দ্বিতীয় রাজাবলি 18
1 ১ এলার ছেলে ইস্রায়েলের রাজা হোশেয়ের রাজত্বের তিন বছরের মাথায় যিহূদার রাজা আহসের ছেলে হিষ্কিয় রাজত্ব করতে শুরু করলেন।
καὶ ἐγένετο ἐν ἔτει τρίτῳ τῷ Ωσηε υἱῷ Ηλα βασιλεῖ Ισραηλ ἐβασίλευσεν Εζεκιας υἱὸς Αχαζ βασιλέως Ιουδα
2 ২ তিনি পঁচিশ বছর বয়সী ছিলেন যখন তিনি রাজত্ব করতে শুরু করেছিলেন এবং তিনি ঊনত্রিশ বছর যিরূশালেমে রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর মায়ের নাম ছিল অবী, তিনি সখরিয়ের মেয়ে ছিলেন।
υἱὸς εἴκοσι καὶ πέντε ἐτῶν ἦν ἐν τῷ βασιλεύειν αὐτὸν καὶ εἴκοσι καὶ ἐννέα ἔτη ἐβασίλευσεν ἐν Ιερουσαλημ καὶ ὄνομα τῇ μητρὶ αὐτοῦ Αβου θυγάτηρ Ζαχαριου
καὶ ἐποίησεν τὸ εὐθὲς ἐν ὀφθαλμοῖς κυρίου κατὰ πάντα ὅσα ἐποίησεν Δαυιδ ὁ πατὴρ αὐτοῦ
4 ৪ তিনি উঁচু জায়গাগুলো ধ্বংস করলেন, পাথরের স্তম্ভগুলো নষ্ট করে দিলেন এবং আশেরা মূর্তিগুলি কেটে ফেললেন। মোশি যে পিতল সাপটা তৈরী করেছিলেন তিনি সেটি ভেঙে ফেললেন, কারণ ইস্রায়েলের লোকেরা সেই দিন পর্যন্তও সেই সাপের উদ্দেশ্যে ধূপ জ্বালাচ্ছিল। তিনি ব্রোঞ্জের সাপটার নাম দিলেন নহুষ্টন (পিতলের টুকরো)।
αὐτὸς ἐξῆρεν τὰ ὑψηλὰ καὶ συνέτριψεν πάσας τὰς στήλας καὶ ἐξωλέθρευσεν τὰ ἄλση καὶ τὸν ὄφιν τὸν χαλκοῦν ὃν ἐποίησεν Μωυσῆς ὅτι ἕως τῶν ἡμερῶν ἐκείνων ἦσαν οἱ υἱοὶ Ισραηλ θυμιῶντες αὐτῷ καὶ ἐκάλεσεν αὐτὸν Νεεσθαν
5 ৫ হিষ্কিয় ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উপর নির্ভর করতেন। সুতরাং তাঁর পরে যিহূদার রাজাদের মধ্যে তাঁর মত আর কেউ ছিলেন না, তাঁর আগেও ছিল না।
ἐν κυρίῳ θεῷ Ισραηλ ἤλπισεν καὶ μετ’ αὐτὸν οὐκ ἐγενήθη ὅμοιος αὐτῷ ἐν βασιλεῦσιν Ιουδα καὶ ἐν τοῖς γενομένοις ἔμπροσθεν αὐτοῦ
6 ৬ সেজন্য তিনি সদাপ্রভুকে আঁকড়ে ধরে রেখেছিলেন। তাঁর পথ থেকে তিনি ফিরলেন না বরং সদাপ্রভু মোশিকে যে সব আদেশ দিয়েছিলেন সেগুলি সব তিনি পালন করতেন।
καὶ ἐκολλήθη τῷ κυρίῳ οὐκ ἀπέστη ὄπισθεν αὐτοῦ καὶ ἐφύλαξεν τὰς ἐντολὰς αὐτοῦ ὅσας ἐνετείλατο Μωυσῇ
7 ৭ আর সদাপ্রভু তাঁর সঙ্গে সঙ্গে থাকতেন এবং তিনি যে কোন জায়গায় যেতেন তাতে সফল হতেন। অশূরের রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেন এবং তিনি তাঁর অধীনতা অস্বীকার করলেন।
καὶ ἦν κύριος μετ’ αὐτοῦ ἐν πᾶσιν οἷς ἐποίει συνῆκεν καὶ ἠθέτησεν ἐν τῷ βασιλεῖ Ἀσσυρίων καὶ οὐκ ἐδούλευσεν αὐτῷ
8 ৮ তিনি ঘসা (গাজা) ও তার সীমানা, চৌকি দেওয়ার উঁচু ঘর থেকে উঁচু দেওয়াল বিশিষ্ট শহর পর্যন্ত এবং পলেষ্টীয়দের তিনি আক্রমণ করলেন।
αὐτὸς ἐπάταξεν τοὺς ἀλλοφύλους ἕως Γάζης καὶ ἕως ὁρίου αὐτῆς ἀπὸ πύργου φυλασσόντων καὶ ἕως πόλεως ὀχυρᾶς
9 ৯ রাজা হিষ্কিয়ের রাজত্বের চতুর্থ বছরে, অর্থাৎ ইস্রায়েলের রাজা এলার ছেলে হোশেয়ের রাজত্বের সপ্তম বছরে অশূরের রাজা শল্মনেষর শমরিয়ার বিরুদ্ধে এসে শহরটা ঘেরাও করলেন।
καὶ ἐγένετο ἐν τῷ ἔτει τῷ τετάρτῳ βασιλεῖ Εζεκια αὐτὸς ἐνιαυτὸς ὁ ἕβδομος τῷ Ωσηε υἱῷ Ηλα βασιλεῖ Ισραηλ ἀνέβη Σαλαμανασσαρ βασιλεὺς Ἀσσυρίων ἐπὶ Σαμάρειαν καὶ ἐπολιόρκει ἐπ’ αὐτήν
10 ১০ এবং তিন বছর পরে অশূরের লোকেরা তা অধিকার করল, হিষ্কিয়ের রাজত্বের ষষ্ঠ বছরে আর ইস্রায়েলের রাজা হোশেয়ের রাজত্বের নবম বছরে শমরীয়কে দখল বা অধিকার করে নেওয়া হয়।
καὶ κατελάβετο αὐτὴν ἀπὸ τέλους τριῶν ἐτῶν ἐν ἔτει ἕκτῳ τῷ Εζεκια αὐτὸς ἐνιαυτὸς ἔνατος τῷ Ωσηε βασιλεῖ Ισραηλ καὶ συνελήμφθη Σαμάρεια
11 ১১ পরে অশূরের রাজা ইস্রায়েলের লোকদের বন্দী করে অশূরিয়াতে নিয়ে গেলেন এবং হলহে, হাবোর নদীর ধারে গোষণ এলাকায় এবং মাদীয়দের বিভিন্ন শহরে তাদের বসবাস করতে দিলেন।
καὶ ἀπῴκισεν βασιλεὺς Ἀσσυρίων τὴν Σαμάρειαν εἰς Ἀσσυρίους καὶ ἔθηκεν αὐτοὺς ἐν Αλαε καὶ ἐν Αβωρ ποταμῷ Γωζαν καὶ Ορη Μήδων
12 ১২ তিনি এই সব করেছিলেন, কারণ তাদের নিজেদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর বাক্য তারা মেনে চলে নি, বরং তাঁর ব্যবস্থা, অর্থাৎ সদাপ্রভুর দাস মোশির সমস্ত আদেশ তারা অমান্য করত। সেই সব আদেশের কথা তারা শুনতও না এবং তা পালন করতে অস্বীকার করেছিল।
ἀνθ’ ὧν ὅτι οὐκ ἤκουσαν τῆς φωνῆς κυρίου θεοῦ αὐτῶν καὶ παρέβησαν τὴν διαθήκην αὐτοῦ πάντα ὅσα ἐνετείλατο Μωυσῆς ὁ δοῦλος κυρίου καὶ οὐκ ἤκουσαν καὶ οὐκ ἐποίησαν
13 ১৩ পরে রাজা হিষ্কিয়ের রাজত্বের চৌদ্দ বছরেরদিন অশূরের রাজা সন্হেরীব যিহূদার সমস্ত দেয়ালে ঘেরা শহরগুলো আক্রমণ করে তাদের দখল করে নিলেন।
καὶ τῷ τεσσαρεσκαιδεκάτῳ ἔτει βασιλεῖ Εζεκιου ἀνέβη Σενναχηριμ βασιλεὺς Ἀσσυρίων ἐπὶ τὰς πόλεις Ιουδα τὰς ὀχυρὰς καὶ συνέλαβεν αὐτάς
14 ১৪ তখন যিহূদার রাজা হিষ্কিয় লাখীশে অশূরের রাজাকে এই কথা বলে পাঠালেন, “আমি তোমার বিরুদ্ধে অন্যায় করেছি। আপনি ফিরে যান। আপনি আমাকে যা ভার দেবেন আমি তা বহন করব।” এতে অশূরের রাজা যিহূদার রাজা হিষ্কিয়ের কাছে প্রায় বারো টন রূপা এবং প্রায় এক টনের মত সোনা দাবি করেছিলেন।
καὶ ἀπέστειλεν Εζεκιας βασιλεὺς Ιουδα ἀγγέλους πρὸς βασιλέα Ἀσσυρίων εἰς Λαχις λέγων ἡμάρτηκα ἀποστράφητι ἀπ’ ἐμοῦ ὃ ἐὰν ἐπιθῇς ἐπ’ ἐμέ βαστάσω καὶ ἐπέθηκεν ὁ βασιλεὺς Ἀσσυρίων ἐπὶ Εζεκιαν βασιλέα Ιουδα τριακόσια τάλαντα ἀργυρίου καὶ τριάκοντα τάλαντα χρυσίου
15 ১৫ ফলে হিষ্কিয় সদাপ্রভুর গৃহে যত রূপা পেয়েছিলেন এবং রাজবাড়ীর ভান্ডারগুলোতে যত রূপা ছিল সবই তাঁকে দিলেন।
καὶ ἔδωκεν Εζεκιας πᾶν τὸ ἀργύριον τὸ εὑρεθὲν ἐν οἴκῳ κυρίου καὶ ἐν θησαυροῖς οἴκου τοῦ βασιλέως
16 ১৬ যিহূদার রাজা হিষ্কিয় সদাপ্রভুর গৃহের দরজা ও দরজার চৌকাঠ যে সোনা দিয়ে মুড়িয়েছিলেন সেগুলি কেটে নিয়ে অশূরের রাজাকে দিলেন।
ἐν τῷ καιρῷ ἐκείνῳ συνέκοψεν Εζεκιας τὰς θύρας ναοῦ κυρίου καὶ τὰ ἐστηριγμένα ἃ ἐχρύσωσεν Εζεκιας βασιλεὺς Ιουδα καὶ ἔδωκεν αὐτὰ βασιλεῖ Ἀσσυρίων
17 ১৭ পরে অশূরের রাজা লাখীশ থেকে তর্ত্তনকে, রব্সারীসকে ও রব্শাকিকে মস্ত বড় এক দল সৈন্য দিয়ে যিরূশালেমে রাজা হিষ্কিয়ের কাছে পাঠিয়ে দিলেন। তাঁরা যাত্রা করে যিরূশালেমে এসে ধোপার মাঠের রাস্তার ধারে উঁচু জায়গার পুকুরের সঙ্গে লাগানো জলের নালার কাছে পৌঁছালেন।
καὶ ἀπέστειλεν βασιλεὺς Ἀσσυρίων τὸν Θαρθαν καὶ τὸν Ραφις καὶ τὸν Ραψακην ἐκ Λαχις πρὸς τὸν βασιλέα Εζεκιαν ἐν δυνάμει βαρείᾳ ἐπὶ Ιερουσαλημ καὶ ἀνέβησαν καὶ ἦλθον εἰς Ιερουσαλημ καὶ ἔστησαν ἐν τῷ ὑδραγωγῷ τῆς κολυμβήθρας τῆς ἄνω ἥ ἐστιν ἐν τῇ ὁδῷ τοῦ ἀγροῦ τοῦ γναφέως
18 ১৮ যখন তাঁরা রাজাকে ডাকলেন তখন রাজবাড়ীর পরিচালক হিল্কিয়ের ছেলে ইলীয়াকীম, রাজার লেখক শিব্ন এবং ইতিহাস লেখক আসফের ছেলে যোয়াহ বের হয়ে তাঁদের কাছে দেখা করতে গেলেন।
καὶ ἐβόησαν πρὸς Εζεκιαν καὶ ἐξῆλθον πρὸς αὐτὸν Ελιακιμ υἱὸς Χελκιου ὁ οἰκονόμος καὶ Σομνας ὁ γραμματεὺς καὶ Ιωας υἱὸς Ασαφ ὁ ἀναμιμνῄσκων
19 ১৯ তখন রব্শাকি তাঁদের বললেন, “আপনারা হিষ্কিয়কে এই কথা বলুন যে, সেই মহান রাজা, অশূরের রাজা বলেছেন, ‘তোমার বিশ্বাসের উত্স কি?
καὶ εἶπεν πρὸς αὐτοὺς Ραψακης εἴπατε δὴ πρὸς Εζεκιαν τάδε λέγει ὁ βασιλεὺς ὁ μέγας βασιλεὺς Ἀσσυρίων τίς ἡ πεποίθησις αὕτη ἣν πέποιθας
20 ২০ তুমি বলেছ তোমার যুদ্ধ করবার বুদ্ধি ও শক্তি আছে, কিন্তু সেগুলো শুধু মুখের কথা মাত্র। বল দেখি, তুমি কার উপর নির্ভর করছ? কে তোমাকে সাহস দিয়েছে আমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে?
εἶπας πλὴν λόγοι χειλέων βουλὴ καὶ δύναμις εἰς πόλεμον νῦν οὖν τίνι πεποιθὼς ἠθέτησας ἐν ἐμοί
21 ২১ দেখো, তুমি তো নির্ভর করছ সেই থেঁৎলে যাওয়া নলের মত দণ্ডে, অর্থাৎ মিশরের উপর। কিন্তু যে কেউ সেই নলের উপর নির্ভর করবে তা তার হাতে ফুটে বিদ্ধ করবে। মিশরের রাজা ফরৌণের উপর যারা নির্ভর করে তাদের প্রতি সে সেইরূপ করে।’
νῦν ἰδοὺ πέποιθας σαυτῷ ἐπὶ τὴν ῥάβδον τὴν καλαμίνην τὴν τεθλασμένην ταύτην ἐπ’ Αἴγυπτον ὃς ἂν στηριχθῇ ἀνὴρ ἐπ’ αὐτήν καὶ εἰσελεύσεται εἰς τὴν χεῖρα αὐτοῦ καὶ τρήσει αὐτήν οὕτως Φαραω βασιλεὺς Αἰγύπτου πᾶσιν τοῖς πεποιθόσιν ἐπ’ αὐτόν
22 ২২ কিন্তু তোমরা যদি আমাকে বল যে, আমরা নিজেদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উপরে নির্ভর করেছি, তাহলে কি তিনি সেই নন যাঁর উঁচু স্থান ও বেদীগুলো হিষ্কিয় দূর করে দিয়েছেন এবং যিহূদা ও যিরূশালেমের লোকদের বলেছে তোমরা যিরূশালেমের এই বেদির সামনে উপাসনা করবে?
καὶ ὅτι εἶπας πρός με ἐπὶ κύριον θεὸν πεποίθαμεν οὐχὶ αὐτὸς οὗτος οὗ ἀπέστησεν Εζεκιας τὰ ὑψηλὰ αὐτοῦ καὶ τὰ θυσιαστήρια αὐτοῦ καὶ εἶπεν τῷ Ιουδα καὶ τῇ Ιερουσαλημ ἐνώπιον τοῦ θυσιαστηρίου τούτου προσκυνήσετε ἐν Ιερουσαλημ
23 ২৩ অশূররে এখন তুমি আমার হয়ে তোমাদের রাজাকে একবার বল, ‘তুমি যদি পার তবে আমার মালিক অশূরের রাজার সঙ্গে এই প্রতিজ্ঞা কর যে, আমি তোমাকে দুই হাজার ঘোড়া দেব যদি তুমি তাতে চড়বার জন্য লোক দিতে পার।
καὶ νῦν μίχθητε δὴ τῷ κυρίῳ μου βασιλεῖ Ἀσσυρίων καὶ δώσω σοι δισχιλίους ἵππους εἰ δυνήσῃ δοῦναι σεαυτῷ ἐπιβάτας ἐπ’ αὐτούς
24 ২৪ যদি তাই না পার তবে আমার মালিকের কর্মচারীদের মধ্যে সব থেকে যে ছোট তাকেই বা তুমি কেমন করে বাধা দেবে? তুমিতো মিশরের রথ আর ঘোড়সওয়ারের উপর নির্ভর করেছ!
καὶ πῶς ἀποστρέψεις τὸ πρόσωπον τοπάρχου ἑνὸς τῶν δούλων τοῦ κυρίου μου τῶν ἐλαχίστων καὶ ἤλπισας σαυτῷ ἐπ’ Αἴγυπτον εἰς ἅρματα καὶ ἱππεῖς
25 ২৫ আমি কি সদাপ্রভুর কাছ থেকে অনুমতি না নিয়েই এই জায়গা আক্রমণ ও ধ্বংস করতে এসেছি? সদাপ্রভুই আমাকে বলেছেন, এই দেশের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে তা ধ্বংস করে দিতে’।”
καὶ νῦν μὴ ἄνευ κυρίου ἀνέβημεν ἐπὶ τὸν τόπον τοῦτον τοῦ διαφθεῖραι αὐτόν κύριος εἶπεν πρός με ἀνάβηθι ἐπὶ τὴν γῆν ταύτην καὶ διάφθειρον αὐτήν
26 ২৬ তখন হিল্কিয়ের ছেলে ইলীয়াকীম, শিব্ন ও যোয়াহ রব্শাকিকে বললেন, “অনুরোধ করি আপনার দাসদের কাছে আপনি অরামীয় ভাষায় কথা বলুন, কারণ আমরা এটা বুঝতে পারি। দেয়ালের উপরকার লোকদের সামনে আপনি আমাদের সঙ্গে ইব্রীয় ভাষায় কথা বলবেন না।”
καὶ εἶπεν Ελιακιμ υἱὸς Χελκιου καὶ Σομνας καὶ Ιωας πρὸς Ραψακην λάλησον δὴ πρὸς τοὺς παῖδάς σου Συριστί ὅτι ἀκούομεν ἡμεῖς καὶ οὐ λαλήσεις μεθ’ ἡμῶν Ιουδαϊστί καὶ ἵνα τί λαλεῖς ἐν τοῖς ὠσὶν τοῦ λαοῦ τοῦ ἐπὶ τοῦ τείχους
27 ২৭ কিন্তু রব্শাকি উত্তর দিয়ে তাদের বললেন, “আমার মালিক কি কেবল তোমাদের মালিক ও তোমাদের কাছে এই সব কথা বলতে আমাকে পাঠিয়েছেন? যারা দেয়ালের উপরে বসা ঐ সব লোকেদের কাছে, যারা তোমার মত নিজের নিজের পায়খানা ও প্রস্রাব খেতে হবে তাদের কাছেও কি বলে পাঠান নি?”
καὶ εἶπεν πρὸς αὐτοὺς Ραψακης μὴ ἐπὶ τὸν κύριόν σου καὶ πρὸς σὲ ἀπέστειλέν με ὁ κύριός μου λαλῆσαι τοὺς λόγους τούτους οὐχὶ ἐπὶ τοὺς ἄνδρας τοὺς καθημένους ἐπὶ τοῦ τείχους τοῦ φαγεῖν τὴν κόπρον αὐτῶν καὶ πιεῖν τὸ οὖρον αὐτῶν μεθ’ ὑμῶν ἅμα
καὶ ἔστη Ραψακης καὶ ἐβόησεν φωνῇ μεγάλῃ Ιουδαϊστὶ καὶ ἐλάλησεν καὶ εἶπεν ἀκούσατε τοὺς λόγους τοῦ μεγάλου βασιλέως Ἀσσυρίων
29 ২৯ রাজা বলছেন যে, হিষ্কিয় যেন তোমাদের না ঠকায়। কারণ সে তাঁর শক্তি থেকে তোমাদের রক্ষা করতে পারবে না।
τάδε λέγει ὁ βασιλεύς μὴ ἐπαιρέτω ὑμᾶς Εζεκιας λόγοις ὅτι οὐ μὴ δύνηται ὑμᾶς ἐξελέσθαι ἐκ χειρός μου
30 ৩০ আর হিষ্কিয় যেন এই কথা বলে সদাপ্রভুর উপর তোমাদের বিশ্বাস না জন্মায় যে, ‘সদাপ্রভু অবশ্যই আমাদের উদ্ধার করবেন; এই শহর অশূর রাজার হাতে তুলে দেবেন না।’
καὶ μὴ ἐπελπιζέτω ὑμᾶς Εζεκιας πρὸς κύριον λέγων ἐξαιρούμενος ἐξελεῖται ἡμᾶς κύριος οὐ μὴ παραδοθῇ ἡ πόλις αὕτη ἐν χειρὶ βασιλέως Ἀσσυρίων
31 ৩১ তোমরা হিষ্কিয়ের কথা শুনো না। কারণ অশূরের রাজা এই কথা বলেছেন যে, ‘আমার সঙ্গে তোমরা সন্ধি কর এবং বের হয়ে আমার কাছে এস। তখন তোমরা প্রত্যেকে তার নিজের আঙুর ও ডুমুর গাছের ফল খেতে পারবে এবং নিজের কুয়ো থেকে জল পান করতে পারবে।
μὴ ἀκούετε Εζεκιου ὅτι τάδε λέγει ὁ βασιλεὺς Ἀσσυρίων ποιήσατε μετ’ ἐμοῦ εὐλογίαν καὶ ἐξέλθατε πρός με καὶ πίεται ἀνὴρ τὴν ἄμπελον αὐτοῦ καὶ ἀνὴρ τὴν συκῆν αὐτοῦ φάγεται καὶ πίεται ὕδωρ τοῦ λάκκου αὐτοῦ
32 ৩২ তারপর আমি এসে তোমাদের নিজের দেশের মত আর এক দেশে তোমাদের নিয়ে যাব। সেই দেশ হল শস্য ও নতুন আঙুর রসের দেশ, রুটি ও আঙুর ক্ষেতের দেশ, জিতবৃক্ষের ও মধুর দেশ। তাতে তোমরা মরবে না বরং বাঁচবে। কিন্তু হিষ্কিয়ের কথা শুনো না যখন তোমাদের বলবে এবং ভুলাবে যে, সদাপ্রভু আমাদের উদ্ধার করবেন।
ἕως ἔλθω καὶ λάβω ὑμᾶς εἰς γῆν ὡς γῆ ὑμῶν γῆ σίτου καὶ οἴνου καὶ ἄρτου καὶ ἀμπελώνων γῆ ἐλαίας ἐλαίου καὶ μέλιτος καὶ ζήσετε καὶ οὐ μὴ ἀποθάνητε καὶ μὴ ἀκούετε Εζεκιου ὅτι ἀπατᾷ ὑμᾶς λέγων κύριος ῥύσεται ἡμᾶς
μὴ ῥυόμενοι ἐρρύσαντο οἱ θεοὶ τῶν ἐθνῶν ἕκαστος τὴν ἑαυτοῦ χώραν ἐκ χειρὸς βασιλέως Ἀσσυρίων
34 ৩৪ হমাৎ ও অর্পদের দেবতারা কোথায়? সফর্বয়িম, হেনা ও ইব্বার দেবতারা কোথায়? তারা কি আমার হাত থেকে শমরিয়াকে রক্ষা করতে পেরেছে?
ποῦ ἐστιν ὁ θεὸς Αιμαθ καὶ Αρφαδ ποῦ ἐστιν ὁ θεὸς Σεπφαρουαιν καὶ ὅτι ἐξείλαντο Σαμάρειαν ἐκ χειρός μου
35 ৩৫ এই সব দেশের সমস্ত দেব দেবতাদের মধ্যে কে আমার হাত থেকে নিজের দেশকে রক্ষা করেছে? তবে কেমন করে সদাপ্রভু আমার হাত থেকে যিরূশালেমকে রক্ষা করবেন’?”
τίς ἐν πᾶσιν τοῖς θεοῖς τῶν γαιῶν οἳ ἐξείλαντο τὰς γᾶς αὐτῶν ἐκ χειρός μου ὅτι ἐξελεῖται κύριος τὴν Ιερουσαλημ ἐκ χειρός μου
36 ৩৬ কিন্তু লোকেরা চুপ করে রইল, কোন উত্তর দিল না, কারণ রাজা কোন উত্তর না দেওয়ার তাদের আদেশ করেছিলেন।
καὶ ἐκώφευσαν καὶ οὐκ ἀπεκρίθησαν αὐτῷ λόγον ὅτι ἐντολὴ τοῦ βασιλέως λέγων οὐκ ἀποκριθήσεσθε αὐτῷ
37 ৩৭ তার পরে রাজবাড়ীর পরিচালক হিল্কিয়ের ছেলে ইলীয়াকীম, রাজার লেখক শিব্ন এবং ইতিহাস লেখক আসফের ছেলে যোয়াহ তাঁদের নিজের কাপড় ছিঁড়ে হিষ্কিয়ের কাছে গেলেন এবং রব্শাকির সমস্ত কথা তাঁকে জানালেন।
καὶ εἰσῆλθεν Ελιακιμ υἱὸς Χελκιου ὁ οἰκονόμος καὶ Σομνας ὁ γραμματεὺς καὶ Ιωας υἱὸς Ασαφ ὁ ἀναμιμνῄσκων πρὸς Εζεκιαν διερρηχότες τὰ ἱμάτια καὶ ἀνήγγειλαν αὐτῷ τοὺς λόγους Ραψακου
