< আদিপুস্তক 46 >

1 পরে ইস্রায়েল নিজের সর্বস্বের সঙ্গে যাত্রা করে বের-শেবাতে আসলেন এবং নিজের বাবা ইসহাকের ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে বলিদান করলেন। 2 পরে ঈশ্বর রাতে ইস্রায়েলকে দর্শন দিয়ে বললেন, “হে যাকোব, হে যাকোব।” তিনি উত্তর করলেন, “দেখ, এই আমি।” 3 তখন তিনি বললেন, “আমি ঈশ্বর, তোমার বাবার ঈশ্বর; তুমি মিশরে যেতে ভয় কোরো না, কারণ আমি সেই জায়গায় তোমাকে বড় জাতি করব।” 4 আমিই তোমার সঙ্গে মিশরে যাব এবং আমিই সেখান থেকে তোমাকে ফিরিয়েও আনব, আর যোষেফ তোমার চোখে হাত দেবে। 5 পরে যাকোব বের-শেবা থেকে যাত্রা করলেন। ইস্রায়েলের ছেলেরা নিজেদের বাবা যাকোবকে এবং নিজের নিজের ছেলেমেয়ে ও স্ত্রীদেরকে সেই সব মালবাহী গাড়িতে করে নিয়ে গেলেন, যা ফরৌণ তাদের বহনের জন্য পাঠিয়েছিলেন। 6 পরে তাঁরা, যাকোব ও তাঁর সমস্ত বংশ, নিজেদের পশুরা ও কনান দেশে উপার্জিত সব সম্পত্তি নিয়ে মিশর দেশে পৌঁছালেন। 7 এই ভাবে যাকোব নিজের ছেলে নাতি, মেয়ে নাতনি প্রভৃতি সমস্ত বংশকে সঙ্গে করে মিশরে নিয়ে গেলেন। 8 ইস্রায়েলীয়রা, যাকোব ও তাঁর ছেলেমেয়েরা, যাঁরা মিশরে গেলেন, তাঁদের নাম। যাকোবের বড় ছেলে রুবেণ। 9 রুবেণের ছেলে হনোক, পললু, হিষ্রোণ ও কর্মি। 10 ১০ শিমিয়োনের ছেলে যিমূয়েল, যামীন, ওহদ, যাখীন, সোহর ও তার কনানীয়া স্ত্রীজাত ছেলে শৌল। 11 ১১ লেবির ছেলে গের্শোন, কহাৎ ও মরারি। 12 ১২ যিহূদার ছেলে এর, ওনন, শেলা, পেরস ও সেরহ। কিন্তু এর ও ওনন কনান দেশে মারা গিয়েছিল এবং পেরসের ছেলে হিষ্রোণ ও হামূল। 13 ১৩ ইষাখরের ছেলে তোলয়, পূয়, যোব ও শিম্রোণ। 14 ১৪ আর সবূলূনের ছেলে সেরদ, এলোন ও যহলেল। 15 ১৫ তারা লেয়ার সন্তান; তিনি পদ্দন-অরামে যাকোবের জন্য এদেরকে ও তার মেয়ে দীণাকে প্রসব করেন। যাকোবের এই ছেলে মেয়েরা সবশুদ্ধ তেত্রিশ জন। 16 ১৬ আর গাদের ছেলে সিফিয়োন, হগি, শুনী, ইষবোন, এরি, অরোদী ও অরেলী। 17 ১৭ আশেরের ছেলে যিম্না, যিশবা, যিশবি, বরিয় ও তাদের বোন সেরহ। বরিয়ের ছেলে হেবর ও মল্কীয়েল। 18 ১৮ এরা সেই সিল্পার সন্তান, যাকে লাবন নিজের মেয়ে লেয়াকে দিয়েছিলেন; সে যাকোবের জন্য এদেরকে প্রসব করেছিলেন। এরা ষোল জন 19 ১৯ আর যাকোবের স্ত্রী রাহেলের ছেলে যোষেফ ও বিন্যামীন। 20 ২০ যোষেফের ছেলে মনঃশি ও ইফ্রয়িম মিশর দেশে জন্মেছিল; ওন নগরের পোটীফেরঃ যাজকের মেয়ে আসনৎ তাঁর জন্য তাদেরকে প্রসব করেছিলেন। 21 ২১ বিন্যামীনের ছেলে বেলা, বেখর, অসবেল, গেরা, নামন, এহী, রোশ, মুপপীম, হুপপীম ও অর্দ। 22 ২২ এই চৌদ্দ জন যাকোবের থেকে জন্মানো রাহেলের ছেলে। 23 ২৩ আর দানের ছেলে হুশীম। 24 ২৪ নপ্তালির ছেলে যহসিয়েল, গূনি, যেৎসর ও শিল্লেম। 25 ২৫ এরা সেই বিলহার ছেলে, যাকে লাবন নিজের মেয়ে রাহেলকে দিয়েছিলেন। সে যাকোবের জন্য এদেরকে প্রসব করেছিল; এরা সবশুদ্ধ সাত জন। 26 ২৬ যাকোবের দেহ থেকে সৃষ্টি যে লোকেরা তাঁর সঙ্গে মিশরে উপস্থিত হল, যাকোবের ছেলের স্ত্রীরা ছাড়া তারা সবশুদ্ধ ছেষট্টি জন। 27 ২৭ মিশরে যোষেফের যে ছেলেরা জন্মেছিল, তারা দুই জন। যাকোবের আত্মীয়েরা, যারা মিশরে গেল, তারা সবশুদ্ধ সত্তর জন। 28 ২৮ পরে আগে আগে গোশনের পথ দেখবার জন্যে যাকোব নিজের আগে যিহূদাকে যোষেফের কাছে পাঠালেন; আর তাঁরা গোশন প্রদেশে পৌঁছালেন। 29 ২৯ তখন যোষেফ নিজের রথ সাজিয়ে গোশনে তাঁর বাবা ইস্রায়েলের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন; আর তাকে দেখা দিয়ে তাঁর গলা ধরে অনেকক্ষণ কাঁদলেন। 30 ৩০ তখন ইস্রায়েল যোষেফকে বললেন, “এখন স্বচ্ছন্দে মরব, কারণ তোমার মুখ দেখতে পেলাম, তুমি এখনও জীবিত আছ।” 31 ৩১ পরে যোষেফ নিজের ভাইদেরকে ও বাবার আত্মীয়দেরকে বললেন, “আমি গিয়ে ফরৌণকে সংবাদ দেব, তাঁকে বলব, আমার ভাইরা ও বাবার সমস্ত আত্মীয় কনান দেশ থেকে আমার কাছে এসেছেন; 32 ৩২ তাঁরা ভেড়াপালক, তাঁরা পশুপাল রাখেন; আর তাঁদের গরু ও ভেড়ার পাল এবং সব কিছু এনেছেন।” 33 ৩৩ তাতে ফরৌণ তোমাদেরকে ডেকে যখন জিজ্ঞাসা করবেন, “তোমাদের ব্যবসা কি?” 34 ৩৪ তখন তোমরা বলবে, “আপনার এই দাসরা পূর্বপুরুষদের ছেলেবেলা থেকে আজ পর্যন্ত পশুপাল রেখে আসছে;” তাতে তোমরা গোশন প্রদেশে বাস করতে পারবে; কারণ পশুপালক মাত্রেই মিশরীয়দের ঘৃণার জিনিস।

< আদিপুস্তক 46 >