দ্বিতীয় বিবরণ 9
1 ১ হে ইস্রায়েল, শোনো, তুমি নিজের থেকে মহান ও শক্তিশালী জাতিদেরকে, আকাশ পর্যন্ত দেওয়ালে ঘেরা বিশাল শহরগুলিকে, অধিকারচ্যুত করতে আজ যর্দ্দন (নদী) পার হয়ে যাচ্ছ;
| اسْتَمِعُوا يَابَنِي إِسْرَائِيلَ: أَنْتُمْ عَلَى وَشْكِ عُبُورِ نَهْرِ الأُرْدُنِّ لِتَدْخُلُوا لِطَرْدِ شُعُوبٍ أَكْبَرَ وَأَعْظَمَ مِنْكُمْ، وَلِلاسْتِيلاَءِ عَلَى مُدُنٍ عَظِيمَةٍ مُحَصَّنَةٍ بِأَسْوَارٍ تَبْلُغُ عَنَانَ السَّمَاءِ، | ١ |
2 ২ সেই জাতি বিশাল ও লম্বা, তারা অনাকীয়দের সন্তান; তুমি তাদেরকে জান, আর তাদের বিষয়ে তুমি তো এ কথা শুনেছ যে, “অনাক সন্তানদের সামনে কে দাঁড়াতে পারে?”
| يُقِيمُ فِيهَا الْعَنَاقِيُّونَ الْجَبَابِرَةُ الْعَمَالِقَةُ الَّذِينَ عَرَفْتُمْ عَنْهُمْ وَسَمِعْتُمْ مَنْ يَقُولُ: مَنْ يَسْتَطِيعُ أَنْ يَتَحَدَّى الْعَنَاقِيِّينَ؟ | ٢ |
3 ৩ কিন্তু আজ তুমি এটা জানো যে, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু নিজে গ্রাসকারী আগুনের মতো তোমার আগে আগে যাচ্ছেন; তিনি তাদেরকে ধ্বংস করবেন, তাদেরকে তোমার সামনে নীচু করবেন; তাতে সদাপ্রভু তোমাকে যেমন বলেছেন, তেমনি তুমি তাদেরকে তাড়িয়ে দেবে ও তাড়াতাড়ি ধ্বংস করবে।
| فَاعْلَمُوا الْيَوْمَ أَنَّ الرَّبَّ إِلَهَكُمْ يَتَقَدَّمُكُمْ كَنَارٍ آكِلَةٍ، وَهُوَ الَّذِي يَسْتَأْصِلُهُمْ وَيُذِلُّهُمْ أَمَامَكُمْ، فَتَطْرُدُونَهُمْ وَتُبِيدُونَهُمْ سَرِيعاً كَمَا كَلَّمَكُمُ الرَّبُّ. | ٣ |
4 ৪ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যখন তোমার সামনে থেকে তাদেরকে তাড়িয়ে দেবেন, তখন মনে মনে এমন ভেবো না যে, “আমার ধার্মিকতার জন্য সদাপ্রভু আমাকে এই দেশ অধিকার করাতে এনেছেন।” কারণ জাতিদের দুষ্টতার জন্যই সদাপ্রভু তাদেরকে তোমার সামনে থেকে তাড়িয়ে দেবেন।
| لاَ تَقُولُوا لأَنْفُسِكُمْ بَعْدَ أَنْ يَنْفِيَهُمُ الرَّبُّ مِنْ أَمَامِكُمْ: لَقَدْ أَدْخَلَنَا الرَّبُّ لاِمْتِلاَكِ هَذِهِ الأَرْضِ بِفَضْلِ صَلاَحِنَا. إِنَّمَا مِنْ أَجْلِ كَثْرَةِ إِثْمِهِمْ يَطْرُدُهُمُ الرَّبُّ إِلَهُكُمْ مِنْ أَمَامِكُمْ. | ٤ |
5 ৫ তোমার ধার্ম্মিকতা কিংবা হৃদয়ের সরলতার জন্য তুমি যে তাদের দেশ অধিকার করতে যাচ্ছ, তা না; কিন্তু সেই জাতিদের দুষ্টতার জন্য এবং তোমার পূর্বপুরুষ অব্রাহাম, ইস্হাক ও যাকোবের কাছে শপথের মাধ্যমে দেওয়া আপনার বাক্য সফল করার জন্যে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার সামনে তাদেরকে তাড়িয়ে দেবেন।
| إِذْ لَيْسَ بِفَضْلِ صَلاَحِكُمْ وَاسْتِقَامَتِكُمْ تَدْخُلُونَ لامْتِلاَكِ أَرْضِهِمْ، إِنَّمَا مِنْ أَجْلِ إِثْمِهِمْ يَطْرُدُهُمُ الرَّبُّ إِلَهُكُمْ مِنْ أَمَامِكُمْ وَفَاءً بِوَعْدِهِ الَّذِي أَقْسَمَ عَلَيْهِ لِآبَائِكُمْ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ. | ٥ |
6 ৬ অতএব জেনো যে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যে তোমার ধার্মিকতার জন্য অধিকার করার জন্য তোমাকে এই উত্তম দেশ দেবেন, তা না; কারণ তুমি একগুঁয়ে জাতি।
| فَاعْلَمُوا أَنَّهُ لَيْسَ بِفَضْلِ صَلاَحِكُمْ يَهَبُكُمُ الرَّبُّ إِلَهُكُمْ هَذِهِ الأَرْضَ الْخَصِيبَةَ لامْتِلاَكِهَا، لأَنَّكُمْ شَعْبٌ عَنِيدٌ. | ٦ |
7 ৭ তুমি মরুপ্রান্তের মধ্যে নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে যেমন অসন্তুষ্ট করেছিলে, তা মনে রেখো, ভুলে যেও না; মিশর দেশ থেকে বের হয়ে আসার দিন থেকে এই জায়গায় আসা পর্যন্ত তোমরা সদাপ্রভুর বিরুদ্ধাচারী হয়ে আসছ।
| اُذْكُرُوا وَلاَ تَنْسَوْا كَيْفَ أَسْخَطْتُمُ الرَّبَّ إِلَهَكُمْ عَلَيْكُمْ فِي الصَّحْرَاءِ، فَمُنْذُ أَنْ غَادَرْتُمْ دِيَارَ مِصْرَ حَتَّى بَلَغْتُمْ هَذَا الْمَكَانَ وَأَنْتُمْ تُقَاوِمُونَ الرَّبَّ. | ٧ |
8 ৮ তোমরা হোরেবেও সদাপ্রভুকে অসন্তুষ্ট করেছিলে এবং সদাপ্রভু যথেষ্ট রেগে গিয়ে তোমাদেরকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন।
| فَفِي جَبَلِ حُورِيبَ أَثَرْتُمْ غَيْظَ الرَّبِّ، فَاحْتَدَمَ غَضَبُهُ عَلَيْكُمْ حَتَّى أَوْشَكَ أَنْ يُفْنِيَكُمْ. | ٨ |
9 ৯ যখন আমি সেই দুটি পাথরের ফলক নেবার জন্যে পর্বতে উঠেছিলাম, তখন চল্লিশ দিন রাত পর্বতে থেকেছিলাম, খাবার খাওয়া কি জল পান করিনি।
| فَحِينَ صَعِدْتُ إِلَى الْجَبَلِ لأَتَسَلَّمَ لَوْحَيْ حَجَرِ الْعَهْدِ الَّذِي قَطَعَهُ الرَّبُّ مَعَكُمْ، وَأَقَمْتُ فِيهِ أَرْبَعِينَ نَهَاراً وَأَرْبَعِينَ لَيْلَةً لاَ آكُلُ فِيهَا خُبْزاً أَوْ أَشْرَبُ مَاءً، | ٩ |
10 ১০ আর সদাপ্রভু আমাকে ঈশ্বরের নিজের আঙ্গুল দিয়ে লেখা সেই দুটি পাথরের ফলক দিয়েছিলেন; পর্বতে সমাজের দিনের আগুনের মধ্যে থেকে সদাপ্রভু তোমাদেরকে যা যা বলেছিলেন, সেই সব কথা ঐ দুটি পাথরে লেখা ছিল।
| وَسَلَّمَنِي الرَّبُّ لَوْحَيِ الْحَجَرِ الْمَكْتُوبَيْنِ بِأَصْبَعِ اللهِ، حَيْثُ خَطَّ عَلَيْهِمَا جَمِيعَ الْوَصَايَا الَّتِي كَلَّمَكُمْ بِهَا الرَّبُّ فِي الْجَبَلِ مِنْ وَسَطِ النَّارِ فِي يَوْمِ الاجْتِمَاعِ. | ١٠ |
| وَحِينَ أَعْطَانِي الرَّبُّ لَوْحَيْ حَجَرِ الْعَهْدِ فِي نِهَايَةِ الأَرْبَعِينَ نَهَاراً وَالأَرْبَعِينَ لَيْلَةً، | ١١ |
12 ১২ আর সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “ওঠ, এ জায়গা থেকে তাড়াতাড়ি যাও; কারণ তোমার যে লোকদেরকে তুমি মিশর থেকে বের করে এনেছ, তারা নিজেদেরকে ভ্রষ্ট করেছে; আমি যে আদেশ তাদেরকে করেছিলাম তা থেকে তারা তাড়াতাড়ি বিপথে চলে গেছে, তারা নিজেদের জন্য ছাঁচে ঢালা প্রতিমা তৈরী করেছে।”
| قَالَ لِي الرَّبُّ: قُمْ وَأَسْرِعْ بِالنُّزُولِ مِنْ هُنَا، لأَنَّ شَعْبَكَ الَّذِي أَخْرَجْتَهُ مِنْ مِصْرَ قَدْ ضَلَّ. زَاغُوا سَرِيعاً عَنِ السَّبِيلِ الَّذِي أَوْصَيْتُهُمْ بِهِ، إِذْ صَاغُوا لأَنْفُسِهِمْ تِمْثَالاً مَسْبُوكاً. | ١٢ |
| ثُمَّ قَالَ لِي: قَدْ تَأَمَّلْتُ هَذَا الشَّعْبَ وَإِذْ بِهِ شَعْبٌ مُتَصَلِّبُ الْقَلْبِ. | ١٣ |
14 ১৪ তুমি আমার কাছ থেকে সরে যাও, আমি এদেরকে ধ্বংস করে আকাশমণ্ডলের নীচে থেকে এদের নাম মুছে ফেলি; আর আমি তোমাকে এদের থেকে শক্তিশালী ও মহান জাতি করব।”
| دَعْنِي أَسْتَأْصِلُهُمْ وَأَمْحُو اسْمَهُمْ مِنْ تَحْتِ السَّمَاءِ، وَأُقيمُ مِنْكَ شَعْباً أَعْظَمَ وَأَكْثَرَ مِنْهُمْ. | ١٤ |
15 ১৫ তখন আমি ফিরে পর্বত থেকে নেমে আসলাম, পর্বত আগুনে জ্বলছিল। তখন আমার দুই হাতে নিয়মের দুটি পাথরের ফলক ছিল।
| فَانْصَرَفْتُ، وَانْحَدَرْتُ مِنَ الْجَبَلِ وَهُوَ مَا بَرِحَ يَشْتَعِلُ بِالنَّارِ، وَلَوْحَا الْعَهْدِ فِي يَدَيَّ. | ١٥ |
16 ১৬ আমি দেখলাম, আর দেখ, তোমরা নিজেদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে পাপ করেছিলে, নিজেদের জন্য ছাঁচে ঢালা এক বাছুর তৈরী করেছিলে; সদাপ্রভুর আদেশ দেওয়া রাস্তা থেকে তাড়াতাড়ি বিপথে চলে গিয়েছিলে।
| وَتَطَلَّعْتُ وَإِذَا بِكُمْ قَدْ أَخْطَأْتُمْ إِلَى الرَّبِّ، وَصُغْتُمْ لأَنْفُسِكُمْ عِجْلاً مَسْبُوكاً، وَضَلَلْتُمْ سَرِيعاً عَنِ السَّبِيلِ الَّذِي أَوْصَاكُمْ بِهِ الرَّبُّ. | ١٦ |
| فَأَخَذْتُ اللَّوْحَيْنِ وَأَلْقَيْتُهُمَا مِنْ يَدَيَّ وَحَطَّمْتُهُمَا أَمَامَ أَعْيُنِكُمْ. | ١٧ |
18 ১৮ আর তোমরা সদাপ্রভুর চোখে যা খারাপ, তা করে যে পাপ করেছিলে, তাঁর অসন্তোষজনক তোমাদের সেই সব পাপের জন্য আমি আগের মতো চল্লিশ দিন ও চল্লিশ রাত সদাপ্রভুর সামনে উপুড় হয়ে থাকলাম, আমি খাবার খায়নি বা জলও পান করে নি।
| ثُمَّ انْطَرَحْتُ بِذُلٍّ أَمَامَ الرَّبِّ أَرْبَعِينَ نَهَاراً وَأَرْبَعِينَ لَيْلَةً، كَمَا فِي السَّابِقِ، لاَ آكُلُ خُبْزاً وَلاَ أَشْرَبُ مَاءً، مِنْ جَرَّاءِ كُلِّ خَطَايَاكُمُ الَّتِي ارْتَكَبْتُمُوهَا فِي عَيْنَيِ الرَّبِّ لِتُغِيظُوهُ، | ١٨ |
19 ১৯ কারণ সদাপ্রভু তোমাদেরকে ধ্বংস করতে রেগে যাওয়াতে আমি তাঁর রাগ ও অসন্তুষ্টতার জন্য ভয় পেয়েছিলাম; কিন্তু সেই বারেও সদাপ্রভু আমার নিবেদন শুনলেন।
| لأَنَّنِي جَزِعْتُ مِنْ غَضَبِ الرَّبِّ وَاحْتِدَامِ سَخَطِهِ عَلَيْكُمْ، حَتَّى أَوْشَكَ أَنْ يُبِيدَكُمْ. فَاسْتَجَابَ لِيَ الرَّبُّ أَيْضاً فِي تِلْكَ الْمَرَّةِ. | ١٩ |
20 ২০ আর সদাপ্রভু হারোণকে ধ্বংস করার জন্যে তাঁর ওপরে খুব রেগে গিয়েছিলেন, আমি ঠিক সেই দিনের হারোণের জন্যও প্রার্থনা করলাম।
| كَمَا غَضِبَ الرَّبُّ عَلَى هرُونَ أَيْضاً حَتَّى كَادَ أَنْ يُهْلِكَهُ، فَصَلَّيْتُ مِنْ أَجْلِهِ حِينَئِذٍ، فَقَبِلَ الرَّبُّ تَضَرُّعِي. | ٢٠ |
21 ২১ আর আমি তোমাদের পাপ, সেই যে বাছুর তোমরা তৈরী করেছিলে, তা নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দিলাম ও যে পর্যন্ত তা ধূলোর মতো গুঁড়ো না হল, ততক্ষণ পিষে ভালোভাবে গুঁড়ো করলাম; পরে পর্বত থেকে বয়ে যাওয়া জলস্রোতে তাঁর ধূলো ফেলে দিলাম।
| أَمَّا خَطِيئَتُكُمُ، الْعِجْلُ الَّذِي سَبَكْتُمُوهُ، فَقَدْ أَخَذْتُهُ وَأَحْرَقْتُهُ وَدَقَقْتُهُ وَطَحَنْتُهُ جَيِّداً، حَتَّى اسْتَحَالَ إِلَى تُرَابٍ، ثُمَّ طَرَحْتُ غُبَارَهُ فِي النَّهْرِ الْمُنْحَدِرِ مِنَ الْجَبَلِ. | ٢١ |
| وَمَا لَبِثْتُمْ أَنْ أَسْخَطْتُمُ الرَّبَّ فِي تَبْعِيرَةَ وَمَسَّةَ وَقَبْرُوتَ هَتَّأَوَةَ. | ٢٢ |
23 ২৩ তার পর সদাপ্রভু যে দিনের কাদেশ বর্ণেয় থেকে তোমাদেরকে পাঠিয়ে বললেন, “তোমরা উঠে যাও, আমি তোমাদেরকে যে দেশ দিয়েছি, তা অধিকার কর;” সেই দিনের তোমরা নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আদেশের বিরুদ্ধাচারী হলে, তাঁতে বিশ্বাস করলে না ও তাঁর রবে কান দিলে না।
| وَحِينَ أَرْسَلَكُمُ الرَّبُّ مِنْ قَادَشَ بَرْنِيعَ وَأَمَرَ: اصْعَدُوا لامْتِلاَكِ الأَرْضِ الَّتِي وَهَبْتُهَا لَكُمْ، عَصَيْتُمْ أَمْرَ الرَّبِّ إِلَهِكُمْ وَلَمْ تُصَدِّقُوهُ، وَلَمْ تَأْتَمِرُوا بِقَوْلِهِ، | ٢٣ |
| فَأَنْتُمْ حَقّاً مُتَمَرِّدُونَ عَلَى الرَّبِّ مُنْذُ أَنْ عَرَفْتُكُمْ. | ٢٤ |
25 ২৫ যা হোক, আমি উপুড় হয়ে থাকলাম; ঐ চল্লিশ দিন রাত আমি সদাপ্রভুর সামনে উপুড় হয়ে থাকলাম; কারণ সদাপ্রভু তোমাদেরকে ধ্বংস করার কথা বলেছিলেন।
| فَسَقَطْتُ أَمَامَ الرَّبِّ أَرْبَعِينَ نَهَاراً وَأَرْبَعِينَ لَيْلَةً، لأَنَّ الرَّبَّ أَعْلَنَ أَنَّهُ عَازِمٌ أَنْ يَقْضِيَ عَلَيْكُمْ. | ٢٥ |
26 ২৬ আর আমি সদাপ্রভুর কাছে এই প্রার্থনা করলাম, “প্রভু সদাপ্রভু, তুমি নিজের অধিকারস্বরূপ যে লোকদেরকে নিজের মহিমায় মুক্ত করেছ ও শক্তিশালী হাতের মাধ্যমে মিশর থেকে বের করে এনেছ, তাদেরকে ধ্বংস কর না।
| وَابْتَهَلْتُ إِلَى الرَّبِّ قَائِلاً: يَاسَيِّدُ الرَّبُّ، لاَ تُهْلِكْ شَعْبَكَ وَمِيرَاثَكَ الَّذِي افْتَدَيْتَهُ بِقُوَّتِكَ الْعَظِيمَةِ، وَأَخْرَجْتَهُ مِنْ مِصْرَ بِقُدْرَةٍ فَائِقَةٍ. | ٢٦ |
27 ২৭ তোমার দাসদেরকে, অব্রাহাম, ইস্হাক ও যাকোবকে মনে কর; এই লোকদের একগুঁয়েমিতার, দুষ্টতার ও পাপের প্রতি দেখ না;
| اُذْكُرْ عَبِيدَكَ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ، وَتَغَاضَ عَنْ عِنَادِ هَذَا الشَّعْبِ وَإِثْمِهِ وَخَطِيئَتِهِ، | ٢٧ |
28 ২৮ সুতরাং তুমি আমাদেরকে যে দেশ থেকে বের করে এনেছ, সেই দেশীয় লোকেরা এই কথা বলে, সদাপ্রভু ওদেরকে যে দেশ দিতে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, সে দেশে নিয়ে যেতে পারেননি এবং তাদেরকে ঘৃণা করেছেন বলেই তিনি মরুপ্রান্তে হত্যা করার জন্যে তাদেরকে বের করে এনেছেন।
| لِئَلاَّ يَقُولَ أَهْلُ مِصْرَ الَّذِينَ أَخْرَجْتَنَا مِنْ بَيْنِهِمْ: لَقَدْ أَخْرَجَهُمُ الرَّبُّ لِيُهْلِكَهُمْ فِي الْبَرِّيَّةِ، لأَنَّهُ عَجَزَ عَنْ إِدْخَالِهِمْ إِلَى الأَرْضِ الَّتِي وَعَدَهُمْ بِهَا، وَلأَنَّهُ مَقَتَهُمْ. | ٢٨ |
29 ২৯ তবুও তারাই তোমার লোক ও তোমার অধিকার; এদেরকে তুমি নিজের মহাশক্তি ও ক্ষমতা প্রদর্শনের মাধ্যমে বের করে এনেছ।”
| إِنَّهُمْ شَعْبُكَ وَمِيرَاثُكَ الَّذِي أَخْرَجْتَهُ بِقُوَّتِكَ الْعَظِيمَةِ وَقُدْرَتِكَ الْفَائِقَةِ. | ٢٩ |
