দ্বিতীয় বিবরণ 13

1 ১ তোমার মধ্য কোনো ভাববাদী কিংবা স্বপ্নদর্শক উঠে যদি তোমার জন্য কোনো চিহ্ন কিংবা অদ্ভুত লক্ষণ ঠিক করে দেয়

١ إِذَا ظَهَرَ بَيْنَكُمْ نَبِيٌّ أَوْ صَاحِبُ أَحْلامٍ، وَتَنَبَّأَ بِوُقُوعِ آيَةٍ أَوْ أُعْجُوبَةٍ.

2 ২ এবং সেই চিহ্ন কিংবা অদ্ভুত লক্ষণ সফল হয়, যার বিষয়ে সে তোমার অজানা অন্য দেবতাদের বিষয়ে তোমাদেরকে বলেছিল, “এস, আমরা তাদের অনুগামী হই ও তাদের সেবা করি,”

٢ فَتَحَقَّقَتْ تِلْكَ الآيَةُ أَوِ الأُعْجُوبَةُ الَّتِي تَنَبَّأَ بِها، ثُمَّ قَالَ: هَلُمَّ نَذْهَبُ وَرَاءَ آلِهَةٍ أُخْرَى لَمْ تَعْرِفُوهَا وَنَعْبُدُهَا.

3 ৩ তবে তুমি সেই ভাববাদীর কিংবা সেই স্বপ্নদর্শনকারীর কথায় কান দিও না; কারণ তোমরা তোমাদের সমস্ত হৃদয় ও তোমাদের সমস্ত প্রাণের সঙ্গে নিজেদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে প্রেম কর কি না, তা জানবার জন্য তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের পরীক্ষা করেন।

٣ فَلا تُصْغُوا إِلَى كَلامِ ذَلِكَ النَّبِيِّ أَوْ صَاحِبِ الأَحْلامِ، لأَنَّ الرَّبَّ إِلَهَكُمْ يُجَرِّبُكُمْ لِيَرَى إِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّونَهُ مِنْ كُلِّ قُلُوبِكُمْ وَمِنْ كُلِّ أَنْفُسِكُمْ،

4 ৪ তোমরা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুরই অনুগামী হও, তাঁকেই ভয় কর, তাঁরই আদেশ পালন কর, তাঁরই রবে মনোযোগ দাও, তাঁরই সেবা কর ও তাতেই যুক্ত থাক।

٤ فَاتْبَعُوا الرَّبَّ إِلَهَكُمْ وَاتَّقُوهُ، وَأَطِيعُوا وَصَايَاهُ وَاسْمَعُوا صَوْتَهُ، وَاعْبُدُوهُ وَتَمَسَّكُوا بِهِ.

5 ৫ আর সেই ভাববাদীর কিংবা সেই স্বপ্নদর্শনকারীর প্রাণদণ্ড করতে হবে; কারণ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, যিনি মিশর দেশ থেকে তোমাদেরকে বের করে এনেছেন, দাসত্বের বাড়ি থেকে তোমাকে মুক্ত করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে সে বিপথে যাওয়ার কথা বলেছে এবং তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যে পথে গমন করতে তোমাকে আদেশ করেছেন, তা থেকে তোমাকে বের করে দিতে চায়। তাই তুমি নিজের মধ্য থেকে খারাপ বিষয় বাদ দাও।

٥ أَمَّا ذَلِكَ النَّبِيُّ أَوِ الْحَالِمُ فَإِنَّهُ يُقْتَلُ، لأَنَّهُ نَطَقَ بِالْبُهْتَانِ ضِدَّ الرَّبِّ إِلَهِكُمُ الَّذِي أَخْرَجَكُمْ مِنْ دِيَارِ مِصْرَ، وَفَدَاكُمْ مِنْ نِيرِ الْعُبُودِيَّةِ، لِيُضِلَّكُمْ عَنِ الطَّرِيقِ الَّتِي أَمَرَكُمْ بِسُلُوكِهَا، فَتَسْتَأْصِلُونَ الشَّرَّ مِنْ بَيْنِكُمْ.

6 ৬ তোমার ভাই, তোমার মায়ের ছেলে কিংবা তোমার ছেলে কি মেয়ে কিংবা তোমার প্রিয় স্ত্রী কিংবা তোমার প্রাণের বন্ধু যদি গোপনে তোমাকে লোভ দিয়ে বলে, “এস, আমরা গিয়ে অন্য দেবতাদের সেবা করি,

٦ وَإذَا أَضَلَّكَ سِرّاً أَخُوكَ ابْنُ أُمِّكَ، أَوِ ابْنُكَ أَوِ ابْنَتُكَ، أَوْ زَوْجَتُكَ الْمَحْبُوبَةُ، أَوْ صَدِيقُكَ الْحَمِيمُ قَائِلاً: لِنَذْهَبْ وَنَعْبُدْ آلِهَةً أُخْرَى غَرِيبَةً عَنْكَ وَعَنْ آبَائِكَ

7 ৭ তোমার অজানা ও তোমার পূর্বপুরুষদের অজানা কোনো দেবতা, তোমার চারদিকের কাছাকাছি কিংবা তোমার থেকে দূরে, পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত যে কোনো জাতির যে কোনো দেবতা হোক, তার বিষয়ে যদি এই কথা বলে, তবে তুমি সেই ব্যক্তির কথায় রাজি হবে না,”

٧ مِنْ آلِهَةِ الشُّعُوبِ الأُخْرَى الْمُحِيطَةِ بِكَ أَوِ الْبَعِيدَةِ عَنْكَ مِنْ أَقْصَى الأَرْضِ إِلَى أَقْصَاهَا،

8 ৮ তার কথায় মন দিও না অথবা কান দিও না; তোমার চোখ তার প্রতি দয়া করবে না, তাঁকে কৃপা করবে না, তাঁকে লুকিয়ে রাখবে না।

٨ فَلا تَسْتَجِبْ لَهُ وَلا تُصْغِ إِلَيْهِ، وَلا يُشْفِقْ قَلْبُكَ عَلَيْهِ، وَلا تَتَرَّأفْ بِهِ، وَلا تَتَسَتَّرْ عَلَيْهِ.

9 ৯ কিন্তু অবশ্য তুমি তাকে হত্যা করবে; তাকে হত্যা করার জন্য প্রথমে তুমিই তার ওপরে হাত দেবে, পরে সমস্ত লোক হাত দেবে।

٩ بَلْ حَتْماً تَقْتُلُهُ. كُنْ أَنْتَ أَوَّلَ قَاتِلِيهِ، ثُمَّ يَعْقُبُكَ بَقِيَّةُ الشَّعْبِ.

10 ১০ তুমি তাকে পাথরের আঘাত করবে, যেন সে মারা যায়; কারণ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু, যিনি মিশর দেশ থেকে, দাসত্বের বাড়ি থেকে, তোমাকে বের করে এনেছেন, তার কাছ থেকে সে তোমাকে নষ্ট করতে চেষ্টা করেছে।

١٠ ارْجُمْهُ بِالْحِجَارَةِ حَتَّى يَمُوتَ، لأَنَّهُ سَعَى أَنْ يُضِلَّكَ عَنِ الرَّبِّ إِلَهِكَ الَّذِي أَخْرَجَكَ مِنْ دِيَارِ مِصْرَ مِنْ نِيرِ الْعُبُودِيَّةِ،

11 ১১ তাতে সমস্ত ইস্রায়েল তা শুনবে, ভয় পাবে এবং তোমার মধ্যে সেরকম খারাপ কাজ আর করবে না।

١١ فَيَشِيعَ الْخَبَرُ بَيْنَ الإِسْرَائِيلِيِّينَ جَمِيعِهِمْ وَيَخَافُونَ، وَلا يُعَاوِدُونَ ارْتِكَابَ مِثْلِ هَذَا الأَمْرِ الشَّنِيعِ بَيْنَكُمْ.

12 ১২ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে যে শহর বাস করতে দেবেন, তার কোনো শহরের বিষয়ে যদি শুনতে পাও যে,

١٢ إِنْ سَمِعْتُمْ عَنْ إِحْدَى مُدُنِكُمُ الَّتِي يَهَبُهَا الرَّبُّ إِلَهُكُمْ لِتَسْكُنُوا فِيهَا،

13 ১৩ কিছু খারাপ লোক তোমার মধ্যে থেকে বের হয়ে এই কথা বলে নিজের শহর নিবাসীদেরকে নষ্ট করেছে, এস, আমরা গিয়ে অন্য দেবতাদের সেবা করি, যাদেরকে তোমরা জানো না,

١٣ أَنَّ بَعْضَ الْفَاسِقِينَ قَدْ خَرَجُوا مِنْ بَيْنِكُمْ وَضَلَّلُوا سُكَّانَ مَدِينَتِهِمْ قَائِلِينَ: لِنَذْهَبْ وَنَعْبُدْ آلِهَةً أُخْرَى غَرِيبَةً عَنْكُمْ

14 ১৪ তবে তুমি জিজ্ঞাসা করবে, খোঁজ করবে ও যত্নসহকারে প্রশ্ন করবে; আর দেখ, তোমার মধ্যে এরকম ঘৃণার্হ খারাপ কাজ হয়েছে,

١٤ فَافْحَصُوا الأَمْرَ أَوَّلاً وَتَحَقَّقُوا مِنْهُ بِدِقَّةٍ. فَإِنْ تَبَيَّنَ لَكُمْ صِدْقُهُ، وَثَبَتَ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ الشَّنِيعَ قَدْ جَرَى فِعْلاً،

15 ১৫ এটা যদি সত্য ও নিশ্চিত হয়, তবে তুমি তলোয়ালের ধারে সেই শহরের নিবাসীদেরকে আঘাত করবে এবং শহর ও তার মধ্যে অবস্থিত পশু সহ সবই তলোয়ারের ধারে সম্পূর্ণ ধ্বংস করবে;

١٥ فَاقْضُوا قَضَاءً عَلَى سُكَّانِ تِلْكَ الْمَدِينَةِ وَعَلَى بَهَائِمِهِمْ وَاقْتُلُوهُمْ بِحَدِّ السَّيْفِ.

16 ১৬ আর তার লুট করা জিনিস সব তার চকের মধ্যে জড়ো করে সেই শহর ও সেই সব জিনিস সব দিক দিয়ে নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আগুনে পুড়িয়ে দেবে; তাতে সেই শহর চিরকাল ঢিবি হয়ে থাকবে, তা আর কখনো তৈরী হবে না।

١٦ وَاجْمَعُوا كُلَّ أَمْتِعَتِهَا وَكَوِّمُوهَا فِي وَسْطِ سَاحَتِهَا وَأَحْرِقُوا الْمَدِينَةَ مَعَ كُلِّ أَمْتِعَتِهَا كَامِلَةً، انْتِقَاماً لِلرَّبِّ، فَتُصْبِحَ تَلاً خَرَاباً إِلَى الأَبَدِ لَا تُبْنَى بَعْدُ.

17 ১৭ আর সেই বাদ দেওয়া জিনিসের কিছুই তোমার হাতে লেগে না থাকুক; যেন সদাপ্রভু নিজের প্রচণ্ড রাগ থেকে ফেরেন এবং তিনি তোমার পূর্বপুরুষদের কাছে যে শপথ করেছেন, সেই অনুসারে তোমার প্রতি দয়া ও করুণা করেন ও তোমার বৃদ্ধি করেন;

١٧ وَلا يَعْلَقُ شَيْءٌ بِأَيْدِيكُمْ مِمَّا هُوَ مُحَرَّمٌ مِنْهَا، لِيُخْمِدَ الرَّبُّ مِنِ احْتِدَامِ غَضَبِهِ وَيَمْنَحَكُمْ رَحْمَةً، فَيُبَارِكُكُمْ وَيُكَثِّرُكُمْ كَمَا أَقْسَمَ لِآبَائِكُمْ،

18 ১৮ যখন তুমি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর রবে কান দিয়ে, আমি আজ তোমাকে যে যে আজ্ঞা দিচ্ছি, তাঁর সেই সব আজ্ঞা পালন করবে ও তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর চোখে সঠিক আচরণ করবে।

١٨ إِنْ سَمِعْتُمْ لِصَوْتِ الرَّبِّ إِلَهِكُمْ وَأَطَعْتُمْ وَصَايَاهُ الَّتِي أَنَا أُوصِيكُمُ الْيَوْمَ بِها لِتَعْمَلُوا الْحَقَّ فِي عَيْنَيِ الرَّبِّ إِلَهِكُمْ.