< প্রেরিত 6 >

1 আর এ দিনের, যখন শিষ্যদের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছিল, তখন গ্রীক ভাষাভাষী বিশ্বাসীরা ইব্রীয় ভাষাভাষী বিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে ঝগড়া করতে লাগল, কারণ প্রতিদিনের র খাবারের পরিষেবা থেকে তাদের বিধবা মহিলারা বাদ যাচ্ছিল।
সেই সময় শিষ্যদের সংখ্যা যখন বৃদ্ধি পাচ্ছিল, তাদের মধ্যে যারা গ্রিকভাষী ইহুদি ছিল তারা, হিব্রুভাষী ইহুদিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে লাগল, কারণ প্রতিদিনের খাবার ভাগ করার সময় তাদের বিধবারা উপেক্ষিত হচ্ছিল।
2 তখন সেই বারো জন (প্রেরিত) শিষ্যদের কাছে ডেকে বলল, আমরা যে ঈশ্বরের বাক্য ছেড়ে খাবার পরিবেশন করি, তা ঠিক নয়।
তখন সেই বারোজন সব শিষ্যকে একত্র আহ্বান করে বললেন, “খাবার পরিবেশনের জন্য ঈশ্বরের বাক্যের পরিচর্যা অবহেলা করা আমাদের পক্ষে ন্যায়সংগত হবে না।
3 কিন্তু প্রিয় ভাইয়েরা, তোমরা নিজেদের মধ্যে থেকে সুনামধন্য এবং আত্মায় ও জ্ঞানে পরিপূর্ণ সাত জনকে বেছে নাও; তাঁদের আমরা এই কাজের দায়িত্ব দেব।
ভাইয়েরা, তোমাদের মধ্য থেকে এমন সাতজনকে বেছে নাও, যারা পবিত্র আত্মায় ও বিজ্ঞতায় পূর্ণ বলে সুপরিচিত। আমরা এই দায়িত্বভার তাদের উপরে দেবো
4 কিন্তু আমরা প্রার্থনায় ও তাঁর বাক্যের সেবায় যুক্ত থাকব।
ও আমরা প্রার্থনায় ও বাক্যের পরিচর্যায় মনোনিবেশ করব।”
5 এই কথায় সমস্ত লোক খুশি হল, আর তারা এই কজনকে মনোনীত করলো, স্তিফান এ ব্যক্তি বিশ্বাসে ও পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ ছিলেন এবং ফিলিপ, প্রখর, নীকানর, তীমোন, পার্মিনা, ও নিকালয়, ইনি আন্তিয়খিয়াস্থ ধর্মান্তরিত বিশ্বাসী;
এই প্রস্তাব সমস্ত দলের কাছে সন্তোষজনক হল। তারা স্তিফানকে মনোনীত করল, যিনি বিশ্বাসে ও পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ ছিলেন; এবং ফিলিপ, প্রখোর, নিকানর, তিমোন, পার্মেনাস ও আন্তিয়খের নিকোলাসকে, যিনি ইহুদি ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন।
6 তাঁরা এদেরকে প্রেরিতদের সামনে উপস্থিত করল এবং তাঁরা তাদের মাথায় হাত রেখে প্রার্থনা করলেন।
তারা এই সাতজনকে প্রেরিতশিষ্যদের কাছে উপস্থিত করল, যাঁরা প্রার্থনা করে তাঁদের উপরে হাত রাখলেন।
7 আর ঈশ্বরের বাক্য ছড়িয়ে গেল এবং যিরুশালেমে শিষ্যদের সংখ্যা বাড়তে লাগল; আর যাজকদের মধ্যে অনেক লোক বিশ্বাস করল।
এভাবে ঈশ্বরের বাক্য ছড়িয়ে পড়ল। জেরুশালেমে শিষ্যদের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেল এবং বহুসংখ্যক যাজক বিশ্বাসের প্রতি বাধ্য হলেন।
8 আর স্তিফান অনুগ্রহে ও শক্তিতে পূর্ণ হয়ে লোকদের মধ্যে অনেক আশ্চর্য্য লক্ষণ ও চিহ্ন-কাজ করতে লাগলেন।
এরপর স্তিফান, যিনি ঈশ্বরের অনুগ্রহ ও শক্তিতে পূর্ণ ছিলেন, তিনি জনসাধারণের মধ্যে অত্যন্ত বিস্ময়কর ও অলৌকিক চিহ্নকাজ সাধন করতে লাগলেন।
9 কিন্তু যাকে লিবর্ত্তীনয়দের সমাজঘর বলে, তার কয়েক জন এবং কুরিনীয় ও আলেকসান্দ্রিয় শহরের লোক এবং কিলিকিয়া ও এশিয়ার অঞ্চলের কতগুলো লোক উঠে স্তিফানের সাথে তর্ক বিতর্ক করতে লাগল।
এতে মুক্ত-মানুষদের (যেমন বলা হত) সমাজভবনের সদস্যরা প্রতিবাদ করল। এরা ছিল, কুরীণ ও আলেকজান্দ্রিয়া এবং সেই সঙ্গে কিলিকিয়া ও এশিয়া প্রদেশের ইহুদিরা। এই লোকেরা স্তিফানের সঙ্গে তর্ক শুরু করল।
10 ১০ কিন্তু তিনি যে জ্ঞান ও যে আত্মার শক্তিতে কথা বলছিলেন, তার বিরোধ করার ক্ষমতা তাদের ছিল না।।
কিন্তু তারা তাঁর প্রজ্ঞা ও যে আত্মার শক্তিতে তিনি কথা বলছিলেন, তার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারল না।
11 ১১ তখন তারা কয়েক জন লোককে গোপনে প্ররোচনা দিল, আর তারা বলল, আমরা স্তিফানকে মোশির ও ঈশ্বরের নিন্দা ও অপমানজনক কথা বলতে শুনেছি।
তখন তারা গোপনে কয়েকজন মানুষকে এই কথা বলতে প্ররোচিত করল, “আমরা স্তিফানকে মোশির বিরুদ্ধে ও ঈশ্বরের বিরুদ্ধে নিন্দার কথা বলতে শুনেছি।”
12 ১২ তারা জনগণকে এবং প্রাচীনদের ও ব্যবস্থার শিক্ষকদের রাগিয়ে তুললো এবং স্তিফানকে মারার জন্য ধরল ও মহাসভায় নিয়ে গেল;
এভাবে তারা জনসাধারণ, প্রাচীনবর্গ ও শাস্ত্রবিদদের উত্তেজিত করে তুলল। তারা স্তিফানকে গ্রেপ্তার করে মহাসভার সামনে উপস্থিত করল।
13 ১৩ এবং মিথ্যাসাক্ষী দাঁড় করাল যারা বলল, এ ব্যক্তি পবিত্র স্থানের ও ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ঈশ্বরনিন্দার কথা বলা বন্ধ করে নি;
তারা মিথ্যা সাক্ষীদের দাঁড় করালো, যারা সাক্ষ্য দিল, “এই লোকটি এই পবিত্রস্থান ও বিধানের বিরুদ্ধে কথা বলতে কখনও ক্ষান্ত হয় না।
14 ১৪ কারণ আমরা একে বলতে শুনেছি যে, সেই নাসরতীয় যীশু এই স্থান ভেঙে ফেলবে এবং মোশি আমাদের কাছে যে সমস্ত নিয়ম কানুন দিয়েছেন, সেগুলো পাল্টে দেবে।
কারণ আমরা তাকে বলতে শুনেছি যে, নাসরতের যীশু এই স্থান ধ্বংস করবে ও মোশি আমাদের কাছে যেসব রীতিনীতি সমর্পণ করেছেন—সেগুলির পরিবর্তন করবে।”
15 ১৫ তখন যারা সভাতে বসেছিল, তারা সকলে তাঁর প্রতি এক নজরে দেখল, তাঁর মুখ স্বর্গদূতের মতো দেখাচ্ছিল।
যারা মহাসভায় বসেছিল, তারা স্তিফানের প্রতি একদৃষ্টে চেয়ে দেখল, তাঁর মুখমণ্ডল স্বর্গদূতের মুখমণ্ডলের মতো।

< প্রেরিত 6 >