকিৎসক।
5 আহা, তোমরা একেবারে নীরব থাকবে! সেটাই তোমাদের প্রজ্ঞা।
তোমরা যদি শুধু পুরোপুরি নীরব থাকতে! তোমাদের পক্ষে, তবে তা প্রজ্ঞা হত।
6 এখন শোন আমার নিজের যুক্তি; আমার ঠোঁটের অনুনয় শোন।
এখন আমার যুক্তি শোনো; আমার ঠোঁটের আবেদনে কর্ণপাত করো।
7 তোমরা কি ঈশ্বরের পক্ষে অন্যায় কথা বলবে এবং তোমরা কি তাঁর পক্ষে প্রতারণাপূর্ণ কথা বলবে?
ঈশ্বরের হয়ে কি তোমরা গর্হিত কথাবার্তা বলবে? তাঁর হয়ে কি তোমরা প্রতারণামূলক কথাবার্তা বলবে?
8 তোমরা কি সত্যি তাঁকে দয়া দেখাবে? তোমরা কি সত্যি আদালতে ঈশ্বরের পক্ষে উকিলের মত তর্ক করবে?
তোমরা কি তাঁর প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখাবে? তোমরা কি ঈশ্বরের হয়ে মামলা লড়বে?
9 তার পরিবর্তে যদি তিনি তোমাদের বিচারক হিসাবে তোমাদের ওপর ফেরেন এবং পরীক্ষা করেন, এটা কি তোমাদের জন্য ভাল হবে? অথবা যেমন একজন অন্য জনকে ঠকায়, তোমরা কি সত্যি আদালতে তাঁর মিথ্যা পরিচয় দেবে?
তিনি যদি তোমাদের পরীক্ষা করেন, তবে কি ভালো কিছু হবে? নশ্বর এক মানুষকে যেভাবে তোমরা প্রতারিত করো সেভাবে কি তাঁকেও প্রতারিত করতে পারবে?
10 ১০ তিনি অবশ্যই তোমাদের নিন্দা করবেন, যদি তোমরা গোপনে তাঁর পক্ষপাত কর।
তিনি নিশ্চয় তোমাদের ভর্ৎসনা করবেন যদি তোমরা গোপনে পক্ষপাতিত্ব দেখিয়েছিলে।
11 ১১ তাঁর মহিমা কি তোমাদের ভয় পাওয়ায় না? তাঁর ভয় কি তোমাদের ওপর পড়ে না?
তাঁর প্রভা কি তোমাদের আতঙ্কিত করবে না? তাঁর শঙ্কা কি তোমাদের উপরে নেমে আসবে না?
12 ১২ তোমাদের স্মরণীয় প্রবাদবাক্য ছাই দিয়ে তৈরী করে; তোমাদের দূর্গ হল মাটির তৈরী দূর্গ।
তোমাদের প্রবচন ভস্মের প্রবাদ; তোমাদের দুর্গ মাটির কেল্লা।
13 ১৩ তোমরা শান্তি বজায় রাখ, আমাকে একা থাকতে দাও, যাতে আমি কথা বলতে পারি, আমার ওপর যা আসছে আসতে দাও।
“নীরব হও ও আমাকে কথা বলতে দাও; পরে যা হওয়ার হবে।
14 ১৪ আমি আমার নিজের মাংস আমার দাঁতে নিয়ে যাব; আমি আমার হাতে আমার জীবন নেব।
আমি কেন নিজের জীবন বিপন্ন করব ও আমার প্রাণ হাতে তুলে নেব?
15 ১৫ দেখ, যদি তিনি আমায় মেরে ফেলেন, আমার আর কোন আশা থাকবে না; তবুও, আমি তাঁর সামনে আমার রাস্তা রক্ষা করব।
তিনি যদি আমাকে হত্যা করেন, তবুও আমি তাঁর উপরে আশা রাখব; আমি নিশ্চয় তাঁর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আমার মামলাটি লড়ব।
16 ১৬ এটাই হবে আমার মুক্তির কারণ, যে আমি তাঁর সামনে অধার্ম্মিক লোকের মত আসব না।
সত্যিই, এটি আমার মুক্তিতে পরিণত হবে, যেহেতু কোনও অধার্মিক তাঁর সামনে আসতে সাহস পায় না!
17 ১৭ হে ঈশ্বর, আমার কথা মনোযোগ দিয়ে শোন; আমার ঘোষণা তোমার কানে আসুক।
আমি যা বলি তা মন দিয়ে শোনো; আমার বক্তব্য তোমাদের কানে বাজুক।
18 ১৮ এখন দেখ, আমি আমার যুক্তি সাজিয়ে রেখেছি; আমি জানি যে আমি নির্দোষ।
এখন আমি যখন আমার মামলাটি সাজিয়েছি, তখন আমি জানি যে আমি নির্দোষ প্রমাণিত হব।
19 ১৯ কে সে যে আমার বিরুদ্ধে আদালতে তর্ক করবে? যদি তুমি তা করতে আস এবং যদি আমি ভুল প্রমাণিত হই, তাবে আমি নীরব হব এবং প্রাণ ত্যাগ করব।
কেউ কি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবে? যদি পারে, তবে আমি নীরব থাকব ও মৃত্যুবরণ করব।
20 ২০ হে ঈশ্বর, আমার জন্য দুটো জিনিস কর এবং তাহলে আমি নিজেকে তোমার থেকে লুকাব না:
“হে ঈশ্বর, আমাকে শুধু এই দুটি জিনিস দাও, ও তখন আর আমি নিজেকে তোমার কাছে লুকিয়ে রাখব না:
21 ২১ তোমার কঠোর হাত আমার থেকে তুলে নাও এবং তোমার আতঙ্ক আমায় ভয় না দেখাক।
তোমার হাত আমার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নাও, ও তোমার আতঙ্ক দিয়ে আমাকে আর ভয় দেখিয়ো না।
22 ২২ তখন আমায় ডাক আর আমি উত্তর দেব; অথবা আমাকে তোমার সঙ্গে কথা বলতে দাও এবং তুমি আমায় উত্তর দাও।
তখন আমাকে ডেকো ও আমি উত্তর দেব, বা আমাকে কথা বলতে দিয়ো ও তুমি আমাকে উত্তর দিয়ো।
23 ২৩ আমার অপরাধ ও পাপ কত? আমাকে আমার অপরাধ ও পাপ জানতে দাও।
আমি কতগুলি অন্যায় ও পাপ করেছি? আমার অপরাধ ও আমার পাপ আমায় দেখিয়ে দাও।
24 ২৪ কেন তুমি আমার কাছ থেকে তোমার মুখ লুকিয়েছ এবং আমার সঙ্গে শত্রুর মত আচরণ করছ?
তুমি কেন তোমার মুখ লুকিয়েছ ও আমাকে তোমার শত্রু বলে মনে করছ?
25 ২৫ তুমি কি একটা হওয়ায় ওড়া পাতাকে অত্যাচার করবে? তুমি কি শুকনো নাড়ার পিছনে ছুটবে?
তুমি কি বায়ুতাড়িত একটি পাতাকে যন্ত্রণা দেবে? শুকনো তুষের পিছু ধাওয়া করবে?
26 ২৬ কারণ তুমি আমার বিরুদ্ধে তিক্ত বিষয় লিখেছ; তুমি আমায় আমার যৌবনের পাপের উত্তরাধিকারী করেছ।
কারণ তুমি আমার বিরুদ্ধে তিক্ত অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেছ ও আমাকে আমার যৌবনকালীন পাপের ফলভোগ করাচ্ছ।
27 ২৭ তুমি আমার পায়ে বেড়ি পরিয়েছ, তুমি আমার সমস্ত রাস্তায় লক্ষ রেখেছ; তুমি সেই মাটি পরীক্ষা করেছ যেখানে আমার পা হেঁটেছে,
তুমি আমার পায়ে বেড়ি পরিয়েছ; আমার পায়ের তলায় চিহ্ন এঁকে দিয়ে তুমি আমার সব পথে সতর্ক দৃষ্টি রেখে চলেছ।
28 ২৮ যদিও আমি পচা জিনিসের মত যা নষ্ট হয়ে গেছে, একটা কাপড়ের মত যা পোকায় খেয়েছে।
“তাই মানুষ পচাগলা বস্তুর মতো, পোকায় কাটা পোশাকের মতো ক্ষয়ে যায়।

< ইয়োবের বিবরণ 13 >