দ্বিতীয় রাজাবলি 10
1 ১ শমরিয়াতে আহাবের সত্তরজন ছেলে ছিল। যেহূ চিঠি লিখে শমরিয়াতে যিষ্রিয়েলের শাসনকর্ত্তাদের অর্থাৎ প্রাচীনদের কাছে এবং আহাবের ছেলেদের অভিভাবকদের কাছে পাঠিয়ে দিলেন। তিনি লিখলেন,
| وَكَانَ لأَخْآبَ سَبْعُونَ ابْناً يُقِيمُونَ فِي السَّامِرَةِ، فَكَتَبَ يَاهُو رَسَائِلَ بَعَثَ بِها إِلَى شُيُوخِ مَدِينَةِ يَزْرَعِيلَ وَإِلَى الْأَوْصِيَاءِ عَلَى أَبْنَاءِ آخْابَ قَائِلاً: | ١ |
2 ২ “তোমাদের মনিবের ছেলেরা তোমাদের কাছে আছে এবং কতকগুলি রথ, ঘোড়া, একটি সুরক্ষিত নগর এবং অস্ত্রশস্ত্রও আছে। তাই তোমাদের কাছে এই চিঠি পৌঁছানো মাত্রই,
| «مِنْ حَيْثُ أَنَّ أَبْنَاءَ سَيِّدِكُمْ لَدَيْكُمْ، وَمِنْ حَيْثُ أَنَّكُمْ تَمْتَلِكُونَ مَرْكَبَاتٍ وَخَيْلاً وَتَعْتَصِمُونَ بِمَدِينَةٍ مُحَصَّنَةٍ، وَعِنْدَكُمْ سِلاحٌ، فَعِنْدَ تَلَقِّيكُمْ هَذِهِ الرِّسَالَةَ | ٢ |
3 ৩ তোমাদের মনিবের সব চেয়ে সৎ ও যোগ্য ছেলেকে বেছে তার বাবার সিংহাসনে বসাও এবং নিজের মনিবের বংশের জন্য যুদ্ধ কর।”
| اخْتَارُوا الأَفْضَلَ مِنْ أَبْنَاءِ سَيِّدِكُمْ وَنَصِّبُوهُ مَلِكاً عَلَى عَرْشِ أَبِيهِ، وَدَافِعُوا عَنْ بَيْتِ مَوْلاكُمْ». | ٣ |
4 ৪ কিন্তু তারা ভীষণ ভয় পেয়ে বলল, “দেখ, দুজন রাজা যাঁর সামনে দাঁড়াতে পারলেন না, তাঁর সামনে আমরা কি করে দাঁড়াবো?”
| فَاعْتَرَاهُمْ خَوْفٌ عَظِيمٌ وَقَالُوا: «هَا مَلِكَانِ قَدْ عَجَزَا عَنْ صَدِّهِ، فَكَيْفَ يُمْكِنُنَا نَحْنُ أَنْ نُوَاجِهَهُ؟» | ٤ |
5 ৫ কাজেই রাজবাড়ীর শাসনকর্ত্তা, নগরের শাসনকর্ত্তা, প্রাচীনেরা ও অভিভাবকেরা যেহূকে এই কথা বলে পাঠাল, “আমরা আপনার দাস, আপনি আমাদের যা বলবেন, সে সবই করব, কাউকেই রাজা করব না; আপনি যা ভাল মনে করেন তাই করুন।”
| فَأَجَابَ مُدَبِّرُ الْقَصْرِ وَمُحَاِفظُ الْمَدِينَةِ والشُّيُوخُ وَالأَوْصِيَاءُ يَاهُو قَائِلِينَ: «نَحْنُ عَبِيدُكَ، وَسَنَفْعَلُ كُلَّ مَا تَأْمُرُ بِهِ. لَنْ يَمْلِكَ عَلَيْنَا سِوَاكَ. وَاصْنَعْ مَا يَرُوقُ لَكَ». | ٥ |
6 ৬ পরে তিনি তাদের কাছে এই বলে দ্বিতীয় চিঠি লিখলেন, “তোমরা যদি আমার পক্ষে হও ও আমার কথা শোনো, তবে তোমাদের মনিবের ছেলেদের মাথাগুলি নিয়ে আগামীকাল এই দিনের যিষ্রিয়েলে আমার কাছে চলে এস।” সেই রাজকুমারের সত্তরজন, তারা তাদের নগরের প্রধান লোকদের কাছে ছিল, যারা তাদের দেখাশোনা করত।
| فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ بِرِسَالَةٍ ثَانِيَةٍ قَائِلاً: «إِنْ كُنْتُمْ حَقّاً مِنْ أَنْصَارِي، وَتَأْتَمِرُونَ بِأَمْرِي، فَاقْطَعُوا رُؤُوسَ أَبْنَاءِ سَيِّدِكُمْ مِنَ الرِّجَالِ وَأَحْضِرُوهَا إِلَيَّ فِي يَزْرَعِيلَ، فِي نَحْوِ هَذَا الْوَقْتِ فِي يَوْمِ الْغَدِ». وَكَانَ أَبْنَاءُ الْمَلِكِ سَبْعِينَ رَجُلاً يَعِيشُونَ فِي رِعَايَةِ أَشْرَافِ الْمَدِينَةِ الَّذِينَ تَعَهَّدُوهُمْ بِالتَّرْبِيَةِ. | ٦ |
7 ৭ আর চিঠিটি তাদের কাছে পৌঁছালে তারা সেই সত্তরজন রাজকুমারকে হত্যা করল এবং কতগুলি ঝুড়িতে করে তাদের মাথাগুলি যিষ্রিয়েলে তাঁর কাছে পাঠিয়ে দিল।
| فَلَمَّا بَلَغَتْهُمْ رِسَالَةُ يَاهُو قَبَضُوا عَلَى الأُمَرَاءِ وَقَتَلُوا سَبْعِينَ رَجُلاً وَوَضَعُوا رُؤُوسَهُمْ فِي سِلالٍ وَأَرْسَلُوهَا إِلَيْهِ فِي يَزْرَعِيلَ. | ٧ |
8 ৮ পরে একজন দূত এসে তাঁকে খবর দিয়ে বলল, “রাজকুমারদের মাথা আনা হয়েছে।” তিনি বললেন, “ওগুলি দুটি স্তরে গাদা করে ফটকে ঢুকবার পথে সকাল পর্যন্ত রেখে দাও।”
| فَجَاءَ رَسُولٌ وَأَخْبَرَ يَاهُو قَائِلاً: «قَدْ أَحْضَرُوا رُؤُوسَ الأُمَرَاءِ» فَقَالَ: «اجْعَلُوهَا كُومَتَيْنِ فِي مَدْخَلِ بَوَّابَةِ الْمَدِينَةِ إِلَى الصَّبَاحِ». | ٨ |
9 ৯ পরে সকালে তিনি বাইরে গিয়ে দাঁড়ালেন ও সবাইকে বললেন, “তোমরা নির্দোষ ব্যক্তি; দেখ, আমি আমার মনিবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তাঁকে মেরে ফেলেছি; কিন্তু এদের কে হত্যা করল?
| وَفِي صَبَاحِ الْيَوْمِ التَّالِي خَرَجَ وَقَالَ لِلشَّعْبِ الْمُتَجَمْهِرِ: «أَنْتُمْ أَبْرِيَاءُ، فَهَا أَنَا قَدْ تَمَرَّدْتُ عَلَى سَيِّدِي وَقَتَلْتُهُ، وَلَكِنْ مَنْ قَتَلَ كُلَّ هَؤُلاءِ؟ | ٩ |
10 ১০ তোমরা জেনে রাখ, সদাপ্রভু আহাবের বংশের বিরুদ্ধে যা কিছু বলেছেন, সদাপ্রভুর বলা একটা কথাও মাটিতে পরার নয়; কারণ সদাপ্রভু তাঁর দাস এলিয়ের মাধ্যমে যা কিছু বলেছেন, তাই করলেন।”
| فَاعْلَمُوا الآنَ أَنَّهُ لَنْ تَسْقُطَ كَلِمَةٌ وَاحِدَةٌ مِمَّا قَضَى بِهِ الرَّبُّ عَلَى بَيْتِ آخْابَ، وَقَدْ نَفَّذَ الرَّبُّ مَا نَطَقَ بِهِ عَلَى لِسَانِ عَبْدِهِ إِيلِيَّا». | ١٠ |
11 ১১ পরে যিষ্রিয়েলে আহাবের বংশের যত লোক বাকি ছিল, যেহূ তাঁদেরকে, তাঁর সমস্ত গণ্যমান্য লোককে, তাঁর বিশেষ বন্ধুদেরকে ও তাঁর যাজকদের হত্যা করলেন। তাঁদের নিকটতম কেউ বেঁচে ছিল না।
| وَقَضَى يَاهُو عَلَى الْبَقِيَّةِ الْبَاقِيَةِ مِنْ نَسْلِ آخْابَ فِي يَزْرَعِيلَ، وَعَلَى كُلِّ عُظَمَائِهِ وَأَصْدِقَائِهِ وَكَهَنَتِهِ، فَلَمْ يُفْلِتْ لَهُ حَيٌّ. | ١١ |
12 ১২ পরে তিনি উঠে চলে গেলেন, শমরিয়ার গেলেন। পথে মেষপালকদের মেষের লোম কাটার গৃহে গেলে, যিহূদার রাজা অহসিয়ের ভাইদের সঙ্গে যেহূর দেখা হল।
| ثُمَّ تَوَجَّهَ مِنْ هُنَاكَ نَحْوَ السَّامِرَةِ. وَلَمَّا وَصَلَ إِلَى جُوَارِ بَيْتِ عَقْدِ الرُّعَاةِ فِي الطَّرِيقِ، | ١٢ |
13 ১৩ তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা কারা?” তারা বলল, “আমরা অহসিয়ের ভাই; আমরা রাজা ও রাণী ঈষেবলের সন্তানদের শুভেচ্ছা জানাতে যাচ্ছি।”
| صَادَفَ يَاهُو إِخْوَةَ أَخَزْيَا مَلِكِ يَهُوذا، فَسَأَلَهُمْ: «مَنْ أَنْتُمْ؟» فَأَجَابُوا: «نَحْنُ إِخْوَةُ أَخَزْيَا، وَنَحْنُ قَادِمُونَ لِزِيَارَةِ أَبْنَاءِ الْمَلِكِ وَالْمَلِكَةِ إِيزَابِلَ». | ١٣ |
14 ১৪ তখন তিনি বললেন, “ওদের জীবন্ত ধর।” তাতে লোকেরা তাদের জীবন্ত ধরে বৈথ-একদের কুয়োর কাছে তাদের হত্যা করল, বিয়াল্লিশজনের মধ্যে একজনকেও তিনি বাকি রাখলেন না।
| فَقَالَ: «اقْبِضُوا عَلَيْهِمْ أَحْيَاءَ». فَقَبَضُوا عَلَيْهِمْ أَحْيَاءَ وَقَتَلُوهُمْ جَمِيعاً عِنْدَ بِئْرِ بَيْتِ عَقْدٍ، وَعَدَدُهُمْ اثْنَانِ وَأَرْبَعُونَ رَجُلاً. | ١٤ |
15 ১৫ যেহূ সেখান থেকে চলে গেলে রেখবের ছেলে যিহোনাদবের সঙ্গে তাঁর দেখা হল; তিনি তাঁরই কাছে আসছিলেন। যেহূ তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বললেন, “তোমার প্রতি আমার মন যেমন, তেমনি কি তোমার মন সরল?” যিহোনাদব বললেন, “সরল।” যেহূ বললেন, “যদি তাই হয়, তবে তোমার হাত দাও।” পরে যিহোনাদব তাঁকে হাত দিলে যেহূ তাঁকে নিজের কাছে রথে তুলে নিলেন।
| ثُمَّ انْطَلَقَ مِنْ هُنَاكَ فَالْتَقَى يَهُونَادَابَ بْنَ رَكَابَ، الَّذِي كَانَ قَادِماً لِمُقَابَلَتِهِ، فَحَيَّاهُ يَاهُو ثُمَّ سَأَلَهُ: «هَلْ قَلْبُكَ مُخْلِصٌ لِقَلْبِي مِثْلَ إِخْلاصِ قَلْبِي لِقَلْبِكَ؟» فَأَجَابَهُ يَهُونَادَابُ: «نَعَمْ». فَقَالَ يَاهُو: «إِذَنْ هَاتِ يَدَكَ». فَمَدَّ إِلَيْهِ يَدَهُ فَأَصْعَدَهُ مَعَهُ إِلَى الْمَرْكَبَةِ، | ١٥ |
16 ১৬ আর যেহূ বললেন, “আমার সঙ্গে চল, সদাপ্রভুর জন্য আমার যে আগ্রহ, তা দেখ;” এই ভাবে তাঁকে তাঁর রথে করে নিয়ে চললেন।
| وَقَالَ: «تَعَالَ مَعِي لِتَرَى مَدَى غَيْرَتِي لِلرَّبِّ»، وَهَكَذَا أَرْكَبَهُ مَعَهُ فِي الْمَرْكَبَةِ. | ١٦ |
17 ১৭ পরে যেহূ শমরিয়াতে এসে আহাবের বংশের বাকি সব লোকদের হত্যা করলেন, যে পর্যন্ত না আহাবের বংশকে একেবারে ধ্বংস করলেন; সদাপ্রভু এলিয়কে যেমন বলেছিলেন, সেই অনুসারেই করলেন।
| وَعِنْدَمَا وَصَلَ يَاهُو إِلَى السَّامِرَةِ أَهْلَكَ جَمِيعَ مَنْ بَقِيَ مِنْ ذُرِّيَّةِ آخْابَ، فَأَفْنَاهُمْ بِمُوْجِبِ قَضَاءِ الرَّبِّ الَّذِي كَلَّمَ بِهِ إِيلِيَّا. | ١٧ |
18 ১৮ তারপর যেহূ সমস্ত লোকদের জড়ো করে তাদের বললেন, “আহাব বাল দেবতার সেবা সামান্যই করতেন, কিন্তু যেহূ তাঁর সেবা অনেক বেশী করবে।
| ثُمَّ جَمَعَ يَاهُو كُلَّ الشَّعْبِ وَقَالَ لَهُمْ: «لَقَدْ عَبَدَ آخْابُ الْبَعْلَ عِبَادَةً طَفِيفَةً، أَمَّا أَنَا فَأُغَالِي فِي عِبَادَتِهِ. | ١٨ |
19 ১৯ তাই এখন বাল দেবতার সব ভাববাদী, তাঁর সমস্ত পূজারী ও যাজকদের আমার কাছে তোমরা ডেকে আন, যেন কেউ বাদ না পড়ে; কারণ বাল দেবতার উদ্দেশ্যে আমাকে বড় যজ্ঞ করতে হবে। যে কেউ যদি আসবে না, সে বাঁচবে না।” কিন্তু আসলে যেহূ বাল দেবতার পূজাকারীদের ধ্বংস করবার জন্যই এই ছলনা করেছিলেন।
| فَادْعُوا إِلَيَّ الآنَ جَمِيعَ أَنْبِيَاءِ الْبَعْلِ وَكُلَّ كَهَنَتِهِ وَالْمُتَعَبِّدِينَ لَهُ. لَا يَتَخَلَّفْ مِنْهُمْ أَحَدٌ، لأَنَّنِي عَازِمٌ أَنْ أُقَرِّبَ ذَبِيحَةً عَظِيمَةً لِلْبَعْلِ. وَكُلُّ مَنْ يَتَخَلَّفُ عَنِ الْحُضُورِ يَمُوتُ». وَكَانَ ذَلِكَ مَكِيدَةً مِنْهُ لِكَيْ يَسْتَأْصِلَ عَبَدَةَ الْبَعْلِ. | ١٩ |
| وَقَالَ يَاهُو: «أَقِيمُوا مَحْفَلاً مُقَدَّساً لِلْبَعْلِ». فَنَادَوْا بِهِ. | ٢٠ |
21 ২১ আর যেহূ ইস্রায়েলের সব জায়গায় লোক পাঠালে বাল দেবতার সমস্ত পূজাকারীরা এসে হাজির হল, কেউই অনুপস্থিত থাকলো না। তারা বাল দেবতার মন্দিরে ঢুকলে মন্দিরের এপাশ থেকে ওপাশ পর্যন্ত লোকে ভরে গেল।
| وَاسْتَدْعَى يَاهُو جَمِيعَ عَبَدَةِ الْبَعْلِ مِنْ كُلِّ إِسْرَائِيلَ، فَلَمْ يَتَخَلَّفْ أَحَدٌ مِنْهُمْ، وَدَخَلُوا مَعْبَدَ الْبَعْلِ فَامْتَلأَ بِهِمِ الْمَكَانُ، | ٢١ |
22 ২২ তখন তিনি পোশাক রক্ষককে বললেন, “বাল দেবতার পূজাকারী সকলের জন্য পোশাক নিয়ে এস।” তাতে সে তাদের জন্য পোশাক বের করে আনল।
| فَقَالَ لِلْمُشْرِفِ عَلَى الْمَلابِسِ: «وَزِّعْ مَلابِسَ عَلَى كُلِّ عَبَدَةِ الْبَعْلِ». فَأَخْرَجَهَا وَوَزَّعَهَا عَلَيْهِمْ. | ٢٢ |
23 ২৩ তারপর যেহূ ও রেখবের ছেলে যিহোনাদব বাল দেবতার মন্দিরে ঢুকলেন; তিনি বাল দেবতার পূজাকারীদের বললেন, “তোমরা ভাল করে খুঁজে দেখ, যাতে সদাপ্রভুর দাসদের মধ্যে কেউ এখানে না থাকে, শুধু বাল দেবতার পূজাকারীরাই থাকবে।”
| ثُمَّ دَخَلَ يَاهُو وَيَهُونَادَابُ بْنُ رَكَابَ إِلَى مَعْبَدِ الْبَعْلِ، وَقَالَ لَهُمْ: «فَتِّشُوا إِنْ كَانَ قَدِ انْدَسَّ بَيْنَكُمْ وَاحِدٌ مِنْ عَبِيدِ الرَّبِّ، إِذْ لَا يَجِبُ أَنْ يَكُونَ هُنَا سِوَى عَبَدَةِ الْبَعْلِ فَقَطْ». | ٢٣ |
24 ২৪ তখন তারা বলিদান ও হোম করতে ভেতরে গেলেন। এদিকে যেহূ আশিজন লোককে বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে বলেছিলেন, “আমি তোমাদের হাতে ঐ যাদের ভার দিলাম, তাদের একজনও যদি পালিয়ে বাঁচে, তবে যে তাকে ছেড়ে দেবে তার প্রাণের বদলে তার প্রাণ যাবে।”
| وَهَكَذَا دَخَلُوا لِيُقَرِّبُوا ذَبَائِحَ وَمُحْرَقَاتٍ. وَكَانَ يَاهُو قَدْ رَصَدَ كَمِيناً مِنْ ثَمَانِينَ رَجُلاً خَارِجَ الْمَعْبَدِ وَقَالَ لَهُمْ: «إِنْ أَفْلَتَ مِنْكُمْ أَحَدٌ مِنْ عَبَدَةِ الْبَعْلِ تَكُونُ أَنْفُسُكُمْ عِوَضاً عَنْهُ». | ٢٤ |
25 ২৫ পরে হোমের কাজ শেষ হলে যেহূ পাহারাদার ও সেনাপতিদের বললেন, “ভিতরে যাও, ওদের হত্যা কর, একজনকেও বাইরে আসতে দিও না।” তখন তারা তরোয়াল দিয়ে তাদের আঘাত করল; পরে পাহারাদার ও সেনাপতিরা তাদের বাইরে ফেলে দিল; পরে তারা বাল মন্দিরের ভিতরের গৃহে গেল।
| وَعِنْدَمَا فَرَغَ يَاهُو مِنْ تَقْرِيبِ الْمُحْرَقَةِ، قَالَ لِلْحُرَّاسِ وَالضُّبَّاطِ: «ادْخُلُوا وَأَهْلِكُوهُمْ! لَا يُفْلِتْ مِنْهُمْ أَحَدٌ». فَأَبَادُوهُمْ بِحَدِّ السَّيْفِ، وَطَرَحُوا جُثَثَهُمْ. ثُمَّ تَوَجَّهُوا نَحْوَ الْمِحْرَابِ الدَّاخِلِيِّ لِمَعْبَدِ الْبَعْلِ، | ٢٥ |
| فَأَخْرَجُوا التَّمَاثِيلَ وَأَحْرَقُوهَا، | ٢٦ |
27 ২৭ তারপর তারা বাল দেবতার থামটি ভেঙে দিল এবং মন্দিরটা ভেঙে ফেলল এবং সেখানে একটি পায়খানা তৈরী করলো। তা আজও আছে।
| وَحَطَّمُوا تِمْثَالَ الْبَعْلِ، وَهَدَمُوا الْمَعْبَدَ وَحَوَّلُوهُ إِلَى مَزْبَلَةٍ إِلَى هَذَا الْيَوْمِ. | ٢٧ |
| وَاسْتَأْصَلَ يَاهُو عِبَادَةَ الْبَعْلِ مِنْ إِسْرَائِيلَ. | ٢٨ |
29 ২৯ কিন্তু নবাটের ছেলে যে যারবিয়াম ইস্রায়েলকে দিয়ে যে সব পাপ করিয়েছিলেন অর্থাৎ বৈথেল ও দানের সোনার বাছুরের পূজা করার মত পাপ থেকে তিনি সরে আসেন নি।
| وَلَكِنَّهُ لَمْ يَحِدْ عَنْ خَطَايَا يَرُبْعَامَ الَّتِي اسْتَغْوَى بِها الإِسْرَائِيلِيِّينَ وَجَعَلَهُمْ يُخْطِئُونَ، إِذْ أَبْقَى عَلَى عُجُولِ الذَّهَبِ الَّتِي فِي بَيْتِ إِيلَ وَفِي دَانَ. | ٢٩ |
30 ৩০ সুতরাং সদাপ্রভু যেহূকে বললেন, যেহেতু “আমার চোখে যা ঠিক তা তুমি করে ভাল করেছ এবং আহাবের বংশের প্রতি আমার যে ইচ্ছা ছিল তাও তুমি করেছ, সেইজন্য তোমার বংশধরেরা চতুর্থ পুরুষ পর্যন্ত ইস্রায়েলের সিংহাসনে বসবে।”
| وَقَالَ الرَّبُّ لِيَاهُو: «مِنْ حَيْثُ إِنَّكَ قَدْ أَحْسَنْتَ بِتَنْفِيذِ مَا هُوَ صَالِحٌ فِي عَيْنَيَّ، وَأَجْرَيْتَ عَلَى بَيْتِ آخْابَ مَا أَضْمَرْتُهُ فِي قَلْبِي، فَإِنَّ أَبْنَاءَكَ يَتَرَبَّعُونَ عَلَى عَرْشِ إِسْرَائِيلَ إِلَى الْجِيلِ الرَّابِعِ». | ٣٠ |
31 ৩১ তবুও যেহূ সমস্ত হৃদয় দিয়ে ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর ব্যবস্থা মেনে চলবার জন্য সতর্ক হলেন না। যারবিয়াম ইস্রায়েলকে দিয়ে যে সব পাপ করিয়েছিলেন তা থেকে তিনি মন ফেরালেন না।
| وَلَكِنَّ يَاهُو لَمْ يَحْرِصْ عَلَى السُّلُوكِ فِي شَرِيعَةِ الرَّبِّ إِلَهِ إِسْرَائِيلَ مِنْ كُلِّ قَلْبِهِ، إِذْ وَاظَبَ عَلَى ارْتِكَابِ خَطَايَا يَرُبْعَامَ الَّتِي اسْتَغْوَى بِها الإِسْرَائِيلِيِّينَ وَجَعَلَهُمْ يُخْطِئُونَ. | ٣١ |
32 ৩২ সেই দিনের সদাপ্রভু ইস্রায়েল দেশের সীমা কেটে ছোট করতে শুরু করলেন। হসায়েল ইস্রায়েলীয়দের আঘাত করে ইস্রায়েলের সীমানায় তাদের হারিয়ে দিলেন।
| وَفِي تِلْكَ الأَيَّامِ بَدَأَ الرَّبُّ يُخَفِّضُ مِنْ مِسَاحَةِ أَرْضِ إِسْرَائِيلَ، فَاسْتَوْلَى حَزَائِيلُ عَلَى أَجْزَاءَ كَبِيرَةٍ مِنْ مَنَاطِقِهِمْ. | ٣٢ |
33 ৩৩ সেই জায়গাগুলি হল যর্দ্দন নদীর পূর্ব দিকের অর্ণোন উপত্যকার পাশে অরোয়ের থেকে সমস্ত গিলিয়দ ও বাশন দেশ। এটা ছিল গাদ, রূবেণ ও মনঃশির এলাকা।
| ابْتِدَاءً مِنْ شَرْقِيِّ نَهْرِ الأُرْدُنِّ، بِمَا فِي ذَلِكَ أَرْضُ جِلْعَادَ، أَرْضُ الْجَادِيِّينَ وَالرَّأُوبَيْنِيِّينَ، وَالْمَنَسِّيِّينَ، مِنْ عَرُوعِيرَ الْقَائِمَةِ عَلَى وَادِي أَرْنُونَ وَجِلْعَادَ وَبَاشَانَ. | ٣٣ |
34 ৩৪ যেহূর অন্যান্য সমস্ত অবশিষ্ট কাজের কথা এবং তাঁর জয়ের কথা ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস নামক বইটিতে কি লেখা নেই?
| أَمَّا بَقِيَّةُ أَخْبَارِ يَاهُو وَكُلُّ مَا عَمِلَهُ أَلَيْسَتْ هِيَ مُدَوَّنَةً فِي كِتَابِ أَخْبَارِ مُلُوكِ إِسْرَائِيلَ؟ | ٣٤ |
35 ৩৫ পরে যেহূ তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে নিদ্রায় গেলেন এবং তারা তাঁকে শমরিয়াতে কবর দিল। তখন তাঁর জায়গায় তাঁর ছেলে যিহোয়াহস রাজা হলেন।
| وَمَاتَ يَاهُو وَدُفِنَ فِي السَّامِرَةِ وَخَلَفَهُ ابْنُهُ يَهُوأَحَازُ. | ٣٥ |
| وَدَامَ مُلْكُ يَاهُو عَلَى إِسْرَائِيلَ فِي السَّامِرَةِ ثَمَانِيَ وَعِشْرِينَ سَنَةً. | ٣٦ |
