দ্বিতীয় বিবরণ 20

1 ১ যখন তুমি তোমার শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যাবে এবং যদি দেখো নিজের থেকে বেশি ঘোড়া, রথ ও লোক দেখ, তবে সেই সব থেকে ভয় পেয় না, সদাপ্রভু তোমার সঙ্গে আছেন, যিনি মিশর দেশ থেকে তোমাকে নিয়ে এসেছেন।

١ إِذَا ذَهَبْتُمْ لِمُحَارَبَةِ عَدُوِّكُمْ، وَوَجَدْتُمْ أَنَّ عَدُوَّكُمْ أَكْثَرُ مِنْكُمْ عَدَداً وخَيْلاً وَمَرْكَبَاتٍ، فَلاَ تَخَافُوا مِنْهُ، لأَنَّ الرَّبَّ إِلَهَكُمُ الَّذِي حَرَّرَكُمْ مِنْ دِيَارِ مِصْرَ يَقِفُ مَعَكُمْ.

2 ২ আর তোমরা যখন যুদ্ধের জন্যে কাছাকাছি আসবে, তখন যাজক আসবে এবং লোকদের কাছে বলবে,

٢ وَعِنْدَمَا تَكُونُونَ عَلَى وَشْكِ خَوْضِ الْمَعْرَكَةِ يَتَقَدَّمُ الْكَاهِنُ وَيُخَاطِبُ الْجَيْشَ:

3 ৩ তাদেরকে বলবে, “হে ইস্রায়েল, শোনো, তোমরা আজ তোমাদের শত্রুদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে কাছে যাচ্ছ; তোমাদের হৃদয় দুর্বল না হোক; ভয় কর না, কেঁপে যেও না বা ওদের থেকে ভয় পেও না।

٣ اسْمَعْ يَاإِسْرَائِيلُ: أَنْتُمُ الْيَوْمَ مُوشِكُونَ عَلَى مُحَارَبَةِ أَعْدَائِكُمْ، فَلاَ تَهِنْ قُلُوبُكُمْ، لاَ تَخَافُوا مِنْهُمْ وَلاَ تَرْتَعِدُوا وَلاَ تَرْهَبُوهُمْ،

4 ৪ কারণ সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর যিনি সঙ্গে যাচ্ছেন তোমাদের জন্য শত্রুদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে এবং তোমাদের উদ্ধার করতে তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে যাচ্ছেন।”

٤ لأَنَّ الرَّبَّ إِلَهَكُمْ سَائِرٌ مَعَكُمْ لِمُحَارَبَةِ أَعْدَائِكُمْ عَنْكُمْ، وَلِيُخَلِّصَكُمْ.

5 ৫ পরে অধ্যক্ষরা লোকদেরকে এই কথা বলবে, “তোমাদের মধ্যে কে নতুন বাড়ি তৈরী করে তার প্রতিষ্ঠা করে নি? সে যুদ্ধে মারা গেলে পাছে অন্য লোক তার প্রতিষ্ঠা করে, এই জন্য সে নিজের বাড়ি ফিরে যাক।

٥ ثُمَّ يَقُولُ الْقَادَةُ لِلْجَيْشِ: هَلْ بَيْنَكُمْ مَنْ بَنَى بَيْتاً جَدِيداً وَلَمْ يُدَشِّنْهُ بَعْدُ؟ فَلْيَرْجِعْ إِلَى بَيْتِهِ، لِئَلاَّ يُقْتَلَ فِي الْمَعْرَكَةِ فَيُدَشِّنَهُ رَجُلٌ آخَرُ.

6 ৬ আর কে আঙ্গুর ক্ষেত তৈরী করে তার ফল ভোগ করে নি? সে যুদ্ধে মারা গেলে পাছে অন্য লোক তার ফল ভোগ করে, এই জন্য সে নিজের বাড়ি ফিরে যাক।

٦ هَلْ بَيْنَكُمْ مَنْ غَرَسَ كَرْماً وَلَمْ يَجْنِ أَوَّلَ ثِمَارِهِ بَعْدُ؟ فَلْيَرْجِعْ إِلَى بَيْتِهِ لِئَلاَّ يُقْتَلَ فِي الْمَعْرَكَةِ فَيَجْنِيَ أَوَّلَ ثِمَارِ كَرْمِهِ رَجُلٌ آخَرُ.

7 ৭ আর বাগ্‌দান হলেও কে বিয়ে করে নি? সে যুদ্ধে মারা গেলে পাছে অন্য লোক সেই মেয়েকে বিয়ে করে, এই জন্য সে নিজের বাড়ি ফিরে যাক।”

٧ هَلْ بَيْنَكُمْ رَجُلٌ خَطَبَ امْرَأَةً وَلَمْ يَتَزَوَّجْهَا بَعْدُ؟ لِيَرْجِعْ إِلَى بَيْتِهِ لِئَلاَّ يُقْتَلَ فِي الْمَعْرَكَةِ فَيَتَزَوَّجَهَا رَجُلٌ آخَرُ.

8 ৮ অধ্যক্ষরা লোকদের কাছে আরও কথা বলবে, তারা বলবে, “ভীত ও দুর্বলহৃদয় লোক কে আছে? সে নিজের বাড়ি ফিরে যাক, পাছে তার হৃদয়ের মতো তার ভাইদের হৃদয় গলে যায়।”

٨ ثُمَّ يَسْتَطْرِدُ قَادَةُ الْجَيْشِ قَائِلِينَ: هَلْ بَيْنَكُمْ رَجُلٌ خَائِفٌ وَاهِنُ الْقَلْبِ؟ لِيَرْجِعْ إِلَى بَيْتِهِ لِئَلاَّ يَعْتَرِيَ الْخَوْفُ قُلُوبَ إِخْوَتِهِ مِثْلَهُ.

9 ৯ পরে অধ্যক্ষরা লোকদের কাছে কথা শেষ করলে তারা লোকদের ওপরে সেনাপতিদেরকে নিযুক্ত করবে।

٩ وَعِنْدَمَا يَفْرُغُ الْقَادَةُ مِنْ مُخَاطَبَةِ الْجَيْشِ، يُعَيِّنُونَ ضُبَّاطاً عَلَى الْجُنُودِ.

10 ১০ যখন তুমি কোনো শহরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে তার কাছে আসবে, তখন তার কাছে সন্ধির কথা ঘোষণা করবে।

١٠ وَحِينَ تَتَقَدَّمُونَ لِمُحَارَبَةِ مَدِينَةٍ فَادْعُوهَا لِلصُّلْحِ أَوَّلاً.

11 ১১ তাতে যদি সে সন্ধি করতে রাজি হয়ে তোমার জন্য দরজা খুলে দেয়, তবে সেই শহরে যে সব লোক পাওয়া যায়, তারা তোমার দাস হবে এবং সেবা করবে।

١١ فَإِنْ أَجَابَتْكُمْ إِلَى الصُّلْحِ وَاسْتَسْلَمَتْ لَكُمْ، فَكُلُّ الشَّعْبِ السَّاكِنِ فِيهَا يُصْبِحُ عَبِيداً لَكُمْ.

12 ১২ কিন্তু যদি সে সন্ধি না করে তোমার সঙ্গে যুদ্ধ করে, তবে তুমি সেই শহর অবরোধ করবে।

١٢ وَإِنْ أَبَتِ الصُّلْحَ وَحَارَبَتْكُمْ فَحَاصِرُوهَا

13 ১৩ পরে তোমার সদাপ্রভু খড়্গ তোমার হাতে দিলে তুমি তার সব লোককে মেরে ফেলবে,

١٣ فَإِذَا أَسْقَطَهَا الرَّبُّ إِلَهُكُمْ فِي أَيْدِيكُمْ، فَاقْتُلُوا جَمِيعَ ذُكُورِهَا بِحَدِّ السَّيْفِ.

14 ১৪ কিন্তু স্ত্রীলোক, বালকবালিকা ও পশুরা প্রভৃতি শহরের সর্বস্ব, সব লুটের জিনিস নিজের জন্য লুট হিসাবে গ্রহণ করবে, আর তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর দেওয়া শত্রুদের লুট ভোগ করবে।

١٤ وَأَمَّا النِّسَاءُ وَالأَطْفَالُ وَالْبَهَائِمُ، وَكُلُّ مَا فِي الْمَدِينَةِ مِنْ أَسْلاَبٍ، فَاغْنَمُوهَا لأَنْفُسِكُمْ، وَتَمَتَّعُوا بِغَنَائِمِ أَعْدَائِكُمُ الَّتِي وَهَبَهَا الرَّبُّ إِلَهُكُمْ لَكُمْ.

15 ১৫ এই কাছাকাছি জাতিদের শহর ছাড়া যে সব শহর তোমার থেকে অনেক দূরে আছে, তাদেরই প্রতি এরকম করবে।

١٥ هَكَذَا تَفْعَلُونَ بِكُلِّ الْمُدُنِ النَّائِيَةِ عَنْكُمُ الَّتِي لَيْسَتْ مِنْ مُدُنِ الأُمَمِ الْقَاطِنَةِ هُنَا.

16 ১৬ কিন্তু এই জাতিদের যে সব শহর তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু অধিকারের জন্যে তোমাকে দেবেন, সেই সবের মধ্যে নিঃশ্বাস নেওয়ার মতো কাউকে বাঁচিয়ে রাখবে না;

١٦ أَمَّا مُدُنُ الشُّعُوبِ الَّتِي يَهَبُهَا الرَّبُّ إِلَهُكُمْ لَكُمْ مِيرَاثاً فَلاَ تَسْتَبْقُوا فِيهَا نَسَمَةً حَيَّةً،

17 ১৭ তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে তাদেরকে, হিত্তীয়, ইমোরীয়, কনানীয়, পরিষীয়, হিব্বীয় ও যিবূষীয়দেরকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করবে;

١٧ بَلْ دَمِّرُوهَا عَنْ بِكْرَةِ أَبِيهَا، كَمُدُنِ الْحِثِّيِّينَ وَالأَمُورِيِّينَ وَالْكَنْعَانِيِّينَ وَالْفِرِزِّيِّينَ وَالْحِوِّيِّينَ وَالْيَبُوسِيِّينَ كَمَا أَمَرَكُمُ الرَّبُّ إِلَهُكُمْ،

18 ১৮ সুতরাং তারা নিজেদের দেবতাদের উদ্দেশ্যে যে সব ঘৃণার্হ কাজ করে, সেরকম করতে তোমাদেরকেও শেখায়, আর যদি তোমরা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে পাপ কর।

١٨ لِكَيِ لاَ يُعَلِّمُوكُمْ رَجَاسَاتِهِمِ الَّتِي مَارَسُوهَا فِي عِبَادَةِ آلِهَتِهِمْ، فَتَغْوُوا وَرَاءَهُمْ وَتُخْطِئُوا إِلَى الرَّبِّ إِلَهِكُمْ.

19 ১৯ যখন তুমি কোনো শহর অধিকার করার জন্যে যুদ্ধ করে অনেক দিন পর্যন্ত তা অবরোধ কর, তখন কুড়াল দিয়ে সেখানকার গাছ কাটবে না; কারণ তুমি তার ফল খেতে পার, সুতরাং সেগুলি কাটবে না; কারণ ক্ষেত্রের গাছ কি মানুষ যে, তাও তোমার অবরোধের যোগ্য হবে?

١٩ وَإِذَا حَاصَرْتُمْ مَدِينَةً حِقْبَةً طَوِيلَةً مُعْلِنِينَ الْحَرْبَ عَلَيْهَا لاِفْتِتَاحِهَا، فَلاَ تَقْطَعُوا أَشْجَارَهَا بِحَدِّ الْفَأْسِ وَتُتْلِفُوهَا لأَنَّكُمْ تَأْكُلُونَ مِنْ ثِمَارِهَا. هَلْ شَجَرَةُ الْحَقْلِ إِنْسَانٌ حَتَّى تَهْرُبَ مِنْ أَمَامِكُمْ فِي الْحِصَارِ؟

20 ২০ তুমি যে সব গাছগুলির বিষয়ে জানো সেগুলি থেকে খাদ্য জন্মায় না, সে সব তুমি নষ্ট করতে ও কাটতে পারবে এবং তোমার সঙ্গে যুদ্ধকারী শহর যতক্ষণ না পড়ে যায়, ততক্ষণ সেই শহরের বিরুদ্ধে দাঙ্গা বাঁধতে পারবে।

٢٠ أَمَّا الأَشْجَارُ الَّتِي لاَ يُؤْكَلُ ثَمَرُهَا فَأَتْلِفُوهَا وَاقْطَعُوهَا، لاِسْتِخْدَامِهَا فِي بِنَاءِ حُصُونٍ حَوْلَ الْمَدِينَةِ الْمُحَاصَرَةِ الْمُتَحَارِبَةِ مَعَكُمْ، إِلَى أَنْ يَتِمَّ سُقُوطُهَا.