< দ্বিতীয় বিবরণ 34 >

1 মোশি মোয়াবের সমভূমি থেকে নবো পর্বতে, যিরীহোর সামনে অবস্থিত পিস্‌গা শৃঙ্গে উঠলেন। আর সদাপ্রভু তাকে সমস্ত দেশ, দান পর্যন্ত গিলিয়দ
এরপর মোশি মোয়াবের সমতল থেকে যিরীহোর উল্টোদিকে পিস্‌গা পর্বতমালার মধ্যে নেবো পর্বতে উঠলেন। সেখান থেকে সদাপ্রভু তাঁকে সমগ্র দেশটি দেখালেন—গিলিয়দ থেকে দান পর্যন্ত,
2 এবং সমস্ত নপ্তালি, আর ইফ্রয়িম ও মনঃশির দেশ এবং পশ্চিমে মহাসমুদ্র পর্যন্ত যিহূদার সমস্ত দেশ
নপ্তালির সমস্ত স্থান, ইফ্রয়িম ও মনঃশির দেশ, যিহূদার দেশ ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত,
3 এবং দক্ষিণ দেশ ও সোয়র পর্যন্ত তাল গাছের শহর যিরীহোর উপত্যকার অঞ্চল দেখালেন।
নেগেভ এবং খেজুর নগর যিরীহোর তলভূমির সমস্ত অঞ্চল থেকে সোয়র পর্যন্ত।
4 আর সদাপ্রভু তাকে বললেন, “আমি যে দেশের বিষয়ে শপথ করে অব্রাহামকে, ইস্‌হাককে ও যাকোবকে বলেছিলাম, আমি তোমার বংশকে সেই দেশ দেব, এ সেই দেশ; আমি ওটা তোমাকে চোখে দেখালাম, কিন্তু তুমি পার হয়ে ঐ জায়গা যাবে না।”
তারপর সদাপ্রভু তাঁকে বললেন, “এই সেই দেশ যা আমি অব্রাহাম, ইস্‌হাক ও যাকোবের কাছে শপথ করে বলেছিলাম, ‘দেশটি আমি তোমার বংশধরদের দেব।’ আমি সেটি তোমাকে নিজের চোখে দেখতে দিলাম, কিন্তু তুমি পার হয়ে সেই স্থানে যাবে না।”
5 তখন সদাপ্রভুর দাস মোশি সদাপ্রভুর কথা অনুসারে সেই জায়গায় মোয়াব দেশে মারা গেলেন।
তখন সদাপ্রভুর দাস মোশি মোয়াব দেশে মারা গেলেন, যেমন সদাপ্রভু বলেছিলেন।
6 আর তিনি মোয়াব দেশে বৈৎ-পিয়োরের সামনে অবস্থিত উপত্যকাতে তাঁকে কবর দিলেন; কিন্তু তাঁর কবরস্থান আজও কেউ জানে না।
মোয়াব দেশের বেথ-পিয়োরের সামনের উপত্যকাতে সদাপ্রভুই তাঁকে কবর দিলেন, কিন্তু তাঁর কবরটি যে কোথায় তা আজ পর্যন্ত কেউ জানে না।
7 মৃত্যুর দিন মোশির বয়স একশো কুড়ি বছর হয়েছিল; তাঁর চক্ষু ক্ষীণ হয়নি ও তাঁর তেজের হ্রাস হয় নাই।
মারা যাবার সময় মোশির বয়স হয়েছিল 120 বছর, তবুও তাঁর দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়নি কিংবা তাঁর গায়ের জোরও কমে যায়নি।
8 পরে ইস্রায়েলের লোকদের মোশির জন্য মোয়াবের সমভূমিতে ত্রিশ দিন শোক করল; এভাবে মোশির শোকের দিন শেষ হল।
ইস্রায়েলীরা মোয়াবের সমভূমিতে মোশির জন্য সেই ত্রিশ দিন শোক পালন করল, যতক্ষণ না কান্নাকাটি ও দুঃখপ্রকাশের সময় শেষ হল।
9 আর নূনের ছেলে যিহোশূয় বিজ্ঞতার আত্মায় পরিপূর্ণ ছিলেন, কারণ মোশি তাঁর উপরে হাত রেখেছিলেন; আর ইস্রায়েলের লোকরা তাঁর কথায় মনোযোগ দিয়ে মোশির প্রতি সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে কাজ করতে লাগল।
আর নূনের ছেলে যিহোশূয় বিজ্ঞতার আত্মায় পরিপূর্ণ হয়েছিলেন, কারণ মোশি তাঁর উপরে হাত রেখেছিলেন। সেইজন্য ইস্রায়েলীরা তাঁর কথা শুনত এবং সদাপ্রভু মোশিকে যে আজ্ঞা দিয়েছিলেন সেই অনুসারে কাজ করত।
10 ১০ মোশির মতো কোনো ভাববাদী ইস্রায়েলের মধ্যে আর সৃষ্টি হয়নি; সদাপ্রভু তাঁর সঙ্গে সামনাসামনি আলাপ করতেন;
আজও পর্যন্ত ইস্রায়েলীদের মধ্যে মোশির মতো আর কোনও ভাববাদী জন্মাননি যার সঙ্গে সদাপ্রভু বন্ধুর মতো সামনাসামনি কথা বলতেন,
11 ১১ প্রকৃত পক্ষে সদাপ্রভু তাঁকে পাঠালে তিনি মিশর দেশে, ফরৌণের, তাঁর সব দাসের ও তাঁর সব দেশের প্রতি সবধরনের চিহ্ন ও অদ্ভুত লক্ষণ দেখালেন
যিনি সেইসব চিহ্ন ও আশ্চর্য কাজ করেছিলেন যেগুলি সদাপ্রভু তাঁকে দিয়ে করাবার জন্য মিশরে পাঠিয়েছিলেন—ফরৌণের ও তার কর্মচারীদের এবং তার সমস্ত দেশের কাছে।
12 ১২ এবং সমস্ত ইস্রায়েলের দৃষ্টিতে মোশি শক্তিশালী হাতের ও ভয়ঙ্করতার কত না কাজ করেছিলেন।
কেননা কেউ এমন পরাক্রম কিংবা ভয়ংকর কাজ করেনি যা মোশি সমস্ত ইস্রায়েলের সামনে করেছিলেন।

< দ্বিতীয় বিবরণ 34 >