< যিহিস্কেল ভাববাদীর বই 46 >

1 প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ভিতরের উঠানের পূর্ব দিকের দরজা কাজের জন্য ছয় দিন বন্ধ থাকবে, কিন্তু বিশ্রামদিনের খোলা হবে এবং অমাবস্যার দিনের ও খোলা হবে।
“‘সার্বভৌম সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ভিতরের উঠানের পূর্বমুখী দ্বার কাজের ছয় দিন বন্ধ থাকবে, কিন্তু বিশ্রামদিনে ও অমাবস্যার দিনে সেটি খোলা হবে।
2 নেতা বাইরে থেকে দরজার বারান্দার পথ দিয়ে প্রবেশ করে দরজার চৌকাঠের কাছে দাঁড়াবেন এবং যাজকরা তাঁর হোমবলি ও মঙ্গলার্থক বলি সব উৎসর্গ করবে এবং তিনি ভিতরের দরজার গোবরাটে নত হবেন, পরে বেরিয়ে আসবেন, কিন্তু সন্ধ্যা না হলে দরজা বন্ধ করা যাবে না।
শাসনকর্তা বাইরে থেকে দ্বারের বারান্দার পথ দিয়ে ঢুকে চৌকাঠের কাছে দাঁড়াবেন। যাজকেরা তাঁর হোমার্থক বলি ও মঙ্গলার্থক বলি উৎসর্গ করবেন। সে দ্বারে ঢুকবার মুখে উপাসনা করবেন এবং তারপর বের হয়ে যাবেন, কিন্তু সন্ধ্যা না হওয়া পর্যন্ত দ্বার বন্ধ করা যাবে না।
3 আর দেশের লোক সব বিশ্রামবারে ও অমাবস্যায় সেই দরজার প্রবেশ স্থানে সদাপ্রভুর কাছে নত হবে।
দেশের লোকেরা বিশ্রামবার ও অমাবস্যাতে সেই দ্বারের বাইরে সদাপ্রভুর উপাসনা করবে।
4 সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নেতাকে এই হোমবলি উৎসর্গ করতে হবে, বিশ্রামবারে নির্দোষ ছয়টী মেষশাবক ও নির্দোষ একটি মেষ।
বিশ্রামদিনে শাসনকর্তাকে সদাপ্রভুর উদ্দেশে হোমবলি উৎসর্গের জন্য ছয়টা পুরুষ মেষশাবক ও একটি মেষ আনতে হবে, সবগুলিই যেন নিখুঁত হয়।
5 আর শস্য নৈবেদ্যরূপে মেষের সঙ্গে এক ঐফা এবং মেষশাবকদের সঙ্গে তাঁর হাতে যতটা উঠবে এবং ঐফার প্রতি এক হিন তেল।
শস্য-নৈবেদ্যরূপে মেষের জন্য এক ঐফা ও মেষশাবকের জন্য তার হাতে যতটা উঠবে এবং প্রতি ঐফার জন্য এক হিন জলপাই তেল।
6 আর অমাবস্যার দিনের একটি নির্দোষ গোবৎস এবং ছয়টি মেষশাবক ও একটি মেষ, এরাও নির্দোষ হবে।
অমাবস্যার দিনে তাকে একটি যুবা ষাঁড়, ছয়টা মেষশাবক ও একটি মেষ উৎসর্গ করতে হবে, সবগুলিই যেন নিখুঁত হয়।
7 আর শস্য নৈবেদ্যরূপে তিনি ষাঁড়ের জন্য এক ঐফা, মেষের জন্য এক ঐফা ও মেষশাবকদের জন্য তাঁর হাতে যতটা উঠবে এবং প্রত্যেক শস্য ঐফার প্রতি এক হিন তেল দেবেন।
শস্য-নৈবেদ্যরূপে সে ষাঁড়ের জন্য এক ঐফা, মেষের জন্য এক ঐফা ও মেষশাবকের জন্য তার হাতে যতটা উঠবে এবং প্রতি ঐফার জন্য এক হিন তেল দেবে।
8 শাসক যখন আসবেন, তখন দরজার বারান্দার পথ দিয়ে প্রবেশ করবেন এবং সেই পথ দিয়ে বের হয়ে আসবেন।
শাসনকর্তা যখন আসবে, তখন দ্বারের বারান্দার পথ দিয়ে আসবে, এবং সেই একই পথ দিয়ে বের হয়ে আসতে হবে।
9 আর দেশের লোক সব পর্বের দিনের যখন সদাপ্রভুর সামনে আসবে, তখন নত হওয়ার জন্যে যে ব্যক্তি উত্তর দরজার পথ দিয়ে প্রবেশ করবে, সে দক্ষিণ দরজার পথ দিয়ে বের হয়ে আসবে এবং যে ব্যক্তি যে দরজার পথ দিয়ে প্রবেশ করবে, সে সেখানে ফিরে যাবে না, কিন্তু নিজের সামনের পথ দিয়ে বের হয়ে আসবে।
“‘নির্দিষ্ট সব পর্বের সময়ে দেশের লোকেরা যখন উপাসনার জন্য সদাপ্রভুর সামনে আসবে তখন যে কেউ উত্তরের দ্বার দিয়ে ঢুকবে সে দক্ষিণের দ্বার দিয়ে বের হয়ে যাবে আর যে দক্ষিণের দ্বার দিয়ে ঢুকবে সে উত্তরের দ্বার দিয়ে বের হয়ে যাবে। লোকে যে দ্বার দিয়ে ঢুকবে সেই দ্বার দিয়ে বেরিয়ে যাবে না, কিন্তু প্রত্যেককে ঢুকবার দ্বারের উল্টো দিকের দ্বার দিয়ে বের হয়ে যেতে হবে।
10 ১০ এবং নেতা তাদের মধ্যে থেকে তাদের প্রবেশের দিনের প্রবেশ করবেন ও তাদের বের হয়ে আসার দিন বের হবেন।
শাসনকর্তাকে লোকদের সঙ্গে ভিতরে যেতে হবে এবং বাইরে যাবার সময় লোকদের সঙ্গেই বের হয়ে যেতে হবে।
11 ১১ আর পর্বে শস্য নৈবেদ্য ষাঁড়ের প্রতি এক ঐফা, মেষের প্রতি এক ঐফা ও মেষশাবকদের জন্য তাঁর হাতে যতটা উঠবে এবং ঐফার জন্য এক হিন তেল লাগবে।
উৎসবে ও নির্দিষ্ট পর্বে, শস্য-নৈবেদ্য একটি ষাঁড়ের জন্য এক ঐফা, মেষের জন্য এক ঐফা ও মেষশাবকের জন্য তার হাতে যতটা উঠবে এবং প্রতি ঐফার জন্য এক হিন তেল দিতে হবে।
12 ১২ শাসক যখন নিজের ইচ্ছায় দেওয়া দান, সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে হোমবলি বা মঙ্গলার্থক বলিরূপ নিজের ইচ্ছায় দেওয়া দান উৎসর্গ করবেন, তখন তাঁর জন্য পূর্ব দিকের দরজা খুলে দিতে হবে। আর তিনি বিশ্রামবারে যেমন করেন, তেমনি নিজের হোমবলি ও মঙ্গলার্থক বলি উৎসর্গ করবেন, পরে বের হয়ে আসবেন এবং তাঁর বের হবার পর সেই দরজা বন্ধ করা যাবে।
“‘শাসনকর্তা যখন সদাপ্রভুর উদ্দেশে নিজের ইচ্ছায় কোনও উৎসর্গ করতে চায়—সেটি হোমবলি অথবা মঙ্গলার্থক বলি—তখন তার জন্য পূর্বমুখী দ্বারটা খুলে দিতে হবে। বিশ্রামদিনের মতো করেই সে তার হোমবলি ও মঙ্গলার্থক বলি উৎসর্গ করবে। তারপর সে বাইরে গেলে দ্বারটা বন্ধ করা হবে।
13 ১৩ এছাড়া, তুমি নিয়মিত সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে হোমবলির জন্য এক বছরের নির্দোষ একটি মেষশাবক উৎসর্গ করবে; প্রতি সকালে তা উৎসর্গ করবে।
“‘প্রতিদিন তুমি সদাপ্রভুর উদ্দেশে হোমবলির জন্য একটি এক বছরের নিখুঁত মেষশাবক উৎসর্গ করবে; প্রতিদিন সকালে তোমাদের তা করতে হবে।
14 ১৪ এবং তুমি প্রতি সকালে তার সঙ্গে শস্য নৈবেদ্যরূপে ঐফার ষষ্ঠাংশ ও সেই সূক্ষ্ম সূজী আর্দ্র করার জন্যে হিনের তৃতীয়াংশ তেল, এই শস্য নৈবেদ্য সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবে, এই নিয়ম চিরকাল স্থায়ী।
এছাড়া এর সঙ্গে রোজ সকালে তোমাদের শস্য-নৈবেদ্যের জিনিসও দিতে হবে, এতে থাকবে ঐফার ষষ্ঠাংশ এবং ময়দা ভিজানোর জন্য হিনের তৃতীয়াংশ তেল। সদাপ্রভুর উদ্দেশে এই শস্য-নৈবেদ্যের অনুষ্ঠান একটি স্থায়ী নির্দেশ।
15 ১৫ এই ভাবে প্রতি সকালে সেই মেষশাবক, নৈবেদ্য ও তেল উৎসর্গ করা যাবে। এটা চিরস্থায়ী হোমবলি।
এইভাবে প্রত্যেকদিন সকালে সেই মেষশাবক ও শস্য-নৈবেদ্য এবং তেল নিয়মিত হোমবলি জন্য যোগান দিতে হবে।
16 ১৬ প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, শাসনকর্ত্তা যদি নিজের ছেলেদের মধ্যে কোনো এক জনকে কিছু দান করেন, তবে তা তার অধিকার হবে, তা তাঁর ছেলেদের হবে; এটা একটা অধিকার।
“‘সার্বভৌম সদাপ্রভু এই কথা বলেন, যদি শাসনকর্তা তার সম্পত্তি থেকে তার কোনও ছেলেকে কোনও জায়গা দান করে, তবে তা তার বংশধরদেরও অধিকারে থাকবে; তারা সেই সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবে।
17 ১৭ কিন্তু তিনি যদি নিজের কোনো দাসকে নিজের অধিকারের কিছু দান করেন, তবে তা স্বাধীনতার বছর পর্যন্ত তার থাকবে, পরে আবার নেতার হবে; শুধু তাঁর ছেলেরা তাঁর অধিকার পাবে।
কিন্তু যদি সে তার সম্পত্তি থেকে তার কোনও দাসকে কোনও জায়গা দান করে, তবে তা মুক্তিবছর পর্যন্ত তার থাকবে; পরে সেটি আবার শাসনকর্তার দখলে আসবে। শাসনকর্তার সম্পত্তি কেবল তার ছেলেরাই পাবে; সেটি তাদেরই হবে।
18 ১৮ নেতা লোকদেরকে অধিকারচ্যুত করার জন্যে তাদের সম্পত্তি থেকে কিছু নেবেন না; তিনি নিজেরই অধিকারের মধ্যে থেকে নিজের ছেলেদেরকে অধিকার দেবেন; যেন আমার লোকেরা নিজেদের অধিকার থেকে ছিন্নভিন্ন হয়ে না যায়।
লোকদের তাড়িয়ে দিয়ে শাসনকর্তা তাদের কোনও সম্পত্তিই দখল করতে পারবে না। সে কেবল তার নিজের সম্পত্তি থেকেই তার ছেলেদের দিতে পারবে, যাতে আমার লোকদের মধ্য থেকে কেউই তার সম্পত্তির মালিকানা না হারায়।’”
19 ১৯ পরে শাসক দরজার পাশের প্রবেশের পথ দিয়ে আমাকে যাজকদের উত্তর দিকের পবিত্র ঘরগুলিতে আনলেন এবং দেখ! পশ্চিমদিকে এক জায়গা ছিল।
তারপর সেই ব্যক্তি দ্বারের পাশের ঢুকবার পথ দিয়ে যাজকদের উত্তরমুখী ঘরগুলির সামনে আনলেন, এবং পশ্চিমদিকে পিছনে একটি জায়গা দেখালেন।
20 ২০ তিনি আমাকে বললেন, “এই জায়গায় যাজকেরা দোষার্থক বলি ও পাপের বলি সিদ্ধ করবে ও যেখানে তারা অবশ্যই শস্য নৈবেদ্য সেঁকবে; যেন তারা লোকদেরকে পবিত্র করার জন্য তা বাইরের উঠানে নিয়ে না যায়।”
তিনি আমাকে বললেন, “এটা সেই জায়গা যেখানে যাজকেরা দোষার্থক-নৈবেদ্য ও পাপার্থক বলি রান্না করবে এবং শস্য-নৈবেদ্য সেঁকে নেবে যেন সেই পবিত্র জিনিসগুলি বাইরের উঠানে আনতে না হয় এবং লোকেরা পবিত্র হয়ে যায়।”
21 ২১ পরে তিনি আমাকে বাইরের উঠানে এনে সেই উঠানের চার কোণ দিয়ে অতিক্রম করালেন; আর দেখ, সেখানে এক উঠান ছিল এর প্রত্যেক কোনায় উঠান ছিল।
তারপর তিনি আমাকে বাইরের উঠানে এনে তার চারটি কোনা ঘুরিয়ে নিয়ে আসলেন, আর আমি প্রত্যেকটা কোনায় আরেকটা করে ছোটো উঠান দেখতে পেলাম।
22 ২২ উঠানের চার কোণে চল্লিশ হাত দীর্ঘ ও ত্রিশ হাত প্রস্থ ছিল। সেই চার কোণের উঠানগুলির একই পরিমাণ ছিল;
উঠানের চার কোনায় চল্লিশ হাত লম্বা ও ত্রিশ হাত চওড়া প্রাচীর দিয়ে ঘেরা উঠান ছিল আর সেগুলি একই মাপের ছিল।
23 ২৩ চারটীর মধ্যে প্রত্যেকের চারিদিকে পাথরের শ্রেণী ছিল এবং পাথরের-শ্রেণীর তলায় রান্নার উনুন ছিল।
সেই চারটি উঠানের প্রত্যেকটির ভিতরের চারপাশে দেয়ালের সঙ্গে লাগানো পাথরের তাক ছিল, যেখানে তার নিচে চারপাশে উনুন ছিল।
24 ২৪ তিনি আমাকে বললেন, “এই জায়গায় গৃহের পরিচারকেরা লোকদের বলি সিদ্ধ করবে।”
তখন তিনি আমাকে বললেন, “এগুলি হল রান্নাঘর যেখানে মন্দিরের পরিচারকেরা লোকদের উৎসর্গ করা বলি রান্না করবে।”

< যিহিস্কেল ভাববাদীর বই 46 >