< ২য় করিন্থীয় 6 >
1 ১ সেইজন্য আমরা ঈশ্বরের সহকর্মী হয়ে তোমাদের কাছে অনুরোধ করছি যে, তোমরা ঈশ্বরের অনুগ্রহ অকারণে গ্রহণ কর না।
১আৰু সেয়ে, আমি খ্ৰীষ্টৰ সহকাৰী হৈ, এই মিনতিও কৰিছোঁ যে, আপোনালোকে ঈশ্বৰৰ অনুগ্ৰহ ব্যৰ্থৰূপে গ্ৰহণ কৰা নহ’ব৷
2 ২ কারণ তিনি বলেন, “আমি উপযুক্ত দিনের তোমার প্রার্থনা শুনেছি এবং পরিত্রান পাওয়ার দিনের তোমাকে সাহায্য করেছি।” দেখ, এখন উপযুক্ত দিন; দেখ, এখন উদ্ধার পাওয়ার দিন।
২কিয়নো তেওঁ কৈছে, “মই গ্ৰাহ্য-কালত তোমাৰ প্ৰাৰ্থনা শুনিলো; আৰু পৰিত্ৰাণৰ দিনা তোমাৰ উপকাৰ কৰিলোঁ।” চাওক, এতিয়া পৰমগ্ৰাহ্য কাল; এতিয়াই পৰিত্রাণৰ দিন৷
3 ৩ আর আমরা এমন কোন কাজ করি না যাতে কেউ কোনো ভাবে প্রভুর পথে চলতে বাধা পায়, কারণ আমরা আশাকরি না যে, সেই পরিচর্য্যার কাজ কলঙ্কিত হয়।
৩সেই পৰিচৰ্যা পদ যেন কলঙ্কিত নহয়, এই কাৰণে আমি কোনো কথাত বিঘিনি নজন্মাও।
4 ৪ বরং ঈশ্বরের দাস বলে সব বিষয়ে আমরা নিজেদের যোগ্য প্রমাণ করি, ধৈর্য্য, মাণুষিক অত্যাচার, কষ্ট, দুঃখ কষ্ট ইত্যাদির মধ্যেও আমরা তাঁর দাস বলে প্রমাণ দিচ্ছি,
৪বৰং, আমি নিজক ঈশ্বৰৰ পৰিচাৰক হিচাপে, আমাৰ এই সকলো কৰ্মৰ দ্বাৰাই যোগ্য-পাত্ৰ দেখুৱাইছোঁ; সেয়েহে অনেক প্ৰকাৰ ধৈৰ্য, ক্লেশ, দুখ, সঙ্কট,
5 ৫ অনেক ধৈর্য্যে, বিভিন্ন প্রকার ক্লেশে, অভাবের মধ্যে, সঙ্কটে, প্রহারে, কারাবাসে, কত দাঙ্গায়, পরিশ্রমে, কতদিন না ঘুমিয়ে কাটিয়েছি, কতদিন না খেয়ে কাটিয়েছি;
৫কোব, বন্দীশালত থকা, হুৰামুৰা, পৰিশ্ৰম, পৰ দিয়া, লঘোন,
6 ৬ শুদ্ধ জীবনের মাধ্যমে, জ্ঞানে, সহ্যগুনে, মধুর ভাবে, পবিত্র আত্মায়, প্রকৃত ভালবাসায়,
৬শুদ্ধতা, জ্ঞান, চিৰসহিষ্ণুতা, মৰম, পবিত্ৰ আত্মাত, অকপট প্ৰেম অৰ্থাৎ স্নেহ;
7 ৭ সত্যের বাক্যের প্রচার দিয়ে, ঈশ্বরের শক্তিতে; দক্ষিণ ও বাম হাতে ধার্মিকতার অস্ত্র দিয়ে আমরা প্রমাণ দিচ্ছি,
৭সত্যৰ বাক্যত, ঈশ্বৰৰ শক্তিত, সোঁ আৰু বাওঁফালে ধাৰ্মিকতাৰ অস্ত্ৰ-শস্ত্ৰৰ সৈতে, যোগ্য-পাত্ৰ দেখুৱাইছোঁ ৷
8 ৮ আমাদের বিষয়ে ভালো বলুক আর মন্দ বলুক এবং গৌরব দিক বা অসম্মান করুক আমরা আমাদের কাজ করছি, লোকে আমাদের মিথ্যাবাদী বলে দোষী করলেও আমরা নিজেদেরকে সত্যবাদী বলে জানি।
৮আমি মৰ্যদা আৰু অমৰ্য্যাদা, কু-যশ আৰু সু-যশ, প্ৰবঞ্চকৰ নিচিনা, কিন্তু সত্যবাদী;
9 ৯ আমরা কাজ করছি তবুও যেন, কেউ আমাদের চিনতে চায় না কিন্তু সবাই আমাদের চেনে; আমরা মৃতদের মত কিন্তু দেখো আমরা জীবিত আছি, আমাদের শাসন করা হচ্ছে কিন্তু আমাদের মৃত্যু হয়নি,
৯অবিদিতৰ নিচিনা, কিন্তু সুবিদিত; মৰো মৰো হোৱাৰ নিচিনা, কিন্তু চাওক জীয়াই আছোঁ; শাস্তি পোৱাৰ নিচিনা, কিন্তু হত হোৱা নাই৷
10 ১০ দুঃখিত, কিন্তু সবদিন আনন্দ করছি; আমরা দীনহীন দরিদ্রের মত তবুও আমরা অনেককে ধনী করছি; আমাদের যেন কিছুই নেই, অথচ আমরা সব কিছুর অধিকারী।
১০শোক কৰাৰ নিচিনা, কিন্তু সদায় আনন্দিত; দৰিদ্ৰৰ নিচিনা, কিন্তু অনেকক ধনৱন্ত কৰোঁতা; একো নথকাৰ নিচিনা, কিন্তু আমাৰ সকলো আছে।
11 ১১ হে করিন্থীয় বিশ্বাসীরা, তোমাদের কাছে আমরা সব সত্য কথাই বলেছি এবং আমাদের হৃদয় খুলে সব বলেছি।
১১কৰিন্থীয়া সকল, আমি আপোনালোকৰ বাবে, আমাৰ সকলো সত্যতাৰ বিষয়ে ক’লো আৰু আমাৰ হৃদয়ো বহল।
12 ১২ তোমরা আমাদের কাছে পূর্ণ স্বাধীনতা পেয়েছ কিন্তু তোমরা নিজেদের হৃদয়ে স্বাধীন নও।
১২আপোনালোকৰ হৃদয় আমাৰ জীৱনত সঙ্কুচিত হোৱা নাই, কিন্তু নিজ নিজ অন্তৰতহে সঙ্কুচিত হৈ আছে৷
13 ১৩ আমি তোমাদের কাছে সন্তানের মতই বলেছি এখন তোমরা সেইরূপ প্রতিদানের জন্য তোমাদের হৃদয় বড় করো।
১৩কিন্তু একে প্ৰকাৰৰ প্ৰতিদান কৰিবলৈ, সান্ত্বনাত থকা সকলক কোৱাৰ দৰে কৈছোঁ, আপোনালোকৰ হৃদয় বহলভাৱে মুকলি কৰক।
14 ১৪ তোমরা অবিশ্বাসীদের সঙ্গে একই যোয়ালীতে আবদ্ধ হয়ো না; কারণ ধর্ম্মের সঙ্গে অধর্ম্মের যোগ কোথায় আছে? অন্ধকারের সঙ্গে আলোরই বা কি সহভাগীতা আছে?
১৪অবিশ্বাসী সকলৰ সৈতে আপোনালোক অসমানভাবে সংযুক্ত নহব; কিয়নো ধাৰ্মিকতা আৰু অধৰ্মৰ মাজত পৰস্পৰৰ কি সম্পৰ্ক? আন্ধাৰে সৈতে পোহৰৰ বা কি সহভাগিতা?
15 ১৫ আর বলীয়ালের [শয়তানের] সঙ্গে খ্রীষ্টেরই বা কি মিল আছে? অথবা অবিশ্বাসীর সঙ্গে বিশ্বাসীরই বা কি অধিকার আছে?
১৫বেলিয়ালে সৈতে খ্ৰীষ্টৰ কি মিলন? অবিশ্বাসী জনৰ লগত বিশ্বাস কৰা জনৰ কি সম্পৰ্ক?
16 ১৬ আর প্রতিমাদের সঙ্গে ঈশ্বরের মন্দিরেরই বা কি সম্পর্ক? কারণ আমরা জীবন্ত ঈশ্বরের মন্দির, ঈশ্বর যেমন পবিত্র শাস্ত্রে বলেছেন, “আমি তাদের মধ্যে বাস করব এবং চলাফেরা করব এবং আমি তাদের ঈশ্বর হব, ও তারা আমার নিজের লোক হবে।”
১৬আৰু মূৰ্তিবোৰৰ সৈতে ঈশ্বৰৰ মন্দিৰৰ কি বিধান আছে? কিয়নো আমি জীৱনময় ঈশ্বৰৰ মন্দিৰ; এই বিষয়ে ঈশ্বৰে কৈছে, বোলে, “মই তেওঁলোকৰ মাজত বসতি কৰি থাকিম আৰু অহা-যোৱা কৰিম; মই তেওঁলোকৰ ঈশ্বৰ হ’ম আৰু তেওঁলোক মোৰ লোক হ’ব।”
17 ১৭ অতএব প্রভু এই কথা বলছেন, “তোমরা তাদের মধ্য থেকে বের হয়ে এসো ও আলাদা হয়ে থাক এবং অশুচি জিনিস স্পর্শ কর না; তাহলে আমি তোমাদের গ্রহণ করব।
১৭এতেকে, প্ৰভুৱে কৈছে, “তোমালোকে সিহঁতৰ মাজৰ পৰা ওলাই আহা আৰু পৃথক হোৱা, আৰু কোনো অশুচি বস্তুক নুচুবা, তাতে মই তোমালোকক গ্ৰহণ কৰিম,
18 ১৮ আমি তোমাদের পিতা হব এবং তোমরা আমার ছেলে ও মেয়ে হবে, এই কথা সর্বশক্তিমান প্রভু বলেন।”
১৮আৰু তোমালোকৰ পিতৃ হ’ম আৰু তোমালোকো মোৰ পো-জী হ’বা, ইয়াক সৰ্বশক্তিমান প্ৰভুৱে কৈছে”।