< ২য় করিন্থীয় 10 >

1 আমি পৌল নিজে খ্রীষ্টের নম্রতা ও ভদ্রতার জন্য তোমাদের অনুরোধ করছি আমি নাকি তোমাদের উপস্থিতিতে নম্র ও ভদ্র থাকি, কিন্তু তোমাদের অনুপস্থিতিতে তোমাদের প্রতি কঠোর হই।
মই, যি পৌল, নিজে খ্ৰীষ্টৰ মৃদু আৰু কোমল স্বভাৱেৰে আপোনালোকক মিনতি কৰিছোঁ - মই আপোনালোকৰ সাক্ষাতে নম্ৰ কিন্তু অসাক্ষাতে আপোনালোকৰ প্ৰতি সাহিয়াল৷
2 আমি তোমাদের কাছে বিনতি করি যে, যখন আমি তোমাদের মধ্যে উপস্থিত থাকি, তখন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কঠোর হওয়ার আমার প্রয়োজন নেই, যেমন আমি মনে করেছিলাম যে আমাকে কঠোর হতে হবে, তখন আমি তাদের প্রতিরোধ করেছিলাম যারা মনে করে যে আমরা মাংসের বশে চলি।
মই আপোনালোকক মিনতি কৰিছোঁ যে, যেতিয়া মই আপোনালোকৰ সৈতে থাকো তেতিয়া যেন মই আত্মবিশ্ৱাসৰ সাহসেৰে সাহসী নহওঁ; কিন্তু যেতিয়া আমাক যি সকলে মাংস অনুসাৰে চলা বুলি জ্ঞান কৰিব, তেতিয়া সেই সকলৰ বিৰুদ্ধে মই যেনে আৱশ্যকতা জ্ঞান কৰিছোঁ, উপস্থিত কালত তেনে সাহসেৰে মই সাহিয়াল হম৷
3 যদিও আমরা মাংসে চলি, আমরা শরীর অনুযায়ী যুদ্ধ করি না।
কিয়নো আমি মাংসত থাকিলেও, মাংস অনুসাৰে যুদ্ধ নকৰোঁ;
4 আমরা যে সব অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ করি সেটা মাংসিক নয়। তার পরিবর্তে তাদের যে ঐশ্বরিক ক্ষমতা আছে তার মাধ্যমে দুর্গসমূহ ধ্বংস করার জন্য ঈশ্বরের কাছে পরাক্রমী। আমরা সমস্ত বিতর্ক এবং,
কিয়নো আমাৰ যুদ্ধ অস্ত্ৰ-শস্ত্ৰৰে কৰা মাংসিক যুদ্ধ নহয় কিন্তু স্ৱর্গীয় শক্তিৰ দ্ৱাৰাই দূৰ্গও বিনাশ কৰাৰ যোগ্য, - ইয়াতে কোনো ভুল ধাৰণা নাথাকক৷
5 ঈশ্বর-জ্ঞানের বিরুদ্ধে যে সব জিনিস মহিমান্বিত হয়ে মাথা তোলে তাদেরও আমরা ধ্বংস করি এবং আমরা সব মনের ভাবনাকে বন্দী করে খ্রীষ্টের প্রতি বাধ্য হয়েছি।
আমি মনৰ তৰ্ক-বিতৰ্ক আৰু ঐশ্বৰীক জ্ঞানৰ বিৰুদ্ধে উত্থাপিত হোৱা উদ্ধত বিষয়বোৰ ভাঙি পেলাই, সকলো ভাব বন্দী কৰি, খ্ৰীষ্টৰ আজ্ঞাধীন কৰিছোঁ;
6 আর তোমাদের সম্পূর্ণ বাধ্য হওয়ার পর আমরা সমস্ত অবাধ্যতাকে উচিত শাস্তি দিতে প্রস্তুত আছি।
আৰু আপোনালোকৰ আজ্ঞাধীনতা সম্পূৰ্ণ হ’লে, সকলো অবাধ্যতাৰ প্ৰতিকাৰ সাধিবলৈ যুগুত হৈ আছোঁ।
7 সামনে যা আছে তোমরা তাই দেখছ। যদি কেউ যদি নিজের উপরে বিশ্বাস রেখে বলে যে সে খ্রীষ্টের লোক, তবে সে আবার নিজেই নিজের বিচার করে বুঝুক, সে যেমন, আমরাও তেমনি খ্রীষ্টের লোক,
সন্মুখত যি আছে, সেয়া আপোনালোকে স্পষ্ট দৃষ্টিৰে চাওক৷ কোনোৱে যদি নিজকে খ্ৰীষ্টৰ পাঁচনি বুলি নিজ প্ৰমাণত বিশ্বাস কৰে, তেনেহলে তেখেত যেনেকৈ খ্ৰীষ্টৰ, আমিও তেনেকৈ বুলি তেখেতে নিজে পুনৰায় বিবেচনা কৰি জানক।
8 যদি আমি আমাদের ক্ষমতার সামান্য একটু বেশি অহঙ্কার দেখালেও আমি লজ্জা পাব না, প্রভু তোমাদের ধ্বংস করার জন্য নয় কিন্তু তোমাদের গঠন করার জন্য সেই ক্ষমতা দিয়েছেন।
আমাৰ ক্ষমতাৰ বিষয়ে যদিও কিছু অধিক গৌৰৱ কৰোঁ, যি ক্ষমতা প্ৰভুৱে আপোনালোকক বিনষ্ট কৰিবৰ কাৰণে নহয়, কিন্তু আপোনালোক যেন ধর্মত বৃদ্ধি হয়৷ তথাপি সেই বিষয়ে মই লজ্জিত নহ’ম৷
9 আমি তোমাদের এটা বোঝাতে চাইছি না যে আমি তোমাদের আমার চিঠির মাধ্যমে ভয় দেখাচ্ছি।
মোৰ পত্ৰবোৰৰ দ্বাৰাই যেন আপোনালোকক ভয় দেখুৱাবৰ ধৰণে নহও;
10 ১০ কিছু লোক বলে, “পৌলের চিঠিগুলো গুরুত্বপূর্ণ এবং শক্তিশালী, কিন্তু শরীরের দিক থেকে তিনি দুর্বল এবং তাঁর কথা শোনার উপযুক্ত নয়।”
১০কিয়নো কিছুমান ব্যক্তিয়ে কয়, “তেখেতৰ পত্ৰবোৰ গুৰুত্ৱপূর্ণ আৰু শক্তিযুক্ত, কিন্তু শাৰীৰিকভাৱে তেখেত দূৰ্বল আৰু তেখেতৰ বাক্য শুনা অযোগ্য৷”
11 ১১ এই রকম লোকেরা বুঝুক যে আমাদের অনুপস্থিতিতে চিঠি দিয়ে যা বলেছি, সেখানে গিয়েও একই কথা বলব।
১১আমি অনুপস্থিত থকা সময়ত পত্ৰৰ দ্বাৰাই বিষয়বোৰ যেনেদৰে লিখিছোঁ, উপস্থিত হ’লে আমি কাৰ্যতো তেনেকুৱাই বুলি, সেই মানুহবোৰে বিবেচনা কৰি জানক।
12 ১২ এই ধরনের লোকদের সঙ্গে শ্রেণীভুক্ত বা তুলনা করার সাহস করি না, যারা তাদের প্রশংসা তারা নিজেরাই করে, কিন্তু তারা যখন নিজেদের সঙ্গে অন্যদের পরিমাপ করবে এবং নিজেদের প্রত্যেকের সঙ্গে তুলনা করবে।
১২কিয়নো নিজকে নিজে প্ৰশংসা কৰা লোক সকলৰ লগত আমি নিজক গণনা বা তুলনা কৰিবলৈ সাহস নকৰোঁ; কিয়নো যেতিয়া তেওঁলোকে ইজনে সিজনক জোখে আৰু নিজকে আন এজনৰ লগত তুলনা কৰে, তেতিয়া তেওঁলোকে যেন নিজকে সুক্ষ্মদৃষ্টি কৰে৷
13 ১৩ আমরা পরিমাণের অতিরিক্ত গর্ব করব না, কেবল ঈশ্বর আমাদের যে কাজ করতে দিয়েছেন এবং আমরা কেবল কাজ করব যেরকম তিনি আমাদের কাজ করতে বলেছেন; আমাদের কাজের পরিমাণের মধ্যে তোমরাও আছ।
১৩কিন্তু আমি হ’লে অপৰিমিত ৰূপে গৌৰৱ নকৰি, ঈশ্বৰে যিহৰ দ্বাৰাই আমাৰ অংশৰ পৰিমাণ নিৰূপণ কৰি, আপোনালোকৰ ওচৰলৈকে পোৱা কৰিলে, আমি সেই পৰিমাণ অনুসাৰে গৌৰৱ কৰিম।
14 ১৪ তা তোমাদের কাছে পৌঁছায় না, আমরা যে সীমা অতিক্রম করছি, এমন নয়, আমরা প্রথমে খ্রীষ্টের সুসমাচার নিয়ে তোমাদের কাছে গিয়েছিলাম।
১৪কিয়নো আপোনালোকৰ সেই খিনিলৈকে আমাৰ স্বত্ব নথকাৰ দৰে, আমি নিজক ডাঙৰ কৰা নাই; কিন্তু খ্ৰীষ্টৰ শুভবাৰ্তা প্ৰচাৰ কৰোঁতে কৰোঁতে, আমি আপোনালোকৰ ওচৰ গৈ পাইছিলো৷
15 ১৫ ঈশ্বর অন্যদের যে কাজ দিয়েছেন তা নিয়ে আমরা অহঙ্কার করি না, যদি আমরা ঐ কাজ করি, তা সত্বেও, আমরা আশাকরি যে তোমরা ঈশ্বরকে বেশি বিশ্বাস করবে এবং এই ভাবে ঈশ্বর আমাদের কাজ করার জন্য আরো বড় জায়গা ভাগ করে দেবেন।
১৫আমি যে অপৰিমিত ৰূপে আনৰ পৰিশ্ৰমৰ কথাত গৌৰৱ কৰিছোঁ, এনে নহয়; কিন্তু আশা কৰোঁ, লোকৰ বিশ্বাস বাঢ়িলে, আমাৰ পৰিমাণ-জৰী অনুসাৰে আপোনালোকৰ মাজত বাহুল্যৰূপে যেন বৃদ্ধি হ’ম৷
16 ১৬ আমরা এই আশাকরি, তোমরা যেখানে বাস কর তার থেকে দূরের লোকেদের কাছে সুসমাচার পৌঁছে দিতে পারব, আমরা আমাদের নিজেদের কাজের প্রশংসা করব না যেমন ঈশ্বরের অন্য দাসেরা করে, তাদের নিজের জায়গার মধ্যে তারা তাঁর প্রচার করে।
১৬অামি আপোনালোকৰ সিমূৰে থকা অঞ্চলতো শুভবার্তাৰ প্ৰচাৰ কৰিব পাৰিম৷ আমি আন লোকৰ অঞ্চলত কৰা কামৰ গৌৰৱ নকৰিম৷
17 ১৭ কিন্তু পবিত্র শাস্ত্রের কথায়, “যে অহঙ্কার করে, সে প্রভুকে নিয়েই অহঙ্কার করুক।”
১৭“কিন্তু যি জনে গৌৰৱ কৰে, তেওঁ প্ৰভুতেই গৌৰৱ কৰক”।
18 ১৮ যখন একজন নিজের কাজের প্রশংসা করে, ঈশ্বর তার কাজের পুরষ্কার দেন না, তার পরিবর্তে, সে পুরষ্কার পায় ঈশ্বর যার প্রশংসা করেন।
১৮কিয়নো যি জনে নিজকে নিজে যোগ্য-পাত্ৰ দেখুৱাই, তেখেত পৰীক্ষাসিদ্ধ নহয়; কিন্তু যি জনক প্ৰভুৱে যোগ্য-পাত্ৰ জ্ঞান কৰে, তেখেতহে পৰীক্ষাসিদ্ধ।

< ২য় করিন্থীয় 10 >