< যাকোব 2 >

1 হে আমার ভাইয়েরা, তোমরা আমাদের মহিমান্বিত প্রভু যীশু খ্রীষ্টেতে বিশ্বাসী, সুতরাং তোমরা পক্ষপাতিত্ব করো না।
Ἀδελφοί μου, μὴ ἐν προσωπολημψίαις ἔχετε τὴν πίστιν τοῦ κυρίου ἡμῶν Ἰησοῦ χριστοῦ τῆς δόξης.
2 কারণ যদি তোমাদের সভাতে সোনার আংটি ও সুন্দর পোশাক পরা কোন ব্যক্তি আসে এবং ময়লা পোশাক পরা কোন দরিদ্র ব্যক্তি আসে,
ἐὰν γὰρ εἰσέλθῃ εἰς συναγωγὴν ὑμῶν ἀνὴρ χρυσοδακτύλιος ἐν ἐσθῆτι λαμπρᾷ, εἰσέλθῃ δὲ καὶ πτωχὸς ἐν ῥυπαρᾷ ἐσθῆτι,
3 আর তোমরা সেই সুন্দর পোশাক পরা ব্যক্তির মুখের দিকে তাকিয়ে বল, আপনি এখানে ভালো জায়গায় বসুন, কিন্তু সেই দরিদ্রকে যদি বল, তুমি ওখানে দাঁড়াও, কিম্বা আমার পায়ের কাছে বস,
καὶ ἐπιβλέψητε ἐπὶ τὸν φοροῦντα τὴν ἐσθῆτα τὴν λαμπράν, καὶ εἴπητε, Σὺ κάθου ὧδε καλῶς, καὶ τῷ πτωχῷ εἴπητε, Σὺ στῆθι ἐκεῖ ἢ κάθου ὑπὸ τὸ ὑποπόδιόν μου,
4 তাহলে তোমরা কি নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি করছ না এবং মন্দ চিন্তাধারা নিয়ে বিচার করছ না?
οὐ διεκρίθητε ἐν ἑαυτοῖς, καὶ ἐγένεσθε κριταὶ διαλογισμῶν πονηρῶν;
5 হে আমার প্রিয় ভাইয়েরা, শোন, পৃথিবীতে যারা দরিদ্র, ঈশ্বর কি তাদেরকে মনোনীত করেননি, যেন তারা বিশ্বাসে ধনবান হয় এবং যারা তাঁকে ভালবাসে, তাদের কাছে যে রাজ্য প্রতিজ্ঞা করা হয়েছে তার অধিকারী হয়?
ἀκούσατε, ἀδελφοί μου ἀγαπητοί, οὐχ ὁ θεὸς ἐξελέξατο τοὺς πτωχοὺς τῷ κόσμῳ πλουσίους ἐν πίστει, καὶ κληρονόμους τῆς βασιλείας ἧς ἐπηγγείλατο τοῖς ἀγαπῶσιν αὐτόν;
6 কিন্তু তোমরা সেই দরিদ্রকে অসম্মান করেছ। এই ধনীরাই কি তোমাদের প্রতি অত্যাচার করে না? তারাই কি তোমাদেরকে টেনে বিচার সভায় নিয়ে যায় না?
ὑμεῖς δὲ ἠτιμάσατε τὸν πτωχόν. οὐχ οἱ πλούσιοι καταδυναστεύουσιν ὑμῶν καὶ αὐτοὶ ἕλκουσιν ὑμᾶς εἰς κριτήρια;
7 যে সম্মানিত নামে তোমাদের ডাকা হয়, তারা কি সেই খ্রীষ্টকে নিন্দা করে না?
οὐκ αὐτοὶ βλασφημοῦσιν τὸ καλὸν ὄνομα τὸ ἐπικληθὲν ἐφ᾽ ὑμᾶς;
8 যাই হোক, “তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মত ভালবাসবে।” এই শাস্ত্রের আদেশ অনুযায়ী যদি তোমরা এই রাজকীয় ব্যবস্থা পালন কর, তবে তা ভাল করছ।
εἰ μέντοι νόμον τελεῖτε βασιλικόν, κατὰ τὴν γραφήν, Ἀγαπήσεις τὸν πλησίον σου ὡς σεαυτόν, καλῶς ποιεῖτε·
9 কিন্তু যদি তোমরা কিছু লোকের পক্ষপাতিত্ব কর, তবে তোমরা পাপ করছ এবং ব্যবস্থাই তোমাদের আদেশ অমান্যকারী বলে দোষী করে।
εἰ δὲ προσωπολημπτεῖτε, ἁμαρτίαν ἐργάζεσθε, ἐλεγχόμενοι ὑπὸ τοῦ νόμου ὡς παραβάται.
10 ১০ কারণ যে কেউ সমস্ত ব্যবস্থা পালন করে এবং একটি বিষয়ে না করে, সে সমস্ত আদেশ অমান্যকারী বলে দোষী হয়েছে।
ὅστις γὰρ ὅλον τὸν νόμον τηρήσῃ, πταίσῃ δὲ ἐν ἑνί, γέγονεν πάντων ἔνοχος.
11 ১১ কারণ ঈশ্বর যিনি বললেন, “ব্যভিচার করো না,” তিনিই আবার বলেছেন, “মানুষ হত্যা করো না,” ভাল, তুমি যদি ব্যভিচার না করে মানুষ হত্যা কর, তাহলে, তুমি ঈশ্বরের সমস্ত আদেশকে অমান্য করছ।
ὁ γὰρ εἰπών, Μὴ μοιχεύσῃς, εἶπεν καί, Μὴ φονεύσῃς· εἰ δὲ οὐ μοιχεύεις, φονεύεις δέ, γέγονας παραβάτης νόμου.
12 ১২ তোমরা স্বাধীনতার ব্যবস্থা দিয়ে বিচারিত হবে বলে সেইভাবে কথা বল ও কাজ কর।
οὕτως λαλεῖτε καὶ οὕτως ποιεῖτε, ὡς διὰ νόμου ἐλευθερίας μέλλοντες κρίνεσθαι·
13 ১৩ কারণ যে ব্যক্তি দয়া করে নি, বিচারেও তার প্রতি দয়া দেখানো হবে না; দয়াই বিচারের উপর জয়লাভ করে।
ἡ γὰρ κρίσις ἀνέλεος τῷ μὴ ποιήσαντι ἔλεος· κατακαυχᾶται ἔλεος κρίσεως.
14 ১৪ হে আমার ভাইয়েরা, যদি কেউ বলে, আমার বিশ্বাস আছে, আর তার উপযুক্ত কাজ না করে, তবে তার কি ফলাফল হবে? সেই বিশ্বাস কি তাকে পাপ থেকে উদ্ধার করতে পারে?
Τί τὸ ὄφελος, ἀδελφοί μου, ἐὰν πίστιν λέγῃ τις ἔχειν, ἔργα δὲ μὴ ἔχῃ; μὴ δύναται ἡ πίστις σῶσαι αὐτόν;
15 ১৫ কোন ভাই অথবা বোনের পোশাক ও খাবারের প্রয়োজন হয়,
ἐὰν ἀδελφὸς ἢ ἀδελφὴ γυμνοὶ ὑπάρχωσιν καὶ λειπόμενοι τῆς ἐφημέρου τροφῆς,
16 ১৬ এবং তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি তাদেরকে বলল, “শান্তিতে যাও, উষ্ণ হও ও খেয়ে তৃপ্ত হও,” কিন্তু তোমরা যদি তাদেরকে শরীরের প্রয়োজনীয় বস্তু না দাও, তবে তাতে কি লাভ?
εἴπῃ δέ τις αὐτοῖς ἐξ ὑμῶν, Ὑπάγετε ἐν εἰρήνῃ, θερμαίνεσθε καὶ χορτάζεσθε, μὴ δῶτε δὲ αὐτοῖς τὰ ἐπιτήδεια τοῦ σώματος, τί τὸ ὄφελος;
17 ১৭ একইভাবে যদি শুধু বিশ্বাস থাকে এবং তা কাজ বিহীন হয়, তবে তা মৃত।
οὕτως καὶ ἡ πίστις, ἐὰν μὴ ἔχῃ ἔργα, νεκρά ἐστιν καθ᾽ ἑαυτήν.
18 ১৮ কিন্তু কেউ যদি বলে, “তোমার বিশ্বাস আছে, আর আমার কাছে সৎ কাজ আছে,” তোমার কাজ বিহীন বিশ্বাস আমাকে দেখাও, আর আমি তোমাকে আমার কাজের মাধ্যমে বিশ্বাস দেখাব।
ἀλλ᾽ ἐρεῖ τις, Σὺ πίστιν ἔχεις, κἀγὼ ἔργα ἔχω· δεῖξόν μοι τὴν πίστιν σου χωρὶς τῶν ἔργων, κἀγώ σοι δείξω ἐκ τῶν ἔργων μου τὴν πίστιν.
19 ১৯ তুমি বিশ্বাস কর যে, ঈশ্বর এক, তুমি তা ঠিকই বিশ্বাস কর; ভূতেরাও তা বিশ্বাস করে এবং ভয়ে কাঁপে।
σὺ πιστεύεις ὅτι εἷς ἐστιν ὁ θεός· καλῶς ποιεῖς· καὶ τὰ δαιμόνια πιστεύουσιν, καὶ φρίσσουσιν.
20 ২০ কিন্তু, হে নির্বোধ মানুষ, তুমি কি জানতে চাও যে, কাজ বিহীন বিশ্বাস কোন কাজের নয়?
θέλεις δὲ γνῶναι, ὦ ἄνθρωπε κενέ, ὅτι ἡ πίστις χωρὶς τῶν ἔργων ἀργή ἐστιν;
21 ২১ আমাদের পিতা অব্রাহাম কাজের মাধ্যমে, অর্থাৎ যজ্ঞবেদির উপরে তাঁর পুত্র ইসহাককে উৎসর্গ করার মাধ্যমেই, কি ধার্মিক বলে প্রমাণিত হলেন না?
Ἀβραὰμ ὁ πατὴρ ἡμῶν οὐκ ἐξ ἔργων ἐδικαιώθη ἀνενέγκας Ἰσαὰκ τὸν υἱὸν αὐτοῦ ἐπὶ τὸ θυσιαστήριον;
22 ২২ তুমি দেখতে পাচ্ছ যে, বিশ্বাস তাঁর কাজের সঙ্গে ছিল এবং কাজের মাধ্যমে বিশ্বাস পূর্ণ হল;
βλέπεις ὅτι ἡ πίστις συνήργει τοῖς ἔργοις αὐτοῦ, καὶ ἐκ τῶν ἔργων ἡ πίστις ἐτελειώθη;
23 ২৩ তাতে এই শাস্ত্র বাক্যটি পূর্ণ হল, “অব্রাহাম ঈশ্বরে বিশ্বাস করলেন এবং তা তাঁর পক্ষে ধার্ম্মিকতা বলে প্রমাণিত হল,” আর তিনি “ঈশ্বরের বন্ধু” এই নাম পেলেন।
καὶ ἐπληρώθη ἡ γραφὴ ἡ λέγουσα, Ἐπίστευσεν δὲ Ἀβραὰμ τῷ θεῷ, καὶ ἐλογίσθη αὐτῷ εἰς δικαιοσύνην, καὶ φίλος θεοῦ ἐκλήθη.
24 ২৪ তোমরা দেখতে পাচ্ছ, কাজের মাধ্যমেই মানুষ ধার্মিক বলে প্রমাণিত হয়, শুধু বিশ্বাস দিয়ে নয়।
ὁρᾶτε ὅτι ἐξ ἔργων δικαιοῦται ἄνθρωπος, καὶ οὐκ ἐκ πίστεως μόνον;
25 ২৫ আবার রাহব বেশ্যাও কি সেই একইভাবে কাজের মাধ্যমে ধার্মিক বলে প্রমাণিত হলেন না? তিনি তো দূতদের সেবা করেছিলেন এবং অন্য রাস্তা দিয়ে তাঁদের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।
ὁμοίως δὲ καὶ Ῥαὰβ ἡ πόρνη οὐκ ἐξ ἔργων ἐδικαιώθη, ὑποδεξαμένη τοὺς ἀγγέλους, καὶ ἑτέρᾳ ὁδῷ ἐκβαλοῦσα;
26 ২৬ তাই যেমন আত্মা ছাড়া দেহ মৃত, তেমনি কাজ ছাড়া বিশ্বাসও মৃত।
ὥσπερ γὰρ τὸ σῶμα χωρὶς πνεύματος νεκρόν ἐστιν, οὕτως καὶ ἡ πίστις χωρὶς [τῶν] ἔργων νεκρά ἐστιν.

< যাকোব 2 >