< ২য় পিতর 1 >

1 শিমোন পিতর, যীশু খ্রীষ্টের দাস ও প্রেরিত, যারা আমাদের ঈশ্বরের ও উদ্ধারকর্তা যীশু খ্রীষ্টের ধার্ম্মিকতায় আমাদের সাথে সমানভাবে বহুমূল্য বিশ্বাস প্রাপ্ত হয়েছেন, তাদের নিকটে এই চিঠি লিখছি।
আমি শিমোন পিতর, যীশু খ্রীষ্টের একজন প্রেরিতশিষ্য ও দাস, যারা আমাদের ঈশ্বর ও পরিত্রাতা যীশু খ্রীষ্টের ধার্মিকতার মাধ্যমে আমাদের মতোই বহুমূল্য বিশ্বাস পেয়েছে, তাদের উদ্দেশে এই পত্র লিখছি।
2 ঈশ্বরের এবং আমাদের প্রভু যীশুর তত্ত্বজ্ঞানে অনুগ্রহ ও শান্তি তোমাদের প্রতি বৃদ্ধি হোক।
ঈশ্বর ও আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের বিষয়ে জ্ঞানলাভের মাধ্যমে তোমরা প্রচুর পরিমাণে অনুগ্রহ ও শান্তির অধিকারী হও।
3 কারণ ঈশ্বর নিজের গৌরবে ও ভালোগুনে আমাদেরকে আহ্বান করেছেন, তাঁর তত্ত্বজ্ঞানের মাধ্যমে তাঁর ঈশ্বরীয় শক্তি আমাদেরকে জীবন ও ভক্তি সম্বন্ধীয় সব বিষয় প্রদান করেছে।
যিনি নিজ মহিমা ও মহত্ত্বে আমাদের আহ্বান করেছেন, তাঁর তত্ত্বজ্ঞান দ্বারা তাঁর ঐশ্বরিক পরাক্রম আমাদের জীবন ও ভক্তিপরায়ণতা সম্পর্কে যা কিছু প্রয়োজন, সবকিছুই দান করেছেন।
4 আর ঐ গৌরবে ও গুনে তিনি আমাদেরকে মূল্যবান এবং মহান প্রতিজ্ঞা প্রদান করেছেন, যেন তার মাধ্যমে তোমরা এই পৃথিবীতে দুর্নীতিগ্রস্থ বিদ্বেষপূর্ণ ইচ্ছা থেকে পালিয়ে গিয়ে, ঈশ্বরীয় স্বভাবের সহভাগী হও।
এসবের মাধ্যমে তিনি আমাদের তাঁর অত্যন্ত মহান ও বহুমূল্য সব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তোমরা যেন সেগুলির মাধ্যমে ঐশ্বরিক স্বভাবের অংশীদার হও। সেই সঙ্গে মন্দ কামনাবাসনার দ্বারা উদ্ভূত যে জগতের কলুষতা, তা থেকে তোমরা পালিয়ে যেতে পারো।
5 আর এরই কারণে, তোমরা সম্পূর্ণ আগ্রহী হয়ে নিজেদের বিশ্বাসের মাধ্যমে সদগুন, ও সদগুনের মাধ্যমে জ্ঞান,
বিশেষ এই কারণেই তোমরা সর্বতোভাবে চেষ্টা করে তোমাদের বিশ্বাসের সঙ্গে যুক্ত করো সৎ আচরণ, সৎ আচরণের সঙ্গে জ্ঞান,
6 ও জ্ঞানের মাধ্যমে আত্মসংযম, ও আত্মসংযমের মাধ্যমে ধৈর্য্য, ও ধৈর্য্যের মাধ্যমে ধার্ম্মিকতা,
জ্ঞানের সঙ্গে আত্মসংযম, আত্মসংযমের সঙ্গে নিষ্ঠা, নিষ্ঠার সঙ্গে ভক্তি
7 ও ধার্মিকতার দ্বারা ভাইয়ের স্নেহ, ও ভ্রাতৃস্নেহের মাধ্যমে ভালবাসা লাভ কর।
ও ভক্তির সঙ্গে একে অপরের প্রতি স্নেহ এবং একে অপরের প্রতি স্নেহের সঙ্গে ভালোবাসা।
8 কারণ এই সব যদি তোমাদের মধ্যে থাকে ও নিজে বেড়ে ওঠে, তবে আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের তত্ত্বজ্ঞান সম্বন্ধে তোমাদেরকে অলস কি ফলহীন থাকতে দেবে না।
কারণ তোমরা যদি এই সমস্ত গুণের অধিকারী হয়ে সেগুলির বৃদ্ধি ঘটাও, তাহলে সেগুলিই তোমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের সম্বন্ধে জ্ঞানলাভের পথে তোমাদের নিষ্ক্রিয় বা নিষ্ফল হতে দেবে না।
9 কারণ এই সব যার নেই, সে অন্ধ, বেশি দূর দেখতে পায় না, তিনি নিজের পূর্বের পাপসমূহ মার্জনা করে পরিষ্কার করতে ভুলে গিয়েছে।
কিন্তু কারও মধ্যে যদি সেগুলি না থাকে, সে অদূরদর্শী ও অন্ধ, সে ভুলে গেছে যে, তার অতীতের সব পাপ থেকে সে শুদ্ধ হয়েছে।
10 ১০ অতএব, হে ভাইয়েরা, তোমাদের যে ডেকেছেন ও মনোনীত, তা নিশ্চিত করতে আরো ভালো কর, কারণ এ সব করলে তোমরা কখনও হোঁচট খাবে না;
সেই কারণে ভাইবোনেরা, তোমাদের আহ্বান ও মনোনীত হওয়া সম্পর্কে সুনিশ্চিত হওয়ার জন্য তোমরা সবাই আরও বেশি আগ্রহী হও। কারণ তোমরা এসব বিষয় সম্পন্ন করলে তোমরা কখনও ব্যর্থ হবে না।
11 ১১ কারণ এই ভাবে আমাদের প্রভু ও মুক্তিদাতা যীশু খ্রীষ্টের অনন্ত রাজ্যে প্রবেশ করবার অধিকার প্রচুরভাবে তোমাদেরকে দেওয়া যাবে। (aiōnios g166)
আর তোমরা আমাদের প্রভু ও পরিত্রাতা যীশু খ্রীষ্টের অনন্ত রাজ্যে সাদর অভ্যর্থনা লাভ করবে। (aiōnios g166)
12 ১২ এই কারণ আমি তোমাদেরকে এই সব সবদিন মনে করে দিতে প্রস্তুত থাকব; যদিও তোমরা এ সব জান এবং এখন সত্যে দৃঢ় আছ।
অতএব, আমি এই সমস্ত বিষয় প্রতিনিয়ত তোমাদের মনে করিয়ে দেব, যদিও তোমরা সেসব জানো এবং এখন যে সত্য তোমরা জেনেছ তাতেই দৃঢ়রূপে প্রতিষ্ঠিত আছ।
13 ১৩ আর আমি যত দিন এই তাঁবুতে থাকি, ততদিন তোমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে জাগিয়ে রাখা ঠিক মনে করি।
এই দেহরূপ তাঁবুতে আমি যতদিন বাস করব, ততদিন তোমাদের মনে করিয়ে দেওয়া আমার কর্তব্য বলে মনে করি।
14 ১৪ কারণ আমি জানি, আমার এই তাঁবু তাড়াতাড়ি ছেড়ে দেওয়া হবে, তা আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টই আমাকে জানিয়েছেন।
কারণ আমি জানি, খুব শীঘ্রই আমাকে তা ছেড়ে যেতে হবে, প্রভু যীশু খ্রীষ্ট আমাকে তা স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন।
15 ১৫ আর তোমরা যাতে আমার যাত্রার পরে সবদিন এই সব মনে করতে পার, তার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব।
আমি আপ্রাণ চেষ্টা করে যাব, যেন আমার চলে যাওয়ার পরেও তোমরা এসব বিষয় সবসময়ই মনে রাখতে পারো।
16 ১৬ কারণ আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ক্ষমতা ও আবির্ভাবের বিষয় যখন তোমাদেরকে জানিয়েছিলাম, তখন আমরা চালাকি করে গল্পের অনুগামী হয়নি, কিন্তু তাঁর মহিমার প্রত্যক্ষদর্শী হয়েছিলাম।
তোমাদের কাছে যখন প্রভু যীশু খ্রীষ্টের পরাক্রম ও আগমনের কথা বলেছিলাম, তখন আমরা কৌশলে কোনো কল্পকাহিনির আশ্রয় গ্রহণ করিনি, কিন্তু আমরা ছিলাম তাঁর মহিমার প্রত্যক্ষদর্শী।
17 ১৭ ফলে প্রভু পিতা ঈশ্বর থেকে সম্মান ও গৌরব পেয়েছিলেন, সেই মহিমাযুক্ত গৌরব থেকে তার কাছে এই বাণী এসেছিল, “ইনিই আমার প্রিয় পুত্র, যাকে আমি ভালবাসি, এতেই আমি সন্তুষ্ট।”
কারণ তিনি পিতা ঈশ্বরের কাছ থেকে সম্মান ও গৌরব পেয়েছিলেন, যখন রাজসিক মহিমা থেকে এক বাণী তাঁর কাছে উপস্থিত হল, “ইনিই আমার প্রিয় পুত্র, যাঁকে আমি প্রেম করি, এঁর প্রতি আমি পরম প্রসন্ন।”
18 ১৮ আর স্বর্গ থেকে আসা সেই বাণী আমরাই শুনেছি, যখন তাঁর সঙ্গে পবিত্র পর্বতে ছিলাম।
আমরা যখন তাঁর সঙ্গে সেই পবিত্র পর্বতে ছিলাম, আমরা নিজেরাও স্বর্গ থেকে শোষিত সেই স্বর শুনেছি।
19 ১৯ আর ভাববাদীর বাক্য দৃঢ়তর হয়ে আমাদের কাছে রয়েছে; তোমরা যে সেই বাণীর প্রতি মনোযোগ করছ, তা ভালই করছ; তা এমন এক প্রদীপের সমান, যা যে পর্যন্ত দিনের র শুরু না হয় এবং সকালের তারা তোমাদের হৃদয়ে না ওঠে, সেই পর্যন্ত অন্ধকারময় জায়গায় আলো দেয়।
আবার, আমাদের কাছে ভাববাদীদের বাণীও রয়েছে যা আমাদের আরও সুনিশ্চিত করেছে এবং তোমরা এ বিষয়ে মনোনিবেশ করলে ভালোই করবে, কারণ যতদিন না দিনের আলো ফুটে ওঠে ও তোমাদের হৃদয়ের আকাশে প্রভাতি তারার উদয় হয়, ততদিন এই বাণীই হবে অন্ধকারময় স্থানে প্রদীপের মতো।
20 ২০ প্রথমে এটা জানো যে, শাস্ত্রীয় কোনো ভাববাণী বক্তার নিজের ব্যাখ্যার বিষয় না;
সর্বোপরি, তোমাদের অবশ্যই বুঝে নিতে হবে যে, শাস্ত্রের কোনো ভবিষ্যদ্‌বাণী ভাববাদীর নিজের ব্যাখ্যার বিষয় নয়।
21 ২১ কারণ ভাববাণী কখনও মানুষের ইচ্ছা অনুসারে আসেনি, কিন্তু মানুষেরা পবিত্র আত্মার মাধ্যমে চালিত হয়ে ঈশ্বর থেকে যা পেয়েছেন, তাই বলেছেন।
কারণ মানুষের ইচ্ছা থেকে কখনও ভাববাণীর উদ্ভব হয়নি, মানুষেরা পবিত্র আত্মার দ্বারা পরিচালিত হয়ে ঈশ্বর থেকে যা পেয়েছেন, তাই বলেছেন।

< ২য় পিতর 1 >