দ্বিতীয় বিবরণ 1
1 ১ যর্দ্দন নদীর পূর্ব পারে অবস্থিত মরুপ্রান্তে, সূফের বিপরীতে অরাবা উপত্যকায়, পারণ, তোফল, লাবন, হৎসেরোৎ ও দীষাহবের মাঝখানে মোশি সমস্ত ইস্রায়েলকে এই সব কথা গুলি বললেন।
οὗτοι οἱ λόγοι οὓς ἐλάλησεν Μωυσῆς παντὶ Ισραηλ πέραν τοῦ Ιορδάνου ἐν τῇ ἐρήμῳ πρὸς δυσμαῖς πλησίον τῆς ἐρυθρᾶς ἀνὰ μέσον Φαραν Τοφολ καὶ Λοβον καὶ Αυλων καὶ καταχρύσεα
ἕνδεκα ἡμερῶν ἐν Χωρηβ ὁδὸς ἐπ’ ὄρος Σηιρ ἕως Καδης Βαρνη
3 ৩ সদাপ্রভু যে সব কথা ইস্রায়েলের লোকদেরকে বলতে মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন, সেই অনুযায়ী মোশি (মিশর ছেড়ে আসার) চল্লিশ বছরের এগারো মাসের প্রথম দিনের তাদেরকে বললেন।
καὶ ἐγενήθη ἐν τῷ τεσσαρακοστῷ ἔτει ἐν τῷ ἑνδεκάτῳ μηνὶ μιᾷ τοῦ μηνὸς ἐλάλησεν Μωυσῆς πρὸς πάντας υἱοὺς Ισραηλ κατὰ πάντα ὅσα ἐνετείλατο κύριος αὐτῷ πρὸς αὐτούς
4 ৪ পরে তিনি ইমোরীয়দের রাজা সীহোনকে, যিনি হিষ্বোনে বাস করতেন এবং বাশনের রাজা ওগকে, যিনি ইদ্রিয়ীর অষ্টারোতে বাস করতেন তাদেরকে আঘাত করলেন।
μετὰ τὸ πατάξαι Σηων βασιλέα Αμορραίων τὸν κατοικήσαντα ἐν Εσεβων καὶ Ωγ βασιλέα τῆς Βασαν τὸν κατοικήσαντα ἐν Ασταρωθ καὶ ἐν Εδραϊν
ἐν τῷ πέραν τοῦ Ιορδάνου ἐν γῇ Μωαβ ἤρξατο Μωυσῆς διασαφῆσαι τὸν νόμον τοῦτον λέγων
κύριος ὁ θεὸς ἡμῶν ἐλάλησεν ἡμῖν ἐν Χωρηβ λέγων ἱκανούσθω ὑμῖν κατοικεῖν ἐν τῷ ὄρει τούτῳ
7 ৭ তোমাদের যাত্রা শুরু কর, ইমোরীয়দের পার্বত্য অঞ্চলে এবং তার কাছাকাছি সব জায়গায়, অরাবা উপত্যকায়, পাহাড় অঞ্চলে, নীচু জায়গায়, দক্ষিণ প্রদেশে ও মহাসমুদ্রতীরে, মহানদী ফরাৎ পর্যন্ত কনানীয়দের দেশে ও লিবানোনে প্রবেশ কর।
ἐπιστράφητε καὶ ἀπάρατε ὑμεῖς καὶ εἰσπορεύεσθε εἰς ὄρος Αμορραίων καὶ πρὸς πάντας τοὺς περιοίκους Αραβα εἰς ὄρος καὶ πεδίον καὶ πρὸς λίβα καὶ παραλίαν γῆν Χαναναίων καὶ Ἀντιλίβανον ἕως τοῦ ποταμοῦ τοῦ μεγάλου Εὐφράτου
8 ৮ দেখ, আমি সেই দেশ তোমাদের সামনে দিয়েছি; তোমাদের পূর্বপুরুষ অব্রাহাম, ইস্হাক ও যাকোবকে এবং তাদের পরবর্তী বংশকে যে দেশ দিতে সদাপ্রভু দিব্যি করেছিলেন, তোমরা সেই দেশে গিয়ে তা অধিকার কর।’”
ἴδετε παραδέδωκα ἐνώπιον ὑμῶν τὴν γῆν εἰσπορευθέντες κληρονομήσατε τὴν γῆν ἣν ὤμοσα τοῖς πατράσιν ὑμῶν τῷ Αβρααμ καὶ Ισαακ καὶ Ιακωβ δοῦναι αὐτοῖς καὶ τῷ σπέρματι αὐτῶν μετ’ αὐτούς
καὶ εἶπα πρὸς ὑμᾶς ἐν τῷ καιρῷ ἐκείνῳ λέγων οὐ δυνήσομαι μόνος φέρειν ὑμᾶς
10 ১০ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের বৃদ্ধি করেছেন, আর দেখ, তোমরা আজ আকাশের তারার মত বহুসংখ্যক হয়েছ;
κύριος ὁ θεὸς ὑμῶν ἐπλήθυνεν ὑμᾶς καὶ ἰδού ἐστε σήμερον ὡσεὶ τὰ ἄστρα τοῦ οὐρανοῦ τῷ πλήθει
11 ১১ তোমরা যেমন আছ, তোমাদের পূর্বপুরুষ ঈশ্বর সদাপ্রভু তা থেকে তোমাদের আরও হাজার গুণ বৃদ্ধি করুন, আর তোমাদেরকে যেমন বলেছেন, সেরকম আশীর্বাদ করুন।
κύριος ὁ θεὸς τῶν πατέρων ὑμῶν προσθείη ὑμῖν ὡς ἐστὲ χιλιοπλασίως καὶ εὐλογήσαι ὑμᾶς καθότι ἐλάλησεν ὑμῖν
πῶς δυνήσομαι μόνος φέρειν τὸν κόπον ὑμῶν καὶ τὴν ὑπόστασιν ὑμῶν καὶ τὰς ἀντιλογίας ὑμῶν
13 ১৩ তোমরা নিজেদের বংশের মধ্যে জ্ঞানবান, বুদ্ধিমান্ ও পরিচিত লোকদেরকে মনোনীত কর, আমি তাদেরকে তোমাদের প্রধান হিসাবে নিযুক্ত করব।”
δότε ἑαυτοῖς ἄνδρας σοφοὺς καὶ ἐπιστήμονας καὶ συνετοὺς εἰς τὰς φυλὰς ὑμῶν καὶ καταστήσω ἐφ’ ὑμῶν ἡγουμένους ὑμῶν
καὶ ἀπεκρίθητέ μοι καὶ εἴπατε καλὸν τὸ ῥῆμα ὃ ἐλάλησας ποιῆσαι
15 ১৫ তাই আমি তোমাদের বংশগুলির প্রধান, জ্ঞানবান ও পরিচিত লোকদেরকে গ্রহণ করে এবং তোমাদের উপরে প্রধান, তোমাদের বংশ অনুযায়ী সহস্রপতি, শতপতি, পঞ্চাশৎপতি, দশপতি ও কর্ম্মচারী করে নিযুক্ত করলাম।
καὶ ἔλαβον ἐξ ὑμῶν ἄνδρας σοφοὺς καὶ ἐπιστήμονας καὶ συνετοὺς καὶ κατέστησα αὐτοὺς ἡγεῖσθαι ἐφ’ ὑμῶν χιλιάρχους καὶ ἑκατοντάρχους καὶ πεντηκοντάρχους καὶ δεκαδάρχους καὶ γραμματοεισαγωγεῖς τοῖς κριταῖς ὑμῶν
16 ১৬ আর সেইদিনের তোমাদের বিচারকর্তাদেরকে আমি এই আদেশ করলাম, “তোমরা তোমাদের ভাইদের বিবাদের কথা শোন এবং একজন লোক ও তার ভাই এবং তার সঙ্গী বিদেশীর মধ্যে ন্যায় বিচার করো।
καὶ ἐνετειλάμην τοῖς κριταῖς ὑμῶν ἐν τῷ καιρῷ ἐκείνῳ λέγων διακούετε ἀνὰ μέσον τῶν ἀδελφῶν ὑμῶν καὶ κρίνατε δικαίως ἀνὰ μέσον ἀνδρὸς καὶ ἀνὰ μέσον ἀδελφοῦ καὶ ἀνὰ μέσον προσηλύτου αὐτοῦ
17 ১৭ তোমরা বিচারে কারও পক্ষপাত করবে না; সমানভাবে ছোট ও মহান উভয়ের কথা শুনবে; মানুষের মুখ দেখে ভয় করবে না, কারণ বিচার ঈশ্বরের এবং যে ঘটনা তোমাদের পক্ষে কঠিন, তা আমার কাছে আনবে, আমি তা শুনব।”
οὐκ ἐπιγνώσῃ πρόσωπον ἐν κρίσει κατὰ τὸν μικρὸν καὶ κατὰ τὸν μέγαν κρινεῖς οὐ μὴ ὑποστείλῃ πρόσωπον ἀνθρώπου ὅτι ἡ κρίσις τοῦ θεοῦ ἐστιν καὶ τὸ ῥῆμα ὃ ἐὰν σκληρὸν ᾖ ἀφ’ ὑμῶν ἀνοίσετε αὐτὸ ἐπ’ ἐμέ καὶ ἀκούσομαι αὐτό
καὶ ἐνετειλάμην ὑμῖν ἐν τῷ καιρῷ ἐκείνῳ πάντας τοὺς λόγους οὓς ποιήσετε
19 ১৯ পরে আমরা আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আদেশ অনুসারে হোরেব থেকে চলে গেলাম এবং ইমোরীয়দের পাহাড়ি দেশে যাবার পথে তোমরা সেই যে বিশাল ও ভয়ঙ্কর মরুভূমি দেখেছ, তার মধ্যে দিয়ে যাত্রা করে কাদেশ বর্ণেয়ে পৌঁছালাম।
καὶ ἀπάραντες ἐκ Χωρηβ ἐπορεύθημεν πᾶσαν τὴν ἔρημον τὴν μεγάλην καὶ τὴν φοβερὰν ἐκείνην ἣν εἴδετε ὁδὸν ὄρους τοῦ Αμορραίου καθότι ἐνετείλατο κύριος ὁ θεὸς ἡμῶν ἡμῖν καὶ ἤλθομεν ἕως Καδης Βαρνη
20 ২০ পরে আমি তোমাদেরকে বললাম, “আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু আমাদেরকে যে দেশ দিচ্ছেন, ইমোরীয়দের সেই পাহাড়ি দেশে তোমরা পৌঁছালে।
καὶ εἶπα πρὸς ὑμᾶς ἤλθατε ἕως τοῦ ὄρους τοῦ Αμορραίου ὃ ὁ κύριος ὁ θεὸς ἡμῶν δίδωσιν ὑμῖν
21 ২১ দেখ, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু সেই দেশ তোমার সামনে দিয়েছেন; তুমি নিজের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কথা অনুসারে উঠে ওটা অধিকার কর; ভয় পেয় না ও নিরাশ হয়ো না।”
ἴδετε παραδέδωκεν ὑμῖν κύριος ὁ θεὸς ὑμῶν πρὸ προσώπου ὑμῶν τὴν γῆν ἀναβάντες κληρονομήσατε ὃν τρόπον εἶπεν κύριος ὁ θεὸς τῶν πατέρων ὑμῶν ὑμῖν μὴ φοβεῖσθε μηδὲ δειλιάσητε
22 ২২ তখন তোমরা সবাই আমার কাছে এসে বললে, “আগে আমরা সে জায়গায় লোক পাঠাই; তারা আমাদের জন্য দেশ খুঁজে বের করুক এবং আমাদেরকে কোন্ পথ দিয়ে উঠে যেতে হবে ও কোন্ কোন্ শহরে আসতে হবে, তার খবর নিয়ে আসুক।”
καὶ προσήλθατέ μοι πάντες καὶ εἴπατε ἀποστείλωμεν ἄνδρας προτέρους ἡμῶν καὶ ἐφοδευσάτωσαν ἡμῖν τὴν γῆν καὶ ἀναγγειλάτωσαν ἡμῖν ἀπόκρισιν τὴν ὁδόν δῑ ἧς ἀναβησόμεθα ἐν αὐτῇ καὶ τὰς πόλεις εἰς ἃς εἰσπορευσόμεθα εἰς αὐτάς
καὶ ἤρεσεν ἐναντίον μου τὸ ῥῆμα καὶ ἔλαβον ἐξ ὑμῶν δώδεκα ἄνδρας ἄνδρα ἕνα κατὰ φυλήν
καὶ ἐπιστραφέντες ἀνέβησαν εἰς τὸ ὄρος καὶ ἤλθοσαν ἕως Φάραγγος βότρυος καὶ κατεσκόπευσαν αὐτήν
25 ২৫ আর সেই দেশের কতগুলো ফল হাতে নিয়ে আমাদের কাছে এসে খবর দিল, বলল, “আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু আমাদেরকে যে দেশ দিচ্ছেন, সেটা ভালো।”
καὶ ἐλάβοσαν ἐν ταῖς χερσὶν αὐτῶν ἀπὸ τοῦ καρποῦ τῆς γῆς καὶ κατήνεγκαν πρὸς ἡμᾶς καὶ ἔλεγον ἀγαθὴ ἡ γῆ ἣν κύριος ὁ θεὸς ἡμῶν δίδωσιν ἡμῖν
26 ২৬ তবুও তোমরা সেই জায়গায় যেতে রাজি হলে না; কিন্তু তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আদেশের বিরোধিতা করলে;
καὶ οὐκ ἠθελήσατε ἀναβῆναι καὶ ἠπειθήσατε τῷ ῥήματι κυρίου τοῦ θεοῦ ὑμῶν
27 ২৭ নিজেদের তাঁবুতে অভিযোগ করে বললে, “সদাপ্রভু আমাদেরকে ঘৃণা করলেন বলেই তিনি আমাদেরকে মিশর দেশ থেকে বের করে আনলেন যেন আমরা ইমোরীয়দের হাতে পরাজিত হই।
καὶ διεγογγύζετε ἐν ταῖς σκηναῖς ὑμῶν καὶ εἴπατε διὰ τὸ μισεῖν κύριον ἡμᾶς ἐξήγαγεν ἡμᾶς ἐκ γῆς Αἰγύπτου παραδοῦναι ἡμᾶς εἰς χεῖρας Αμορραίων ἐξολεθρεῦσαι ἡμᾶς
28 ২৮ আমরা কোথায় যেতে পারি? আমাদের ভাইয়েরা আমাদের মন গলিয়ে দিল, বলল, ‘আমাদের থেকে সে জাতি মহৎ ও উচ্চ এবং শহরগুলো অনেক বড় ও আকাশ পর্যন্ত দেওয়ালে ঘেরা; আরও সে জায়গায় আমরা অনাকীয়দের ছেলেদেরকেও দেখেছি।’”
ποῦ ἡμεῖς ἀναβαίνομεν οἱ ἀδελφοὶ ὑμῶν ἀπέστησαν ὑμῶν τὴν καρδίαν λέγοντες ἔθνος μέγα καὶ πολὺ καὶ δυνατώτερον ἡμῶν καὶ πόλεις μεγάλαι καὶ τετειχισμέναι ἕως τοῦ οὐρανοῦ ἀλλὰ καὶ υἱοὺς γιγάντων ἑωράκαμεν ἐκεῖ
καὶ εἶπα πρὸς ὑμᾶς μὴ πτήξητε μηδὲ φοβηθῆτε ἀπ’ αὐτῶν
30 ৩০ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু যিনি তোমাদের আগে আগে যান, তিনি মিশর দেশে তোমাদের চোখের সামনে তোমাদের জন্য যে সব কাজ করেছিলেন, সেই অনুযায়ী তোমাদের জন্য যুদ্ধ করবেন।
κύριος ὁ θεὸς ὑμῶν ὁ προπορευόμενος πρὸ προσώπου ὑμῶν αὐτὸς συνεκπολεμήσει αὐτοὺς μεθ’ ὑμῶν κατὰ πάντα ὅσα ἐποίησεν ὑμῖν ἐν γῇ Αἰγύπτῳ
31 ৩১ এই মরুভূমিতেও তুমি সেরকম দেখেছ; যেমন বাবা নিজের ছেলেকে বহন করে, তেমনি এই জায়গায় তোমাদের আসা পর্যন্ত যে রাস্তায় তোমরা এসেছ, সেই সব রাস্তায় তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে বহন করেছেন।”
καὶ ἐν τῇ ἐρήμῳ ταύτῃ ἣν εἴδετε ὡς ἐτροφοφόρησέν σε κύριος ὁ θεός σου ὡς εἴ τις τροφοφορήσει ἄνθρωπος τὸν υἱὸν αὐτοῦ κατὰ πᾶσαν τὴν ὁδόν ἣν ἐπορεύθητε ἕως ἤλθετε εἰς τὸν τόπον τοῦτον
καὶ ἐν τῷ λόγῳ τούτῳ οὐκ ἐνεπιστεύσατε κυρίῳ τῷ θεῷ ὑμῶν
33 ৩৩ যিনি তোমাদের তাঁবু রাখার জায়গা খোঁজ করতে যাওয়ার দিন তোমাদের আগে আগে গিয়ে রাতে আগুনের মাধ্যমে ও দিনের মেঘের মাধ্যমে তোমরা কোন পথে যাবে সেই রাস্তা দেখাতেন।
ὃς προπορεύεται πρότερος ὑμῶν ἐν τῇ ὁδῷ ἐκλέγεσθαι ὑμῖν τόπον ὁδηγῶν ὑμᾶς ἐν πυρὶ νυκτὸς δεικνύων ὑμῖν τὴν ὁδόν καθ’ ἣν πορεύεσθε ἐπ’ αὐτῆς καὶ ἐν νεφέλῃ ἡμέρας
καὶ ἤκουσεν κύριος τὴν φωνὴν τῶν λόγων ὑμῶν καὶ παροξυνθεὶς ὤμοσεν λέγων
35 ৩৫ “আমি তোমাদের পূর্বপুরুষদেরকে যে দেশ দিতে শপথ করেছি, এই দুষ্ট বংশীয় মানুষদের মধ্যে কেউই সেই ভালো দেশ দেখতে পাবে না,
εἰ ὄψεταί τις τῶν ἀνδρῶν τούτων τὴν ἀγαθὴν ταύτην γῆν ἣν ὤμοσα τοῖς πατράσιν αὐτῶν
36 ৩৬ কেবল যিফূন্নির ছেলে কালেব তা দেখবে এবং সে যে জায়গায় পা দিয়েছে; সেই ভূমি আমি তাকে ও তার ছেলেমেয়েকে দেব; কারণ সে পুরোপুরিভাবে সদাপ্রভুর অনুসরণ করেছে।”
πλὴν Χαλεβ υἱὸς Ιεφοννη οὗτος ὄψεται αὐτήν καὶ τούτῳ δώσω τὴν γῆν ἐφ’ ἣν ἐπέβη καὶ τοῖς υἱοῖς αὐτοῦ διὰ τὸ προσκεῖσθαι αὐτὸν τὰ πρὸς κύριον
37 ৩৭ সদাপ্রভু তোমাদের জন্যে আমার প্রতিও রেগে গেলেন, তিনি আমাকে এই কথা বললেন, “তুমিও সে জায়গায় যেও না।
καὶ ἐμοὶ ἐθυμώθη κύριος δῑ ὑμᾶς λέγων οὐδὲ σὺ οὐ μὴ εἰσέλθῃς ἐκεῖ
38 ৩৮ তোমার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা নূনের ছেলে যিহোশূয় সেই দেশে যাবে; তুমি তাকেই আশ্বাস দাও, কারণ সে ইস্রায়েলকে তা অধিকারের জন্য নেতৃত্ব দেবে।
Ἰησοῦς υἱὸς Ναυη ὁ παρεστηκώς σοι οὗτος εἰσελεύσεται ἐκεῖ αὐτὸν κατίσχυσον ὅτι αὐτὸς κατακληρονομήσει αὐτὴν τῷ Ισραηλ
39 ৩৯ আর এরা শিকার হবে, এই কথা তোমরা নিজেদের যে ছেলেদের বিষয়ে বললে এবং তোমাদের যে ছেলে মেয়েদের ভাল মন্দ জ্ঞান আজ পর্যন্ত হয়নি, তারাই সেই জায়গায় যাবে; তাদেরকেই আমি সেই দেশ দেব এবং তারাই তা অধিকার করবে।
καὶ πᾶν παιδίον νέον ὅστις οὐκ οἶδεν σήμερον ἀγαθὸν ἢ κακόν οὗτοι εἰσελεύσονται ἐκεῖ καὶ τούτοις δώσω αὐτήν καὶ αὐτοὶ κληρονομήσουσιν αὐτήν
καὶ ὑμεῖς ἐπιστραφέντες ἐστρατοπεδεύσατε εἰς τὴν ἔρημον ὁδὸν τὴν ἐπὶ τῆς ἐρυθρᾶς θαλάσσης
41 ৪১ তখন তোমরা উত্তর করে আমাকে বললে, “আমরা সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে পাপ করেছি; আমরা আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সমস্ত আদেশ অনুসারে উঠে গিয়ে যুদ্ধ করব।” পরে তোমরা প্রত্যেক জন যুদ্ধের অস্ত্রে সজ্জিত হলে এবং পার্বত্য অঞ্চলে আক্রমণ করার জন্য প্রস্তুত হলে।
καὶ ἀπεκρίθητέ μοι καὶ εἴπατε ἡμάρτομεν ἔναντι κυρίου τοῦ θεοῦ ἡμῶν ἡμεῖς ἀναβάντες πολεμήσομεν κατὰ πάντα ὅσα ἐνετείλατο κύριος ὁ θεὸς ἡμῶν ἡμῖν καὶ ἀναλαβόντες ἕκαστος τὰ σκεύη τὰ πολεμικὰ αὐτοῦ καὶ συναθροισθέντες ἀνεβαίνετε εἰς τὸ ὄρος
42 ৪২ তখন সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “তুমি তাদেরকে বল, তোমরা যুদ্ধ করতে যেও না, কারণ আমি তোমাদের মাঝখানে নেই; যদি শত্রুদের সামনে আহত হও।”
καὶ εἶπεν κύριος πρός με εἰπὸν αὐτοῖς οὐκ ἀναβήσεσθε οὐδὲ μὴ πολεμήσετε οὐ γάρ εἰμι μεθ’ ὑμῶν καὶ οὐ μὴ συντριβῆτε ἐνώπιον τῶν ἐχθρῶν ὑμῶν
43 ৪৩ আমি তোমাদেরকে সেই কথা বললাম, কিন্তু তোমরা সে কথায় কান দিলে না; বরং সদাপ্রভুর আদেশের বিরুদ্ধাচারণ করে ও দুঃসাহসী হয়ে পর্বতে উঠছিলে।
καὶ ἐλάλησα ὑμῖν καὶ οὐκ εἰσηκούσατέ μου καὶ παρέβητε τὸ ῥῆμα κυρίου καὶ παραβιασάμενοι ἀνέβητε εἰς τὸ ὄρος
44 ৪৪ আর সেই পাহাড় নিবাসী ইমোরীয়েরা তোমাদের বিরুদ্ধে বের হয়ে, মৌমাছি যেমন করে, তেমনি তোমাদেরকে তাড়া করল এবং সেয়ীরে হর্মা পর্যন্ত আঘাত করল।
καὶ ἐξῆλθεν ὁ Αμορραῖος ὁ κατοικῶν ἐν τῷ ὄρει ἐκείνῳ εἰς συνάντησιν ὑμῖν καὶ κατεδίωξαν ὑμᾶς ὡς εἰ ποιήσαισαν αἱ μέλισσαι καὶ ἐτίτρωσκον ὑμᾶς ἀπὸ Σηιρ ἕως Ερμα
45 ৪৫ তখন তোমরা ফিরে আসলে ও সদাপ্রভুর কাছে কাঁদলে; কিন্তু সদাপ্রভু তোমাদের আওয়াজে কান দিলেন না, তোমাদের কথায় মনোযোগ দিলেন না।
καὶ καθίσαντες ἐκλαίετε ἔναντι κυρίου καὶ οὐκ εἰσήκουσεν κύριος τῆς φωνῆς ὑμῶν οὐδὲ προσέσχεν ὑμῖν
καὶ ἐνεκάθησθε ἐν Καδης ἡμέρας πολλάς ὅσας ποτὲ ἡμέρας ἐνεκάθησθε
