< দানিয়েল 3 >

1 রাজা নবূখদনিৎসর ষাট হাত উঁচু ও ছয় হাত চওড়া একটা সোনার মূর্ত্তি তৈরী করলেন। তিনি সেটিকে ব্যাবিলন দেশের দূরা সমভূমিতে রাখলেন।
রাজা নেবুখাদনেজার 27 মিটার উঁচু এবং 2.7 মিটার চওড়া একটি সোনার মূর্তি তৈরি করলেন এবং ব্যাবিলন প্রদেশের দূরা সমভূমিতে স্থাপন করলেন।
2 তারপর তিনি যে মূর্তিটা স্থাপন করেছিলেন তার প্রতিষ্ঠা করতে আসার জন্য রাজ্যগুলির শাসনকর্ত্তাদের ও প্রদেশগুলির শাসনকর্ত্তাদের এবং আঞ্চলিক শাসনকর্ত্তাদের সঙ্গে পরামর্শদাতারা, কোষাধ্যক্ষরা, বিচারকর্তাদের সঙ্গে আধিকারিকদের এবং সমস্ত উঁচু পদের শাসনকর্ত্তাদের আসতে ও একত্র হতে আদেশ দিলেন।
তারপর রাজা দেশের সমস্ত রাজ্যপাল, উপরাজ্যপাল, প্রদেশপাল, উপদেষ্টা, কোষাধ্যক্ষ, বিচারক, উপবিচারক এবং প্রদেশসমুহের সমস্ত শাসনকর্তাদের এই মূর্তি প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে সমবেত হতে আদেশ জারি করলেন।
3 তখন রাজ্যগুলির শাসনকর্তারা ও প্রদেশগুলির শাসনকর্তারা এবং আঞ্চলিক শাসনকর্তারা পরামর্শদাতাদের, কোষাধ্যক্ষদের, বিচারকর্তাদের, আধিকারিকদের এবং সমস্ত উঁচু পদের শাসনকর্ত্তাদের সঙ্গে মূর্ত্তি স্থাপন করার অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলেন, যে মূর্ত্তি রাজা নবূখদনিৎসর স্থাপন করেছিলেন। তাঁরা সেই মূর্তির সামনে দাঁড়ালেন।
তখন রাজ্যপাল, উপরাজ্যপাল, প্রদেশপাল, উপদেষ্টা, কোষাধ্যক্ষ, বিচারক, উপবিচারক এবং প্রদেশসমুহের সমস্ত শাসনকর্তাগণ রাজা নেবুখাদনেজারের স্থাপিত সেই মূর্তি প্রতিষ্ঠা উৎসবে একত্র হলেন এবং মূর্তির সামনে দাঁড়ালেন।
4 তখন একজন ঘোষণাকারী জোরে চিত্কার করে এই কথা বললেন, “সমস্ত লোকেরা, সমস্ত জাতি এবং সমস্ত ভাষার লোকেরা, তোমাদের এই আদেশ দেওয়া হচ্ছে,
তখন রাজঘোষক উচ্চস্বরে ঘোষণা করলেন, “প্রত্যেক বংশ, জাতি ও ভাষার মানুষগণ, আপনাদের প্রতি এই আদেশ দেওয়া হয়েছে:
5 যে, যখন তোমরা সিঙ্গা, বাঁশী, তারের বাদ্যযন্ত্র, বীণা এবং বড় বাঁশী ও অন্যান্য সমস্ত রকমের বাজনার শব্দ শুনবে, তখন তোমরা অবশ্যই মাটিতে উপুড় হয়ে পড়ে নবূখদনিৎসর যে মুর্ত্তিটি স্থাপন করেছেন, সেই সোনার মুর্ত্তিকে প্রণাম করবে।
যখনই আপনারা শিঙ্গা, বাঁশি, সেতার, সুরবাহার, বীণা, সানাই ও সর্বপ্রকার যন্ত্রের বাজনা শুনবেন আপনারা উপুড় হয়ে রাজা নেবুখাদনেজারের স্থাপিত সোনার মূর্তিকে আরাধনা করবেন।
6 যে কেউ উপুড় হয়ে প্রণাম এবং উপাসনা করবে না তাকে সেই মুহূর্তেই জ্বলন্ত চুল্লীতে ফেলে দেওয়া হবে।”
কেউ যদি উপুড় হয়ে আরাধনা না করে, তাকে তৎক্ষণাৎ জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডে ফেলে দেওয়া হবে।”
7 তাই যখন সমস্ত লোক সিঙ্গা, বাঁশী, তারের বাদ্যযন্ত্র, বীণা এবং বড় বাঁশী ও অন্যান্য সমস্ত রকমের বাজনার শব্দ শুনল তখনই সমস্ত লোক, সমস্ত জাতি এবং সমস্ত ভাষার লোকেরা মাটিতে উপুড় হয়ে পড়ে নবূখদনিৎসর যে মুর্ত্তিটি স্থাপন করেছিলেন, সেই সোনার মূর্তিটাকে প্রণাম করল।
অতএব প্রত্যেক বংশ, জাতি ও ভাষার মানুষগণ যখন শিঙ্গা, বাঁশি, সেতার, সুরবাহার, বীণা ও সর্বপ্রকার যন্ত্রের বাজনা শুনলেন, তারা উপুড় হলেন ও রাজা নেবুখাদনেজারের প্রতিষ্ঠিত সোনার মূর্তিকে আরাধনা করল।
8 সেই দিন কয়েকজন কলদীয় ইহুদীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে উপস্থিত হল।
এসময় কিছু জ্যোতিষীগণ সামনে এগিয়ে এসে ইহুদিদের দোষারোপ করল।
9 তারা রাজা নবূখদনিৎসরকে বলল, “মহারাজ, আপনি চিরকাল বেঁচে থাকুন!
তারা রাজা নেবুখাদনেজারকে বলল, “মহারাজ, চিরজীবী হোন!
10 ১০ মহারাজ, আপনি একটা আদেশ দিয়েছেন যে, প্রত্যেক লোক যখন সিঙ্গা, বাঁশী, তারের বাদ্যযন্ত্র, বীণা এবং বড় বাঁশী ও অন্যান্য সমস্ত রকমের বাজনার শব্দ শুনবে তখন অবশ্যই উপুড় হয়ে পড়ে সোনার মুর্ত্তিকে প্রণাম করবে;
মহারাজ, আপনি আদেশ জারি করেছেন, যে কেউ শিঙ্গা, বাঁশি, সেতার, সুরবাহার, বীণা, সানাই ও সর্বপ্রকার যন্ত্রের বাজনা শুনবে সে এই সোনার মূর্তিকে উপুড় হয়ে আরাধনা করবে,
11 ১১ যে কেউ উপুড় হয়ে পড়ে প্রণাম এবং উপাসনা না করবে তাকে জ্বলন্ত চুল্লীতে ফেলে দেওয়া হবে।
আর কেউ যদি উপুড় হয়ে আরাধনা না করে তাকে জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডে ফেলে দেওয়া হবে।
12 ১২ এখন হে মহারাজ, কয়েকজন এমন যিহূদী আছে যাদের আপনি ব্যাবিলন রাজ্যের উপরে কাজে নিযুক্ত করেছেন; তারা হল শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগো। মহারাজ, এই লোকেরা আপনার কথায় মনোযোগ দেয় নি। তারা আপনার দেবতাদের উপাসনা ও সেবা করবে না বা আপনি যে সোনার মূর্ত্তি স্থাপন করেছেন তাঁকেও উপুড় হয়ে প্রণাম করে না।”
কিন্তু মহারাজ, আপনি কয়েকজন ইহুদিকে ব্যাবিলনের রাজকাজে নিযুক্ত করেছেন যাদের নাম শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগো, যারা আপনাকে গ্রাহ্য করে না। তারা আপনার দেবতাদের সেবা করে না, এমনকি আপনার স্থাপিত সোনার মূর্তিরও আরাধনা করে না।”
13 ১৩ তখন নবূখদনিৎসর রাগে পূর্ণ হলেন ও প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়ে, শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগোকে ডেকে নিয়ে আসতে আদেশ দিলেন। তাই তারা রাজার সামনে সেই লোকদের উপস্থিত করল।
রাগে ক্ষিপ্ত হয়ে, নেবুখাদনেজার আদেশ দিলেন শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগোকে তার সামনে আনতে, তাই তাদের রাজার সামনে হাজির করা হল।
14 ১৪ নবূখদনিৎসর তাঁদের বললেন, “হে শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগো, তোমরা কি মনে মনে ঠিক করেছ যে আমার দেবতাদের উপাসনা করবে না বা আমি যে সোনার মূর্ত্তি স্থাপন করেছি তাঁর সামনেও উপুড় হয়ে প্রণাম করবে না?
নেবুখাদনেজার তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগো, একথা কি সত্য যে তোমরা আমার দেবতাদের ও আমার স্থাপিত সোনার মূর্তিকে আরাধনা করো না?
15 ১৫ এখন তোমরা যদি সিঙ্গা, বাঁশী, তারের বাদ্যযন্ত্র, বীণা এবং বড় বাঁশী ও অন্যান্য সমস্ত রকমের বাজনার শব্দ শুনে উপুড় হয়ে পড়ে আমার তৈরী মুর্ত্তিকে প্রণাম করতে প্রস্তুত থাক তাহলে ভাল। কিন্তু যদি উপাসনা না কর তবে, সঙ্গে সঙ্গেই জ্বলন্ত চুল্লীতে তোমাদের ফেলে দেওয়া হবে। এমন কোন দেবতা আছে যে আমার হাত থেকে তোমাদের উদ্ধার করতে পারে?”
এখন যদি তোমরা শিঙ্গা, বাঁশি, সেতার, সুরবাহার, বীণা, সানাই ও সর্বপ্রকার যন্ত্রের বাজনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে উপুড় হও এবং সেই মূর্তিকে আরাধনা করো, তবে ভালো। কিন্তু যদি তোমরা আরাধনা না করো, তোমাদের তৎক্ষণাৎ জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডে ফেলে দেওয়া হবে। তখন কোনও দেবতা আমার হাত থেকে তোমাদের উদ্ধার করতে পারবে?”
16 ১৬ তখন শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগো নবূখদনিৎসর রাজাকে উত্তর দিয়ে বললেন, “এই ব্যাপারে আপনাকে উত্তর দেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।
শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগো রাজাকে উত্তর দিলেন, “হে নেবুখাদনেজার, আপনার এই কথার জবাব দেওয়ার কোনো দরকার আমাদের নেই
17 ১৭ আর যদি কোন উত্তর থাকে তা হল এই, আমরা যে ঈশ্বরের সেবা করি তিনি সেই জ্বলন্ত চুল্লী থেকে রক্ষা করতে পারেন এবং তিনি, মহারাজ আপনার হাত থেকেও আমাদের উদ্ধার করবেন।
যদি আমাদের জলন্ত অগ্নিকুণ্ডে ফেলে দেওয়া হয়, আমাদের ঈশ্বর যাকে আমরা সেবা করি, তিনি আমাদের রক্ষা করতে পারবেন এবং হে রাজা, আপনার হাত থেকেও আমাদের রক্ষা করবেন।
18 ১৮ কিন্তু যদি তা না হয়, তবে মহারাজ আপনি এটা জেনে রাখুন, তবুও আমরা আপনার দেবতাদের উপাসনা করব না এবং আপনার স্থাপন করা সোনার মূর্তির সামনে উপুড় হয়ে প্রণাম করব না।”
কিন্তু তিনি যদি আমাদের রক্ষা নাও করেন, আপনি জেনে রাখুন হে মহারাজ যে, আমরা আপনার দেবতাদের সেবা করব না অথবা আপনার স্থাপিত সোনার মূর্তিকেও আরাধনা করব না।”
19 ১৯ তখন নবূখদনিৎসর ভীষণ রাগে পূর্ণ হলেন, শদ্রক, মৈশক এবং অবেদনগোর প্রতি তাঁর মুখের ভাব পরিবর্তন হয়ে গেল। তিনি আদেশ দিলেন যে চুল্লীটা সাধারণত যেমন গরম থাকে তার থেকেও যেন সাতগুণ বেশি গরম করা হয়।
নেবুখাদনেজার তখন শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগোর প্রতি রাগে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলেন এবং তার মুখ লাল হয়ে উঠল; এবং তিনি আদেশ দিলেন অগ্নিকুণ্ড যেমন থাকে, তার থেকেও সাতগুণ বেশি উত্তপ্ত করতে।
20 ২০ তখন তিনি তাঁর সৈন্যদলের মধ্যে থেকে কিছু প্রচণ্ড শক্তিশালী সৈন্যদের আদেশ দিলেন যেন তারা শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগোকে বেঁধে জ্বলন্ত চুল্লীতে ফেলে দেয়।
তারপর তিনি কয়েকজন বলবান সৈন্যদের আদেশ দিলেন শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগোকে শক্ত করে বাঁধতে ও অগ্নিকুণ্ডে ছুঁড়ে ফেলতে।
21 ২১ তাদেরকে জামা, অন্তর্বাস, পাগড়ী ও অন্যান্য কাপড় চোপড় পরা অবস্থায় বেঁধে জ্বলন্ত চুল্লীতে ফেলে দেওয়া হল।
অতএব তাদেরকে পরনের পোশাক, আচ্ছাদন, মাথার কাপড় ও অন্যান্য বস্ত্র সহ বেঁধে জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডে ফেলে দেওয়া হল।
22 ২২ রাজার আদেশ কঠোরভাবে পালন করতে হবে এবং চুল্লীটাও প্রচণ্ড গরম ছিল এবং যে লোকেরা শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগোকে চুল্লীতে ফেলে দেওয়ার জন্য নিয়ে গিয়েছিল তাদেরই আগুনের শিখা পুড়িয়ে মারল।
রাজার কঠোর আদেশের ফলে অগ্নিকুণ্ড এতটাই উত্তপ্ত করা হল এবং সেই আগুনের তাপে যারা শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগোকে আগুনে ফেলতে গিয়েছিল, সেই সৈন্যদের মৃত্যু হল।
23 ২৩ আর সেই তিনজন, শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগো বাঁধা অবস্থায় জ্বলন্ত চুল্লীতে পড়লেন।
আর এই তিনজন, হাত পা বাঁধা অবস্থায়, জলন্ত আগুনের মধ্যে পড়ল।
24 ২৪ তখন রাজা নবূখদনিৎসর আশ্চর্য্য হলেন এবং উঠে দাঁড়ালেন। তিনি তাঁর পরামর্শদাতাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “আমরা কি তিনজন লোককে বেঁধে আগুনের মধ্যে ফেলে দিই নি?” তারা রাজাকে উত্তর দিল, “হ্যাঁ, মহারাজ।”
তখন রাজা নেবুখাদনেজার অত্যন্ত আশ্চর্য হয়ে লাফ দিয়ে উঠে দাঁড়ালেন এবং উপদেষ্টাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “আমরা কি তিনজনকে বেঁধে অগ্নিকুণ্ডে ফেলে দিলাম না?” তারা উত্তর দিলেন, “নিশ্চই, মহারাজ।”
25 ২৫ তিনি বললেন, “কিন্তু আমি চারজন লোককে মুক্ত অবস্থায় আগুনের মধ্যে ঘুরে বেড়াতে দেখছি এবং তাদের কোন ক্ষতি হয়নি। আর চতুর্থ জনের প্রতাপ দেখতে দেবতাদের পুত্রের মত।”
তিনি বললেন, “দেখো! আমি চারজনকে আগুনের মধ্যে মুক্ত ও অক্ষত অবস্থায় চারপাশে হাঁটতে দেখছি। এবং চতুর্থ জনকে দেবতার পুত্র বলে মনে হচ্ছে।”
26 ২৬ তখন নবূখদনিৎসর জ্বলন্ত চুল্লীর দরজার কাছে গেলেন এবং চিৎকার করে বললেন, “হে সর্বশক্তিমান মহান ঈশ্বরের দাস শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগো, তোমরা বের হয়ে এখানে এস!” তখন শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগো আগুন থেকে বের হয়ে এলেন।
তারপর নেবুখাদনেজার অগ্নিকুণ্ডের প্রবেশপথের দিকে গেলেন ও চিৎকার করে বললেন, “পরাৎপর ঈশ্বরের সেবক শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগো বের হয়ে এসো! এখানে এসো!” তখন শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগো আগুন থেকে বের হয়ে এল।
27 ২৭ রাজ্যগুলির শাসনকর্তারা ও প্রদেশগুলির শাসনকর্তারা এবং আঞ্চলিক শাসনকর্তারা, অন্যান্য শাসনকর্তারা এবং রাজার পরামর্শদাতারা যারা সেখানে জড়ো হয়েছিলেন তারা সেই যুবকদের দেখলেন যে, আগুন তাঁদের দেহের কোন ক্ষতি করে নি, তাঁদের মাথার একটা চুলও পুড়ে যায় নি; তাঁদের পোশাকেরও কোন ক্ষতি হয়নি এবং তাঁদের গায়ে আগুনের কোন গন্ধও নেই।
সকল রাজ্যপাল, উপরাজ্যপাল, প্রদেশপাল, ও রাজ উপদেষ্টাবর্গ তাদেরকে ঘিরে ধরল। তারা দেখল যে আগুন তাদের দেহে কোনও ক্ষতি করেনি, আগুনে তাদের চুলও পোড়েনি, পরনের পোশাক আগুনে পুড়ে যায়নি, এমনকি তাদের গায়ে আগুনের পোড়া গন্ধও নেই।
28 ২৮ নবূখদনিৎসর বললেন, “এস আমরা শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগোর ঈশ্বরের প্রশংসা করি, যিনি তাঁর স্বর্গদূতকে পাঠিয়ে তাঁর দাসদের উদ্ধার করলেন। তাঁরা তাঁর উপরেই বিশ্বাস করে আমার আদেশ অগ্রাহ্য করেছে এবং তাদের ঈশ্বর ছাড়া অন্য কোন দেবতার উপাসনা ও তাদের সামনে উপুড় হয়ে প্রণাম করার পরিবর্তে তাঁদের দেহ দিয়ে দিয়েছে।
তখন নেবুখাদনেজার বললেন, “শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগোর ঈশ্বরের প্রশংসা হোক, যিনি নিজের দূত পাঠিয়ে তাঁর দাসদের রক্ষা করেছেন! তারা তাদের ঈশ্বরে আস্থা রেখেছে এবং রাজার আদেশ অমান্য করেছে। এমনকি নিজেদের আরাধ্য ঈশ্বর ছাড়া অন্য দেবতাদের সেবা ও আরাধনা না করে নিজেদের জীবন দিতেও তারা প্রস্তুত ছিল।
29 ২৯ তাই আমি এই আদেশ দিচ্ছি যে, কোন লোক, জাতি, বা কোন ভাষা যা শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগোর ঈশ্বরের বিরুদ্ধে কিছু বলে তবে উচ্ছিন্ন হবে এবং তাদের বাড়িগুলি আবর্জনার স্তূপে পরিণত হবে, কারণ আর কোন দেবতা নেই যে এই ভাবে উদ্ধার করতে পারে।”
অতএব, আমি আদেশ জারি করছি, কোনো জাতি ও ভাষাভাষীর কেউ যদি শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগোর আরাধ্য ঈশ্বরের বিপক্ষে কোনো কথা বলে তবে তাদের টুকরো টুকরো করা হবে, তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে ধ্বংসাস্তূপে পরিণত করা হবে, কারণ অন্য কোনো দেবতা এইভাবে রক্ষা করতে পারে না।”
30 ৩০ তখন রাজা শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগোকে ব্যাবিলন প্রদেশে আরও উঁচু পদ দিলেন।
এরপর রাজা শদ্রক, মৈশক ও অবেদনগোকে ব্যাবিলন প্রদেশে আরও উঁচু পদে নিযুক্ত করলেন।

< দানিয়েল 3 >