< উপদেশক 6 >

1 সূর্য্যের নিচে একটা খারাপ আছে যা আমি দেখেছি এবং এটা মানুষের জন্য ভয়ানক।
সূর্যের নিচে আমি আরও একটি মন্দতা দেখলাম, আর তা মানুষের জন্য বড়ো কষ্টের
2 ঈশ্বর হয়তো কোন মানুষকে ধন, সম্পত্তি এবং সম্মান দেন যাতে সে যা আশা করে নিজের জন্য তার কোন কিছুরই অভাব না থাকে, কিন্তু তারপর ঈশ্বর তাকে তা ভোগ করার ক্ষমতা দেন না। বরং, অন্য কেউ তার জিনিস ভোগ করে। এটা অসার, একটা খারাপ কষ্ট।
ঈশ্বর কিছু মানুষকে এত ধন, সম্পত্তি ও সম্মান দান করেন যে, তাদের হৃদয়ে আর কোনো বাসনা থাকে না, কিন্তু ঈশ্বর তাদের তা ভোগ করবার ক্ষমতা দেন না, অপরিচিতেরা তা ভোগ করে। এটি অসার, এক ভীষণ মন্দতা।
3 যদি কোন লোক একশো বাচ্চার পিতা হয় এবং বহু বছর বাঁচে, তাহলে তার জীবনের আয়ু বহু বছর, কিন্তু যদি তার হৃদয় মঙ্গলে তৃপ্ত না হয় এবং তার কবর যদি সম্মানের সঙ্গে না হয়, তাহলে আমি বলি যে সেই লোকের থেকে একটা বাচ্চা যে মরা জন্মেছে ভাল।
কোনো লোকের একশো জন ছেলেমেয়ে থাকতে পারে; তবুও যতদিন সে বাঁচে, সে যদি তার সমৃদ্ধি উপভোগ করতে না পারে এবং উপযুক্তভাবে কবর না হয়, তবে আমি বলি তার চেয়ে মৃত সন্তানের জন্ম হওয়া অনেক ভালো।
4 এমনকি সেই রকম একটি বাচ্চা জন্মেছে অসারতায় এবং চলে গেছে অন্ধকারে এবং এমনকি তার নাম সেখানে থাকবে না।
তার আসা অর্থহীন, সে অন্ধকারে বিদায় নেয়, আর অন্ধকারেই তার নাম ঢাকা পড়ে যায়।
5 যদিও এই বাচ্চা সূর্যকে দেখেনি অথবা কিছুই জানে না, যদিও এর বিশ্রাম আছে সেই মানুষটার বিশ্রাম নেই।
যদিও সে কখনও সূর্য দেখেনি কিংবা কিছু জানেনি, তবুও সেই লোকের চেয়ে সে অনেক বিশ্রাম পায়—
6 এমনকি যদিও কোন মানুষ দুহাজার বছর বাঁচে কিন্তু ভাল বিষয়ে আনন্দ করতে জানে না, সেও সেই একই জায়গায় যাবে যেমন সবাই যায়।
সেই লোক যদিও বা দুই হাজার বছরের বেশি বাঁচে কিন্তু তার সমৃদ্ধি উপভোগ করতে পারে না। সবাই কি একই জায়গায় যায় না?
7 যদিও মানুষের সমস্ত কাজ তার মুখ পরিপূর্ণ করার জন্য, তবুও তার ক্ষিদে মেটে না।
প্রত্যেকের পরিশ্রম তার মুখের জন্য, তবুও তাদের আকাঙ্ক্ষা তৃপ্ত হয় না।
8 বাস্তবে, বোকা লোকের থেকে জ্ঞানী লোকের কি লাভ? গরিব লোকের কি সুবিধা থাকে এমনকি যদিও সে জানে অন্য লোকের সামনে কিরকম ব্যবহার করতে হয়?
বোকার চেয়ে জ্ঞানীর সুবিধা কী? অন্যদের সামনে কীভাবে চলতে হবে তা জানলে একজন গরিবের কী লাভ হয়?
9 অসম্ভবকে পাওয়ার বাসনার চেয়ে যা কিছু চোখ দেখে তাতে সন্তুষ্ট হওয়া ভাল। সেটাও আসার এবং বাতাসকে পরিচালনা করার চেষ্টা।
আরও পাবার ইচ্ছার চেয়ে বরং চোখ যা দেখতে পায় তাতে সন্তুষ্ট থাকা ভালো। এটাও অসার, কেবল বাতাসের পিছনে দৌড়ানো।
10 ১০ যা কিছুর অস্তিত্ব আছে সেগুলোর নাম আগেই দেওয়া হয়েছে এবং মানবজাতি কিরকম তা ইতিমধ্যেই জানা গেছে। তাই এটা বেকার তার সঙ্গে তর্ক করা যিনি সবার পরাক্রমী বিচারক।
যা কিছু আছে তার নামকরণ আগেই হয়ে গেছে, আর মানুষ যে কী, তাও জানা গেছে; নিজের চেয়ে যে শক্তিশালী তাঁর সঙ্গে কেউ তর্কাতর্কি করতে পারে না।
11 ১১ অনেক কথা যা বলা হয়েছে, তত বেশি অসারতা বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই কি সুবিধা একজন মানুষের?
যত বেশি কথা বলা হয়, ততই অসারতা বাড়ে, আর তাতে মানুষের কী লাভ হয়?
12 ১২ কারণ কে জানে তার অসারতার দিনের কি ভাল মানুষের জন্য তার জীবনে, তার জীবনের দিন গুলো যার মধ্যে দিয়ে সে ছায়ার মত চলে যায়? কে মানুষকে বলতে পারে তার চলে যাওয়ার পরে কি আসবে সূর্য্যের নিচে?
সেই অল্প ও অর্থহীন দিনগুলি ছায়ার মতো কাটাবার সময় মানুষের জীবনকালে তার জন্য কী ভালো তা কে জানে? সেগুলি চলে গেলে সূর্যের নিচে কী ঘটবে তা কে তাদের বলতে পারবে?

< উপদেশক 6 >