< দ্বিতীয় বিবরণ 14 >

1 তোমরা নিজেদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর লোক; তোমরা মৃত লোকদের জন্য নিজেদের শরীর কাটবে না এবং মুখের কোনো অংশে কামাবে না।
তোমরা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সন্তান। তোমরা মৃত লোকদের জন্য দেহের কোনও জায়গায় ক্ষত করবে না কিংবা মাথার সামনের চুল কামাবে না,
2 কারণ তুমি ঈশ্বর সদাপ্রভুর পবিত্র লোক; পৃথিবীতে অবস্থিত সমস্ত জাতির মধ্যে থেকে সদাপ্রভু নিজের অধিকারের লোক করার জন্যেই তোমাকেই বেছেছেন।
কেননা তোমরা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর পবিত্র প্রজা। পৃথিবীর সমস্ত জাতির মধ্য থেকে সদাপ্রভু তোমাদের বেছে নিয়েছেন যাতে তোমরা তাঁর নিজের বিশেষ সম্পত্তি হও।
3 তুমি কোনো অশুচি জিনিস খাবে না।
কোনও ঘৃণ্য জিনিস খাবে না।
4 এই সব পশু যা তুমি খেতে পার; গরু, মেষ এবং ছাগল,
এসব পশু তোমরা খেতে পারো: গরু, মেষ, ছাগল,
5 হরিণ, কৃষ্ণসার হরিণ এবং ছোট হরিণ, বনছাগল, বন্যগরু ও সাদালেজ বিশিষ্ট হরিণ এবং পাহাড়ি মেষ।
হরিণ, গজলা হরিণ, রাই হরিণ, বুনো ছাগল, বুনো ছাগবিশেষ, কৃষ্ণসার হরিণ এবং পাহাড়ি মেষ।
6 আর পশুদের মধ্যে যত পশু সম্পূর্ণ দুই খণ্ড খুরবিশিষ্ট ও জাবর কাটে, সেই সকল তোমরা খেতে পার।
যেসব পশু দ্বিখণ্ড খুরবিশিষ্ট ও জাবর কাটে তার মাংস তোমরা ভোজন করতে পারবে।
7 কিন্তু যারা জাবর কাটে, কিংবা দুই খণ্ড খুরবিশিষ্ট, তাদের মধ্যে এইগুলি খাবে না; উট, খরগোশ ও শাফন; কারণ তারা জাবর কাটে বটে, কিন্তু দুই খণ্ড খুরবিশিষ্ট না, তারা তোমাদের পক্ষে অশুচি;
কিন্তু, যারা জাবর কাটে অথবা কেবল দ্বিখণ্ড খুরবিশিষ্ট এমন পশু যেমন উট, খরগোশ অথবা শাফন খাবে না। যদিও তারা জাবর কাটে, তাদের খুর চেরা নয়; সেগুলি তোমাদের পক্ষে অশুচি।
8 আর শূকর দুই খণ্ড খুরবিশিষ্ট বটে, কিন্তু জাবর কাটে না, সে তোমাদের পক্ষে অশুচি; তোমরা তাদের মাংস খাবে না, তাদের মৃতদেহ ছোঁবেও না।
শূকরও অশুচি; যদিও তার খুর দ্বিখণ্ডিত, সে জাবর কাটে না। তোমরা তাদের মাংস খাবে না কিংবা তাদের মৃতদেহও ছোঁবে না।
9 জলচর সকলের মধ্যে এই সব তোমাদের খাবার; যাদের পাখনা ও আঁশ আছে, তাদেরকে খেতে পার।
জলে বাস করা প্রাণীদের মধ্যে যেগুলির ডানা ও আঁশ আছে সেগুলি তোমরা খেতে পারবে।
10 ১০ কিন্তু যাদের পাখনা ও আঁশ নেই, তাদেরকে খাবে না, তারা তোমাদের পক্ষে অশুচি।
কিন্তু যেগুলির ডানা ও আঁশ নেই সেগুলি তোমরা খেতে পারবে না; তোমাদের জন্য সেগুলি অশুচি।
11 ১১ তোমরা সব ধরনের শুচি পাখি খেতে পার
তোমরা যে কোনো শুচি পাখি খেতে পারো।
12 ১২ কিন্তু এগুলি খাবে না; ঈগল, শকুন, বক,
কিন্তু এগুলি তোমরা খাবে না যেমন ঈগল, শকুন, কালো শকুন,
13 ১৩ লাল চিল, কালো চিল ও নিজেদের জাতি অনুসারে সারস,
লাল চিল, কালো চিল, যে কোনো বাজপাখি,
14 ১৪ আর নিজেদের জাতি অনুসারে সব ধরনের কাক,
যে কোনো ধরনের দাঁড়কাক,
15 ১৫ আর উটপাখি, রাতের বাজপাখি, শঙ্খচিল ও নিজেদের জাতি অনুসারে বাজপাখি
শিংযুক্ত প্যাঁচা, কালপ্যাঁচা, শঙ্খচিল, যে কোনোরকম বাজপাখি,
16 ১৬ এবং পেঁচা, বড় পেঁচা ও সাদা পেঁচা;
ছোটো প্যাঁচা, বড়ো প্যাঁচা, সাদা প্যাঁচা,
17 ১৭ বড় জলচর পাখি, শকুনী ও মাছরাঙ্গা,
মরু-প্যাঁচা, সিন্ধু-ঈগল, পানকৌড়ি,
18 ১৮ এবং সারস ও নিজেদের জাতি অনুসারে বক, ঝুঁটিওয়ালা পাখি বিশেষ ও বাদুড়।
সারস, যে কোনো ধরনের কাক, ঝুঁটিওয়ালা পাখি ও বাদুড়।
19 ১৯ আর ডানাবিশিষ্ট পোকা তোমাদের পক্ষে অশুচি; এ সব খাওয়ার উপযুক্ত না।
উড়ে বেড়ায় এমন সব পোকা তোমাদের পক্ষে অশুচি; সেগুলি খাবে না।
20 ২০ তোমরা সমস্ত উড়ন্ত জিনিস খেতে পার।
কিন্তু যেসব প্রাণীর ডানা আছে এবং শুচি সেগুলি তোমরা খেতে পারবে।
21 ২১ তোমরা নিজে থেকে মারা যাওয়া কোনো প্রাণীর মাংস খাবে না; তোমার শহরের দরজার মাঝখানে কোনো বিদেশীকে খাওয়ার জন্যে তা দিতে পার, কিংবা বিজাতীয় লোকের কাছে বিক্রি করতে পার; কারণ তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর পবিত্র লোক। তুমি বাচ্চা ছাগলকে তার মায়ের দুধে রান্না করবে না।
মরে পড়ে থাকা কোনো প্রাণী তোমরা খাবে না। তোমাদের নগরে বসবাস করা অন্য জাতির কোনো লোককে তোমরা সেটি দিয়ে দিতে পারবে এবং সে তা খেতে পারবে, কিংবা তোমরা কোনো বিদেশির কাছে সেটি বিক্রি করে দিতে পারবে। কিন্তু তোমরা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু কাছে পবিত্র প্রজা। ছাগলছানার মাংস তার মায়ের দুধে রান্না করবে না।
22 ২২ তুমি তোমার বীজ থেকে উৎপন্ন সব শস্যের, বছর বছর যা ক্ষেতে উৎপন্ন হয়, তার দশমাংশ আলাদা করে দেবে।
প্রত্যেক বছর তোমাদের জমিতে যেসব ফসল ফলবে তার দশ ভাগের এক ভাগ তোমরা অবশ্যই আলাদা করে রাখবে।
23 ২৩ আর তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু নিজের নামের বসবাসের জন্যে যে জায়গা বাছবেন, সে জায়গায় তুমি নিজের শস্যের, আঙ্গুররসের ও তেলের দশমাংশ এবং গরু মেষপালের প্রথমজাতদেরকে তাঁর সামনে খাবে; এই ভাবে নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে সবদিন ভয় করতে শিখবে।
তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে যাতে তোমরা সবসময় ভক্তি করতে শেখো সেইজন্য তোমাদের শস্য, নতুন দ্রাক্ষারস ও জলপাই তেলের দশমাংশ এবং তোমাদের পালের গরু, মেষ ও ছাগলের প্রথম শাবক তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে খাবে। তোমাদের এমন জায়গায় খেতে হবে যে জায়গাটি তিনি নিজেকে প্রকাশ করবার জন্য তাঁর বাসস্থান হিসেবে বেছে নেবেন।
24 ২৪ সেই যাত্রা যদি তোমার জন্যে অনেক দীর্ঘ হয়, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু নিজের নাম স্থাপনের জন্যে যে জায়গা মনোনীত করবেন, তার দূরত্বের জন্য যদি তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আশীর্বাদে পাওয়া জিনিস সেখান থেকে নিয়ে যেতে না পার,
কিন্তু যদি সেই জায়গাটি খুব দূরে হয় এবং তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের এত আশীর্বাদ করে থাকেন যে সেই দশ ভাগের এক ভাগ বয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় (কারণ যে জায়গাটি সদাপ্রভু তাঁর নামের জন্য মনোনীত করবেন সেটি অনেক দূরে),
25 ২৫ তবে সেই জিনিস টাকায় রূপান্তরিত করে সে টাকা বেঁধে হাতে নিয়ে নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর মনোনীত জায়গায় যাবে।
তোমাদের দশমাংশ রুপোর সঙ্গে বদলে নেবে, এবং সেই রুপো সঙ্গে নিয়ে তোমরা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর মনোনীত জায়গায় যাবে।
26 ২৬ পরে সেই টাকা দিয়ে তোমার মনের ইচ্ছায় গরু কি মেষ কি আঙ্গুর রস কি মদ, বা যে কোনো জিনিসে তোমার মনের ইচ্ছা হয়, তা কিনে নিয়ে সেই জায়গায় তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে খেয়ে সপরিবারে আনন্দ করবে।
সেই রুপো ব্যবহার করে তোমরা যা ইচ্ছা কিনতে পারবে যেমন গরু, মেষ, দ্রাক্ষারস কিংবা গাঁজানো পানীয় বা তোমাদের খুশিমতো যা কিছু। তারপর তোমরা তোমাদের পরিবার নিয়ে তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে খাওয়াদাওয়া করে আনন্দ করবে।
27 ২৭ আর তোমার শহরের দরজার মাঝখানে লেবীয়কে ত্যাগ করবে না, কারণ তোমার সঙ্গে তার কোনো অংশ কি অধিকার নেই।
যে লেবীয়েরা তোমাদের নগরে বসবাস করে তাদের অবহেলা করবে না, কারণ তাদের নিজেদের কোনও ভাগ বা উত্তরাধিকার নেই।
28 ২৮ তৃতীয় বছরের শেষে তুমি সেই বছরে উৎপন্ন নিজের শস্যাদির যাবতীয় দশমাংশ বের করে এনে নিজের শহরের দরজার ভিতরে সঞ্চয় করে রাখবে;
প্রত্যেক তৃতীয় বছরের শেষে, তোমাদের সেই বছরের ফসলের দশমাংশ তোমাদের নগরে জমা করবে,
29 ২৯ তাতে তোমার সঙ্গে যার কোনো অংশ কি অধিকার নেই, সেই লেবীয় এবং বিদেশী, পিতৃহীন ও বিধবা, তোমার শহরের দরজার মধ্যে এই সব লোক এসে খেয়ে তৃপ্তি পাবে; এই ভাবে যেন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার হাতের সব কাজে তোমাকে আশীর্বাদ করেন।
যেন লেবীয়েরা (যাদের নিজেদের কোনো ভাগ বা উত্তরাধিকার নেই) এবং বিদেশিরা, পিতৃহীন ও বিধবা যারা তোমাদের নগরে বাস করে তারা এসে খেয়ে তৃপ্ত হতে পারে, এবং যেন তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের হাতের সব কাজে আশীর্বাদ করেন।

< দ্বিতীয় বিবরণ 14 >