< যাকোব 4 >

1 তোমাদের মধ্যে কোথা থেকে যুদ্ধ ও কোথা থেকে বিবাদ উৎপন্ন হয়? তোমাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে যে সব মন্দ ইচ্ছা যুদ্ধ করে, সে সব থেকে কি নয়?
Πόθεν πόλεμοι καὶ πόθεν μάχαι ἐν ὑμῖν; οὐκ ἐντεῦθεν, ἐκ τῶν ἡδονῶν ὑμῶν τῶν στρατευομένων ἐν τοῖς μέλεσιν ὑμῶν;
2 তোমরা ইচ্ছা করছ, তবুও পাচ্ছ না; তোমরা মানুষ খুন ও ঈর্ষা করছ, কিন্তু পেতে পার না; তোমরা বিবাদ ও যুদ্ধ করে থাক, কিছু পাও না, কারণ তোমরা ঈশ্বরের কাছে চাও না।
ἐπιθυμεῖτε, καὶ οὐκ ἔχετε· φονεύετε καὶ ζηλοῦτε, καὶ οὐ δύνασθε ἐπιτυχεῖν· μάχεσθε καὶ πολεμεῖτε. οὐκ ἔχετε διὰ τὸ μὴ αἰτεῖσθαι ὑμᾶς·
3 চাইছ, তা সত্বেও ফল পাচ্ছ না; কারণ খারাপ উদ্দেশ্যে চাইছ, যাতে নিজের নিজের ভোগবিলাসে ব্যবহার করতে পার।
αἰτεῖτε καὶ οὐ λαμβάνετε, διότι κακῶς αἰτεῖσθε, ἵνα ἐν ταῖς ἡδοναῖς ὑμῶν δαπανήσητε.
4 হে অবিশ্বস্তরা, তোমরা কি জান না যে, জগতের বন্ধুত্ব ঈশ্বরের সাথে শত্রুতা? সুতরাং যে কেউ জগতের বন্ধু হতে ইচ্ছা করে, সে নিজেকে ঈশ্বরের শত্রু করে তোলে।
μοιχαλίδες, οὐκ οἴδατε ὅτι ἡ φιλία τοῦ κόσμου ἔχθρα τοῦ Θεοῦ ἐστιν; ὃς ἐὰν οὖν βουληθῇ φίλος εἶναι τοῦ κόσμου, ἐχθρὸς τοῦ Θεοῦ καθίσταται.
5 অথবা তোমরা কি মনে কর যে, শাস্ত্রের কথা ব্যবহারের অযোগ্য হয়? যে পবিত্র আত্মা তিনি আমাদের হৃদয়ে দিয়েছেন, তা চায় যেন আমরা শুধু তারই হই।
ἢ δοκεῖτε ὅτι κενῶς ἡ γραφὴ λέγει Πρὸς φθόνον ἐπιποθεῖ τὸ πνεῦμα ὃ κατῴκισεν ἐν ἡμῖν;
6 বরং তিনি আরও অনুগ্রহ প্রদান করেন; কারণ শাস্ত্র বলে, “ঈশ্বর অহঙ্কারীদের প্রতিরোধ করেন, কিন্তু নম্রদেরকে অনুগ্রহ প্রদান করেন।”
μείζονα δὲ δίδωσιν χάριν· διὸ λέγει Ὁ Θεὸς ὑπερηφάνοις ἀντιτάσσεται, ταπεινοῖς δὲ δίδωσιν χάριν.
7 অতএব তোমরা নিজেদেরকে ঈশ্বরের কাছে সঁপে দাও; কিন্তু দিয়াবলের প্রতিরোধ কর, তাতে সে তোমাদের কাছ থেকে পালিয়ে যাবে।
ὑποτάγητε οὖν τῷ Θεῷ· ἀντίστητε δὲ τῷ διαβόλῳ, καὶ φεύξεται ἀφ’ ὑμῶν·
8 ঈশ্বরের কাছে এস, তাতে তিনিও তোমাদের কাছে আসবেন। হে পাপীরা, হাত পরিষ্কার কর; হে দুমনা লোক সবাই হৃদয় পবিত্র কর।
ἐγγίσατε τῷ Θεῷ, καὶ ἐγγίσει ὑμῖν. καθαρίσατε χεῖρας, ἁμαρτωλοί, καὶ ἁγνίσατε καρδίας, δίψυχοι. ταλαιπωρήσατε καὶ πενθήσατε καὶ κλαύσατε·
9 তোমরা দুঃখ ও শোক কর এবং কাঁদো; তোমাদের হাসি, কান্না এবং আনন্দ বিষাদে পরিণত হোক।
ὁ γέλως ὑμῶν εἰς πένθος μετατραπήτω καὶ ἡ χαρὰ εἰς κατήφειαν.
10 ১০ প্রভুর সামনে নম্র হও, তাতে তিনি তোমাদেরকে উন্নত করবেন।
ταπεινώθητε ἐνώπιον Κυρίου, καὶ ὑψώσει ὑμᾶς.
11 ১১ হে ভাইয়েরা, একে অপরের বিরুদ্ধে নিন্দা কর না; যে ব্যক্তি ভাইয়ের নিন্দা করে, কিংবা ভাইয়ের বিচার করে, সে আইনের বিরুদ্ধে কথা বলে ও আইনের বিচার করে। কিন্তু তুমি যদি আইনের বিচার কর, তবে আইনের অমান্য করে বিচারকর্ত্তা হয়েছ।
Μὴ καταλαλεῖτε ἀλλήλων, ἀδελφοί. ὁ καταλαλῶν ἀδελφοῦ ἢ κρίνων τὸν ἀδελφὸν αὐτοῦ καταλαλεῖ νόμου καὶ κρίνει νόμον· εἰ δὲ νόμον κρίνεις, οὐκ εἶ ποιητὴς νόμου ἀλλὰ κριτής.
12 ১২ একমাত্র ঈশ্বরই নিয়ম বিধি দিতে পারেন ও বিচার করতে পারেন, তিনিই রক্ষা করতে ও ধ্বংস করতে পারেন। কিন্তু তুমি কে যে প্রতিবেশীর বিচার কর?
εἷς ἐστιν νομοθέτης καὶ κριτής, ὁ δυνάμενος σῶσαι καὶ ἀπολέσαι· σὺ δὲ τίς εἶ, ὁ κρίνων τὸν πλησίον;
13 ১৩ এখন দেখ, তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ বলে, আজ কিংবা কাল আমরা ঐ শহরে যাব এবং সেখানে এক বছর থাকব, বাণিজ্য করব ও আয় করব।
Ἄγε νῦν οἱ λέγοντες Σήμερον ἢ αὔριον πορευσόμεθα εἰς τήνδε τὴν πόλιν καὶ ποιήσομεν ἐκεῖ ἐνιαυτὸν καὶ ἐμπορευσόμεθα καὶ κερδήσομεν·
14 ১৪ তোমরা তো কালকের বিষয়ে জান না; তোমাদের জীবন কি ধরনের? তোমরা তো, ধোঁয়ার মত যা খানিকক্ষণ দেখা যায়, পরে উবে যায়।
οἵτινες οὐκ ἐπίστασθε τῆς αὔριον ποία ἡ ζωὴ ὑμῶν· ἀτμὶς γάρ ἐστε ἡ πρὸς ὀλίγον φαινομένη, ἔπειτα καὶ ἀφανιζομένη·
15 ১৫ ওর পরিবর্ত্তে বরং এই বল, “যদি প্রভুর ইচ্ছা হয় আমরা বেঁচে থাকব এবং আমরা এই কাজটি বা ওই কাজটী করব।”
ἀντὶ τοῦ λέγειν ὑμᾶς Ἐὰν ὁ Κύριος θελήσῃ, καὶ ζήσομεν καὶ ποιήσομεν τοῦτο ἢ ἐκεῖνο.
16 ১৬ কিন্তু এখন তোমরা নিজের নিজের পরিকল্পনার গর্ব করছ; এই ধরনের সব গর্ব খারাপ।
νῦν δὲ καυχᾶσθε ἐν ταῖς ἀλαζονίαις ὑμῶν· πᾶσα καύχησις τοιαύτη πονηρά ἐστιν.
17 ১৭ বস্তুত যে কেউ ঠিক কাজ করতে জানে, কিন্তু করে না, তার পাপ হয়।
εἰδότι οὖν καλὸν ποιεῖν καὶ μὴ ποιοῦντι, ἁμαρτία αὐτῷ ἐστιν.

< যাকোব 4 >