< কলসীয় 1 >

1 আমি পৌল, ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুসারে খ্রীষ্ট যীশুর প্রেরিত এবং আমাদের ভাই তীমথীয়,
ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুযায়ী, খ্রীষ্ট যীশুর প্রেরিতশিষ্য আমি পৌল এবং আমাদের ভাই তিমথি,
2 কলসিতে ঈশ্বরের পবিত্ররা ও খ্রীষ্টে বিশ্বস্ত ভাইয়েরা। আমাদের পিতা ঈশ্বরের অনুগ্রহ ও শান্তি তোমাদের উপর আসুক।
কলসী নগরে খ্রীষ্টে পবিত্র ও বিশ্বস্ত ভাইবোনেদের প্রতি: আমাদের পিতা ঈশ্বর থেকে তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ এবং শান্তি বর্ষিত হোক।
3 আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের পিতা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিই এবং আমরা সবদিন তোমাদের জন্য প্রার্থনা করি।
তোমাদের জন্য প্রার্থনা করার সময় আমরা সবসময় আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের পিতা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিই।
4 খ্রীষ্ট যীশুর ওপর তোমাদের বিশ্বাস এবং সব পবিত্র লোকের উপর তোমাদের ভালবাসার কথা আমরা শুনেছি,
কারণ খ্রীষ্ট যীশুতে তোমাদের বিশ্বাস এবং পবিত্রগণের প্রতি তোমাদের ভালোবাসার কথা আমরা শুনেছি।
5 কারণ স্বর্গে তোমাদের জন্য অনেক আশার বিষয় রয়েছে। এই আশার বিষয়ে তোমরা সুসমাচারে সত্যের কথা আগে শুনেছ,
যে বিশ্বাস ও প্রেম প্রত্যাশা থেকে উৎসারিত হয়, যা স্বর্গে তোমাদের জন্য সঞ্চিত রয়েছে, তা সত্যবাণীর মাধ্যমে তোমরা আগেই শুনেছ।
6 যে সুসমাচার তোমাদের কাছে এসেছে যা সারা পৃথিবীতে ফলপ্রসু এবং প্রচারিত হচ্ছে, যেদিন থেকে তোমরা ঈশ্বরের অনুগ্রহের কথা শুনে তাকে সত্য বলে জেনেছিলে।
সেই সুসমাচার তোমাদের কাছে উপস্থিত হয়েছে। সুসমাচার শোনার ও ঈশ্বরের অনুগ্রহের নিগূঢ় সত্যকে উপলব্ধি করার দিন থেকে তা যেমন তোমাদের মধ্যে সক্রিয়, তেমনই সারা জগতে এই সুসমাচার ফলপ্রসূ হচ্ছে ও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
7 আমাদের প্রিয় ঈশ্বরের দাস ইপাফ্রার কাছ থেকে তোমরা এই শিক্ষা পেয়েছিলে, তোমাদের জন্য তিনি খ্রীষ্টের একজন বিশ্বস্ত পরিচারক হয়েছিলেন।
একথা তোমরা আমাদের প্রিয় সহ-সেবক ইপাফ্রার কাছে শিক্ষা পেয়েছ, যিনি আমাদের পক্ষে খ্রীষ্টের একজন বিশ্বস্ত পরিচারক।
8 পবিত্র আত্মার প্রতি তোমাদের ভালবাসার কথা তাঁর মুখে আমরা শুনেছি।
আত্মাতে তোমাদের ভালোবাসার কথা তিনিও আমাদের জানিয়েছেন।
9 কারণ যে দিন থেকে এই প্রেমের কথা আমরা শুনেছি, সেই দিন থেকে আমরা প্রার্থনা এবং বিনতি করে চলেছি যেন তোমরা আত্মিক জ্ঞান ও বুদ্ধিতে তাঁর ইচ্ছা সম্পূর্ণভাবে বুঝতে পার।
এই কারণে আমরাও, যেদিন থেকে তোমাদের কথা শুনেছি সেইদিন থেকে তোমাদের জন্য প্রার্থনা করা থেকে বিরত হইনি। আমরা ঈশ্বরের কাছে প্রতিনিয়ত নিবেদন করি, যেন তোমরা সমস্ত আত্মিক জ্ঞানে ও বোধশক্তিতে তাঁর ইচ্ছার তত্ত্বজ্ঞানে পূর্ণ হও।
10 ১০ আমরা প্রার্থনা করি যেন তোমরা সব কিছুতে প্রভুর যোগ্য হয়ে চলতে পার, ভালো আচরণ, ভালো কাজ করে ফলবান হও এবং ঈশ্বরের জ্ঞানে বেড়ে ওঠ।
আমরা এজন্য এই প্রার্থনা করছি যে, তোমরা যেন প্রভুর যোগ্যরূপে জীবনযাপন করো, জীবনের প্রতি ক্ষেত্রেই তোমাদের আচরণ দ্বারা তাঁকে সন্তুষ্ট করে তোলো, সমস্ত শুভকাজে সফল হয়ে ওঠো ও ঐশ্বরিক জ্ঞানে বৃদ্ধিলাভ করো।
11 ১১ আমরা প্রার্থনা করি তাঁর মহিমা ও শক্তির অনুগ্রহে সব বিষয়ে তোমরা শক্তিশালী হও যেন তোমরা ধৈর্য্য ও সহিষ্ণুতাকে আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করতে পার।
ঈশ্বরের গৌরবময় শক্তিতে তোমরা পরাক্রান্ত হয়ে যেন অসীম সহিষ্ণুতা ও ধৈর্যের অধিকারী হও এবং
12 ১২ আমরা প্রার্থনা করি যিনি আমাদের আলোতে পবিত্র লোকদের উত্তরাধিকারের অংশীদার হবার যোগ্য করেছেন, আনন্দের সঙ্গে যেন সেই পিতাকে ধন্যবাদ দিতে পারি।
সানন্দে পিতাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করো, যিনি জ্যোতির রাজ্যে পবিত্রগণের যে অধিকার তার অংশীদার হওয়ার জন্য তোমাদের যোগ্য করে তুলেছেন।
13 ১৩ তিনি আমাদের অন্ধকারের আধিপত্য থেকে উদ্ধার করেছেন এবং নিজের প্রিয় পুত্রের রাজ্যে আমাদের এনেছেন।
কারণ অন্ধকারের কর্তৃত্ব থেকে তিনি আমাদের উদ্ধার করে তাঁর পুত্রের রাজ্যে নিয়ে এসেছেন, যাঁকে তিনি প্রেম করেন।
14 ১৪ তাঁর পুত্রের মাধ্যমে আমরা মুক্তি, পাপের ক্ষমা পেয়েছি।
তাঁর দ্বারাই আমরা মুক্তি এবং সব পাপের ক্ষমা পেয়েছি।
15 ১৫ তাঁর পুত্রই অদৃশ্য ঈশ্বরের প্রতিমূর্ত্তি। তিনিই সমস্ত সৃষ্টির প্রথমজাত।
তিনি অদৃশ্য ঈশ্বরের প্রতিমূর্তি, সমগ্র সৃষ্টির প্রথমজাত।
16 ১৬ কারণ সব কিছুই তিনি সৃষ্টি করেছিলেন, স্বর্গে এবং পৃথিবীতে, দৃশ্য এবং অদৃশ্য যা কিছু আছে। সিংহাসন অথবা পরাক্রম অথবা রাষ্ট্র অথবা কর্তৃত্ব সব কিছুই তিনি সৃষ্টি করেছিলেন এবং তাঁর জন্য।
কারণ তাঁর দ্বারা সমস্ত কিছু সৃষ্ট হয়েছে, স্বর্গ কি মর্ত্য, দৃশ্য কি অদৃশ্য, সিংহাসন কি আধিপত্য, আধিপত্য কি কর্তৃত্ব, সমস্ত বস্তু তাঁরই দ্বারা ও তাঁরই জন্য সৃষ্ট হয়েছে।
17 ১৭ তিনিই সব কিছুর আগে আছেন এবং তাঁর মধ্যে সব কিছুকে একসঙ্গে ধরে রেখেছেন।
সব বিষয়ের পূর্ব থেকেই তিনি বিরাজমান। তাঁরই মধ্যে সমস্ত বস্তু সন্নিবদ্ধ।
18 ১৮ তিনিই তাঁর দেহের অর্থাৎ মণ্ডলীর মাথা। তিনিই প্রথম, তিনিই প্রথম মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত হয়েছিলেন, সুতরাং তিনিই সব কিছুর মধ্যে প্রথম।
তিনি দেহের, অর্থাৎ মণ্ডলীর মস্তক; তিনিই সূচনা, তিনিই মৃতগণের মধ্য থেকে উত্থিত প্রথমজাত, যেন সমস্ত কিছুর উপরে তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়।
19 ১৯ কারণ ঈশ্বর ঠিক করেছিলেন যে তাঁর সব পূর্ণতাই যেন খ্রীষ্টের মধ্যে থাকে;
কারণ ঈশ্বর এতেই প্রীত হলেন যে, তাঁর সমস্ত পূর্ণতা খ্রীষ্টের মধ্যে অধিষ্ঠান করে এবং
20 ২০ এবং তিনি নিজে তাঁর পুত্রের মাধ্যমে অনেক কিছুর মিলনসাধন করেছেন। ঈশ্বর তাঁর পুত্রের ক্রুশের রক্ত দিয়ে শান্তি এনেছিলেন, পৃথিবীর অথবা স্বর্গের সব কিছুকে একসঙ্গে করেন।
ক্রুশে পাতিত তাঁর রক্তের মাধ্যমে শান্তি স্থাপন করে, তাঁর দ্বারা স্বর্গ কি মর্ত্যের সবকিছুকে তাঁর সঙ্গে সম্মিলিত করেন।
21 ২১ এবং একদিনের তোমরাও ঈশ্বরের কাছ থেকে দূরে ছিলে এবং তোমাদের বাজে কাজের মাধ্যমে তোমাদের মনে শত্রুতা প্রকাশ পেয়েছে।
এক সময় তোমরা ঈশ্বরের কাছ থেকে দূরে সরে গিয়েছিলে এবং তোমাদের মন্দ আচরণের জন্য অন্তরে ঈশ্বরের শত্রু হয়েছিলে;
22 ২২ খ্রীষ্টের মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে তাঁর দেহের দ্বারা ঈশ্বর নিজের সঙ্গে তোমাদের মিলিত করেছেন যেন তোমাদের পবিত্র, নিখুঁত ও নির্দোষ করে নিজের সামনে হাজির করেন।
কিন্তু ঈশ্বর এখন খ্রীষ্টের মানবদেহে মৃত্যুবরণের দ্বারা তোমাদের সম্মিলিত করেছেন, যেন তাঁর সাক্ষাতে তোমাদের পবিত্র, নিষ্কলঙ্ক ও অনিন্দনীয়রূপে উপস্থিত করেন,
23 ২৩ খ্রীষ্টের বিষয়ে সুখবর থেকে যে নিশ্চিত আশা তোমরা পেয়েছ সেখান থেকে সরে না গিয়ে তোমাদের বিশ্বাসে স্থির থাকতে হবে এবং সেই সুসমাচার আকাশের নিচে সমস্ত সৃষ্টির মধ্যে প্রচার করা হয়েছে তোমরা তা শুনেছ, আমি পৌল এই সুসমাচারের প্রচারের দাস হয়েছি।
যদি তোমরা বিশ্বাসে অবিচল থাকো, প্রতিষ্ঠিত ও সুদৃঢ় থেকে সুসমাচারের মধ্যে যে প্রত্যাশা আছে, তা থেকে বিচ্যুত না হও। তোমরা এই সুসমাচারই শুনেছ, যা আকাশমণ্ডলের নিচে সব সৃষ্টির কাছে প্রচার করা হয়েছে, আমি পৌল যার পরিচারক হয়েছি।
24 ২৪ এখন তোমাদের জন্য আমার যে সব কষ্টভোগ হচ্ছে তার জন্য আনন্দ করছি এবং খ্রীষ্টের সঙ্গে কষ্টভোগ যা আমার এখনো বাকি আছে তা খ্রীষ্টের দেহের জন্য, সেটা হচ্ছে মণ্ডলী।
তোমাদের জন্য আমি আমার দেহে যে দুঃখকষ্ট আমি ভোগ করেছি তার জন্য এখন আমি আনন্দ বোধ করছি কারণ এভাবে আমি খ্রীষ্টের কষ্টভোগে অংশগ্রহণ করছি যা তাঁর দেহ অর্থাৎ মণ্ডলীর ক্ষেত্রে বজায় রয়েছে।
25 ২৫ তোমাদের জন্য ঈশ্বরের যে কাজ আমাকে দেওয়া হয়েছে, সেইজন্য আমি মণ্ডলীর দাস হয়েছি, ঈশ্বরের বাক্য সম্পূর্ণভাবে প্রচার করি।
তোমাদের কাছে ঈশ্বরের বাক্যকে সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করার জন্য ঈশ্বর আমার উপর যে দায়িত্ব অর্পণ করেছেন, সেজন্য আমি মণ্ডলীর দাসত্ব বরণ করেছি।
26 ২৬ সেই গোপন সত্য যা পূর্বকাল হইতে ও পুরুষে পুরুষে লুকানো ছিল, কিন্তু এখন তা তাঁর পবিত্র লোকদের কাছে প্রকাশিত হল; (aiōn g165)
যুগযুগাম্ত এবং বহু প্রজন্ম ধরে এই গুপ্তরহস্য গোপন রাখা হয়েছিল, কিন্তু এখন তা পবিত্রগণের কাছে প্রকাশ করা হয়েছে। (aiōn g165)
27 ২৭ অযিহুদিদের মধ্যে সেই গোপন তত্ত্বের গৌরব-ধন কি তা পবিত্র লোকদের জানাতে ঈশ্বরের ইচ্ছা হল, তোমাদের মধ্যে খ্রীষ্টের মহিমার আস্থা তোমরা পেয়েছ।
কারণ ঈশ্বর চেয়েছিলেন, তাঁরা জানবে যে খ্রীষ্টের ঐশ্বর্য ও গৌরব অইহুদিদের জন্যও। আর এই হল সেই গুপ্তরহস্য: খ্রীষ্ট তোমাদের মধ্যে বাস করেন; এই সত্য তোমাদের আশ্বাস দেয় যে তোমরাও তাঁর গৌরবের ভাগীদার হবে।
28 ২৮ তাঁকেই আমরা প্রচার করছি। আমরা প্রত্যেক মানুষকে সতর্ক করছি এবং প্রত্যেক মানুষকে শিক্ষা দিচ্ছি যেন প্রত্যেক মানুষকে খ্রীষ্টের সব জ্ঞানে জ্ঞানবান করতে পারি।
আমরা তাঁকেই প্রচার করি। প্রত্যেককে আমরা পূর্ণরূপে সতর্ক করে তুলি এবং শিক্ষা দিই যেন প্রত্যেককে খ্রীষ্টে নিখুঁতরূপে উপস্থিত করতে পারি।
29 ২৯ যে কাজের ক্ষমতা দিয়ে ঈশ্বর আমাকে উজ্জীবিত করেছেন সেই ভূমিকা পালন করার জন্য আমি পরিশ্রম ও সংগ্রাম করব।
এই উদ্দেশ্যে খ্রীষ্টের যেসব শক্তি আমার মধ্যে প্রবলভাবে সক্রিয়, তাঁরই সহায়তায় আমি পরিশ্রম ও সংগ্রাম করে চলেছি।

< কলসীয় 1 >