< ইফিষীয় 6 >

1 ছেলেমেয়েরা, তোমরা প্রভুতে পিতামাতাকে মান্য কর, কারণ এটাই ঠিক।
সন্তানেরা, তোমরা প্রভুতে বাবা-মার বাধ্য হও, কারণ তাই হবে ন্যায়সংগত।
2 “তোমার পিতাকে ও তোমার মাতাকে সম্মান কর,” এটা প্রতিজ্ঞার প্রথম আদেশ,
“তোমার বাবাকে ও তোমার মাকে সম্মান কোরো,” এই হল প্রথম আদেশ, যার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে একটি প্রতিশ্রুতি,
3 “যেন তোমার মঙ্গল হয় এবং তুমি পৃথিবীতে দীর্ঘজীবী হও।”
“যেন তোমার মঙ্গল হয় এবং পৃথিবীতে তুমি দীর্ঘ জীবন উপভোগ করো।”
4 আর পিতারা, তোমরা নিজ নিজ ছেলেমেয়েদেরকে রাগিও না, বরং প্রভুর শাসনে ও শৃঙ্খলার মাধ্যমে তাদেরকে মানুষ করে তোলো।
তোমরা যারা বাবা, তোমরা সন্তানদের ক্রুদ্ধ কোরো না, বরং প্রভুর শিক্ষা ও নির্দেশ অনুযায়ী তাদের গড়ে তোলো।
5 চাকরেরা, যেমন তোমরা খ্রীষ্টকে মেনে চল তেমনি ভয় ও সম্মানের সঙ্গে ও হৃদয়ের সততা অনুযায়ী নিজ শরীরের জাগতিক প্রভুদের আদেশ মেনে চল;
ক্রীতদাসেরা, তোমরা শ্রদ্ধায় ও ভয়ে, হৃদয়ের সরলতার সঙ্গে তোমাদের জাগতিক প্রভুদের আদেশ মেনে চলো, যেমন তোমরা খ্রীষ্টের আদেশ মেনে থাকো।
6 মানুষের সন্তুষ্ট করার মত সেবা না করে, বরং খ্রীষ্টের দাসের মত প্রাণের সাথে ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করছ বলে, মানুষের সেবা নয়,
তাদের আদেশ পালন করো, কেবলমাত্র তাদের দৃষ্টি যখন তোমাদের প্রতি থাকে, তখন তাদের অনুগ্রহ লাভের জন্য নয়, কিন্তু খ্রীষ্টের ক্রীতদাসদের মতো, অন্তর দিয়ে যেন তোমরা ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করছ, সেভাবে।
7 বরং প্রভুরই সেবা করছ বলে আনন্দেই দাসের কাজ কর;
তোমরা সমস্ত অন্তর দিয়ে তাদের সেবা করো, যেন তোমরা মানুষের নয়, কিন্তু প্রভুরই সেবা করছ।
8 জেনে রেখো, কোন ভাল কাজ করলে প্রতিটি মানুষ, সে চাকর হোক বা স্বাধীন মানুষ হোক, প্রভুর থেকে তার ফল পাবে।
কারণ তোমরা জানো যে, ক্রীতদাস হোক, বা স্বাধীন হোক, প্রভু তাদের সকলকেই সৎকর্মের জন্য পুরস্কৃত করবেন।
9 আর মনিবের। তোমরা তাদের সঙ্গে সেই রকম ব্যবহার কর, তাদের হুমকি দেওয়া ছাড়া, জেনে রেখো, তাদের এবং তোমাদেরও প্রভু স্বর্গে আছেন, আর তিনি কারও পক্ষপাতিত্ব করেন না।
আর গৃহস্বামীরা, তোমরাও ক্রীতদাসদের প্রতি অনুরূপ আচরণ করো। তাদের ভয় দেখিয়ো না, কারণ তোমরা জানো, যিনি স্বর্গে আছেন, তিনি তাদের এবং তোমাদের, উভয়েরই প্রভু। তিনি কারও পক্ষপাতিত্ব করেন না।
10 ১০ শেষ কথা এই, তোমরা প্রভুতে ও তাঁর শক্তির প্রতাপে শক্তিশালী হও।
পরিশেষে, তোমরা প্রভুতে এবং তাঁর প্রবল পরাক্রমে বলীয়ান হও।
11 ১১ ঈশ্বরের সব যুদ্ধের সাজ পরিধান কর, যেন শয়তানের নানারকম মন্দ পরিকল্পনার সামনে দাঁড়াতে পার।
ঈশ্বরের সম্পূর্ণ রণসাজ পরে নাও, যেন দিয়াবলের বিভিন্ন চাতুরী প্রতিহত করতে পারো।
12 ১২ কারণ দেহ এবং রক্তের সঙ্গে নয়, কিন্তু পরাক্রম সকলের সঙ্গে, কর্তৃত্ব সকলের সঙ্গে, এই অন্ধকারের জগতপতিদের সঙ্গে, স্বর্গীয় স্থানে দুষ্ট আত্মাদের সঙ্গে আমাদের মল্লযুদ্ধ হচ্ছে। (aiōn g165)
কারণ আমাদের সংগ্রাম রক্তমাংসের বিরুদ্ধে নয়, কিন্তু আধিপত্য ও কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে, অন্ধকারে আচ্ছন্ন এই জগতের শক্তির বিরুদ্ধে এবং স্বর্গীয় স্থানের মন্দ আত্মিক শক্তির বিরুদ্ধে। (aiōn g165)
13 ১৩ এই জন্য তোমরা ঈশ্বরের সব যুদ্ধের সাজ গ্রহণ কর, যেন সেই দুদিনের র প্রতিরোধ করতে এবং সব শেষ করে দাঁড়িয়ে থাকতে পার।
তাই, ঈশ্বরের সম্পূর্ণ রণসাজ পরে নাও, যেন সেই মন্দ দিন উপস্থিত হলে তোমরা শত্রুর আক্রমণ প্রতিহত করতে পারো এবং সমস্ত বিষয় সম্পন্ন করে স্থির থাকতে পারো।
14 ১৪ অতএব সত্যের কোমর বন্ধনীতে বদ্ধকটি হয়ে,
সুতরাং সত্যের বেল্ট কোমরে বেঁধে, ধার্মিকতার বুকপাটা পরে নিয়ে এবং
15 ১৫ ধার্মিকতার বুকপাটা পরে এবং শান্তির সুসমাচারের প্রস্তুতির জুতো পায়ে দিয়ে দাঁড়িয়ে থাক;
শান্তির সুসমাচার প্রচারের তৎপরতায় চটিজুতো পরে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকো।
16 ১৬ এই সব ছাড়া বিশ্বাসের ঢালও গ্রহণ কর, যার দিয়ে তোমরা সেই মন্দ আত্মার সব আগুনের তীরকে নেভাতে পারবে;
এসব ছাড়া তুলে নাও বিশ্বাসের ঢাল; তা দিয়েই সেই পাপাত্মার সমস্ত অগ্নিবাণ তোমরা নির্বাপিত করতে পারবে।
17 ১৭ এবং উদ্ধারের শিরস্ত্রাণ ও আত্মার খড়গ, অর্থাৎ ঈশ্বরের বাক্য গ্রহণ কর।
আর ধারণ করো পরিত্রাণের শিরস্ত্রাণ ও আত্মার তরোয়াল, অর্থাৎ ঈশ্বরের বাক্য।
18 ১৮ সব রকম প্রার্থনা ও অনুরোধের সাথে সব দিনের পবিত্র আত্মায় প্রার্থনা কর এবং এর জন্য সম্পূর্ণ অভিনিবেশ ও অনুরোধসহ জেগে থাক,
সব উপলক্ষে, সব ধরনের মিনতি ও অনুরোধের সঙ্গে আত্মায় প্রার্থনা করো। এসব স্মরণে রেখে সতর্ক থেকো এবং সকল পবিত্রগণের জন্য সবসময়ই প্রার্থনায় রত থেকো।
19 ১৯ সব পবিত্র লোকের জন্য এবং আমার জন্যও প্রার্থনা কর, যেন মুখ খুলবার উপযুক্ত বক্তৃতা আমাকে দেওয়া যায়, যাতে আমি সাহসের সাথে সেই সুসমাচারের গোপণ তত্ব জানাতে পারি,
তোমরা আমার জন্য প্রার্থনা কোরো, যেন আমি যখনই মুখ খুলি, সুসমাচারের গুপ্তরহস্য নির্ভীকভাবে প্রচার করতে আমাকে বাক্য দান করা হয়।
20 ২০ যার জন্য আমি শিকলে আটকে রাজদূতের কাজ করছি; যেমন কথা বলা আমার উচিত, তেমন যেন সেই বিষয়ে সাহস দেখাতে পারি।
এরই জন্য কারাগারে বন্দি হয়েও আমি রাজদূতের কাজ করছি। প্রার্থনা কোরো, যেমন করা উচিত তেমনই আমি সাহসের সঙ্গে সেই ঘোষণা করতে পারি।
21 ২১ আর আমার বিষয়, আমার কিরকম চলছে, তা যেন তোমরাও জানতে পার, তার জন্য প্রভুতে প্রিয় ভাই ও বিশ্বস্ত দাস যে তুখিক, তিনি তোমাদেরকে সবই জানাবেন।
আমি কেমন আছি এবং কী করছি, তোমরাও যেন তা জানতে পারো, সেজন্য প্রিয় ভাই ও প্রভুতে বিশ্বস্ত সেবক তুখিক তোমাদের সবকিছু জানাবেন।
22 ২২ আমি তাঁকে তোমাদের কাছে সেইজন্যই পাঠালাম, যেন তোমরা আমাদের সব খবর জানতে পর এবং তিনি যেন তোমাদের হৃদয়ে সান্ত্বনা দেন।
শুধু এই উদ্দেশ্যেই আমি তাঁকে তোমাদের কাছে পাঠাচ্ছি, যেন আমরা কেমন আছি তা তোমরা জানাতে পারো এবং তিনি তোমাদের অনুপ্রাণিত করতে পারেন।
23 ২৩ পিতা ঈশ্বর এবং প্রভু যীশু খ্রীষ্ট থেকে শান্তি এবং বিশ্বাসের সঙ্গে ভালবাসা, ভাইদের প্রতি আসুক।
পিতা ঈশ্বর এবং প্রভু যীশু খ্রীষ্ট থেকে শান্তি, বিশ্বাসে পূর্ণ প্রেম, ভাইবোনদের উপরে বর্ষিত হোক।
24 ২৪ আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে যারা অক্ষয়ভাবে ভালবাসে, অনুগ্রহ সেই সকলের সঙ্গে সঙ্গে থাকুক।
আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের প্রতি যাদের ভালোবাসা অমর, অনুগ্রহ তাদের সহায় হোক।

< ইফিষীয় 6 >