< দ্বিতীয় বিবরণ 9 >

1 হে ইস্রায়েল, শোনো, তুমি নিজের থেকে মহান ও শক্তিশালী জাতিদেরকে, আকাশ পর্যন্ত দেওয়ালে ঘেরা বিশাল শহরগুলিকে, অধিকারচ্যুত করতে আজ যর্দ্দন (নদী) পার হয়ে যাচ্ছ;
হে ইস্রায়েল, শোনো যেসব জাতি তোমাদের থেকে লোকসংখ্যায় ও শক্তিতে বড়ো, তোমরা এখন গিয়ে তাদের গগনচুম্বী প্রাচীর দিয়ে ঘেরা বড়ো বড়ো নগরগুলি অধিকার করার জন্য জর্ডন নদী পার হতে যাচ্ছ।
2 সেই জাতি বিশাল ও লম্বা, তারা অনাকীয়দের সন্তান; তুমি তাদেরকে জান, আর তাদের বিষয়ে তুমি তো এ কথা শুনেছ যে, “অনাক সন্তানদের সামনে কে দাঁড়াতে পারে?”
সেখানকার লোকেরা অনাকীয়—তারা শক্তিশালী ও লম্বা! তোমরা তাদের সম্বন্ধে জানো এবং শুনেছ বলা হয়ে থাকে “অনাকীয়দের বিরুদ্ধে কে দাঁড়াতে পারে?”
3 কিন্তু আজ তুমি এটা জানো যে, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু নিজে গ্রাসকারী আগুনের মতো তোমার আগে আগে যাচ্ছেন; তিনি তাদেরকে ধ্বংস করবেন, তাদেরকে তোমার সামনে নীচু করবেন; তাতে সদাপ্রভু তোমাকে যেমন বলেছেন, তেমনি তুমি তাদেরকে তাড়িয়ে দেবে ও তাড়াতাড়ি ধ্বংস করবে।
কিন্তু আজ তুমি এই কথা জেনে রেখো যে তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুই গ্রাসকারী আগুনের মতো তোমাদের আগে আগে জর্ডন নদী পার হয়ে যাচ্ছেন। তিনি তাদের ধ্বংস করবেন; তিনি তোমাদের সামনে তাদের দমন করবেন। আর তোমরা তাদের তাড়িয়ে দেবে এবং সত্বর ধ্বংস করবে, যেমন সদাপ্রভু তোমাদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছেন।
4 তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যখন তোমার সামনে থেকে তাদেরকে তাড়িয়ে দেবেন, তখন মনে মনে এমন ভেবো না যে, “আমার ধার্মিকতার জন্য সদাপ্রভু আমাকে এই দেশ অধিকার করাতে এনেছেন।” কারণ জাতিদের দুষ্টতার জন্যই সদাপ্রভু তাদেরকে তোমার সামনে থেকে তাড়িয়ে দেবেন।
তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের সামনে থেকে তাদের তাড়িয়ে দেওয়ার পর, তোমরা কেউ মনে মনে বোলো না, “আমার ধার্মিকতার জন্য সদাপ্রভু আমাকে এই দেশ অধিকার করাতে এখানে নিয়ে এসেছেন।” তা নয়, এসব জাতির লোকদের দুষ্টতার জন্যই সদাপ্রভু তোমাদের সামনে থেকে তাদের তাড়িয়ে দিতে যাচ্ছেন।
5 তোমার ধার্ম্মিকতা কিংবা হৃদয়ের সরলতার জন্য তুমি যে তাদের দেশ অধিকার করতে যাচ্ছ, তা না; কিন্তু সেই জাতিদের দুষ্টতার জন্য এবং তোমার পূর্বপুরুষ অব্রাহাম, ইস্‌হাক ও যাকোবের কাছে শপথের মাধ্যমে দেওয়া আপনার বাক্য সফল করার জন্যে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার সামনে তাদেরকে তাড়িয়ে দেবেন।
তোমাদের ধার্মিকতা কিংবা সাধুতার জন্য তোমরা যে তাদের দেশ অধিকার করতে যাচ্ছ তা নয়; কিন্তু এই জাতিদের দুষ্টতার জন্য, বরং তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের পূর্বপুরুষ অব্রাহাম, ইস্‌হাক ও যাকোবের কাছে যে কথা প্রতিজ্ঞা করে বলেছিলেন তা পূরণ করবার জন্যই তিনি এসব জাতির দুষ্টতার দরুন তোমাদের সামনে থেকে তাদের তাড়িয়ে দেবেন।
6 অতএব জেনো যে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যে তোমার ধার্মিকতার জন্য অধিকার করার জন্য তোমাকে এই উত্তম দেশ দেবেন, তা না; কারণ তুমি একগুঁয়ে জাতি।
কাজেই তোমরা জেনে রেখো, তোমাদের ধার্মিকতার জন্য যে তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু এই চমৎকার দেশটি তোমাদের অধিকার করতে দিচ্ছেন তা নয়, কারণ তোমরা তো একগুঁয়ে এক জাতি।
7 তুমি মরুপ্রান্তের মধ্যে নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে যেমন অসন্তুষ্ট করেছিলে, তা মনে রেখো, ভুলে যেও না; মিশর দেশ থেকে বের হয়ে আসার দিন থেকে এই জায়গায় আসা পর্যন্ত তোমরা সদাপ্রভুর বিরুদ্ধাচারী হয়ে আসছ।
তোমরা প্রান্তরে তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর ক্রোধ কীভাবে জাগিয়ে তুলেছিলে তা মনে রেখো, কখনও ভুলে যেয়ো না। মিশর ছেড়ে আসবার দিন থেকে শুরু করে এখানে পৌঁছানো পর্যন্ত তোমরা সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধাচারী হয়ে আসছ।
8 তোমরা হোরেবেও সদাপ্রভুকে অসন্তুষ্ট করেছিলে এবং সদাপ্রভু যথেষ্ট রেগে গিয়ে তোমাদেরকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন।
হোরেবে তোমরা এমনভাবে সদাপ্রভুর ক্রোধ জাগিয়ে তুলেছিলে যে, তার দরুন তিনি তোমাদের ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন।
9 যখন আমি সেই দুটি পাথরের ফলক নেবার জন্যে পর্বতে উঠেছিলাম, তখন চল্লিশ দিন রাত পর্বতে থেকেছিলাম, খাবার খাওয়া কি জল পান করিনি।
সদাপ্রভু যে বিধান তোমাদের জন্য স্থাপন করেছেন সেই বিধান লেখা পাথরের ফলক দুটি গ্রহণ করার জন্য আমি পাহাড়ের উপর উঠে চল্লিশ দিন ও চল্লিশ রাত সেখানেই ছিলাম; আমি জল বা রুটি কিছুই খাইনি।
10 ১০ আর সদাপ্রভু আমাকে ঈশ্বরের নিজের আঙ্গুল দিয়ে লেখা সেই দুটি পাথরের ফলক দিয়েছিলেন; পর্বতে সমাজের দিনের আগুনের মধ্যে থেকে সদাপ্রভু তোমাদেরকে যা যা বলেছিলেন, সেই সব কথা ঐ দুটি পাথরে লেখা ছিল।
ঈশ্বরের আঙুল দিয়ে লেখা এমন দুটি পাথরের ফলক সদাপ্রভু আমাকে দিয়েছিলেন। তোমরা সবাই যেদিন সদাপ্রভুর সামনে জড়ো হয়েছিলে, সেদিন তিনি পাহাড়ের উপরে আগুনের মধ্য থেকে যেসব আদেশ তোমাদের কাছে ঘোষণা করেছিলেন সেগুলি ওই ফলক দুটির উপর লেখা ছিল।
11 ১১ সেই চল্লিশ দিন রাতের শেষে সদাপ্রভু ওই দুটি পাথরের ফলক অর্থাৎ নিয়মের পাথরের ফলক আমাকে দিলেন।
সেই চল্লিশ দিন আর চল্লিশ রাত কেটে যাওয়ার পর সদাপ্রভু ওই বিধান লেখা পাথরের ফলক দুটি আমাকে দিয়েছিলেন।
12 ১২ আর সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “ওঠ, এ জায়গা থেকে তাড়াতাড়ি যাও; কারণ তোমার যে লোকদেরকে তুমি মিশর থেকে বের করে এনেছ, তারা নিজেদেরকে ভ্রষ্ট করেছে; আমি যে আদেশ তাদেরকে করেছিলাম তা থেকে তারা তাড়াতাড়ি বিপথে চলে গেছে, তারা নিজেদের জন্য ছাঁচে ঢালা প্রতিমা তৈরী করেছে।”
তারপর সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “তুমি এখনই নিচে নেমে যাও, কেননা যে লোকদের তুমি মিশর থেকে বের করে এনেছ তারা কুপথে গেছে। যে পথে চলবার আদেশ আমি দিয়েছিলাম এর মধ্যেই তারা তা থেকে দূরে সরে গেছে এবং পূজার জন্য নিজেদের জন্য একটি মূর্তি তৈরি করেছে।”
13 ১৩ সদাপ্রভু আমাকে আরও বললেন, “আমি এই লোকদেরকে দেখেছি, আর দেখ, তারা খুবই একগুঁয়ে লোক;
আর সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “আমি এই লোকদের দেখেছি, এরা একগুঁয়ে এক জাতি!
14 ১৪ তুমি আমার কাছ থেকে সরে যাও, আমি এদেরকে ধ্বংস করে আকাশমণ্ডলের নীচে থেকে এদের নাম মুছে ফেলি; আর আমি তোমাকে এদের থেকে শক্তিশালী ও মহান জাতি করব।”
তুমি আমাকে বাধা দিয়ো না, যেন আমি তাদের ধ্বংস করি এবং পৃথিবী থেকে তাদের নাম মুছে ফেলি। আর আমি তোমার মধ্য দিয়ে আরও শক্তিশালী এবং তাদের চেয়ে আরও বড়ো একটি জাতি তৈরি করব।”
15 ১৫ তখন আমি ফিরে পর্বত থেকে নেমে আসলাম, পর্বত আগুনে জ্বলছিল। তখন আমার দুই হাতে নিয়মের দুটি পাথরের ফলক ছিল।
তখন আমি পাহাড় থেকে নেমে আসলাম যখন পাহাড় আগুনে জ্বলছিল। আর আমার হাতে বিধানের দুটি ফলক ছিল।
16 ১৬ আমি দেখলাম, আর দেখ, তোমরা নিজেদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে পাপ করেছিলে, নিজেদের জন্য ছাঁচে ঢালা এক বাছুর তৈরী করেছিলে; সদাপ্রভুর আদেশ দেওয়া রাস্তা থেকে তাড়াতাড়ি বিপথে চলে গিয়েছিলে।
আমি চেয়ে দেখলাম, তোমরা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে পাপ করেছ; পূজার জন্য তোমরা ছাঁচে ফেলে একটি বাছুরের মূর্তি তৈরি করে নিয়েছ। সদাপ্রভু তোমাদের যে পথে চলবার আদেশ দিয়েছিলেন তোমরা ঐটুকু সময়ের মধ্যেই সেই পথ থেকে সরে গিয়েছিলে।
17 ১৭ তাতে আমি সেই দুটি পাথরের ফলক ধরে নিজের দুই হাত থেকে ফেলে তোমাদের সামনে ভাঙলাম।
সেইজন্য আমি পাথরের ফলক দুটি আমার হাত থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলাম, তাতে সেগুলি তোমাদের চোখের সামনে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিল।
18 ১৮ আর তোমরা সদাপ্রভুর চোখে যা খারাপ, তা করে যে পাপ করেছিলে, তাঁর অসন্তোষজনক তোমাদের সেই সব পাপের জন্য আমি আগের মতো চল্লিশ দিন ও চল্লিশ রাত সদাপ্রভুর সামনে উপুড় হয়ে থাকলাম, আমি খাবার খায়নি বা জলও পান করে নি।
সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে মন্দ এমন সব পাপ তোমরা করে তাঁর ক্রোধ জাগিয়ে তুলেছিলে সেইজন্য আমি আগের বারের মতো আবার চল্লিশ দিন ও চল্লিশ রাত সদাপ্রভুর সামনে উপুড় হয়ে পড়েছিলাম; জল বা রুটি কিছুই খাইনি।
19 ১৯ কারণ সদাপ্রভু তোমাদেরকে ধ্বংস করতে রেগে যাওয়াতে আমি তাঁর রাগ ও অসন্তুষ্টতার জন্য ভয় পেয়েছিলাম; কিন্তু সেই বারেও সদাপ্রভু আমার নিবেদন শুনলেন।
সদাপ্রভুর ভীষণ অসন্তোষকে আমি ভয় করেছিলাম, কারণ তোমাদের ধ্বংস করে ফেলবার মতো ক্রোধ তাঁর হয়েছিল। কিন্তু এবারও সদাপ্রভু আমার কথা শুনেছিলেন।
20 ২০ আর সদাপ্রভু হারোণকে ধ্বংস করার জন্যে তাঁর ওপরে খুব রেগে গিয়েছিলেন, আমি ঠিক সেই দিনের হারোণের জন্যও প্রার্থনা করলাম।
আর হারোণকে ধ্বংস করে ফেলবার মতো ক্রোধও তাঁর হয়েছিল, কিন্তু সেই সময় আমি হারোণের জন্যও মিনতি করেছিলাম।
21 ২১ আর আমি তোমাদের পাপ, সেই যে বাছুর তোমরা তৈরী করেছিলে, তা নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দিলাম ও যে পর্যন্ত তা ধূলোর মতো গুঁড়ো না হল, ততক্ষণ পিষে ভালোভাবে গুঁড়ো করলাম; পরে পর্বত থেকে বয়ে যাওয়া জলস্রোতে তাঁর ধূলো ফেলে দিলাম।
আর আমি তোমাদের সেই পাপময় জিনিসটি, তোমাদের তৈরি সেই বাছুরটি, নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছিলাম। তারপর আমি সেটি ধুলোর মতো গুঁড়ো করে পাহাড় থেকে বয়ে আসা নদীর স্রোতে ফেলে দিয়েছিলাম।
22 ২২ আর তোমরা তবিয়েরাতে, মঃসাতে ও কিব্রোৎহত্তাবাতে সদাপ্রভুকে উত্তেজিত করলে।
তোমরা তবেরাতে, মঃসাতে ও কিব্রোৎ-হত্তাবাতে সদাপ্রভুর ক্রোধ জাগিয়ে তুলেছিলে।
23 ২৩ তার পর সদাপ্রভু যে দিনের কাদেশ বর্ণেয় থেকে তোমাদেরকে পাঠিয়ে বললেন, “তোমরা উঠে যাও, আমি তোমাদেরকে যে দেশ দিয়েছি, তা অধিকার কর;” সেই দিনের তোমরা নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আদেশের বিরুদ্ধাচারী হলে, তাঁতে বিশ্বাস করলে না ও তাঁর রবে কান দিলে না।
তারপর সদাপ্রভু তোমাদের কাদেশ-বর্ণেয় থেকে রওনা করে দেওয়ার সময় বলেছিলেন, “তোমরা উঠে যাও এবং যে দেশ আমি তোমাদের দিয়েছি তা অধিকার করো।” কিন্তু তোমরা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আজ্ঞার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলে। তোমরা তাঁকে বিশ্বাস করোনি বা তাঁর বাধ্য হওনি।
24 ২৪ তোমাদের সঙ্গে সদাপ্রভু পরিচয়ের দিন থেকে তোমরা সদাপ্রভুর বিরুদ্ধাচারী হয়ে আসছ।
আমি যখন থেকে তোমাদের জেনেছি তখন থেকেই তোমরা সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে কেবল বিদ্রোহই করে চলেছ।
25 ২৫ যা হোক, আমি উপুড় হয়ে থাকলাম; ঐ চল্লিশ দিন রাত আমি সদাপ্রভুর সামনে উপুড় হয়ে থাকলাম; কারণ সদাপ্রভু তোমাদেরকে ধ্বংস করার কথা বলেছিলেন।
সদাপ্রভু তোমাদের ধ্বংস করার কথা বলেছিলেন বলে আমি সেই চল্লিশ দিন ও চল্লিশ রাত সদাপ্রভুর সামনে উবুড় হয়ে পড়েছিলাম।
26 ২৬ আর আমি সদাপ্রভুর কাছে এই প্রার্থনা করলাম, “প্রভু সদাপ্রভু, তুমি নিজের অধিকারস্বরূপ যে লোকদেরকে নিজের মহিমায় মুক্ত করেছ ও শক্তিশালী হাতের মাধ্যমে মিশর থেকে বের করে এনেছ, তাদেরকে ধ্বংস কর না।
আমি সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করে বলেছিলাম, “হে সার্বভৌম সদাপ্রভু, তোমার লোকদের তুমি ধ্বংস করে ফেলো না, তারা তো তোমারই উত্তরাধিকারী যাদের তুমি তোমার মহাশক্তি দ্বারা মুক্ত করেছ এবং তোমার শক্তিশালী হাত ব্যবহার করে মিশর দেশ থেকে বের করে এনেছ।
27 ২৭ তোমার দাসদেরকে, অব্রাহাম, ইস্‌হাক ও যাকোবকে মনে কর; এই লোকদের একগুঁয়েমিতার, দুষ্টতার ও পাপের প্রতি দেখ না;
তোমার দাস অব্রাহাম, ইস্‌হাক ও যাকোবকে স্মরণ করো। এই লোকদের একগুঁয়েমি, দুষ্টতা এবং পাপের দিকে চেয়ে দেখো না।
28 ২৮ সুতরাং তুমি আমাদেরকে যে দেশ থেকে বের করে এনেছ, সেই দেশীয় লোকেরা এই কথা বলে, সদাপ্রভু ওদেরকে যে দেশ দিতে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, সে দেশে নিয়ে যেতে পারেননি এবং তাদেরকে ঘৃণা করেছেন বলেই তিনি মরুপ্রান্তে হত্যা করার জন্যে তাদেরকে বের করে এনেছেন।
তা করলে যে দেশ থেকে তুমি আমাদের বের করে এনেছ সেই দেশের লোকেরা বলবে, ‘সদাপ্রভু তাঁর প্রতিজ্ঞাত দেশে তাদের নিয়ে যেতে পারলেন না বলে এবং তাদের ঘৃণা করেন বলে, তাদের মেরে ফেলার জন্য এই প্রান্তরে নিয়ে এসেছেন।’
29 ২৯ তবুও তারাই তোমার লোক ও তোমার অধিকার; এদেরকে তুমি নিজের মহাশক্তি ও ক্ষমতা প্রদর্শনের মাধ্যমে বের করে এনেছ।”
কিন্তু তারা তোমার লোক, তোমারই উত্তরাধিকারী যাদের তুমি তোমার হাত বাড়িয়ে দিয়ে মহাশক্তিতে বের করে এনেছ।”

< দ্বিতীয় বিবরণ 9 >