< যিশাইয় ভাববাদীর বই 13 >

1 ব্যাবিলনের বিষয়ে ভাববাণী, যা আমোসের ছেলে যিশাইয় পেয়েছিলেন।
رُؤْيَا إِشَعْيَاءَ بْنِ آمُوصَ بِشَأْنِ بَابِلَ:١
2 তোমরা উন্মুক্ত পাহাড়ের ওপরে একটা পতাকা তোল; তাদের জন্য চিৎকার কর, প্রধানদের দরজা দিয়ে গিয়ে তাদের জন্য হাত দোলাও।
انْصُبُوا رَايَةً فَوْقَ جَبَلٍ أَجْرَدَ. اصْرُخُوا فِيهِمْ لَوِّحُوا بِأَيْدِيكُمْ حَتَّى يَدْخُلُوا أَبْوَابَ الْعُظَمَاءِ.٢
3 আমি আমার পবিত্র লোকদের আদেশ দিয়েছি, হ্যাঁ, আমি আমার রাগ সম্পন্ন করার জন্য আমার শক্তিশালী লোকদের, যারা বিজয়ে উল্লাস করে তাদের ডেকেছি।
إِنِّي أَمَرْتُ مُقَدَّسِيَّ وَاسْتَدْعَيْتُ جَبَابِرَتِي الْمُفْتَخِرِينَ بِعَظَمَتِي لِيُنَفِّذُوا عِقَابَ غَضَبِي.٣
4 পর্বতমালায় অনেক লোকদের মত জনগনের কোলাহল! অনেক জাতির একসঙ্গে জড়ো হওয়ার মতো রাজ্যের একটি তীব্র শব্দ! বাহিনীদের সদাপ্রভু যুদ্ধের জন্য সৈন্য রচনা করেছেন।
هَا جَلَبَةٌ عَلَى الْجِبَالِ مِثْلُ صَوْتِ أَقْوَامٍ غَفِيرَةٍ. صَوْتُ صَخَبِ مَمَالِكِ أُمَمٍ مُجْتَمِعَةٍ، لأَنَّ الرَّبَّ الْقَدِيرَ يَسْتَعْرِضُ جُنُودَ الْقِتَالِ.٤
5 তারা দূর দেশ থেকে, পৃথিবীর শেষ সীমা থেকে আসছে; সদাপ্রভু তাঁর বিচারের অস্ত্র নিয়ে সমস্ত দেশকে ধ্বংস করবার জন্য আসছেন।
يُقْبِلُونَ مِنْ أَرْضٍ نَائِيَةٍ، مِنْ أَقْصَى السَّمَاوَاتِ. هُمْ جُنُودُ الرَّبِّ وَأَسْلِحَةُ سَخَطِهِ لِتَدْمِيرِ الأَرْضِ كُلِّهَا.٥
6 আর্তনাদ কর, কারণ সদাপ্রভুর দিন কাছে এসে গেছে; সর্বশক্তিমানের কাছ থেকে ওটা ধ্বংসের সঙ্গে আসবে।
وَلْوِلُوا، فَإِنَّ يَوْمَ الرَّبِّ بَاتَ وَشِيكاً قَادِماً مِنْ عِنْدِ الرَّبِّ مُحَمَّلاً بِالدَّمَارِ.٦
7 সেইজন্য সবার হাত নিস্তেজ হয়ে যাবে এবং প্রত্যেক হৃদয় গলে যাবে;
لِذَلِكَ تَرْتَخِي كُلُّ يَدٍ، وَيَذُوبُ قَلْبُ كُلِّ إِنْسَانٍ.٧
8 তারা ভীত হবে, একজন মহিলার প্রসববেদনার মত তীব্র যন্ত্রণা এবং দুঃখ তাদেরকে ধরবে। তারা আশ্চর্য্যভাবে একে অপরের দিকে তাকাবে; তাদের মুখ আগুনের শিখার মতো হবে।
يَنْتَابُهُمُ الْفَزَعُ، وَتَأْخُذُهُمْ أَوْجَاعٌ وَمَخَاضٌ، يَتَلَوَّوْنَ كَوَالِدَةٍ تُقَاسِي مِنْ آلآمِ الْمَخَاضِ. وَيُحَمْلِقُ بَعْضُهُمْ بِبَعْضٍ مَبْهُوتِينَ بِوُجُوهٍ مُلْتَهِبَةٍ.٨
9 দেখ, সদাপ্রভুর দিন নিষ্ঠুর ক্রোধ ও ভীষণ রাগের সঙ্গে আসছে, পৃথিবীকে নির্জনতা করার জন্য এবং এর মধ্যে থেকে পাপীদেরকে ধ্বংস করার জন্য।
هَا هُوَ يَوْمُ الرَّبِّ آتٍ مُفْعَماً بِالقَسْوَةِ وَالسَّخَطِ وَالْغَضَبِ الْعَنِيفِ، لِيَجْعَلَ الأَرْضَ خَرَاباً وَيُبِيدَ مِنْهَا الْخُطَاةَ.٩
10 ১০ আকাশের তারা ও নক্ষত্রপুঞ্জ আলো দেবে না; এমনকি সূর্য্য ওঠার দিনের ও অন্ধকার থাকবে এবং চাঁদ উজ্জ্বল হবে না।
فَإِنَّ نُجُومَ السَّمَاءِ وَكَوَاكِبَهَا لاَ تُشْرِقُ بِنُورِهَا، وَالشَّمْسَ تُظْلِمُ عِنْدَ بُزُوغِهَا، وَالْقَمَرَ لاَ يُشِعُّ بِضَوْئِهِ.١٠
11 ১১ আমি তার মন্দতার জন্য পৃথিবীকে এবং অপরাধের জন্য দুষ্টদেরকে শাস্তি দেব। আমি গর্বিতদের অহঙ্কার শেষ করে দেব এবং নিষ্ঠুরদের অহঙ্কার দমন করব।
وَأُعَاقِبُ الْعَالَمَ عَلَى شَرِّهِ وَالْمُنَافِقِينَ عَلَى آثَامِهِمْ، وَأَضَعُ حَدّاً لِصَلَفِ الْمُتَغَطْرِسِينَ وَأُذِلُّ كِبْرِيَاءَ الْعُتَاةِ،١١
12 ১২ আমি মানুষকে খাঁটি সোনার থেকেও দুর্লভ করব এবং ওফীরের সোনার চেয়ে মানবজাতিকে আরো বেশী দুর্লভ করব।
فَيُصْبِحُ الرِّجَالُ لِقِلَّةِ عَدَدِهِمْ أَنْدَرَ مِنَ الذَّهَبِ النَّقِيِّ وَأَعَزَّ مِنْ ذَهَبِ أُوفِيرَ.١٢
13 ১৩ অতএব আমি আকাশমণ্ডলকে কাঁপাব এবং বাহিনীদের সদাপ্রভুর ক্রোধের দ্বারা এবং তাঁর প্রচণ্ড ক্রোধের দিনের পৃথিবী তার জায়গা থেকে নড়ে যাবে।
وَأُزَلْزِلُ السَّمَاوَاتِ فَتَتَزَعْزَعُ الأَرْضُ فِي مَوْضِعِهَا مِنْ غَضَبِ الرَّبِّ الْقَدِيرِ فِي يَوْمِ احْتِدَامِ سَخَطِهِ.١٣
14 ১৪ শিকার করা হরিণের মত অথবা মেষপালক ছাড়া মেষের মত, প্রত্যেকে তার নিজের লোকদের কাছে ফিরে যাবে এবং প্রত্যেকে তার নিজের দেশে পালিয়ে যাবে।
وَتُوَلِّي جُيُوشُ بَابِلَ الأَدْبَارَ حَتَّى يَنْهَكَهَا التَّعَبُ، عَائِدِينَ إِلَى أَرْضِهِمْ كَأَنَّهُمْ غَزَالٌ مُطَارَدٌ أَوْ غَنَمٌ لاَ رَاعِيَ لَهَا.١٤
15 ১৫ যে কাউকে পাওয়া যাবে তাদেরকে মেরে ফেলা হবে এবং যে কাউকে ধরা হবে তাদেরকে তরোয়ালের দ্বারা মারা যাবে।
كُلُّ مَنْ يُؤْسَرُ يُطْعَنُ، وَمَنْ يُقْبَضُ عَلَيْهِ يُصْرَعُ بِالسَّيْفِ،١٥
16 ১৬ তাদের চোখের সামনে শিশুদেরকে টুকরো করে ছুঁড়ে ফেলা হবে; তাদের বাড়ি লুট করা হবে ও তাদের স্ত্রীদের ধর্ষণ করা হবে।
وَيُمَزَّقْ أَطْفَالُهُمْ عَلَى مَرْأىً مِنْهُمْ، وَتُنْهَبْ بُيُوتُهُمْ، وَتُغْتَصَبْ نِسَاؤُهُمْ.١٦
17 ১৭ “দেখ, আমি তাদেরকে আঘাত করার জন্য মাদীয়দেরকে উত্তেজিত করব, যারা রূপার বিষয়ে চিন্তা করবে না, সোনাতেও আনন্দ করবে না।
هَا أَنَا أُثِيرُ عَلَيْهِمِ الْمَادِيِّينَ الَّذِينَ لاَ يَكْتَرِثُونَ لِلْفِضَّةِ وَلاَ يُسَرُّونَ بِالذَّهَبِ،١٧
18 ১৮ তাদের তিরগুলি যুবকদের বিদ্ধ করবে; তারা শিশুদের প্রতি কোনো দয়া করবে না এবং ছেলে মেয়েদের প্রতি মমতা করবে না।
تُمَزِّقُ قِسِيُّهُمُ الْفِتْيَانَ وَلاَ يَرْحَمُونَ الأَوْلاَدَ أَوِ الرُّضَّعَ.١٨
19 ১৯ এবং ব্যাবিলন, রাজ্যের সর্বাধিক প্রশংসিত, কলদীয়দের গর্বের মহিমা, ঈশ্বর সদোম ও ঘমোরার মত ধ্বংস করবেন।
أَمَّا بَابِلُ، مَجْدُ الْمَمَالِكِ وَبَهَاءُ وَفَخْرُ الْكَلْدَانِيِّينَ، فَتُصْبِحُ كَسَدُومَ وَعَمُورَةَ اللَّتَيْنِ قَلَبَهُمَا اللهُ.١٩
20 ২০ এটা আর বসতিস্থান হবে না অথবা বংশের পর বংশ সেখানে বাস করবে না। আরবীয় সেখানে তাঁবু স্থাপন করবে না, মেষপালকেরাও সেখানে তার পশুপালকে বিশ্রাম করাবে না।
لاَ يُسْكَنُ فِيهَا، وَلاَ تُعْمَرُ مِنْ جِيلٍ إِلَى جِيلٍ، لاَ يَنْصِبُ فِيهَا بَدَوِيٌّ خَيْمَتَهُ، وَلاَ يُرْبِضُ فِيهَا رَاعٍ قُطْعَانَهُ.٢٠
21 ২১ কিন্তু মরুপ্রান্তের প্রাণীরা সেখানে শুয়ে থাকবে, সেখানকার বাড়ীগুলো পেঁচায় পরিপূর্ণ হবে, উটপাখী এবং বুনো ছাগলেরা লাফিয়ে বেড়াবে।
إِنَّمَا تَأْوِي إِلَيْهَا وُحُوشُ الْقَفْرِ وَتَعِجُّ بُيُوتُ خَرَائِبِهَا بِالْبُومِ، وَتَلْجَأُ إِلَيْهَا بَنَاتُ النَّعَامِ، وَتَتَوَاثَبُ فِيهَا الْمَاعِزُ الْبَرِّيَّةُ،٢١
22 ২২ তাদের দুর্গের মধ্যে হায়না ডাকবে এবং খেঁকশিয়াল সুন্দর প্রাসাদের মধ্যে থাকবে। তার দিন এসে গেছে, তার দিন গুলো আর দেরী হবে না।”
وَتَتَعَاوَى الضِّبَاعُ بَيْنَ أَبْرَاجِهَا، وَبَنَاتُ آوَى بَيْنَ قُصُورِهَا الْفَخْمَةِ. إِنَّ وَقْتَ عِقَابِهَا بَاتَ وَشِيكاً، وَأَيَّامَهَا لَنْ تَطُولَ!٢٢

< যিশাইয় ভাববাদীর বই 13 >