যিহিস্কেল ভাববাদীর বই 18
καὶ ἐγένετο λόγος κυρίου πρός με λέγων
2 ২ “পূর্বপুরুষেরা টক আঙ্গুরফল খায়, তাই সন্তানদের দাঁত টকে যায়, এই যে প্রবাদ তোমার ইস্রায়েল-দেশের বিষয়ে বল, তোমার কি বলতে চাইছ?
υἱὲ ἀνθρώπου τί ὑμῖν ἡ παραβολὴ αὕτη ἐν τοῖς υἱοῖς Ισραηλ λέγοντες οἱ πατέρες ἔφαγον ὄμφακα καὶ οἱ ὀδόντες τῶν τέκνων ἐγομφίασαν
3 ৩ যেমন আমি জীবন্ত” প্রভু সদাপ্রভু বলেন “ইস্রায়েলের মধ্যে তোমাদের এই প্রবাদের ব্যবহার আর করতে হবে না।
ζῶ ἐγώ λέγει κύριος ἐὰν γένηται ἔτι λεγομένη ἡ παραβολὴ αὕτη ἐν τῷ Ισραηλ
4 ৪ দেখ, সমস্ত প্রাণ আমার; যেমন বাবার প্রাণ, সেরকম সন্তানের প্রাণও আমার; যে প্রাণী পাপ করে, সেই মরবে।
ὅτι πᾶσαι αἱ ψυχαὶ ἐμαί εἰσιν ὃν τρόπον ἡ ψυχὴ τοῦ πατρός οὕτως καὶ ἡ ψυχὴ τοῦ υἱοῦ ἐμαί εἰσιν ἡ ψυχὴ ἡ ἁμαρτάνουσα αὕτη ἀποθανεῖται
ὁ δὲ ἄνθρωπος ὃς ἔσται δίκαιος ὁ ποιῶν κρίμα καὶ δικαιοσύνην
6 ৬ পর্বতের ওপরে খায়নি, ইস্রায়েল কুলের মূর্তিদের দিকে তার চোখ তুলে নি, নিজের প্রতিবেশীর স্ত্রীকে নষ্ট করে নি, একজন মহিলার মাসিক দিনের ও যায়নি
ἐπὶ τῶν ὀρέων οὐ φάγεται καὶ τοὺς ὀφθαλμοὺς αὐτοῦ οὐ μὴ ἐπάρῃ πρὸς τὰ ἐνθυμήματα οἴκου Ισραηλ καὶ τὴν γυναῖκα τοῦ πλησίον αὐτοῦ οὐ μὴ μιάνῃ καὶ πρὸς γυναῖκα ἐν ἀφέδρῳ οὖσαν οὐ προσεγγιεῖ
7 ৭ কারও প্রতি অত্যাচার করে নি, ঋণীকে বন্ধক ফিরিয়ে দিয়েছে, কারো জিনিস জোর করে অপহরণ করে নি, কিন্তু পরিবর্তে তার খাবার ক্ষুধার্তকে দিয়েছে ও উলঙ্গকে কাপড় দিয়ে ঢেকে দিয়েছে;
καὶ ἄνθρωπον οὐ μὴ καταδυναστεύσῃ ἐνεχυρασμὸν ὀφείλοντος ἀποδώσει καὶ ἅρπαγμα οὐχ ἁρπᾶται τὸν ἄρτον αὐτοῦ τῷ πεινῶντι δώσει καὶ γυμνὸν περιβαλεῖ
8 ৮ ঋণের জন্য কোনো সুদ ধার্য করে নি, অতিরিক্ত লাভ নেয়নি, তিনি ন্যায়বিচার বহন করেন এবং মানুষের মধ্যে বিশ্বস্ততা স্থাপন করেন
καὶ τὸ ἀργύριον αὐτοῦ ἐπὶ τόκῳ οὐ δώσει καὶ πλεονασμὸν οὐ λήμψεται καὶ ἐξ ἀδικίας ἀποστρέψει τὴν χεῖρα αὐτοῦ κρίμα δίκαιον ποιήσει ἀνὰ μέσον ἀνδρὸς καὶ ἀνὰ μέσον τοῦ πλησίον αὐτοῦ
9 ৯ আমার নিয়মে চলেছে এবং সত্য আচরণের উদ্দেশ্যে আমার শাসনকলাপ পালন করেছে, তবে সেই ব্যক্তি ধার্মিক; সে বাঁচবে!” এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
καὶ τοῖς προστάγμασίν μου πεπόρευται καὶ τὰ δικαιώματά μου πεφύλακται τοῦ ποιῆσαι αὐτά δίκαιος οὗτός ἐστιν ζωῇ ζήσεται λέγει κύριος
καὶ ἐὰν γεννήσῃ υἱὸν λοιμὸν ἐκχέοντα αἷμα καὶ ποιοῦντα ἁμαρτήματα
11 ১১ সেই সব কর্তব্যের কোনো কাজ না করে; কিন্তু যদি পর্বতের ওপরে খেয়ে থাকে ও নিজের প্রতিবেশীর স্ত্রীকে নষ্ট করে থাকে,
ἐν τῇ ὁδῷ τοῦ πατρὸς αὐτοῦ τοῦ δικαίου οὐκ ἐπορεύθη ἀλλὰ καὶ ἐπὶ τῶν ὀρέων ἔφαγεν καὶ τὴν γυναῖκα τοῦ πλησίον αὐτοῦ ἐμίανεν
12 ১২ গরিব ও অভাবগ্রস্তদের প্রতি অত্যাচার করে থাকে, পরের জিনিস জোর করে অপহরণ করে থাকে, বন্ধক জিনিস ফিরিয়ে না দিয়ে থাকে এবং মূর্তিদের প্রতি দেখে থাকে, ঘৃণ্য কাজ করে থাকে;
καὶ πτωχὸν καὶ πένητα κατεδυνάστευσεν καὶ ἅρπαγμα ἥρπασεν καὶ ἐνεχυρασμὸν οὐκ ἀπέδωκεν καὶ εἰς τὰ εἴδωλα ἔθετο τοὺς ὀφθαλμοὺς αὐτοῦ ἀνομίαν πεποίηκεν
13 ১৩ যদি ঋণের ওপরে সুদ ধার্য করে ও অন্যায্য লাভ পেয়ে থাকে, তবে সে কি বাঁচবে? সে বাঁচবে না; সে এই সব ঘৃণ্য কাজ করেছে; সে মরবেই মরবে; তার রক্ত তারই ওপরে পড়বে।
μετὰ τόκου ἔδωκε καὶ πλεονασμὸν ἔλαβεν οὗτος ζωῇ οὐ ζήσεται πάσας τὰς ἀνομίας ταύτας ἐποίησεν θανάτῳ θανατωθήσεται τὸ αἷμα αὐτοῦ ἐπ’ αὐτὸν ἔσται
ἐὰν δὲ γεννήσῃ υἱόν καὶ ἴδῃ πάσας τὰς ἁμαρτίας τοῦ πατρὸς αὐτοῦ ἃς ἐποίησεν καὶ φοβηθῇ καὶ μὴ ποιήσῃ κατὰ ταύτας
15 ১৫ পর্বতের ওপরে খায়নি, ইস্রায়েল কুলের মূর্তিদের দিকে তাকায়নি, নিজের প্রতিবেশীর স্ত্রীকে নষ্ট করে নাই,
ἐπὶ τῶν ὀρέων οὐ βέβρωκεν καὶ τοὺς ὀφθαλμοὺς αὐτοῦ οὐκ ἔθετο εἰς τὰ ἐνθυμήματα οἴκου Ισραηλ καὶ τὴν γυναῖκα τοῦ πλησίον αὐτοῦ οὐκ ἐμίανεν
16 ১৬ কারো প্রতি অত্যাচার করে নি, বন্ধক জিনিস রাখেনি, কারো জিনিস জোর করে অপহরণ করে নি, কিন্তু পরিবর্তে ক্ষুধার্তকে খাবার দিয়েছে ও উলঙ্গকে কাপড় দিয়ে ঢেকে দিয়েছে
καὶ ἄνθρωπον οὐ κατεδυνάστευσεν καὶ ἐνεχυρασμὸν οὐκ ἐνεχύρασεν καὶ ἅρπαγμα οὐχ ἥρπασεν τὸν ἄρτον αὐτοῦ τῷ πεινῶντι ἔδωκεν καὶ γυμνὸν περιέβαλεν
17 ১৭ দুঃখী লোকের প্রতি অত্যাচার থেকে নিজের হাত নিবারন করেছে, সুদ বা অন্যায্য লাভ নেয়নি, আমার শাসন সব পালন করেছে ও আমার নিয়ম অনুসারে চলেছে, তবে সে নিজের বাবার পাপে মরবে না, সে অবশ্য বাঁচবে।
καὶ ἀπ’ ἀδικίας ἀπέστρεψε τὴν χεῖρα αὐτοῦ τόκον οὐδὲ πλεονασμὸν οὐκ ἔλαβεν δικαιοσύνην ἐποίησεν καὶ ἐν τοῖς προστάγμασίν μου ἐπορεύθη οὐ τελευτήσει ἐν ἀδικίαις πατρὸς αὐτοῦ ζωῇ ζήσεται
18 ১৮ তার বাবা, কারণ সে ভারী উপদ্রব করত, ভাইয়ের জিনিস জোর করে অপহরণ করত, স্বজাতীয় লোকদের মধ্যে খারাপ কাজ করত; দেখ, সে তার অপরাধে মরল।
ὁ δὲ πατὴρ αὐτοῦ ἐὰν θλίψει θλίψῃ καὶ ἁρπάσῃ ἅρπαγμα ἐναντία ἐποίησεν ἐν μέσῳ τοῦ λαοῦ μου καὶ ἀποθανεῖται ἐν τῇ ἀδικίᾳ αὐτοῦ
19 ১৯ কিন্তু তোমার বলছ, “সেই ছেলে কেন বাবার অপরাধ বহন করে না?” সেই ছেলে তো ন্যায় ও ধার্মিকতার আচরণ করেছে এবং আমার বিধি সব রক্ষা করেছে, সে সব পালন করেছে; সে অবশ্য বাঁচবে।
καὶ ἐρεῖτε τί ὅτι οὐκ ἔλαβεν τὴν ἀδικίαν ὁ υἱὸς τοῦ πατρὸς αὐτοῦ ὅτι ὁ υἱὸς δικαιοσύνην καὶ ἔλεος ἐποίησεν πάντα τὰ νόμιμά μου συνετήρησεν καὶ ἐποίησεν αὐτά ζωῇ ζήσεται
20 ২০ যে কেউ পাপ করে, সে মরবে; বাবার অপরাধ ছেলে বহন করবে না ও ছেলের অপরাধ বাবা বহন করবে না; ধার্ম্মিকের ধার্ম্মিকতা তার ওপরে আসবে ও দুষ্টের দুষ্টতা তার ওপরে আসবে।
ἡ δὲ ψυχὴ ἡ ἁμαρτάνουσα ἀποθανεῖται ὁ δὲ υἱὸς οὐ λήμψεται τὴν ἀδικίαν τοῦ πατρὸς αὐτοῦ οὐδὲ ὁ πατὴρ λήμψεται τὴν ἀδικίαν τοῦ υἱοῦ αὐτοῦ δικαιοσύνη δικαίου ἐπ’ αὐτὸν ἔσται καὶ ἀνομία ἀνόμου ἐπ’ αὐτὸν ἔσται
21 ২১ কিন্তু দুষ্ট লোক যদি নিজের করা সমস্ত পাপ থেকে ফেরে ও আমার নিয়ম সব পালন করে এবং ন্যায় ও ধার্মিকতার আচরণ করে, তবে সে অবশ্য বাঁচবে; সে মরবে না।
καὶ ὁ ἄνομος ἐὰν ἀποστρέψῃ ἐκ πασῶν τῶν ἀνομιῶν αὐτοῦ ὧν ἐποίησεν καὶ φυλάξηται πάσας τὰς ἐντολάς μου καὶ ποιήσῃ δικαιοσύνην καὶ ἔλεος ζωῇ ζήσεται οὐ μὴ ἀποθάνῃ
πάντα τὰ παραπτώματα αὐτοῦ ὅσα ἐποίησεν οὐ μνησθήσεται ἐν τῇ δικαιοσύνῃ αὐτοῦ ᾗ ἐποίησεν ζήσεται
23 ২৩ “দুষ্টদের মৃত্যুতে কি আমি খুব আনন্দিত হই?” এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন; “বরং সে নিজের পথ থেকে ফিরে বাঁচে,
μὴ θελήσει θελήσω τὸν θάνατον τοῦ ἀνόμου λέγει κύριος ὡς τὸ ἀποστρέψαι αὐτὸν ἐκ τῆς ὁδοῦ τῆς πονηρᾶς καὶ ζῆν αὐτόν
24 ২৪ কিন্তু ধার্মিক লোক যদি নিজের ধার্ম্মিকতা থেকে ফিরে অন্যায় করে ও দুষ্টের করা সমস্ত ঘৃণ্য কাজের মতো আচরণ করে, তবে সে কি বাঁচবে? তার করা কোনো ধার্ম্মিকতা মনে করা যাবে না; সে যে সত্য লঙ্ঘন করেছে ও যে পাপ করেছে, তাতেই মরবে।
ἐν δὲ τῷ ἀποστρέψαι δίκαιον ἐκ τῆς δικαιοσύνης αὐτοῦ καὶ ποιήσῃ ἀδικίαν κατὰ πάσας τὰς ἀνομίας ἃς ἐποίησεν ὁ ἄνομος πᾶσαι αἱ δικαιοσύναι αὐτοῦ ἃς ἐποίησεν οὐ μὴ μνησθῶσιν ἐν τῷ παραπτώματι αὐτοῦ ᾧ παρέπεσεν καὶ ἐν ταῖς ἁμαρτίαις αὐτοῦ αἷς ἥμαρτεν ἐν αὐταῖς ἀποθανεῖται
25 ২৫ কিন্তু তোমার বলছ, ‘প্রভুর পথ অনুকূল নয়।’ হে ইস্রায়েল-কুল, এক বার শোনো; আমার পথ কি অসম না? তোমাদের পথ কি অসম না?
καὶ εἴπατε οὐ κατευθύνει ἡ ὁδὸς κυρίου ἀκούσατε δή πᾶς οἶκος Ισραηλ μὴ ἡ ὁδός μου οὐ κατευθύνει οὐχὶ ἡ ὁδὸς ὑμῶν οὐ κατευθύνει
26 ২৬ ধার্মিক লোক যখন নিজের ধার্ম্মিকতা থেকে ফিরে অন্যায় করে তাতে মরে, তখন নিজের করা অন্যায়েই মরে।
ἐν τῷ ἀποστρέψαι τὸν δίκαιον ἐκ τῆς δικαιοσύνης αὐτοῦ καὶ ποιήσῃ παράπτωμα καὶ ἀποθάνῃ ἐν τῷ παραπτώματι ᾧ ἐποίησεν ἐν αὐτῷ ἀποθανεῖται
27 ২৭ আর দুষ্ট লোক যখন নিজের করা দুষ্টতা থেকে ফিরে ন্যায় ও ধার্মিকতার আচরণ করে, তখন নিজের প্রাণ বাঁচায়।
καὶ ἐν τῷ ἀποστρέψαι ἄνομον ἀπὸ τῆς ἀνομίας αὐτοῦ ἧς ἐποίησεν καὶ ποιήσῃ κρίμα καὶ δικαιοσύνην οὗτος τὴν ψυχὴν αὐτοῦ ἐφύλαξεν
καὶ ἀπέστρεψεν ἐκ πασῶν τῶν ἀσεβειῶν αὐτοῦ ὧν ἐποίησεν ζωῇ ζήσεται οὐ μὴ ἀποθάνῃ
29 ২৯ কিন্তু ইস্রায়েল-কুল, বলছে, ‘প্রভুর পথ অনুকূল নয়।’ হে ইস্রায়েল-কুল, আমার পথ কি অনুকূল নয়? তোমাদের পথ কি অসম নয়?
καὶ λέγουσιν ὁ οἶκος τοῦ Ισραηλ οὐ κατορθοῖ ἡ ὁδὸς κυρίου μὴ ἡ ὁδός μου οὐ κατορθοῖ οἶκος Ισραηλ οὐχὶ ἡ ὁδὸς ὑμῶν οὐ κατορθοῖ
30 ৩০ অতএব হে ইস্রায়েল-কুল, আমি তোমাদের প্রত্যেকের ব্যবহার অনুসারে তোমাদের বিচার করব,” এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন। “তোমার ফের, নিজেদের করা সমস্ত অধর্ম্ম থেকে মন ফেরাও, তাতে তা তোমাদের অপরাধজনক বিঘ্ন হবে না।
ἕκαστον κατὰ τὴν ὁδὸν αὐτοῦ κρινῶ ὑμᾶς οἶκος Ισραηλ λέγει κύριος ἐπιστράφητε καὶ ἀποστρέψατε ἐκ πασῶν τῶν ἀσεβειῶν ὑμῶν καὶ οὐκ ἔσονται ὑμῖν εἰς κόλασιν ἀδικίας
31 ৩১ তোমার নিজেদের করা সমস্ত অধর্ম্ম নিজেদের থেকে দূরে ফেলে দাও এবং নিজেদের জন্য নতুন হৃদয় ও নতুন আত্মা তৈরী কর; কারণ, হে ইস্রায়েল কুল, তোমার কেন মরবে?
ἀπορρίψατε ἀπὸ ἑαυτῶν πάσας τὰς ἀσεβείας ὑμῶν ἃς ἠσεβήσατε εἰς ἐμέ καὶ ποιήσατε ἑαυτοῖς καρδίαν καινὴν καὶ πνεῦμα καινόν καὶ ἵνα τί ἀποθνῄσκετε οἶκος Ισραηλ
διότι οὐ θέλω τὸν θάνατον τοῦ ἀποθνῄσκοντος λέγει κύριος
