যাত্রাপুস্তক 34
1 ১ পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি প্রথম ফলকের মত দুটি পাথরের ফলক কাটো; প্রথম যে দুটি ফলক তুমি ভেঙে ফেলেছ, তাতে যা যা লেখা ছিল, সেই সব কথা আমি এই দুটি ফলকে লিখব।
Et l'Eternel dit à Moïse: aplanis-toi deux Tables de pierre comme les premières, et j'écrirai sur elles les paroles qui étaient sur les premières Tables que tu as rompues.
2 ২ আর তুমি সকালে প্রস্তুত হও, সকালে সীনয় পর্বতে উঠে আসবে ও সেখানে পর্বতের চূড়ায় আমার কাছে উপস্থিত হও।
Et sois prêt au matin, et monte au matin en la montagne de Sinaï, et présente-toi là devant moi sur le haut de la montagne.
3 ৩ কিন্তু তোমার সঙ্গে কোনো মানুষ উপরে না আসুক এবং এই পর্বতে কোথাও কোন মানুষ দেখা না যাক, আর পশুপালও এই পর্বতের সামনে না চরুক।”
Mais que personne ne monte avec toi, et même que personne ne paraisse sur toute la montagne; et que ni menu ni gros bétail ne paisse contre cette montagne.
4 ৪ পরে মোশি প্রথম পাথরের মত দুটি পাথরের ফলক কাটলেন এবং সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে সকালে উঠে সীনয় পর্বতের উপরে গেলেন ও সেই দুটি পাথরের ফলক হাতে করে নিলেন।
Moïse donc aplanit deux Tables de pierre comme les premières, et se leva de bon matin, et monta sur la montagne de Sinaï, comme l'Eternel le lui avait commandé, et il prit en sa main les deux Tables de pierre.
Et l'Eternel descendit dans la nuée, et s'arrêta là avec lui, et cria le nom de l'Eternel.
6 ৬ সদাপ্রভু তাঁর সামনে দিয়ে গেলেন ও এই ঘোষণা করলেন, “সদাপ্রভু, সদাপ্রভু, করুণাময় ও কৃপাবান ঈশ্বর, ক্রোধে ধীর এবং দয়াতে ও সত্যে মহান;
Comme donc l'Eternel passait par devant lui, il cria: l'Eternel, l'Eternel, le [Dieu] Fort, pitoyable, miséricordieux, tardif à colère, abondant en gratuité et en vérité.
7 ৭ হাজার হাজার পুরুষ পর্যন্ত অনুগ্রহদানকারী, অপরাধের, খারাপ কাজের ও পাপের ক্ষমাকারী; তবুও তিনি অবশ্যই পাপের শাস্তি দেন; ছেলে নাতিদের উপরে, তৃতীয় ও চতুর্থ পুরুষ পর্যন্ত, তিনি বাবাদের অপরাধের শাস্তি দেন।”
Gardant la gratuité jusqu’en mille [générations], ôtant l'iniquité, le crime, et le péché, qui ne tient point le coupable pour innocent, et qui punit l'iniquité des pères sur les enfants, et sur les enfants des enfants, jusqu’à la troisième et à la quatrième [génération];
Et Moïse se hâtant baissa la tête contre terre, et se prosterna.
9 ৯ তখন তিনি বললেন, “হে প্রভু, যদি এখন আমি আপনার কাছে অনুগ্রহ পেয়ে থাকি, তবে আমাদের মধ্যে দিয়ে যান, কারণ এই জাতি একগুঁয়ে। আমাদের অপরাধ ও পাপ সকল ক্ষমা করুন এবং আমাদের আপনার উত্তরাধিকারী হিসাবে গ্রহণ করুন।”
Et dit: ô Seigneur! je te prie, si j'ai trouvé grâce devant tes yeux, que le Seigneur marche maintenant au milieu de nous; car c'est un peuple de col roide; pardonne donc nos iniquités et notre péché, et nous possède.
10 ১০ তখন তিনি বললেন, “দেখ, আমি এক চুক্তি করি; সমস্ত পৃথিবীতে ও যাবতীয় জাতির মধ্যে যা কখনও করা হয়নি, এমন আশ্চর্য্য কাজ আমি তোমার সমস্ত লোকের সামনে করব; তাতে যে সব লোকের মধ্যে তুমি আছ, তারা সদাপ্রভুর কাজ দেখবে, কারণ তোমার কাছে যা করব, তা ভয়ঙ্কর।
Et il répondit: voici, moi qui traite alliance devant tout ton peuple, je ferai des merveilles qui n'ont point été faites en toute la terre, ni en aucune nation, et tout le peuple au milieu duquel tu [es], verra l'œuvre de l'Eternel, car ce que je m'en vais faire avec toi, sera une chose terrible.
11 ১১ আজ আমি তোমাকে যা আদেশ করি, তা মান্য কর; দেখ, আমি ইমোরীয়, কনানীয়, হিত্তীয়, পরিষীয়, হিব্বীয় ও যিবূষীয়কে তোমার সামনে থেকে দূর করে দেব।
Garde soigneusement ce que je te commande aujourd'hui. Voici, je m'en vais chasser de devant toi les Amorrhéens, les Cananéens, les Héthiens, les Phérésiens, les Héviens, et les Jébusiens.
12 ১২ সাবধান, যে দেশে তুমি যাচ্ছ, সেই দেশবাসীদের সঙ্গে নিয়ম স্থির কোরো না, পাছে তা তোমার কাছে ফাঁদের মত হয়।
Donne-toi de garde de traiter alliance avec les habitants du pays auquel tu vas entrer, de peur que peut-être ils ne soient un piège au milieu de toi.
13 ১৩ কিন্তু তোমরা তাদের বেদিগুলি ভেঙে ফেলবে, তাদের থামগুলি ভেঙে চূর্ণবিচূর্ণ করবে ও সেখানকার আশেরা মূর্তিগুলি কেটে ফেলবে।
Mais vous démolirez leurs autels, vous briserez leurs statues, et vous couperez leurs bocages.
14 ১৪ তুমি অন্য দেবতার আরাধনা কোরো না, কারণ সদাপ্রভু নিজের গৌরব রক্ষণে উদ্যোগী নাম ধারন করেন; তিনি নিজের গৌরব রক্ষণে উদ্যোগী ঈশ্বর।
Car tu ne te prosterneras point devant un autre [Dieu], parce que l'Eternel se nomme le [Dieu] jaloux; c'est le [Dieu] Fort qui est jaloux.
15 ১৫ তুমি সেখানকার অধিবাসীদের সঙ্গে নিয়ম করবে না; তারা ব্যভিচার করে এবং তারা নিজেদের দেবতাদের অনুগামী হয়ে নিজের দেবতাদের কাছে বলিদান করে এবং তারা তোমাকে বলির দ্রব্য খাওয়াবার জন্য তোমাকে আমন্ত্রণ জানাবে;
Afin qu'il n'arrive que tu traites alliance avec les habitants du pays; et que quand ils viendront à paillarder après leurs dieux, et à sacrifier à leurs dieux, quelqu'un ne t'invite, et que tu ne manges de son sacrifice.
16 ১৬ কিংবা তুমি তোমার ছেলেদের জন্য তাদের মেয়েদের গ্রহণ করবে এবং তাদের মেয়েরা ব্যভিচার করবে ও তোমার ছেলেদের নিজের দেবতাদের উপাসনা করিয়ে অবিশ্বস্ত করাবে।
Et que tu ne prennes de leurs filles pour tes fils, lesquelles paillardant après leurs dieux, feront paillarder tes fils après leurs dieux.
Tu ne te feras aucun dieu de fonte.
18 ১৮ তুমি খামির বিহীন রুটির উৎসব পালন করবে। আবীব মাসের যে নির্ধারিত দিনের যেরকম করতে আদেশ করেছি, সেই রকম তুমি সেই সাত দিন খামির বিহীন রুটি খাবে, কারণ সেই আবীব মাসে তুমি মিশর দেশ থেকে বের হয়ে এসেছিলে।
Tu garderas la fête solennelle des pains sans levain; tu mangeras les pains sans levain pendant sept jours, comme je t'ai commandé, en la saison du mois auquel les épis mûrissent; car au mois que les épis mûrissent, tu es sorti du pays d'Egypte.
Tout ce qui ouvrira la matrice sera à moi; et même le premier mâle qui naîtra de toutes les bêtes, tant du gros que du menu bétail.
20 ২০ প্রথমজাত গাধার পরিবর্তে তুমি ভেড়ার বাচ্চা দিয়ে তাকে মুক্ত করবে; যদি মুক্ত না কর, তবে তার ঘাড় ভাঙ্গবে। তোমার প্রথমজাত সব ছেলেগুলিকে তুমি মুক্ত করবে। আর কেউ খালি হাতে আমার সামনে আসবে না।
Mais tu rachèteras avec un agneau ou un chevreau le premier-né d'un âne. Si tu ne le rachètes, tu lui couperas le cou. Tu rachèteras tout premier-né de tes fils; et nul ne se présentera devant ma face à vide.
21 ২১ তুমি ছয়দিন পরিশ্রম করবে, কিন্তু সপ্তম দিনের বিশ্রাম করবে; চাষের ও ফসল কাটার দিনের ও বিশ্রাম করবে।
Tu travailleras six jours, mais au septième tu te reposeras; tu te reposeras au temps du labourage, et de la moisson.
22 ২২ তুমি সাত সপ্তাহের উৎসব, অর্থাৎ কাটা গমের প্রথম ফলের উৎসব এবং বছরের শেষভাগে ফল সংগ্রহের উৎসব পালন করবে।
Tu feras la fête solennelle des semaines au temps des premiers fruits de la moisson du froment; et la fête solennelle de la récolte à la fin de l'année.
Trois fois l'an tout mâle d'entre vous comparaîtra devant le Dominateur, l'Eternel, le Dieu d'Israël.
24 ২৪ কারণ আমি তোমার সামনে থেকে জাতিদেরকে দূর করে দেব ও তোমার সীমানা বিস্তার করব এবং তুমি বছরের মধ্যে তিন বার তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে উপস্থিত হবার জন্য গেলে তোমার জমিতে কেউ লোভ করবে না।
Car je déposséderai les nations de devant toi, et j'étendrai tes limites; et nul ne convoitera ton pays lorsque tu monteras pour comparaître trois fois l'an devant l'Eternel ton Dieu.
25 ২৫ তুমি আমার বলির রক্ত খামিরযুক্ত খাদ্যের সঙ্গে উৎসর্গ করবে না ও নিস্তারপর্ব্বের উৎসবের বলিদ্রব্য সকাল পর্যন্ত রাখা যাবে না।
Tu n'offriras point le sang de mon sacrifice avec du pain levé; on ne gardera rien du sacrifice de la fête solennelle de la Pâque jusqu’au matin.
26 ২৬ তুমি নিজের জমির প্রথম ফলের অগ্রিমাংশ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর গৃহে আনবে। তুমি ছাগলছানাকে তার মায়ের দুধে সিদ্ধ করবে না।”
Tu apporteras les prémices des premiers fruits de la terre dans la maison de l'Eternel ton Dieu. Tu ne feras point cuire le chevreau au lait de sa mère.
27 ২৭ আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি এই সব বাক্য লিপিবদ্ধ কর, কারণ আমি এই সব বাক্য অনুসারে তোমার ও ইস্রায়েলের সঙ্গে চুক্তি স্থির করলাম।”
L'Eternel dit aussi à Moïse: écris ces paroles; car suivant la teneur de ces paroles j'ai traité alliance avec toi et avec Israël.
28 ২৮ সেই দিনের মোশি চল্লিশ দিন রাত সেখানে সদাপ্রভুর সঙ্গে থাকলেন, খাবার খেলেন না ও জল পান করলেন না। আর তিনি সেই দুটি পাথরে নিয়মের বাক্যগুলি অর্থাৎ দশ আজ্ঞা লিখলেন।
Et [Moïse] demeura là avec l'Eternel quarante jours et quarante nuits, sans manger de pain, et sans boire d'eau; et [l'Eternel] écrivit sur les Tables les paroles de l'alliance, [c'est-à-dire], les dix paroles.
29 ২৯ পরে মোশি দুটি সাক্ষ্যপাথর হাতে নিয়ে সীনয় পর্বত থেকে নামলেন; যখন পর্বত থেকে নামলেন, তখন, সদাপ্রভুর সঙ্গে আলাপের দিন তার মুখের চামড়া যে উজ্জ্বল হয়েছিল, তা মোশি জানতে পারলেন না।
Or il arriva que lorsque Moïse descendait de la montagne de Sinaï, tenant en sa main les deux Tables du Témoignage, lors, [dis-je], qu'il descendait de la montagne, il ne s'aperçut point que la peau de son visage était devenue resplendissante pendant qu'il parlait avec Dieu.
30 ৩০ পরে যখন হারোণ ও সমস্ত ইস্রায়েল সন্তান মোশিকে দেখতে পেল, তখন দেখ, তার মুখের চামড়া উজ্জ্বল, আর তারা তাঁর কাছে আসতে ভয় পেল।
Mais Aaron et tous les enfants d'Israël ayant vu Moïse, et s'étant aperçus que la peau de son visage était resplendissante, ils craignirent d'approcher de lui.
31 ৩১ কিন্তু মোশি তাদেরকে ডাকলে হারোণ ও মণ্ডলীর শাসনকর্ত্তা সবাই তাঁর কাছে ফিরে আসলেন, আর মোশি তাদের সঙ্গে আলাপ করলেন।
Mais Moïse les appela, et Aaron et tous les principaux de l'assemblée retournèrent vers lui; et Moïse parla avec eux.
32 ৩২ তারপরে ইস্রায়েল সন্তানরা সবাই তাঁর কাছে আসল; তাতে তিনি সীনয় পর্বতে বলা সদাপ্রভুর আজ্ঞাগুলি সব তাদেরকে জানালেন।
Après quoi tous les enfants d'Israël s'approchèrent, et il leur commanda toutes les choses que l'Eternel lui avait dites sur la montagne de Sinaï.
Ainsi Moïse acheva de leur parler: or il avait mis un voile sur son visage.
34 ৩৪ কিন্তু মোশি যখন সদাপ্রভুর সঙ্গে কথা বলতে ভিতরে তাঁর সামনে যেতেন ও যখন বাইরে আসতেন, তখন সেই আবরণ খুলে রাখতেন; পরে যে সব আজ্ঞা পেতেন, বের হয়ে ইস্রায়েল সন্তানদের তা বলতেন।
Et quand Moïse entrait vers l'Eternel pour parler avec lui, il ôtait le voile jusqu’à ce qu'il sortait; et étant sorti, il disait aux enfants d'Israël ce qui lui avait été commandé.
35 ৩৫ মোশির মুখের চামড়া উজ্জ্বল, এটা ইস্রায়েল সন্তানরা তাঁর মুখের দিকে তাকিয়ে দেখত; কিন্তু পরে মোশি সদাপ্রভুর সঙ্গে কথা বলতে যে পর্যন্ত আবার না যেতেন, ততক্ষণ তাঁর মুখে আবার ঢাকা দিয়ে রাখতেন।
Or les enfants d'Israël avaient vu que le visage de Moïse, la peau, [dis-je], de son visage était resplendissante c'est pourquoi Moïse remettait le voile sur son visage, jusques à ce qu'il retournât pour parler avec l'Eternel.
