< যাত্রাপুস্তক 6 >

1 তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “আমি ফরৌণের ওপর যা করব, তা তুমি এখন দেখবে; কারণ শক্তিশালী হাত দেখলে, সে লোকদেরকে ছেড়ে দেবে এবং শক্তিশালী হাত দেখান হলে তার দেশ থেকে তাদেরকে দূর করে দেবে।”
তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “এখন তুমি দেখবে আমি ফরৌণের প্রতি কী করব: আমার শক্তিশালী হাতের কারণে সে তাদের যেতে দেবে; আমার শক্তিশালী হাতের কারণে সে তাদের তার দেশ থেকে তাড়িয়ে দেবে।”
2 ঈশ্বর মোশিকে আরও বললেন, “আমি যিহোবা [সদাপ্রভু];
এছাড়াও ঈশ্বর মোশিকে বললেন, “আমিই সেই সদাপ্রভু।
3 আমি অব্রাহামকে, ইস্‌হাককে ও যাকোবকে ‘সর্বশক্তিমান ঈশ্বর’ বলে দেখা দিতাম, কিন্তু আমার যিহোবা [সদাপ্রভু] নাম নিয়ে তাদেরকে আমার পরিচয় দিতাম না।
সর্বশক্তিমান ঈশ্বররূপে আমি অব্রাহামের, ইস্‌হাকের ও যাকোবের কাছে আবির্ভূত হয়েছিলাম, কিন্তু সদাপ্রভু—আমার এই নামে পুরোপুরিভাবে আমি তাদের কাছে নিজের পরিচয় দিইনি।
4 আর আমি তাদের সঙ্গে এই নিয়ম স্থির করেছি, আমি তাদেরকে কনান দেশ দেব, যে দেশে তারা অনাগরিক হিসাবে বাস করত, তাদের সেই বসবাসকারী দেশ দেব।
যে কনান দেশে তারা বিদেশিরূপে বসবাস করছিল, সেটি তাদের দেওয়ার জন্য আমি তাদের সাথে আমার নিয়ম প্রতিষ্ঠিতও করেছিলাম।
5 এমনকি মিশরীয়দের দিয়ে দাসত্বে নিযুক্ত ইস্রায়েলীয়দের আর্তনাদ শুনে আমার সেই নিয়ম স্মরণ করলাম।
এছাড়াও, আমি সেই ইস্রায়েলীদের কান্না শুনেছিলাম, যাদের মিশরীয়রা ক্রীতদাস করে রেখেছে, এবং আমি আমার নিয়ম স্মরণ করলাম।
6 অতএব ইস্রায়েল সন্তানদের বল, ‘আমি যিহোবা, আমি তোমাদেরকে মিশরের দাসত্ব থেকে মুক্ত করব এবং তাদের শক্তি থেকে স্বাধীন করব। আমি তোমাদের আমার শক্তি দিয়ে উদ্ধার করব।
“সুতরাং, ইস্রায়েলীদের বলো: ‘আমি সদাপ্রভু, এবং মিশরীয়দের জোয়ালের তলা থেকে আমি তোমাদের বের করে আনব। তাদের ক্রীতদাস হয়ে থাকার হাত থেকে আমি তোমাদের স্বাধীন করব, এবং এক প্রসারিত হাত ও মহৎ দণ্ডাদেশ সহ আমি তোমাদের মুক্ত করব।
7 আর আমি তোমাদেরকে আমার প্রজা হিসাবে স্বীকার করব ও তোমাদের ঈশ্বর হব; তাতে তোমরা জানতে পারবে যে, আমি যিহোবা, তোমাদের ঈশ্বর, যিনি তোমাদেরকে মিশরীয়দের দাসত্ব থেকে বের করে এনেছেন।
আমার নিজস্ব প্রজারূপে আমি তোমাদের গ্রহণ করব, এবং আমি তোমাদের ঈশ্বর হব। তখন তোমরা জানবে যে আমিই তোমাদের সেই ঈশ্বর সদাপ্রভু, যিনি মিশরীয়দের জোয়ালের তলা থেকে তোমাদের বের করে এনেছেন।
8 আর আমি অব্রাহামকে, ইস্‌হাককে ও যাকোবকে দেবার জন্যে প্রতিজ্ঞা করেছি, সেই দেশে তোমাদেরকে নিয়ে যাব ও তোমাদের অধিকারে তা দেব; আমিই সদাপ্রভু’।”
আর উদ্যত হাত দিয়ে আমি তোমাদের সেই দেশে নিয়ে আসব, যেটি দেওয়ার প্রতিজ্ঞা আমি অব্রাহামের, ইস্‌হাকের ও যাকোবের কাছে করেছিলাম। এক অধিকাররূপে আমি সেটি তোমাদের দেব। আমিই সদাপ্রভু।’”
9 পরে মোশি ইস্রায়েলীয়দেরকে সেই অনুসারে বললেন, কিন্তু তারা মনের অধৈর্য্য ও কঠিন দাসত্ব কাজের জন্য মোশির কথায় মনোযোগ করল না।
মোশি ইস্রায়েলীদের এই খবর দিলেন, কিন্তু তাদের আত্মবিশ্বাসহীনতা ও কঠোর পরিশ্রমের কারণে তারা তাঁর কথা শোনেনি।
10 ১০ পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
11 ১১ “তুমি যাও, মিশরের রাজা ফরৌণকে বল, যেন সে তার দেশ থেকে ইস্রায়েলীয়দের ছেড়ে দেয়।”
“যাও, মিশররাজ ফরৌণকে তার দেশ ছেড়ে ইস্রায়েলীদের যেতে দিতে বলো।”
12 ১২ তখন মোশি সদাপ্রভুর সামনে বললেন, “দেখ, ইস্রায়েল সন্তানেরা আমার কথায় মনোযোগ করল না; তবে ফরৌণ কি ভাবে শুনবে? আমি তো ভালো করে কথা বলতে পারি না।”
কিন্তু মোশি সদাপ্রভুকে বললেন, “আমি যেহেতু কম্পমান ঠোঁটে কথা বলি তাই ইস্রায়েলীরাই যখন আমার কথা শুনছে না, ফরৌণ তবে কেন আমার কথা শুনবেন?”
13 ১৩ আর সদাপ্রভু মোশির ও হারোণের সঙ্গে আলাপ করলেন এবং ইস্রায়েলীয়দেরকে মিশর দেশ থেকে বের করে আনার জন্য ইস্রায়েল সন্তানদের কাছে এবং মিশরের রাজা ফরৌণের কাছে যা বক্তব্য, তাঁদেরকে আদেশ দিলেন।
ইস্রায়েলীদের ও মিশররাজ ফরৌণের বিষয়ে সদাপ্রভু মোশি ও হারোণের সাথে কথা বললেন, এবং ইস্রায়েলীদের মিশর থেকে বের করে আনার আদেশ তিনি তাঁদের দিলেন।
14 ১৪ এই সব লোক নিজের পূর্বপুরুষদের প্রধান ছিলেন। ইস্রায়েলের বড় ছেলে রূবেণের ছেলে হনোক, পল্লু, হিষ্রোণ ও কর্ম্মি; এরা রূবেণের গোষ্ঠী।
তাঁদের কুলের নেতা এঁরাই: ইস্রায়েলের প্রথমজাত সন্তান রূবেণের ছেলেরা: হনোক, পল্লু, হিষ্রোণ ও কর্মি। এরাই হলেন রূবেণের গোষ্ঠী।
15 ১৫ শিমিয়োনের ছেলে যিমূয়েল, যামীন, ওহদ, যাখীন, সোহর ও কনানীয় স্ত্রীর ছেলে শৌল; এরা শিমিয়োনের গোষ্ঠী।
শিমিয়োনের ছেলেরা: যিমূয়েল, যামীন, ওহদ, যাখীন, সোহর, ও এক কনানীয় মহিলার ছেলে শৌল। এঁরাই হলেন শিমিয়োনের গোষ্ঠী।
16 ১৬ বংশ তালিকা অনুসারে লেবির ছেলেদের নাম গের্শোন, কহাৎ ও মরারি; লেবির বয়স একশো সাঁইত্রিশ বছর হয়েছিল।
তাঁদের নথি অনুসারে এই হল লেবির ছেলেদের নাম: গের্শোন, কহাৎ, ও মরারি। (লেবি 137 বছর বেঁচেছিলেন।)
17 ১৭ আর তার গোষ্ঠী অনুসারে গের্শোনের ছেলে লিবনি ও শিমিয়ি।
গোষ্ঠী অনুসারে, গের্শোনের ছেলেরা: লিব্‌নি ও শিমিয়ি।
18 ১৮ কহাতের সন্তান অম্রম, যিষহর, হিব্রোণ ও উষীয়েল; কহাতের বয়স একশো তেত্রিশ বছর হয়েছিল।
কহাতের ছেলেরা: অম্রাম, যিষ্‌হর, হিব্রোণ ও উষীয়েল। (কহাৎ 133 বছর বেঁচেছিলেন।)
19 ১৯ মরারির সন্তান মহলি ও মুশি; এরা বংশ তালিকা অনুসারে লেবির গোষ্ঠী।
মরারির ছেলেরা: মহলি ও মূশি। তাঁদের নথি অনুসারে এরাই লেবির বিভিন্ন গোষ্ঠী।
20 ২০ আর অম্রম তার পিসী যোকেবদকে বিয়ে করলেন, আর ইনি তাঁর জন্য হারোণকে ও মোশিকে জন্ম দিলেন। অম্রমের বয়স একশো সাঁইত্রিশ বছর হয়েছিল।
অম্রাম তাঁর পিসিমা সেই যোকেবদকে বিয়ে করলেন, যিনি অম্রামের জন্য মোশি ও হারোণের জন্ম দিলেন। (অম্রাম 137 বছর বেঁচেছিলেন।)
21 ২১ যিষ্হরের সন্তান কোরহ, নেফগ ও সিখ্রি।
যিষ্‌হরের ছেলেরা: কোরহ, নেফগ ও সিখ্রি।
22 ২২ আর উষীয়েলের সন্তান মীশায়েল, ইলীষাফণ ও সিখ্রি।
উষীয়েলের ছেলেরা: মীশায়েল, ইল্‌সাফন ও সিথ্রি।
23 ২৩ আর হারোণ অম্মীনাদবের মেয়ে নহোশনের বোন ইলীশেবাকে বিয়ে করলেন, আর ইনি তাঁর জন্য নাদব, অবীহূ, ইলীয়াসর ও ঈথামরের জন্ম দিলেন।
হারোণ অম্মীনাদবের মেয়ে ও নহশোনের বোন ইলীশেবাকে বিয়ে করলেন, এবং তিনি হারোণের জন্য নাদব ও অবীহূ, ইলীয়াসর ও ঈথামরের জন্ম দিলেন।
24 ২৪ আর কোরহের সন্তান অসীর, ইলকানা ও অবীয়াসফ; এরা কোরহীয়দের গোষ্ঠী।
কোরহের ছেলেরা হলেন: অসীর, ইল্‌কানা ও অবীয়াসফ। এঁরাই হলেন কোরহের বিভিন্ন গোষ্ঠী।
25 ২৫ আর হারোণের ছেলে ইলীয়াসর পূটীয়েলের এক মেয়েকে বিয়ে করলে তিনি তাঁর জন্য পীনহসের জন্ম দিলেন; এরা লেবীয়দের গোষ্ঠী অনুসারে তাদের পূর্বপুরুষদের প্রধান ছিলেন।
হারোণের ছেলে ইলীয়াসর পুটিয়েলের মেয়েদের মধ্যে একজনকে বিয়ে করলেন, এবং তিনি তাঁর জন্য পীনহসের জন্ম দিলেন। এঁরাই হলেন গোষ্ঠী ধরে ধরে লেবীয় কুলের বিভিন্ন নেতা।
26 ২৬ এই যে হারোণ ও মোশি, এদেরকেই সদাপ্রভু বললেন, “তোমরা ইস্রায়েল সন্তানদের সৈন্যদের সারি অনুসারে মিশর দেশ থেকে বের কর।”
এই হারোণ ও মোশিকেই সদাপ্রভু বললেন, “বিভাগ ধরে ধরে তোমরা ইস্রায়েলীদের মিশর থেকে বের করে আনো।”
27 ২৭ এরাই ইস্রায়েল সন্তানদের মিশর থেকে বের করে আনার জন্য মিশরের রাজা ফরৌণের সঙ্গে কথা বললেন। এরা সেই মোশি ও হারোণ।
তাঁরাই—এই মোশি ও হারোণই ইস্রায়েলীদের মিশর থেকে বের করে আনার বিষয়ে মিশররাজ ফরৌণের সাথে কথা বললেন।
28 ২৮ আর মিশর দেশে যে দিন সদাপ্রভু মোশির সঙ্গে কথা বললেন,
এদিকে সদাপ্রভু যখন মিশরে মোশির সাথে কথা বললেন,
29 ২৯ সেই দিন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “আমিই সদাপ্রভু, আমি তোমাকে যা যা বলি, সে সবই তুমি মিশরের রাজা ফরৌণকে বোলো।”
তখন তিনি মোশিকে বললেন, “আমি সদাপ্রভু। আমি তোমাকে যা যা বলছি সেসব কথা মিশররাজ ফরৌণকে গিয়ে বলো।”
30 ৩০ আর মোশি সদাপ্রভুর সামনে বললেন, “দেখ, আমি তো কথা বলতে পারি না, ফরৌণ কি করে আমার কথা শুনবেন?”
কিন্তু মোশি সদাপ্রভুকে বললেন, “আমি যেহেতু কম্পমান ঠোঁটে কথা বলি, তাই ফরৌণ আমার কথা শুনবেন কেন?”

< যাত্রাপুস্তক 6 >