যিশাইয় ভাববাদীর বই 8

1 ১ সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “তুমি একটা বড় ফলক নিয়ে তার ওপরে লেখ, ‘মহের-শালল-হাশ-বস।’

١ ثُمَّ قَالَ الرَّبُّ لِي: «خُذْ لِنَفْسِكَ لَوْحاً كَبِيراً، وَاكْتُبْ عَلَيْهِ بِحُرُوفٍ وَاضِحَةٍ «مَهَيْرَ شَلاَلَ حَاشَ بَزَ» (بِمَعْنَى مُسْرِعٍ إِلَى الْغَنِيمَةِ)»

2 ২ এর প্রমাণের জন্য ঊরিয় যাজক ও যিবেরিখিয়ের ছেলে সখরিয়, এই দুইজন বিশ্বস্ত লোককে আমি আপনার সাক্ষী করব”

٢ فَاخْتَرْتُ لِنَفْسِي شَاهِدَيْنِ أَمِينَيْنِ، هُمَا أُورِيَّا الْكَاهِنُ وَزَكَرِيَّا بْنُ يَبْرَخْيَا.

3 ৩ পরে আমি [নিজের স্ত্রী] ভাববাদীনীর কাছে গেলে তিনি গর্ভবতী হয়ে ছেলের জন্ম দিলেন। তখন সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “ওর নাম রাখ মহের-শালল-হাস-বস [তাড়াতাড়ি-লুট-তাড়াতাড়ি-অপহরণ] রাখ;

٣ ثُمَّ عَاشَرْتُ النَّبِيَّةَ فَحَمَلَتْ وَأَنْجَبَتِ ابْناً. فَقَالَ لِي الرَّبُّ: «ادْعُ اسْمَهُ مَهَيْرَ شَلاَلَ حَاشَ بَزَ،

4 ৪ কারণ ছেলেটির বাবা, মা, এই কথা বলার জ্ঞান হওয়ার আগে দম্মেশকের সম্পত্তি ও শমরিয়ার লুট অশূর রাজার আগে নিয়ে যাওয়া হবে।”

٤ وَقَبْلَ أَنْ يَعْرِفَ الصَّبِيُّ كَيْفَ يُنَادِي: يَاأَبِي أَوْ يَاأُمِّي، تُحْمَلُ ثَرْوَةُ دِمَشْقَ وَغَنَائِمُ السَّامِرَةِ أَمَامَ مَلِكِ أَشُّورَ».

5 ৫ সদাপ্রভু আবার আমাকে বললেন,

٥ ثُمَّ كَلَّمَنِي الرَّبُّ ثَانِيَةً قَائِلاً:

6 ৬ কারণ এই লোকেরা তো শীলোহের আস্তে আস্তে বয়ে যাওয়া স্রোত অগ্রাহ্য করে রৎসীনে আর রমলিয়ের ছেলেকে নিয়ে আনন্দ করছে।

٦ «مِنْ حَيْثُ أَنَّ هَذَا الشَّعْبَ قَدْ رَفَضَ مِيَاهَ شِيلُوهَ الجَارِيَةَ الْهَادِئَةَ، وَتَهَافَتُوا عَلَى رَصِينَ وَفَقَحَ بْنِ رَمَلْيَا،

7 ৭ অতএব প্রভু [ফরাৎ] নদীর প্রবল ও প্রচুর জল, অর্থাৎ অশূর রাজা ও তাঁর সব মহিমাকে তাদের ওপরে আনবেন, সে ফেঁপে সমস্ত খাল পূর্ণ করবে ও সমস্ত তীরের ওপর দিয়ে যাবে;

٧ فَإِنَّ الرَّبَّ مُزْمِعٌ أَنْ يُغْرِقَهُمْ بِمِيَاهِ النَّهْرِ الفَيَّاضَةِ، أَيْ مَلِكِ أَشُّورَ بِكُلِّ جَبَرُوتِهِ، فَيَكُونُ (كَنَهْرِ الفُرَاتِ) يَطْغَى جَيَشَانُهُ عَلَى جَدَاوِلِهِ وَيَفِيضُ عَلَى ضِفَافِهِ

8 ৮ সে যিহূদা দেশ দিয়ে বেগে বয়ে যাবে, উথলে উঠে বেড়ে যাবে, গলা পর্যন্ত উঠবে; আর, হে ইম্মানূয়েল, তোমার দেশ তার ডানা দুটির বিস্তারের মাধ্যমে পূর্ণ হবে।

٨ فَيَكْتَسِحُ أَرْضَ يَهُوذَا، وَيَطْفُو مُرْتَفِعاً إِلَى الأَعْنَاقِ، وَتَنْتَشِرُ جُيُوشُهُ فِي عَرْضِ أَرْضِكَ يَاعِمَّانُوئِيلُ».

9 ৯ “হে জাতিরা, তোমরা ছিন্নভিন্ন হবে; হে দূরের দেশের সব লোক, শোন, যুদ্ধের জন্য তৈরী হও এবং তোমরা ছিন্নভিন্ন হবে; তোমরা অস্ত্রে সজ্জিত হও এবং তোমরা ছিন্নভিন্ন হও।

٩ افْعَلُوا مَا شِئْتُمْ أَيُّهَا الشُّعُوبُ وَانْهَزِمُوا. أَصْغِي يَاجَمِيعَ أَقَاصِي الأَرْضِ. تَأَهَّبُوا لِلْمَعْرَكَةِ وَانْهَزِمُوا.

10 ১০ একটি পরিকল্পনা গঠন কর, কিন্তু তা সফল হবে না; কথা বল কিন্তু তা স্থির থাকবে না, কারণ “ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে।”

١٠ تَشَاوَرُوا مَعاً وَلَكِنْ عَلَى غَيْرِ طَائِلٍ، ارْسِمُوا الْخُطَطَ فَلاَ تَتَحَقَّقَ لأَنَّ اللهَ مَعْنَا.

11 ১১ কারণ সদাপ্রভু তাঁর শক্তিশালী হাত বাড়িয়ে দিয়ে আমাকে এই কথা বললেন এবং আমাকে বলে দিলেন যে, এই লোকদের পথে যাওয়া আমার উচিত না।

١١ لأَنَّ الرَّبَّ خَاطَبَنِي حِينَ وَضَعَ يَدَهُ عَلَيَّ وَأَنْذَرَنِي أَنْ لاَ أَسْلُكَ فِي طَرِيقِ هَذَا الشَّعْبِ قَائِلاً:

12 ১২ তিনি বললেন, “এই লোকেরা যেসব বিষয়কে ষড়যন্ত্র বলে, তোমরা সেগুলোকে ষড়যন্ত্র বোলো না এবং এদের ভয়ে ভীত হয়ো না, ভয় পেও না।

١٢ «لاَ تَقُلْ إِنَّهَا مُؤَامَرَةٌ لِكُلِّ مَا يَدَّعِي هَذَا الشَّعْبُ أَنَّهُ مُؤَامَرَةٌ. لاَ تَخْشَ مَا يَخْشَوْنَ وَلاَ تَخَفْ.

13 ১৩ বাহিনীদের সদাপ্রভুকেই পবিত্র বলে মানো; তোমরা তাকেই ভয় কর; তাঁকেই ভয়ানক বলে মনে কর।

١٣ قَدِّسُوا الرَّبَّ الْقَدِيرَ لأَنَّهُ هُوَ خَوْفُكُمْ وَرَهْبَتُكُمْ،

14 ১৪ তা হলে তিনি একটা পবিত্র আশ্রয়স্থান হবেন; কিন্তু ইস্রায়েলীয়দের উভয় কুলের জন্য তিনি হোঁচট খাওয়া পাথর ও বাধাজনক পাথর হবেন, যিরূশালেমের লোকদের জন্য তিনি হবেন একটা ফাঁদ ও একটা জাল।

١٤ فَيَكُونَ لَكُمْ مَقْدِساً. أَمَّا لِبَيْتَيْ إِسْرَائِيلَ، فَيَكُونُ حَجَرَ صَدْمَةٍ وَصَخْرَةَ عَثْرَةٍ، وَفَخّاً وَشَرَكاً لِسَاكِنِي أُورُشَلِيمَ،

15 ১৫ তাদের মধ্যে অনেকে হোঁচট খেয়ে পড়ে যাবে ও বিনষ্ট হবে এবং ফাঁদে বন্দী হয়ে ধরা পড়বে।”

١٥ فَيَعْثُرُ بِهَا كَثِيرُونَ وَيَسْقُطُونَ وَيَتَحَطَّمُونَ وَيَقَعُونَ فِي الْفَخِّ وَيُقْتَنَصُونَ».

16 ১৬ তুমি সাক্ষ্যের কথা বন্ধ কর, আমার শিষ্যদের মধ্যে নিয়ম সীলমোহর কর।

١٦ فَادَّخِرِ الشَّهَادَةَ وَأَوْدِعِ الشَّرِيعَةَ فِي قُلُوبِ تَلاَمِيذِي.

17 ১৭ আমি সদাপ্রভুর জন্য অপেক্ষা করব, যিনি যাকোব-কুলের থেকে মুখ লুকান এবং আমি তাঁর অপেক্ষায় থাকব।

١٧ سَأَنْتَظِرُ الرَّبَّ الَّذِي يَحْجُبُ وَجْهَهُ عَنْ بَيْتِ يَعْقُوبَ وَأَتَوَكَّلُ عَلَيْهِ.

18 ১৮ দেখ, আমি এবং সেই সন্তানেরা যাদের সদাপ্রভু আমাকে দিয়েছেন, সিয়োন পাহাড়ে বাস করেন বাহিনীদের সদাপ্রভুর দেওয়া অনুসারে আমরা ইস্রায়েলের মধ্যে চিহ্ন ও অদ্ভুত লক্ষণের মতো।

١٨ انْظُرُوا هَا أَنَا وَالأَبْنَاءُ الَّذِينَ رَزَقَنِي إِيَّاهُمُ الرَّبُّ، آيَاتٍ وَمُعْجِزَاتٍ فِي إِسْرَائِيلَ مِنْ عِنْدِ الرَّبِّ الْقَدِيرِ السَّاكِنِ فِي جَبَلِ صِهْيَوْنَ.

19 ১৯ আর যখন তারা তোমাদেরকে বলে, তোমরা আত্মাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনকারীদের ও জাদুকরদের কাছে যারা বিড়বিড় ও ফুসফুস করে বলে তাদের কাছে খোঁজ কর, [তখন তোমরা বলবে] লোকেরা কি নিজেদের ঈশ্বরের কাছে খোঁজ করবে না?

١٩ وَعِنْدَمَا يَقُولُ النَّاسُ لَكَ: اسْأَلْ أَصْحَابَ التَّوَابِعِ وَالْعَرَّافِينَ الْمُتَهَامِسِينَ الْمُجَمْجِمِينَ قُلْ: أَلَيْسَ عَلَى الشَّعْبِ أَنْ يَسْأَلَ إِلَهَهُ؟ أَعَلَيْهِمْ أَنْ يَسْأَلُوا الأَمْوَاتَ عَنِ الأَحْيَاءِ؟

20 ২০ নিয়মের কাছে ও সাক্ষের কাছে [খোঁজ কর]। এর অন্য কথা যদি তারা না বলে তবে তাদের মধ্যে কোনো আলো নেই।

٢٠ فَإِلَى الشَّرِيعَةِ وَإِلَى الشَّهَادَةِ: وَمَنْ لاَ يَنْطِقْ بِمِثْلِ هَذَا الْقَوْلِ، فَلاَ فَجْرَ لَهُ.

21 ২১ তারা কষ্ট ও খিদে নিয়ে তারা দেশের মধ্যে ঘুরে বেড়াবে। খিদেতে রাগ করে নিজেদের রাজাকে ও নিজেদের ঈশ্বরকে অভিশাপ দেবে এবং ওপর দিকে মুখ তুলবে।

٢١ فَإِنَّهُمْ يَتِيهُونَ فِي الأَرْضِ مُكْتَئِبِينَ جَائِعِينَ، وَعِنْدَمَا يَعُضُّهُمُ الْجُوعُ بِنَابِهِ يَأْخُذُهُمُ الْغَضَبُ وَيَلْعَنُونَ مَلِكَهُمْ وَإِلَهَهُمْ وَيَلْتَفِتُونَ إِلَى الْعَلاَءِ،

22 ২২ তারা পৃথিবীর দিকে তাকাবে এবং দেখ, সংকট, অন্ধকার আর ভয়ানক যন্ত্রণা। তাদেরকে ভীষণ অন্ধকারের মধ্যে তাদের দূর করে দেওয়া হবে।

٢٢ ثُمَّ يَنْظُرُونَ إِلَى الأَرْضِ فَلاَ يَجِدُونَ سِوَى الْكَرْبِ وَالظُّلْمَةِ وَالضَّنْكِ وَالْعَذَابِ، وَيُطْرَدُونَ إِلَى الظَّلاَمِ.