< প্রেরিত 2 >

1 এর পরে যখন পঞ্চশত্তমীর ইহুদীদের নিস্তারপর্ব্ব ভোজের পরে পঞ্চাশতম দিন কে পঞ্চশত্তমীর দিন বলে৷ দিন এলো, তাঁরা সবাই একমনে, এক জায়গায় মিলিত হয়ে প্রার্থনায় ছিলেন।
যখন পঞ্চাশত্তমীর দিন উপস্থিত হল, তাঁরা সকলেই এক স্থানে সমবেত ছিলেন।
2 তখন হঠাৎ স্বর্গ থেকে প্রচণ্ড গতির বায়ুর শব্দের মত শব্দ এলো, যে ঘরে তাঁরা বসে ছিলেন, সেই ঘরের সব জায়গায় তা ছড়িয়ে পড়ল।
হঠাৎই আকাশ থেকে প্রবল বায়ুপ্রবাহের মতো একটি শব্দ ভেসে এল এবং তাঁরা যেখানে বসেছিলেন, সেই ঘরের সর্বত্র ব্যাপ্ত হল।
3 এবং জিভের মত দেখতে এমন অনেক আগুনের শিখা তাঁরা দেখতে পেলেন এবং সেগুলো তাঁদের প্রত্যেকের উপর অবস্থিতি করল।
তাঁরা দেখতে পেলেন, যেন জিভের মতো আগুনের শিখা, যা ভাগ ভাগ হয়ে তাঁদের প্রত্যেকের উপরে অধিষ্ঠান করল।
4 তারফলে তাঁরা সবাই পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ হলেন, আত্মা যাকে যেমন যেমন ভাষা বলার শক্তি দিলেন, সেভাবে তাঁরা অন্য অন্য ভাষায় কথা বলতে আরম্ভ করলেন।
আর তাঁরা সবাই পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ হলেন এবং আত্মা যেমন সক্ষমতা দিলেন, তাঁরা সেইরূপ অন্য অন্য ভাষায় কথা বলতে লাগলেন।
5 সেদিন যিরূশালেমে বসবাসকারী ইহুদীরা এবং আকাশের নিচে প্রত্যেক জাতি থেকে আসা ঈশ্বরের লোকেরা, সেখানে ছিলেন।
সেই সময় আকাশের নিচে অবস্থিত সমস্ত দেশ থেকে ঈশ্বরভয়শীল ইহুদিরা জেরুশালেমে বাস করছিলেন।
6 সেই শব্দ শুনে সেখানে অনেকে জড়ো হল এবং তারা সবাই খুবই অবাক হয়ে গেল, কারণ সবাই তাদের নিজের নিজের ভাষায় তাঁদের কথা বলতে শুনলেন।
তারা যখন এই শব্দ শুনল, তারা হতচকিত হয়ে সেই স্থানে এসে ভিড় করল, কারণ তাদের মধ্যে প্রত্যেকেই নিজস্ব ভাষায় তাঁদের কথা বলতে শুনল।
7 তখন সবাই খুবই আশ্চর্য্য ও অবাক হয়ে বলতে লাগলো, এই যে লোকেরা কথা বলছেন এরা সবাই কি গালীলীয় না?
অত্যন্ত চমৎকৃত হয়ে তারা জিজ্ঞাসা করল, “এই যে লোকেরা কথা বলছে, এরা সবাই কি গালীলীয় নয়?
8 তবে আমরা কেমন করে আমাদের নিজেদের ভাষায় ওদের কথা বলতে শুনছি?
তাহলে কীভাবে আমরা প্রত্যেকেই তার নিজস্ব জন্মদেশীয় ভাষায় তাঁদের কথা বলতে শুনছি?
9 পার্থীয়, মাদীয় ও এলমীয় এবং মেসোপটেমিয়া যিহূদিয়া ও কাপ্পাদকিয়া, পন্ত ও এশিয়া,
পার্থীয়, মাদীয়, এলমীয় এবং মেসোপটেমিয়া, যিহূদিয়া ও কাপ্পাদোকিয়া, পন্ত ও এশিয়ার অধিবাসীরা,
10 ১০ ফুরুগিয়া ও পাম্ফুলিয়া, মিশর এবং লুবিয়া দেশের কুরিনীয়ের কাছে বসবাসকারী এবং রোম দেশের বাসিন্দারা।
ফরুগিয়া ও পাম্ফুলিয়া, মিশর ও কুরীণের কাছাকাছি লিবিয়ার অংশবিশেষ, রোম থেকে আগত পরিদর্শকেরা,
11 ১১ যিহূদী ও যিহূদী ধর্মে ধর্মান্তরিত অনেকে এবং ক্রীতীয় ও আরবের বাসিন্দা যে আমরা, সবাই নিজের নিজের ভাষায় ঈশ্বরের আশ্চর্য্য ও উত্তম কাজের কথা ওদের মুখ থেকে শুনছি।
(ইহুদি ও ইহুদি ধর্মে ধর্মান্তরিত, উভয়ই); ক্রীটিয় ও আরবীয়েরা, আমরা শুনতে পাচ্ছি, আমাদের নিজস্ব ভাষায় তাঁরা ঈশ্বরের বিস্ময়কর কীর্তির কথা ঘোষণা করছেন!”
12 ১২ এসব দেখে তারা সবাই আশ্চর্য্য ও নির্বাক হয়ে একজন অন্য জনকে বলতে লাগলো, এসবের মানে কি?
চমৎকৃত ও হতভম্ব হয়ে তারা পরস্পরকে জিজ্ঞাসা করল, “এর অর্থ কী?”
13 ১৩ আবার অনেকে ব্যঙ্গ করে বলতে লাগলো এরা আঙ্গুরের রস পান করে মাতাল হয়েছে।
কেউ কেউ অবশ্য তাদের পরিহাস করে বলল, “এরা অত্যধিক সুরাপান করে ফেলেছে।”
14 ১৪ তখন পিতর এগারো জন প্রেরিতের সঙ্গে দাঁড়িয়ে জোর গলায় তাঁদের উদ্দেশ্যে বললেন, হে যিহূদী ও যিরূশালেমের বাসিন্দারা, আপনাদের এর অর্থ জানা দরকার, তাই আপনারা আমার কথা মন দিয়ে শুনুন।
তখন পিতর সেই এগারোজনের সঙ্গে উঠে দাঁড়িয়ে উচ্চকণ্ঠে জনসাধারণকে সম্বোধন করলেন, “হে ইহুদি জনমণ্ডলী ও জেরুশালেমে বসবাসকারী আপনারা সকলে, আমাকে এই ঘটনার কথা আপনাদের কাছে ব্যাখ্যা করতে দিন; আমি যা বলি, তা মনোযোগ দিয়ে শুনুন।
15 ১৫ কারণ আপনারা যা ভাবছেন তা নয়, এই লোকেরা কেউই মাতাল নয়, কারণ এখন মাত্র সকাল নয়টা।
এই লোকেরা নেশাগ্রস্ত নয়, যেমন আপনারা মনে করছেন। এখন সকাল নয়টা মাত্র!
16 ১৬ কিন্তু এটা সেই ঘটনা, যার বিষয়ে যোয়েল ভাববাদী বলেছেন,
আসলে ভাববাদী যোয়েল এই ঘটনার কথাই ব্যক্ত করেছিলেন:
17 ১৭ “শেষের দিনের এমন হবে, ঈশ্বর বলেন, আমি সমস্ত মাংসের উপরে আমার আত্মা ঢেলে দেব, তারফলে তোমাদের ছেলে ও মেয়েরা ভাববাণী বলবে, তোমাদের যুবকেরা দর্শন পাবে ও তোমাদের বৃদ্ধরাও স্বপ্ন দেখবে।
“ঈশ্বর বলেন, ‘অন্তিমকালে, আমি সমস্ত মানুষের উপরে আমার আত্মা ঢেলে দেব। তোমাদের ছেলে ও মেয়েরা ভাববাণী বলবে, তোমাদের প্রবীণেরা স্বপ্ন দেখবে, তোমাদের যুবকেরা দর্শন পাবে।
18 ১৮ আবার সেই দিন গুলোয় আমি আমার দাস ও দাসীদের উপরে আমার আত্মা ঢেলে দেব, আর তারা ভাববাণী বলবে।
এমনকি, আমার দাস-দাসীদেরও উপরে, সেইসব দিনে আমি আমার আত্মা ঢেলে দেব, আর তারা ভবিষ্যদ্‌বাণী করবে।
19 ১৯ আমি আকাশে বিভিন্ন অদ্ভুত লক্ষণ এবং নীচে পৃথিবীতে নানারকম চিহ্ন, রক্ত, আগুনও ধোঁয়ার বাষ্পকুণ্ডলী দেখাব।
ঊর্ধ্বাকাশে আমি দেখাব বিস্ময়কর সব লক্ষণ এবং নিচে পৃথিবীতে বিভিন্ন নিদর্শন, রক্ত ও আগুন এবং ধোঁয়ার কুণ্ডলী।
20 ২০ প্রভুর সেই মহান ও বিশেষ দিনের র আগমনের আগে সূর্য্য অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যাবে এবং চাঁদ রক্তের মত লাল হয়ে যাবে,
প্রভুর সেই মহৎ ও মহিমাময় দিনের আগমনের পূর্বে, সূর্য অন্ধকার এবং চাঁদ রক্তবর্ণ হয়ে যাবে।
21 ২১ আর এমন হবে, প্রত্যেকে যারা প্রভুর নামে ডাকবে, তারা পরিত্রান পাবে।”
আর যে কেউ প্রভুর নামে ডাকবে, সেই পরিত্রাণ পাবে।’
22 ২২ হে ইস্রায়েলের লোকেরা এই কথা শুনুন। নাসরতের যীশু অলৌকিক, পরাক্রম ও চিহ্ন কাজের মাধ্যমে আপনাদের কাছে ঈশ্বর থেকে প্রমাণিত মানুষ, তাঁর মাধ্যমে ঈশ্বর আপনাদের মধ্য এই সমস্ত কাজ করেছেন, যেমন আপনারা সবাই জানেন;
“হে ইস্রায়েলবাসী, একথা শুনুন, নাসরতীয় যীশু অনেক অলৌকিক কাজ, বিস্ময়কর ঘটনা ও নিদর্শনের মাধ্যমে প্রকাশ্যে আপনাদের কাছে ঈশ্বরের দ্বারা স্বীকৃত মানুষ ছিলেন। সেইসব কাজ ঈশ্বর তাঁরই মাধ্যমে সম্পন্ন করেছেন, যেমন আপনারা নিজেরাই অবগত আছেন।
23 ২৩ তাঁকে ঈশ্বরের পূর্ব পরিকল্পনা ও জ্ঞান অনুসারে সমর্পণ করা হয়েছিল আর আপনারা তাঁকে অধার্মিকদের দিয়ে ক্রুশে হত্যা করেছিলে।
সেই ব্যক্তিকে ঈশ্বর তাঁর নিরূপিত পরিকল্পনা ও পূর্বজ্ঞান অনুসারে তোমাদের হাতে সমর্পণ করেছিলেন, আর তোমরা দুর্জন ব্যক্তিদের সহায়তায় তাঁকে ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যা করেছ।
24 ২৪ ঈশ্বর মৃত্যু যন্ত্রণা শিথিল করে তাঁকে মৃত্যু থেকে তুলেছেন; কারণ তাঁকে ধরে রাখা মৃত্যুর সাধ্য ছিল না।
কিন্তু ঈশ্বর তাঁকে মৃত্যুযন্ত্রণা থেকে মুক্ত করে মৃত্যুর কবল থেকে উত্থাপিত করেছেন, কারণ মৃত্যুর পক্ষে তাঁকে ধরে রাখা অসম্ভব ছিল।
25 ২৫ কারণ দায়ূদ তাঁর বিষয় বলেছেন, “আমি প্রভুকে সবদিন আমার সামনে দেখতাম; কারণ তিনি আমার ডানদিকে আছেন, যেন আমি অস্থির না হই।
দাউদ তাঁর সম্পর্কে বলেছেন, “‘আমি প্রভুকে নিয়ত, আমার সামনে দেখেছি। কারণ, তিনি তো আমার ডানপাশে, আমি বিচলিত হব না।
26 ২৬ এই জন্য আমার মন আনন্দিত ও আমার জিভ উল্লাস করে; আর আমার শরীরও আশায় (নির্ভয়ে) বসবাস করবে;
তাই আমার হৃদয় আনন্দিত এবং আমার জিভ উল্লাস করে; আমার দেহ প্রত্যাশায় বিশ্রাম নেবে,
27 ২৭ কারণ তুমি আমার প্রাণ মৃত্যুলোকে ত্যাগ করবে না, আর নিজের পবিত্রজনকে ক্ষয় দেখতে দেবে না। (Hadēs g86)
কারণ তুমি কখনও আমাকে পাতালের গর্ভে পরিত্যাগ করবে না, তুমি তোমার পবিত্রজনকে ক্ষয় দেখতে দেবে না। (Hadēs g86)
28 ২৮ তুমি আমাকে জীবনের পথ দেখিয়েছ, তোমার শ্রীমুখ দিয়ে আমাকে আনন্দে পূর্ণ করবে।”
তুমি আমার কাছে জীবনের পথ অবগত করেছ, তোমার সামনে আমায় আনন্দে পূর্ণ করবে।’
29 ২৯ ভাইয়েরা সেই পূর্বপুরুষ দায়ূদের বিষয় আমি জোর দিয়ে বলতে পারি যে, তিনি মারা গেছেন এবং তাঁকে কবর দেওয়া হয়েছে, আর তাঁর কবর আজ পর্যন্ত আমাদের মধ্যে আছে।
“হে ইস্রায়েলবাসী, আমি আপনাদের মুক্তকণ্ঠে বলতে পারি যে, পূর্বপুরুষ দাউদ মৃত্যুবরণ করেছিলেন ও তাঁকে কবর দেওয়া হয়েছিল; তাঁর কবর আজও এখানে আমাদের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে।
30 ৩০ সুতরাং, তিনি ভাববাদী ছিলেন এবং জানতেন, ঈশ্বর শপথ করে এই প্রতিশ্রুতি করেছিলেন যে, তাঁর বংশের এক জনকে তাঁর সিংহাসনে বসাবেন;
কিন্তু তিনি একজন ভাববাদী ছিলেন, আর তিনি জানতেন যে, ঈশ্বর শপথপূর্বক তাঁকে প্রতিশ্রুতি দান করেছেন, তিনি তাঁর এক সন্তানকে তাঁর সিংহাসনে স্থাপন করবেন।
31 ৩১ এবং তিনি খ্রীষ্টের মৃত্যু থেকে জীবিত হবার বিষয় এই কথা বলেছিলেন যে, তাঁকে মৃত্যুলোকে ত্যাগ করা হয়নি, তাঁর মাংস ক্ষয় হবে না। (Hadēs g86)
ভবিষ্যতে কী ঘটবে তা আগেই দেখতে পেয়ে তিনি মশীহের পুনরুত্থান সম্পর্কে বলেছেন যে, তিনি পাতালের গর্ভে পরিত্যক্ত হবেন না, কিংবা তাঁর শরীর ক্ষয় দেখবে না। (Hadēs g86)
32 ৩২ এই যীশুকেই ঈশ্বর মৃত্যু থেকে তুলেছেন, আমরা সবাই যার সাক্ষী।
এই যীশুকেই ঈশ্বর মৃত্যু থেকে জীবনে বাঁচিয়ে তুলেছেন এবং আমরা সকলেই এই ঘটনার সাক্ষী।
33 ৩৩ সুতরাং, তোমরা যা দেখছ ও শুনছ তা এই, যে, ঈশ্বরের ডান পাশে উত্থানের পর এবং প্রতিজ্ঞামত পিতার থেকে পবিত্র আত্মা গ্রহণ করার পর, তিনি তা ঢেলে দিয়েছেন।
ঈশ্বরের ডানদিকে উন্নীত হয়ে তিনি পিতার কাছ থেকে প্রতিশ্রুত পবিত্র আত্মা লাভ করেছেন এবং আমাদের উপরে তাঁকে ঢেলে দিয়েছেন, যেমন আপনারা এখন দেখছেন ও শুনছেন।
34 ৩৪ কারণ রাজা দায়ূদ স্বর্গে ওঠেননি, কিন্তু নিজে এই কথা বলেছেন, “প্রভু আমার প্রভুকে বললেন, তুমি আমার ডানদিকে বস,
কিন্তু দাউদ নিজে স্বর্গে যাননি, তবুও তিনি বলেছেন, “‘প্রভু আমার প্রভুকে বললেন, তুমি আমার ডানদিকে বসো,
35 ৩৫ যতক্ষণ না আমি তোমার শত্রুদের তোমার পা রাখার জায়গায় পরিণত করি।”
যতক্ষণ না আমি তোমার শত্রুদের তোমার পাদপীঠ করি।’
36 ৩৬ “সুতরাং ইস্রায়েলের সমস্ত বংশ নিশ্চিত ভাবে জানুন যে, যাকে আপনারা ক্রুশে দিয়েছিলেন, সেই যীশুকেই ঈশ্বর প্রভু ও খ্রীষ্ট উভয়ই করেছেন।”
“সেই কারণে, সমস্ত ইস্রায়েল এ বিষয়ে নিশ্চিত হোক: যে যীশুকে তোমরা ক্রুশে বিদ্ধ করেছ, ঈশ্বর তাঁকে প্রভু ও মশীহ, এই উভয়ই করেছেন।”
37 ৩৭ এই কথা শুনে তাদের হৃদয়ে খুব আঘাত লাগল এবং তারা পিতর ও অন্য প্রেরিতদের বললেন, “ভাইয়েরা আমরা কি করব?”
সকলে যখন একথা শুনল, তাদের হৃদয় ক্ষতবিক্ষত হল। তারা পিতর ও অন্য প্রেরিতশিষ্যদের বলল, “ভাইরা, আমরা কী করব?”
38 ৩৮ তখন পিতর তাদের বললেন, “আপনারা প্রত্যেকে আপনাদের পাপ ক্ষমার জন্য মন ফেরান এবং যীশু খ্রীষ্টের নামে বাপ্তিষ্ম নিন, তাহলে পবিত্র আত্মার দান পাবেন।
পিতর উত্তর দিলেন, “তোমরা প্রত্যেকে মন পরিবর্তন করো ও যীশু খ্রীষ্টের নামে বাপ্তিষ্ম গ্রহণ করো, যেন তোমাদের পাপ ক্ষমা হয়, তাহলে তোমরা ঈশ্বরের দানস্বরূপ পবিত্র আত্মা লাভ করবে।
39 ৩৯ কারণ এই প্রতিজ্ঞা আপনাদের ও আপনাদের সন্তানদের জন্য এবং যারা দূরে ও যত লোককে প্রভু আমাদের ঈশ্বর ডেকে আনবেন।”
এই প্রতিশ্রুতি তোমাদের ও তোমাদের সন্তানদের জন্য এবং যারা দূরে আছে তাদের সকলের জন্য—সকলের জন্য যাদেরকে আমাদের ঈশ্বর প্রভু আহ্বান করবেন।”
40 ৪০ আরোও অনেক কথা বলে তিনি সাক্ষ্য দিয়েছিলেন ও তাদের অনুরোধ করে বলেছিলেন, “এই কালের মন্দ লোকেদের হাত থেকে তোমরা নিজেদের রক্ষা কর।”
আরও অনেক কথায় তিনি তাদের সতর্ক করে দিলেন এবং তিনি তাদের উপদেশ দিয়ে বললেন, “এই কলুষিত প্রজন্ম থেকে তোমরা নিজেদের রক্ষা করো।”
41 ৪১ তখন যারা পিতরের কথা শুনল, তারা বাপ্তিষ্ম নিল, তারফলে সেই দিন প্রায় তিন হাজার আত্মা তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হলো।
যারা তাঁর বাণী গ্রাহ্য করল, তারা বাপ্তিষ্ম গ্রহণ করল, আর সেদিন প্রায় তিন হাজার লোক তাদের সঙ্গে যুক্ত হল।
42 ৪২ আর তারা প্রেরিতদের শিক্ষায় ও সহভাগীতায় (নিজেদের মধ্যে সব কিছু ভাগ করে নিতেন), রুটি ভাঙায় ও প্রার্থনায় দিন কাটাতেন।
আর তারা প্রেরিতশিষ্যদের শিক্ষায় ও সহভাগিতায়, রুটি-ভাঙায় ও প্রার্থনায় একান্তভাবে অংশগ্রহণ করল।
43 ৪৩ তখন সবার মধ্যে ভয় উপস্থিত হলো এবং প্রেরিতরা অনেক আশ্চর্য্য কাজ ও চিহ্ন-কার্য্য সাধন করতেন।
প্রেরিতশিষ্যদের মাধ্যমে বহু আশ্চর্য ঘটনা ও অলৌকিক নিদর্শন সম্পন্ন হতে দেখে প্রত্যেকে ভক্তিপূর্ণ ভয়ে পূর্ণ হয়ে উঠল।
44 ৪৪ আর যারা বিশ্বাস করলো, তারা সব কিছু একসঙ্গে রাখতেন;
যারা বিশ্বাস করল তারা সকলেই একসঙ্গে থাকত ও একই ভাণ্ডার থেকে তাদের প্রয়োজন মেটাতো।
45 ৪৫ আর তারা তাদের সমস্ত সম্পত্তি ও জায়গা জমি বিক্রি করে, যার যেমন প্রয়োজন হত তাকে তেমন অর্থ দেওয়া হত।
তাদের বিষয়সম্পত্তি ও জিনিসপত্র বিক্রি করে তাদের প্রত্যেকের প্রয়োজন অনুযায়ী তা ভাগ করে দিত।
46 ৪৬ আর তারা প্রতিদিন একমনে মন্দিরে যেতেন এবং বাড়িতে আনন্দে ভাঙা রুটি খেতেন ও আনন্দের সঙ্গে এবং সরল মনে খাবার খেতেন,
প্রতিদিন তারা একসঙ্গে মন্দির-প্রাঙ্গণে মিলিত হত। তারা নিজেদের ঘরে রুটি ভাঙত এবং আনন্দের সঙ্গে ও হৃদয়ের সরলতায় একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করত।
47 ৪৭ তারা ঈশ্বরের প্রশংসা করতেন এবং এতে সকল মানুষের কাছে তাঁরা ভালবাসার পাত্র পরিচিত হলেন। আর যারা পরিত্রান পাচ্ছিল, প্রভু তাদের প্রতিদিন মণ্ডলীতে যুক্ত করতেন।
তারা ঈশ্বরের প্রশংসা করত এবং সব মানুষ তাদের শ্রদ্ধা করত। আর যারা পরিত্রাণ লাভ করল, প্রভু দিন-প্রতিদিন তাঁদের সঙ্গে পরিত্রাণপ্রাপ্তদের যুক্ত করে তাঁদের সংখ্যা বৃদ্ধি করলেন।

< প্রেরিত 2 >