যিশাইয় ভাববাদীর বই 48
1 ১ এটা শোন, যাকোবের বংশ, কাকে ইস্রায়েল নামে ডাকা হয় এবং যিহূদার বংশ থেকে এসেছ; তোমরা যারা সদাপ্রভুর নামে শপথ করে থাক এবং ইস্রায়েলের ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা কর, কিন্তু মন থেকে বা ধার্ম্মিকতায় তা কর না।
| اسْمَعُوا هَذَا يَا بَيْتَ يَعْقُوبَ الْمَدْعُوِّينَ بِاسْمِ إِسْرَائِيلَ الْخَارِجِينَ مِنْ صُلْبِ يَهُوذَا، الْحَالِفِينَ بِاسْمِ الرَّبِّ، الْمُسْتَشْهِدِينَ بِإِلَهِ إِسْرَائِيلَ بَاطِلاً وَكَذِباً | ١ |
2 ২ কারণ তারা নিজেদেরকে পবিত্র শহরের লোক বলে থাকে এবং ইস্রায়েলের ঈশ্বরকে বিশ্বাস কর; যাঁর নাম বাহিনীদের সদাপ্রভু।
| الَّذِينَ يَدْعُونَ أَنْفُسَهُمْ أَهْلَ الْمَدِينَةِ الْمُقَدَّسَةِ، وَيَعْتَمِدُونَ عَلَى إِلَهِ إِسْرَائِيلَ، الرَّبِّ الْقَدِيرِ: | ٢ |
3 ৩ আমি অনেকদিন আগে এ জিনিস বলেছিলাম; তা আমার মুখ থেকে এসেছিল এবং আমি তা তাদের জানালাম; তারপর হঠাৎ তা করলাম এবং তা অতিক্রম করল।
| قَدْ أَنْبَأْتُ بِالأُمُورِ الْغَابِرَةِ مُنْذُ الْقِدَمِ، نَطَقْتُ بِها وَأَذَعْتُهَا، ثُمَّ فَجْأَةً صَنَعْتُهَا وَأَتْمَمْتُهَا | ٣ |
| لأَنِّي عَالِمٌ بِعِنَادِكَ، وَأَنَّ رَقَبَتَكَ ذَاتُ عَضَلٍ مِنْ حَدِيدٍ وَجَبْهَتَكَ مِنْ نُحَاسٍ. | ٤ |
5 ৫ সেইজন্য অনেক আগেই আমি তোমাদের এই সব বলেছিলাম এবং আর তা ঘটবার আগেই তোমাদের জানিয়েছিলাম, যাতে তোমরা বলতে না পার, আমার প্রতিমা তা করেছে অথবা আমাদের খোদাই করা মূর্ত্তি অথবা ছাঁচে ঢালা প্রতিমা এ সব আদেশ দিয়েছে।
| لِهَذَا أَنْبَأْتُ بِها مُنْذُ الْقِدَمِ وَأَعْلَنْتُهَا لَكَ مِنْ قَبْلِ أَنْ تَتَحَقَّقَ، لِئَلَّا تَقُولَ: إِنَّ وَثَنِي قَدْ صَنَعَهَا، وَتِمْثَالِي الْمَنْحُوتَ وَإِلَهِي الْمَسْبُوكَ قَدَ قَضَى بِها. | ٥ |
6 ৬ তোমরা এ সব শুনেছ; তাকিয়ে দেখ এসব প্রমাণের দিকে এবং তুমি কি তা মেনে নেবে না যা আমি সত্য বলেছিলাম? এখন থেকে আমি তোমাদের নতুন জিনিস দেখাবো, লোকানো জিনিস যা তোমরা জানো না।
| قَدْ سَمِعْتَ، فَتَأَمَّلْ فِيهَا كُلِّهَا، أَلا تُقِرُّ بِها؟ مُنْذُ الآنَ وَصَاعِداً سَأُطْلِعُكَ عَلَى أُمُورٍ جَدِيدَةٍ، عَلَى أَسْرَارٍ لَمْ تَعْرِفْهَا مِنْ قَبْلُ. | ٦ |
7 ৭ এখন এবং অনেক আগে থেকে নয়, এখনই সৃষ্ট হয়েছে; আজকের আগে তোমরা সে সব শোন নি। তাই তোমরা বলতে পারবে না, হ্যাঁ, আমি তাদের সম্বন্ধে জানতাম।
| قَدْ خُلِقَتِ الآنَ وَلَيْسَ مُنْذُ زَمَنٍ بَعِيدٍ، لَمْ تَسْمَعْ بِها قَطُّ قَبْلَ هَذَا الْيَوْمِ، لِئَلَّا تَقُولَ: كُنْتُ أَعْرِفُهَا. | ٧ |
8 ৮ তোমরা কখনই শোন নি; তোমরা জানোনা; এ জিনিসগুলো খোলা ছিলনা তোমার কানের কাছে আগে থেকে। কারণ আমি জানতাম যে তোমরা খুব প্রতারণাপূর্ণ এবং জন্ম থেকে তোমাদের বিদ্রোহী বলা হয়।
| أَنْتَ لَمْ تَسْمَعْ قَطُّ وَلَمْ تَعْرِفْ أَبَداً، فَمُنْذُ الْقِدَمِ لَمْ تَنْفَتِحْ أُذُنَاكَ، لأَنِّي عَرَفْتُ أَنَّكَ تَتَصَرَّفُ بِغَدْرٍ، وَمُنْذُ مَوْلِدِكَ دُعِيتَ مُتَمَرِّداً | ٨ |
9 ৯ আমার নামের জন্য আমার রাগকে আমি দমন করব; আমার সম্মানের জন্য আমি তা ধরে রাখবো তোমাদের ধ্বংসের হাত থেকে।
| وَلَكِنْ مِنْ أَجْلِ اسْمِي أُبَطِّئُ غَضَبِي، وَأَكْبَحُهُ عَنْكَ مِنْ أَجْلِ حَمْدِي حَتَّى لَا أَسْتَأْصِلَكَ. | ٩ |
| نَقَّيْتُكَ وَلَيْسَ كَالْفِضَّةِ وَامْتَحَنْتُكَ فِي كُورِ الأَلَمِ. | ١٠ |
11 ১১ আমি যা কিছু করবো তা আমার নিজের জন্য, কারণ আমার নামের অগৌরব আমি কেমন করে হতে দিতে পারি? আমার মহিমা আমি কাউকে দেবো না।
| قَدْ فَعَلْتُ هَذَا مِنْ أَجْلِ ذَاتِي، نَعَمْ مِنْ أَجْلِ ذَاتِي إِذْ كَيْفَ يُدَنَّسُ اسْمِي؟ أَنَا لَا أُعْطِي مَجْدِي لِآخَرَ. | ١١ |
| اسْمَعْ لِي يَا يَعْقُوبُ، وَيَا إِسْرَائِيلُ الَّذِي دَعَوْتُهُ. أَنَا هُوَ الأَوَّلُ وَالآخِرُ. | ١٢ |
13 ১৩ হ্যাঁ, আমি নিজের হাতে পৃথিবীর ভিত্তি স্থাপন করেছি এবং ডান হাতে আকাশ মন্ডলকে ছড়িয়ে দিয়েছি; যখন তাদের আমি ডাকি, তারা একসঙ্গে দাঁড়ায়।
| قَدْ أَرْسَتْ يَدِي قَوَاعِدَ الأَرْضِ، وَبَسَطَتْ يَمِينِي السَّمَاوَاتِ، أَدْعُوهُنَّ فَيَمْثُلْنَ مَعاً. | ١٣ |
14 ১৪ একসঙ্গে জড়ো হও, তোমরা সকলে এবং শোন। তোমাদের মধ্যে কে এ বিষয়ে বলেছ? ব্যাবিলনের বিরুদ্ধে সদাপ্রভুর লোক তার নিজের ইচ্ছা পূর্ণ করবে; সে সদাপ্রভুর ইচ্ছা ব্যাবিলনীয়দের বিরুদ্ধে বহন করবে।
| اجْتَمِعُوا كُلُّكُمْ وَأَنْصِتُوا: مَنْ مِنْ بَيْنِ الأَصْنَامِ أَنْبَأَ بِهَذِهِ؟ إِنَّ الرَّبَّ أَحَبَّ كُورَشَ، وَهُوَ يُنَفِّذُ قَضَاءَهُ عَلَى بَابِلَ وَيَكُونُ ذِرَاعُهُ عَلَى الْكَلْدَانِيِّينَ. | ١٤ |
| لَقَدْ دَعَوْتُ أَنَا بِذَاتِي كُورُشَ وَعَهِدْتُ إِلَيْهِ بِمَا أُرِيدُ، وَسَأُكَلِّلُ أَعْمَالَهُ بِالْنَّجَاحِ | ١٥ |
16 ১৬ আমার কাছে এস এ কথা শোন। শুরু থেকে আমি কোন কথা গোপন করার জন্য বলিনি; যখন এটা হয় আমি সেখানে থাকি এবং এখন প্রভু সদাপ্রভু আমাকে পাঠিয়েছেন এবং তাঁর আত্মা দিয়ে।
| اقْتَرِبُوا مِنِّي وَاسْمَعُوا: مُنْذُ الْبَدْءِ لَمْ أَتَكَلَّمْ خُفْيَةً، وَلَدَى حُدُوثِهَا كُنْتُ حَاضِراً هُنَاكَ. وَالآنَ، قَدْ أَرْسَلَنِي السَّيِّدُ الرَّبُّ وَرُوحُهُ بِهَذِهِ الرِّسَالَةِ: | ١٦ |
17 ১৭ এই হল সদাপ্রভু, তোমাদের মুক্তিদাতা, ইস্রায়েলের সেই পবিত্র ব্যক্তি এই কথা বলছেন, “আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর; যিনি শিক্ষা দেন তোমাদের সফলতার জন্য। যে পথে তোমাদের নিয়ে যান তোমাদের সেই পথে যাওয়া উচিত।
| هَذَا مَا يَقُولُهُ الرَّبُّ فَادِيكَ قُدُّوسُ إِسْرَائِيلَ: أَنَا هُوَ الرَّبُّ إِلَهُكَ الَّذِي يُعَلِّمُكَ مَا فِيهِ نَفْعٌ لَكَ، وَيَهْدِيكَ فِي النَّهْجِ الَّذِي عَلَيْكَ أَنْ تَسْلُكَهُ. | ١٧ |
18 ১৮ যদি শুধু তুমি আমার আদেশ মান্য করতে তাহলে তোমাদের শান্তি এবং উন্নতি হতো নদীর মত এবং তোমাদের পরিত্রান হত সাগরের ঢেউয়ের মত।
| لَيْتَكَ أَطَعْتَ وَصَايَايَ لَكَانَ سَلامُكَ كَالنَّهْرِ، وَبِرُّكَ كَأَمْوَاجِ الْبَحْرِ، | ١٨ |
19 ১৯ তোমাদের বংশধরেরা বালির মতো অনেক হত এবং তোমাদের ছেলেমেয়েরা হত বালুকণার মত অনেক। তাদের নাম কাটা হত না কিম্বা মুছে ফেলা হত না আমার সামনে থেকে।
| وَلَكَانَتْ ذُرِّيَّتُكَ كَالرَّمْلِ، وَنَسْلُ أَحْشَائِكَ كَعَدَدِ حَبَّاتِهِ، فَلا يُسْتَأْصَلُ أَوْ يَنْقَرِضُ اسْمُهُ مِنْ أَمَامِي. | ١٩ |
20 ২০ তোমরা ব্যাবিলন থেকে বেরিয়ে এসো! কলদীয়দের কাছ থেকে পালাও। আনন্দে চিৎকার করে জানাও, এটা ঘোষণা কর। পৃথিবীর শেষ সীমা পর্যন্ত এ কথা বল, ‘সদাপ্রভু তাঁর দাস যাকোবকে মুক্ত করেছেন’।”
| اكْسِرُوا أَغْلالَ الأَسْرِ. ارْحَلُوا عَنْ بَابِلَ. ارْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ بِالْغِنَاءِ حَتَّى يَذِيعَ فِي أَرْجَاءِ الدُّنْيَا أَنَّ الرَّبَّ قَدْ فَدَى عَبْدَهُ يَعْقُوبَ. | ٢٠ |
21 ২১ তাদের পিপাসা পায়নি যখন তিনি মরুপ্রান্তের মধ্যে দিয়ে তাদের নিয়ে যাচ্ছিলেন; তিনি পাথর থেকে তাদের জন্য জল বইয়ে দিয়েছিলেন; তিনি পাথর ভেঙে দিয়েছিলেন এবং তাতে জল বের হয়ে এসেছিল।
| لَمْ يَعْطَشُوا عِنْدَمَا اجْتَازَ بِهِمْ عَبْرَ الصَّحْرَاءِ. فَجَّرَ لَهُمُ الْمِيَاهَ مِنَ الصَّخْرِ. شَقَّهُ فَتَدَفَّقَتْ مِنْهُ الْمِيَاهُ. | ٢١ |
| أَمَّا الأَشْرَارُ فَلا سَلامَ لَهُمْ يَقُولُ الرَّبُّ. | ٢٢ |
