দ্বিতীয় রাজাবলি 5
1 ১ অরামের রাজার সেনাপতি নামান ছিলেন তাঁর মনিবের চোখে একজন মহান ও সম্মানিত লোক, কারণ তাঁরই মাধ্যমে সদাপ্রভু অরামকে জয়ী করেছিলেন; আর তিনি ছিলেন বলবান বীর, কিন্তু কুষ্ঠরোগী ছিলেন।
Ο δε Νεεμάν, ο στρατηγός του βασιλέως της Συρίας, ήτο ανήρ μέγας ενώπιον του κυρίου αυτού και τιμώμενος, επειδή ο Κύριος δι' αυτού έδωκε σωτηρίαν εις την Συρίαν· και ο άνθρωπος ήτο δυνατός εν ισχύϊ, λεπρός όμως.
2 ২ এক দিনের অরামীয়েরা দলে দলে গিয়েছিল; তারা ইস্রায়েল দেশ থেকে একটি ছোট মেয়েকে বন্দী করে আনলে সে নামানের স্ত্রীর দাসী হয়েছিল।
Εξήλθον δε οι Σύριοι κατά τάγματα και έφερον αιχμάλωτον εκ της γης του Ισραήλ μικράν τινά κόρην· και υπηρέτει την γυναίκα του Νεεμάν.
3 ৩ সে তার কর্ত্রীকে বলল, “আমার মনিব যদি শমরিয়ার ভাববাদীর সঙ্গে দেখা করতে পারতেন, তাহলে তিনি তাঁকে কুষ্ঠরোগ থেকে উদ্ধার করতেন।”
Και είπε προς την κυρίαν αυτής, Είθε να ήτο ο κύριός μου έμπροσθεν του προφήτου του εν Σαμαρεία, διότι ήθελεν ιατρεύσει αυτόν από της λέπρας αυτού.
Και εισελθών ο Νεεμάν απήγγειλε προς τον κύριον αυτού, λέγων, Ούτω και ούτως ελάλησεν η κόρη η εκ της γης του Ισραήλ.
5 ৫ অরামের রাজা বললেন, “সেখানে তুমি যাও, আমি ইস্রায়েলের রাজার কাছে চিঠি পাঠাই।” তখন তিনি নিজের সঙ্গে দশ তালন্ত রূপা, ছয় হাজার সোনার মুদ্রা ও দশ জোড়া কাপড় নিয়ে চলে গেলেন।
Και είπεν ο βασιλεύς της Συρίας, Ελθέ, ύπαγε, και θέλω στείλει επιστολήν προς τον βασιλέα του Ισραήλ. Και ανεχώρησε και έλαβεν εν τη χειρί αυτού δέκα τάλαντα αργυρίου και εξ χιλιάδας χρυσούς και δέκα αλλαγάς ενδυμάτων·
6 ৬ আর তিনি ইস্রায়েলের রাজার কাছে চিঠিটি নিয়ে গেলেন, চিঠিতে লেখা ছিল, “এই চিঠি যখন আপনার কাছে পৌঁছাবে, তখন দেখুন, আমি আমার দাস নামানকে আপনার কাছে পাঠালাম, আপনি তাকে কুষ্ঠরোগ থেকে উদ্ধার করবেন।”
Και έφερε την επιστολήν προς τον βασιλέα του Ισραήλ, λέγουσαν, Και τώρα καθώς έλθη επιστολή αύτη προς σε, ιδού, έστειλα προς σε Νεεμάν τον δούλον μου, διά να ιατρεύσης αυτόν από της λέπρας αυτού.
7 ৭ যখন ইস্রায়েলের রাজা সেই চিঠি পড়লেন তিনি তাঁর কাপড় ছিঁড়ে বললেন, “মারবার ও বাঁচাবার ঈশ্বর কি আমি যে, এই ব্যক্তি একজন মানুষকে কুষ্ঠ হতে উদ্ধার করার জন্য আমার কাছে পাঠাচ্ছে? অনুরোধ করি, তোমরা বিচার করে দেখ, সে আমার বিরুদ্ধে তর্কের জন্য সূত্র খোঁজ করছে।”
Και καθώς ανέγνωσεν ο βασιλεύς του Ισραήλ την επιστολήν, διέσχισε τα ιμάτια αυτού, και είπε, Θεός είμαι εγώ, διά να θανατόνω και να ζωοποιώ, ώστε ούτος στέλλει προς εμέ να ιατρεύσω άνθρωπον από της λέπρας αυτού; γνωρίσατε λοιπόν, παρακαλώ, και ιδέτε ότι ούτος ζητεί πρόφασιν εναντίον μου.
8 ৮ পরে ইস্রায়েলের রাজা কাপড় ছিঁড়েছেন এই কথা শুনে ঈশ্বরের লোক ইলীশায় রাজার কাছে এই কথা বলে পাঠালেন, “কেন আপনি কাপড় ছিঁড়েছেন? সে ব্যক্তি আমার কাছে আসুক; তাতে জানতে পারবে যে, ইস্রায়েলের মধ্যে একজন ভাববাদী আছে।”
Ως δε ήκουσεν ο Ελισσαιέ, ο άνθρωπος του Θεού, ότι ο βασιλεύς του Ισραήλ διέσχισε τα ιμάτια αυτού, απέστειλε προς τον βασιλέα, λέγων, Διά τι διέσχισας τα ιμάτιά σου; ας έλθη τώρα προς εμέ, και θέλει γνωρίσει ότι είναι προφήτης εν τω Ισραήλ.
Τότε ήλθεν ο Νεεμάν μετά των ίππων αυτού και μετά της αμάξης αυτού, και εστάθη εις την θύραν της οικίας του Ελισσαιέ.
10 ১০ তখন ইলীশায় তাঁর কাছে একজন লোক পাঠিয়ে বললেন, “আপনি গিয়ে সাতবার যর্দনে স্নান করুন, আপনার নতুন মাংস হবে ও আপনি শুচি হবেন।”
Και απέστειλε προς αυτόν ο Ελισσαιέ μηνυτήν, λέγων, Ύπαγε και λούσθητι επτάκις εν τω Ιορδάνη, και θέλει επανέλθει η σαρξ σου εις σε, και θέλεις καθαρισθή.
11 ১১ তখন নামান ভীষণ রেগে চলে গেলেন, আর বললেন, “দেখ, আমি ভেবেছিলাম, তিনি নিশ্চয়ই বের হয়ে আমার কাছে আসবেন এবং দাঁড়িয়ে তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ডাকবেন, আর কুষ্ঠরোগের উপরে হাত বুলিয়ে কুষ্ঠীকে সুস্থ করবেন।
Ο δε Νεεμάν εθυμώθη και ανεχώρησε και είπεν, Ιδού, εγώ έλεγον, Θέλει βεβαίως εξέλθει προς εμέ και θέλει σταθή και επικαλεσθή το όνομα Κυρίου του Θεού αυτού, και διακινήσει την χείρα αυτού επί τον τόπον και ιατρεύσει τον λεπρόν·
12 ১২ ইস্রায়েলের সমস্ত জলাশয় থেকে দম্মেশকের অবানা ও পর্পর নদী কি ভাল নয়? সেখানে স্নান করে কি আমি শুচি হতে পারি না?” আর তিনি মুখ ফিরিয়ে রেগে গিয়ে ফিরে গেলেন।
ο Αβανά και ο Φαρφάρ, ποταμοί της Δαμασκού, δεν είναι καλήτεροι υπέρ πάντα τα ύδατα του Ισραήλ; δεν ηδυνάμην να λουσθώ εν αυτοίς και να καθαρισθώ; Και στραφείς, ανεχώρησε μετά θυμού.
13 ১৩ কিন্তু তাঁর দাসেরা কাছে গিয়ে অনুরোধ করে বলল, “বাবা, ঐ ভাববাদী যদি আপনাকে কোনো কঠিন কাজ করতে আদেশ দিতেন, তাহলে কি আপনি তা করতেন না? তবে ‘স্নান করে শুচি হন’ তাঁর এই আদেশটি কি মানবেন না?”
Επλησίασαν δε οι δούλοι αυτού και ελάλησαν προς αυτόν και είπον· Πάτερ μου, εάν ο προφήτης ήθελε σοι ειπεί μέγα πράγμα, δεν ήθελες κάμει αυτό; πόσω μάλλον τώρα, όταν σοι λέγη, Λούσθητι και καθαρίσθητι;
14 ১৪ তখন তিনি ঈশ্বরের লোকের আদেশ অনুযায়ী নেমে গিয়ে যর্দনে সাতবার ডুব দিলেন, তাতে ছোট ছেলের মত তাঁর নতুন মাংস হল ও তিনি শুচি হলেন।
Τότε κατέβη και εβυθίσθη επτάκις εις τον Ιορδάνην, κατά τον λόγον του ανθρώπου του Θεού· και η σαρξ αυτού αποκατέστη ως σαρξ παιδίου μικρού, και εκαθαρίσθη.
15 ১৫ পরে তিনি তাঁর সঙ্গীদের জনগনের সঙ্গে ঈশ্বরের লোকের কাছে ফিরে এসে তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে বললেন, “দেখুন, আমি এখন জানতে পারলাম যে, একমাত্র ইস্রায়েলের ঈশ্বর ছাড়া সারা পৃথিবীতে আর কোন ঈশ্বর নেই; অতএব অনুরোধ করি, আপনার দাসের কাছ থেকে উপহার নিন।”
Και επέστρεψε προς τον άνθρωπον του Θεού, αυτός και πάσα η συνοδία αυτού, και ήλθε και εστάθη έμπροσθεν αυτού· και είπεν, Ιδού, τώρα εγνώρισα ότι δεν είναι Θεός εν πάση τη γη, ειμή εν τω Ισραήλ· όθεν τώρα δέχθητι, παρακαλώ, δώρον παρά του δούλου σου.
16 ১৬ কিন্তু তিনি বললেন, “আমি যাঁর সামনে দাঁড়িয়ে আছি, সেই জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি যে, আমি কোনো কিছু নেব না।” নামান জোর করলেও তিনি রাজি হলেন না।
Ο δε είπε, Ζη Κύριος, ενώπιον του οποίον παρίσταμαι, δεν θέλω δεχθή. Ο δε εβίαζεν αυτόν να δεχθή, αλλά δεν έστερξε.
17 ১৭ পরে নামান বললেন, “তা যদি না হয়, তবে অনুরোধ করি, দুটো খচ্চরে বয়ে নিয়ে যেতে পারে এমন মাটি আপনার দাসকে দিন; কারণ আজ থেকে আপনার এই দাস সদাপ্রভু ছাড়া অন্য কোন দেবতার উদ্দেশ্যে হোম কিংবা বলিদান করবে না।
Και είπεν ο Νεεμάν, Και αν μη, ας δοθή, παρακαλώ, εις τον δούλον σου δύο ημιόνων φορτίον εκ του χώματος τούτου, διότι ο δούλός σου δεν θέλει προσφέρει εις το εξής ολοκαύτωμα ουδέ θυσίαν εις άλλους θεούς, παρά μόνον εις τον Κύριον·
18 ১৮ শুধু এই বিষয়ে সদাপ্রভু তাঁর দাসকে ক্ষমা করুন; আমার মনিব উপাসনা করার জন্য যখন রিম্মোণের মন্দিরে ঢুকে আমার হাতের উপর ভর দেন, তখন যদি আমি রিম্মোণের মন্দিরে প্রণাম করি, তবে সদাপ্রভু যেন এই ব্যাপারে আমাকে ক্ষমা করেন।”
περί τούτου του πράγματος ας συγχωρήση ο Κύριος τον δούλον σου, ότι, όταν εισέρχηται ο κύριός μου εις τον οίκον του Ριμμών διά να προσκυνήση εκεί, και στηρίζηται επί την χείρα μου, και εγώ κλίνω εμαυτόν εν τω οίκω του Ριμμών, ενώ κλίνω εμαυτόν εν τω οίκω του Ριμμών, ο Κύριος ας συγχωρήση τον δούλον σου περί του πράγματος τούτου
Και είπε προς αυτόν, Ύπαγε εν ειρήνη. Και ανεχώρησεν απ' αυτού μικρόν τι διάστημα.
20 ২০ তখন ঈশ্বরের লোক ইলীশায়ের চাকর গেহসি নিজের মনে বলল, “দেখ, আমার মনিব ঐ অরামীয় নামানকে এমনিই ছেড়ে দিলেন, যা এনেছিলেন তা নিলেন না, জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, আমি তাঁর পিছনে পিছনে দৌড়ে গিয়ে তাঁর কাছ থেকে কিছু নেব।”
Είπε δε ο Γιεζεί, ο υπηρέτης του Ελισσαιέ του ανθρώπου του Θεού, Ιδού, εφείσθη ο κύριός μου του Νεεμάν τούτου του Συρίου, ώστε να μη λάβη εκ της χειρός αυτού εκείνο το οποίον έφερε· πλην, ζη Κύριος, εγώ θέλω τρέξει κατόπιν αυτού και θέλω λάβει τι παρ' αυτού.
21 ২১ পরে গেহসি নামানের অনুসরণ করে দৌড়ে গেল; তাতে নামান তাঁর পিছনে দৌড়ে আসতে দেখে তার সঙ্গে দেখা করবার জন্য রথ থেকে নেমে তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “সব খবর ভালো তো?”
Και έτρεξεν ο Γιεζεί κατόπιν του Νεεμάν. Και ότε είδεν αυτόν ο Νεεμάν τρέχοντα κατόπιν αυτού, επήδησεν εκ της αμάξης εις συνάντησιν αυτού και είπε, Καλώς έχετε;
22 ২২ সে বলল, “সব ঠিক আছে। আমার মনিব এই কথা বলবার জন্য আমাকে পাঠিয়েছেন যে, দেখুন, ইফ্রয়িমের পর্বতময় এলাকা থেকে ভাববাদীদের সন্তানদের মধ্যে দুজন যুবক এসেছে; অনুরোধ করি, তাদের জন্য এক তালন্ত রূপা ও দুই জোড়া পোশাক দিন।”
Ο δε είπε, Καλώς· ο κύριός μου με απέστειλε, λέγων, Ιδού, ταύτην την ώραν ήλθον προς εμέ, εκ του όρους Εφραΐμ, δύο νέοι εκ των υιών των προφητών· δος εις αυτούς, παρακαλώ, εν τάλαντον αργυρίου και δύο αλλαγάς ενδυμάτων.
23 ২৩ নামান বললেন, “দয়া করে দুই তালন্ত নাও।” পরে তিনি আগ্রহের সঙ্গে দুই তালন্ত রূপা দুটি থলিতে বেঁধে দুই জোড়া কাপড় তাঁর দুজন দাসকে দিলে তারা তার আগে আগে বয়ে নিয়ে যেতে লাগল।
Και είπεν ο Νεεμάν, Λάβε ευχαρίστως δύο τάλαντα. Και εβίασεν αυτόν, και έδωσε τα δύο τάλαντα του αργυρίου εις δύο θυλάκια, μετά δύο αλλαγών ενδυμάτων· και επέθεσεν αυτά εις δύο εκ των δούλων αυτού, και εβάσταζον αυτά έμπροσθεν αυτού.
24 ২৪ পরে পাহাড়ে এসে গেহসি তাদের কাছ থেকে সেগুলি নিয়ে গৃহের মধ্যে রাখল এবং তাদের বিদায় করে দিলে তারা চলে গেল।
Και ότε ήλθεν εις Οφήλ, έλαβεν αυτά εκ των χειρών αυτών και εφύλαξεν εν τω οίκω· και απέλυσε τους άνδρας, και ανεχώρησαν.
25 ২৫ পরে সে ভিতরে গিয়ে তার মনিবের সামনে দাঁড়াল। তখন ইলীশায় তাকে বললেন, “গেহসি, তুমি কোথায় গিয়েছিলে?” এবং সে বলল, “আপনার দাস কোথাও যায় নি।”
Αυτός δε εισήλθε και εστάθη έμπροσθεν του κυρίου αυτού. Και είπε προς αυτόν ο Ελισσαιέ, Πόθεν, Γιεζεί; Ο δε είπεν, Ο δούλός σου δεν υπήγε πούποτε.
26 ২৬ তখন তিনি তাকে বললেন, “সেই লোকটি যখন তোমার সঙ্গে দেখা করবার জন্য রথ থেকে নামলেন, তখন আমার মন কি তোমার সাথে যায় নি? রূপা, পোশাক, জিতবৃক্ষের বাগান, আঙ্গুর ক্ষেত, গরু, ভেড়া, দাস ও দাসী নেবার এটাই কি দিন?
Και είπε προς αυτόν, Δεν υπήγεν η καρδία μου μετά σου, ότε ο άνθρωπος επέστρεψεν από της αμάξης αυτού εις συνάντησίν σου; είναι καιρός να λάβης αργύριον και να λάβης ιμάτια και ελαιώνας και αμπελώνας και πρόβατα και βόας και δούλους και δούλας;
27 ২৭ অতএব নামানের কুষ্ঠরোগ তোমার ও তোমার বংশের মধ্যে চিরকাল লেগে থাকবে।” তখন গেহসি তুষারের মত সাদা কুষ্ঠগ্রস্ত হয়ে তাঁর সামনে থেকে চলে গেল।
διά τούτο η λέπρα του Νεεμάν θέλει κολληθή εις σε και εις το σπέρμα σου εις τον αιώνα. Και εξήλθεν απ' έμπροσθεν αυτού λελεπρωμένος ως χιών.
